৩২৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَدِينَةَ انْجَفَلَ النَّاسُ قِبَلَهُ وَقِيلَ قَدْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ قَدْ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ . ثَلاَثًا فَجِئْتُ فِي النَّاسِ لأَنْظُرَ فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ سَمِعْتُهُ تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلاَمَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصِلُوا الأَرْحَامَ وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ " .
আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন (হিজরত করে মক্কা থেকে) মদীনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁর নিকট যেতে লাগলো এবং বলাবলি হতে লাগলোঃ আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন (তিনবার)। আমিও লোকজনের সাথে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা মিথ্যাবাদীর নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেনঃ হে লোকসকল! তোমরা সালামের ব্যাপক প্রচলন করো, আহার করাও, আত্নীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন রাতের বেলা নামায পড়ো। শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করো। [৩২৫১]
৩২৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى حُدِّثْنَا عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أَفْشُوا السَّلاَمَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَكُونُوا إِخْوَانًا كَمَا أَمَرَكُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য দান করো এবং ভাই ভাই হয়ে সদ্ভাবে থাকো, যেমন মহামহিম আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন। [৩২৫২]
৩২৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، . أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ " تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞাস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ ইসলাম উত্তম? তিনি বলেনঃ দরিদ্রদেরকে তোমার খাদ্যদান এবং তোমার পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম দেয়া। [৩২৫৩]
৩২৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زِيَادٍ الأَسَدِيُّ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ وَطَعَامُ الأَرْبَعَةِ يَكْفِي الثَّمَانِيَةَ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজনের খাবার দু’জনের জন্য যথেষ্ট, দু’জনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট এবং চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। [৩২৫৪]
৩২৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৫
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ طَعَامَ الْوَاحِدِ يَكْفِي الاِثْنَيْنِ وَإِنَّ طَعَامَ الاِثْنَيْنِ يَكْفِي الثَّلاَثَةَ وَالأَرْبَعَةَ وَإِنَّ طَعَامَ الأَرْبَعَةِ يَكْفِي الْخَمْسَةَ وَالسِّتَّةَ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজনের খাদ্য দু’জনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে, দু’জনের খাবার তিন বা চারজনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে এবং চারজনের খাবার পাঁচ অথবা ছ’জনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। [৩২৫৫]
৩২৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুমিন ব্যক্তি এক উদরে খায় এবং কাফের ব্যক্তি সাত উদরে খায়। [৩২৫৬]
৩২৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " الْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ وَالْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ " .
ইবনু উমার (রাদিয়ালাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কাফের ব্যক্তি সাতটি পাকস্থলী পূর্তি করে খায় এবং মুমিন ব্যক্তি এক পাকস্থলী পূর্তি করে খায়। [৩২৫৭]
৩২৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " .
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুমিন ব্যক্তি এক পাকস্থলীতে খায় এবং কাফের ব্যক্তি সাত পাকস্থলীতে খায়। [৩২৫৮]
৩২৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا عَابَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَعَامًا قَطُّ إِنْ رَضِيَهُ أَكَلَهُ وَإِلاَّ تَرَكَهُ .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ نُخَالِفُ فِيهِ يَقُولُونَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও খাদ্যসামগ্রীর ত্রুটি ধরতেন না। পছন্দ হলে তিনি আহার করতেন, অন্যথায় রেখে দিতেন।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
২/৩২৫৯ (১). আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [৩২৫৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
৩২৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬০
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُكْثِرَ اللَّهُ خَيْرَ بَيْتِهِ فَلْيَتَوَضَّأْ إِذَا حَضَرَ غَدَاؤُهُ وَإِذَا رُفِعَ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি চায় যে, তার ঘরে বরকত আসুক, সে যেন সকালের আহার গ্রহণের সময় উযু করে এবং আহার শেষেও উযু করে। [৩২৬০]
৩২৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬১
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا صَاعِدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ فَأُتِيَ بِطَعَامٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ آتِيكَ بِوَضُوءٍ قَالَ " أُرِيدُ الصَّلاَةَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে বর্ণিত। তিনি পায়খানা থেকে বেরিয়ে আসলে তাঁর জন্য খাবার পেশ করা হলো। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কি আপনার জন্য উযুর পানি নিয়ে আসব না? তিনি বলেনঃ আমি কি নামায পড়তে চাচ্ছি? [৩২৬১]
উক্ত হাদীসের রাবী জা’ফার বিন মুসাফির সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী, তবে হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা)
৩২৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ مِسْعَرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ آكُلُ مُتَّكِئًا " .
আবূ জুহায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কখনো হেলান দিয়ে আহার করি না। [৩২৬২]
৩২৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عِرْقٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ، قَالَ أَهْدَيْتُ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ شَاةً فَجَثَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى رُكْبَتَيْهِ يَأْكُلُ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ مَا هَذِهِ الْجِلْسَةُ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ جَعَلَنِي عَبْدًا كَرِيمًا وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا عَنِيدًا " .
আবদুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একটি বকরী হাদিয়া দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উভয় হাটু উঁচু করে বসে আহার করছিলেন। এক বেদুঈন বলল, এটা কি ধরনের বসা! তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে অনুগ্রহপরায়ণ ও বিনয়ী বান্দা বানিয়েছেন, হিংসুক ও অহংকারী বানাননি। [৩২৬৩]
৩২৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْكُلُ طَعَامًا فِي سِتَّةِ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَأَكَلَهُ بِلُقْمَتَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَمَا أَنَّهُ لَوْ كَانَ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ لَكَفَاكُمْ فَإِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنْ نَسِيَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ছয়জন সাহাবীসহ আহার করছিলেন। এমন সময় এক বেদুঈন এসে সমস্ত খাদ্য দু’গ্রাসে শেষ করে ফেললো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আহার করতো, তাহলে এ’ খাদ্য তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হতো। অতএব তোমাদের কেউ আহার গ্রহণকালে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। সে যদি আহার গ্রহণের প্রারম্ভে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায় তবে যেন বলেঃ ‘বিসমিল্লাহ ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহী’ (খাদ্যের প্রারম্ভে এবং শেষেও বিসমিল্লাহ)। [৩২৬৪]
৩২৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا آكُلُ " سَمِّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ " .
উমার বিন আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার আহার অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ মহামহিম আল্লাহ্র নাম স্মরণ কর। [৩২৬৫]
৩২৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْهِقْلُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لِيَأْكُلْ أَحَدُكُمْ بِيَمِينِهِ وَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ وَلْيَأْخُذْ بِيَمِينِهِ وَلْيُعْطِ بِيَمِينِهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ وَيُعْطِي بِشِمَالِهِ وَيَأْخُذُ بِشِمَالِهِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে দান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে দেয় এবং বাম হাতে গ্রহণ করে। [৩২৬৬]
৩২৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، سَمِعَهُ مِنْ، عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ كُنْتُ غُلاَمًا فِي حِجْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ فِي الصَّحْفَةِ فَقَالَ لِي " يَا غُلاَمُ سَمِّ اللَّهَ وَكُلْ بِيَمِينِكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ " .
উমার বিন আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতিপালনাধীন ছিলাম। আহার গ্রহণের সময় আমার হাত পাত্রের যত্রতত্র চলে যেতো। তিনি আমাকে বললেনঃ এই ছেলে! আল্লাহর নাম স্মরণ করো, ডান হাতে আহার করো এবং তোমার নিকটের খাদ্য থেকে খাও। [৩২৬৭]
৩২৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِالشِّمَالِ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা বাম হাতে আহার করো না। কারণ শায়তান বাম হাতে আহার করে। [৩২৬৮]
৩২৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " .قَالَ سُفْيَانُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ قَيْسٍ، يَسْأَلُ عَمْرَو بْنَ دِينَارٍ أَرَأَيْتَ حَدِيثَ عَطَاءٍ " لاَ يَمْسَحْ أَحَدُكُمْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " . عَمَّنْ هُوَ قَالَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ فَإِنَّهُ حُدِّثْنَاهُ عَنْ جَابِرٍ . قَالَ حَفِظْنَاهُ مِنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَبْلَ أَنْ يَقْدَمَ جَابِرٌ عَلَيْنَا وَإِنَّمَا لَقِيَ عَطَاءٌ جَابِرًا فِي سَنَةٍ جَاوَرَ فِيهَا بِمَكَّةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, তখন সে যেন নিজ হাত চেটে খাওয়ার অথবা (অপরকে) চেটে খাওয়ানোর পূর্বে তা না মোছে। সুফিয়ান (রাঃ) বলেন, আমি উমার বিন কায়েসকে আমর বিন দীনারের নিকট জিজ্ঞাসা করতে শুনেছিঃ আপনার মতে আতা (রাঃ)- এর হাদিস "তোমাদের কেউ যেন হাত চেটে খাওয়ার অথবা চেটে খাওয়ানোর পূর্বে তা না মোছে", কোন সাহাবী থেকে বর্ণিত? তিনি বলেন, বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। 'আমর বিন দীনার (রাঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) আমাদের নিকট আসার পূর্বেই আমরা তা বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে আতার মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে মুখস্হ করেছি। আতা (রহঃ) তো জাবির (রাঃ)- এর সাথে মক্কায় যাওয়ার বছর সাক্ষাত করে। [৩২৬৯]
উক্ত হাদিসটির শতাধিক শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৪৫৬, মুসলিম ২০৩২, ২০৩৩, ২০৩৪, ২০৩৫, ২০৩৬, ২০৩৭, ২০৩৮, তিরমিযি ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, আবু দাউদ ৩৮৪৫, ৩৮৪৭, ৩৮৪৮, দারিমী ২০২৫, ২০২৬, ২০২৮, ২০৩৩, ২০৩৪, আহমাদ ২৭৭৭৩, ৩২২৪, ৩৪৮৯, ৪৫০০, ৮২৯৪, ২৬৬২৭।
৩২৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭০
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ يَمْسَحْ أَحَدُكُمْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهِ الْبَرَكَةُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন হাত চেটে খাওয়ার পূর্বে তা না মোছে। কারণ তার জানা নেই যে, তার খাদ্যের কোন অংশে বরকত আছে। [৩২৭০]
৩২৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْبَرَّاءُ، قَالَ حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي أَمُّ عَاصِمٍ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا نُبَيْشَةُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ نَأْكُلُ فِي قَصْعَةٍ فَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَكَلَ فِي قَصْعَةٍ فَلَحِسَهَا اسْتَغْفَرَتْ لَهُ الْقَصْعَةُ " .
উম্মু আসিম (মাকবূলাহ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহর মুক্তদাস নুবায়শাহ (রাঃ), আমাদের নিকট প্রবেশ করলেন। তখন আমরা একটি বড় পাত্রে আহার করছিলাম। তিনি আমাদের বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আহার করার পর আহারের পাত্র চেটে খেয়ে পরিষ্কার করে, তার জন্যে পাত্র ক্ষমা প্রার্থনা করে। [৩২৭১]
৩২৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ رَاشِدٍ أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُ نُبَيْشَةُ الْخَيْرِ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا نُبَيْشَةُ وَنَحْنُ نَأْكُلُ فِي قَصْعَةٍ لَنَا فَقَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَكَلَ فِي قَصْعَةٍ ثُمَّ لَحِسَهَا اسْتَغْفَرَتْ لَهُ الْقَصْعَةُ " .
উম্মু আসিম থেকে বর্ণিতঃ
নুবায়শাহ আমাদের নিকট এলেন। আমরা তখন আমাদের একটি পাত্রে আহার করছিলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন পাত্রে আহার করার পর তা চেটে খেয়ে পরিষ্কার করে, তার জন্যে ঐ পাত্র ক্ষমা প্রার্থণা করে। [৩২৭২]
৩২৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا وُضِعَتِ الْمَائِدَةُ فَلْيَأْكُلْ مِمَّا يَلِيهِ وَلاَ يَتَنَاوَلْ مِنْ بَيْنِ يَدَىْ جَلِيسِهِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আহারের দস্তরখানা বিছানো হলে কেউ তার নিকটের খাবার থেকে যেন আহার করে এবং নিজ সঙ্গীর নিকটেরগুলো না নেয়। [৩২৭৩]
৩২৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي السَّوِيَّةِ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عِكْرَاشٍ، عَنْ أَبِيهِ، عِكْرَاشِ بْنِ ذُؤَيْبٍ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِجَفْنَةٍ كَثِيرَةِ الثَّرِيدِ وَالْوَدَكِ فَأَقْبَلْنَا نَأْكُلُ مِنْهَا فَخَبَطْتُ يَدِي فِي نَوَاحِيهَا فَقَالَ " يَا عِكْرَاشُ كُلْ مِنْ مَوْضِعٍ وَاحِدٍ فَإِنَّهُ طَعَامٌ وَاحِدٌ " . ثُمَّ أُتِينَا بِطَبَقٍ فِيهِ أَلْوَانٌ مِنَ الرُّطَبِ فَجَالَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الطَّبَقِ وَقَالَ " يَا عِكْرَاشُ كُلْ مِنْ حَيْثُ شِئْتَ فَإِنَّهُ غَيْرُ لَوْنٍ وَاحِدٍ " .
ইকরাশ বিন যুআয়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রচুর সারীদ (গোশ্তের ঝোলে ভিজানো রুটি) ও চর্বি ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে আসা হলো। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে তা আহার করতে লাগলাম।আমার হাত পাত্রের মধ্যে যত্রতত্র সঞ্চালিত হতে থাকলে তিনি বলেনঃ হে ইকরাশ! এক জায়গা থেকে নিয়ে খাও।কারণ গোটা পাত্রে একই খাদ্য রয়েছে। অতঃপর আমাদের জন্যে বিভিন্ন রকমের তাজা খেজুর ভর্তি আর একটি বড় পাত্র আনা হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত পাত্রের সর্বত্র বিচরণ করতে লাগলো এবং তিনি বললেনঃ হে ইকরাশ! পাত্রের যেখান থেকে ইচ্ছা খাও। কারণ তাতে বিভিন্ন কিছিমের খাবার রয়েছে। [৩২৭৪]
৩২৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عِرْقٍ الْيَحْصُبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُتِيَ بِقَصْعَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُوا مِنْ جَوَانِبِهَا وَدَعُوا ذُرْوَتَهَا يُبَارَكْ فِيهَا " .
আব্দুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একটি পাত্র আনা হলে তিনি বলেনঃ এর চারপাশ থেকে খাও এবং উপরাংশ রেখে দাও, তাহলে তাতে বরকত লাভ করা যাবে। [৩২৭৫]
৩২৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عُمَرُ بْنُ الدَّرَفْسِ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي قَسِيمَةَ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ اللَّيْثِيِّ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِرَأْسِ الثَّرِيدِ فَقَالَ " كُلُوا بِسْمِ اللَّهِ مِنْ حَوَالَيْهَا وَاعْفُوا رَأْسَهَا فَإِنَّ الْبَرَكَةَ تَأْتِيهَا مِنْ فَوْقِهَا " .
ওয়াসিলাহ ইবনুল আসকা' আল-লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারীদের উপরাংশ স্পর্শ করে বলেনঃ আল্লাহর নাম নিয়ে তার চারপাশ থেকে আহার করো এবং তার উপরাংশ অবশিষ্ট রাখো। কারণ এই উপরের দিক থেকেই বরকত আসে। [৩২৭৬]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন আবু কাসীমাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৮০৫, আবু দাউদ ৩৭৭২, ৩৭৭৩, দারমী ২০৪৬, আহমাদ ২৪৩৫, ২৭৪৫, ৩১৮০, ৩০২৪, ৩৪২৮, ১৫৫৭৬, ১৭২২৫, শারহুস সুন্নাহ ২৮৭৩।
৩২৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا وُضِعَ الطَّعَامُ فَخُذُوا مِنْ حَافَتِهِ وَذَرُوا وَسَطَهُ فَإِنَّ الْبَرَكَةَ تَنْزِلُ فِي وَسَطِهِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ খাদ্যদ্রব্য এনে রাখা হলে তার চারপাশ থেকে খাও এবং মধ্যভাগ রেখে দাও। কারণ এ মধ্যস্হলে বরকত নাযিল হয়। [৩২৭৭]
হাদিসটির ৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৮০৫, আবু দাউদ ৩৭৭২, ৩৭৭৩, দারিমী ২০৪৬, আহমাদ ২৪৩৫, ২৭২৫, ৩১৮০, ৩০২৪, ৩৪২৮, ১৫৫৭৬, শারহুস সুন্নাহ ২৮৭৩।
৩২৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৮
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يَتَغَدَّى إِذْ سَقَطَتْ مِنْهُ لُقْمَةٌ فَتَنَاوَلَهَا فَأَمَاطَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ أَذًى فَأَكَلَهَا فَتَغَامَزَ بِهِ الدَّهَاقِينُ فَقِيلَ أَصْلَحَ اللَّهُ الأَمِيرَ إِنَّ هَؤُلاَءِ الدَّهَاقِينَ يَتَغَامَزُونَ مِنْ أَخْذِكَ اللُّقْمَةَ وَبَيْنَ يَدَيْكَ هَذَا الطَّعَامُ . قَالَ إِنِّي لَمْ أَكُنْ لأَدَعَ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِهَذِهِ الأَعَاجِمِ إِنَّا كُنَّا نَأْمُرُ أَحَدَنَا إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَتُهُ أَنْ يَأْخُذَهَا فَيُمِيطَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ أَذًى وَيَأْكُلَهَا وَلاَ يَدَعَهَا لِلشَّيْطَانِ .
মা’কিল বিন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, একদা তিনি সকালের খাবার খাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার একটি গ্রাস (লুকমাহ) নীচে পড়ে গেলো। তিনি তা তুলে নিয়ে তার ময়লা দূর করে আহার করেন। এতে অনারব কৃষকরা চোখ টিপাটিপি করতে লাগলো। বলা হলো, আল্লাহ নেতাকে কল্যাণের সাথে রাখুন। নিচে পতিত খাবার তুলে নেয়ায় এসব কৃষক আপনার প্রতি চোখ টিপাটিপি করছে। তিনি বলেন, এসব অনারবের কারণে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট থেকে শ্রুত কথা ত্যাগ করতে প্রস্তুত নই। আমাদের মধ্যে কারো খাবারের গ্রাস পড়ে গেলে তাকে নির্দেশ দেয়া হতো যে, সে যেন তা তুলে নিয়ে তার ময়লা দূর করে খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্যে ফেলে না রাখে। [৩২৭৮]
৩২৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৭৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا وَقَعَتِ اللُّقْمَةُ مِنْ يَدِ أَحَدِكُمْ فَلْيَمْسَحْ مَا عَلَيْهَا مِنَ الأَذَى وَلْيَأْكُلْهَا " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো হাত থেকে খাবারের গ্রাস পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে নেয় এবং তাতে যে ময়লা লেগেছে তা দূর করে খেয়ে নেয়। [৩২৭৯]
তিরমিযী ১৮০২, ইরওয়া ১৯৭০, ১৯৭১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ক্ত হাদিসের রাবী ১. আলী ইবনুল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)
৩২৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " كَمَلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ " .
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতায় পৌঁছেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে কেবল ইমরান কন্যা মরিয়ম এবং ফিরআওনের স্ত্রী আসিয়া এই পূর্ণতায় পৌঁছুতে পেরেছিলেন। আর নারী সমাজের উপর আয়িশাহর মর্যাদা তদ্রুপ, যেমন অন্যান্য খাদ্যের উপর সারীদের (ঝোলে ভিজানো রুটির) মর্যাদা। [৩২৮০]
৩২৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮১
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নারী সমাজের উপর আয়িশাহর এমন মর্যাদা রয়েছে যেমন অন্যান্য সকল প্রকারের খাদ্যের উপর রয়েছে সারীদের প্রাধান্য। [৩২৮১]
৩২৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمِصْرِيُّ أَبُو الْحَارِثِ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا زَمَانَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَلِيلٌ مَا نَجِدُ الطَّعَامَ فَإِذَا نَحْنُ وَجَدْنَاهُ لَمْ يَكُنْ لَنَا مَنَادِيلُ إِلاَّ أَكُفَّنَا وَسَوَاعِدَنَا وَأَقْدَامَنَا ثُمَّ نُصَلِّي وَلاَ نَتَوَضَّأْ . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ غَرِيبٌ لَيْسَ إِلاَّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ .
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে খাদ্য খুব কমই পেতাম। আমরা যখন তা পেতাম তখন আমাদের নিকট তোয়ালে থাকতো না, হাতের তালু, বাহু ও পায়ের পাতা ব্যতীত। অতঃপর আমরা নামায পড়তাম এবং (আহার শেষে) উযু করতাম না। [৩২৮২]
৩২৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার শেষ করে বলতেনঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত’আমানা ওয়া সাকানা ওয়া জা’আলানা মিনাল মুসলিমীন" (সমস্ত প্রশংসা আল্রাহর জন্যে যিনি আমাদের আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলমান বানিয়েছেন)। [৩২৮৩]
৩২৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا رُفِعَ طَعَامُهُ أَوْ مَا بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلاَ مُوَدَّعٍ وَلاَ مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا " .
আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খাবার বা তাঁর সামনের খাবার তুলে রাখার পর তিনি বলতেনঃ আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবারাকান গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওয়াদ্দাইন ওয়ালা মুসতাগনান আনহু রব্বানা " (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, অসংখ্য প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা, পবিত্র ও প্রাচুর্যময় সত্ত্বার জন্যে। তিনি সবার জন্যে যথেষ্ট, তিনি কখনও পৃথক হন না। তাঁর অমুখাপেক্ষী হওয়া যায় না, আমাদের রব।)। [৩২৮৪]
৩২৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৫
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَكَلَ طَعَامًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
মুআয বিন আনাস আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আহার করে সে যেন বলে, ' আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আতআমানী হাযা ওয়া রাযাকানীহি মিনগায়রি হাওলিন মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ’’ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'লার জন্যে, যিনি আমাকে আমার শক্তি ও ক্ষমতা ব্যতীত আহার করিয়েছেন ও রিযিক দান করেছেন), তাহলে তার পূর্বেকার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। [৩২৮৫]
৩২৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَدَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبِ بْنِ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، وَحْشِيٍّ، أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَأْكُلُ وَلاَ نَشْبَعُ . قَالَ " فَلَعَلَّكُمْ تَأْكُلُونَ مُتَفَرِّقِينَ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " فَاجْتَمِعُوا عَلَى طَعَامِكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ يُبَارَكْ لَكُمْ فِيهِ " .
ওয়াহশী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা আহার করি, কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারি না। তিনি বলেন, তোমরা হয়ত পৃথক পৃথকভাবে আহার করো। তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, তোমরা একত্রে আহার করো এবং আহারকালে আল্লাহর নাম স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের খাদ্যে তোমাদের জন্যে বরকত দেয়া হবে। [৩২৮৬]
৩২৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُوا جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُوا فَإِنَّ الْبَرَكَةَ مَعَ الْجَمَاعَةِ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা একত্রে আহার করো এবং বিচ্ছিন্নভাবে করো না। কারণ বরকত থাকে সমষ্টির সাথে। [৩২৮৭]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল তবে প্রথম বাক্যটি প্রমানিত।
৩২৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَنْفُخُ فِي طَعَامٍ وَلاَ شَرَابٍ وَلاَ يَتَنَفَّسُ فِي الإِنَاءِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যে ফুঁ দিতেন না এবং পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস ফেলতেন না। [৩২৮৮]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল, তবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কওল থেকে যা সহীহ তা ৩৪২৯ নং হাদীসে আসছে।
৩২৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا جَاءَ أَحَدَكُمْ خَادِمُهُ بِطَعَامِهِ فَلْيُجْلِسْهُ فَلْيَأْكُلْ مَعَهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُنَاوِلْهُ مِنْهُ " .
আবু হুরাইরা (রা:) বলেন থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো খাদেম তার জন্য খাবার এনে উপস্থিত হলে সে যেন তাকে নিজের সাথে বসায় এবং নিজের সাথে খাওয়ায়। সে যদি তাকে নিজের সাথে বসাতে না চায়, তবে খাবার থেকে যেন তাকে দেয়। [৩২৮৯]
৩২৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯০
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا أَحَدُكُمْ قَرَّبَ إِلَيْهِ مَمْلُوكُهُ طَعَامًا قَدْ كَفَاهُ عَنَاءَهُ وَحَرَّهُ فَلْيَدْعُهُ فَلْيَأْكُلْ مَعَهُ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلْيَأْخُذْ لُقْمَةً فَلْيَجْعَلْهَا فِي يَدِهِ " .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো ক্রীতদাস তার সামনে আহার পরিবেশন করে, যা রান্না করার কষ্ট ও গরম সে সহ্য করেছে, তখন সে যেন তাকে নিজের সাথে বসিয়ে খাওয়ায়। সে যদি তা না করে, তাহলে একটি গ্রাস তুলে যেন তার হাতে দেয়। [৩২৯০]
৩২৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ الْهَجَرِيُّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا جَاءَ خَادِمُ أَحَدِكُمْ بِطَعَامِهِ فَلْيُقْعِدْهُ مَعَهُ أَوْ لِيُنَاوِلْهُ مِنْهُ فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي وَلِيَ حَرَّهُ وَدُخَانَهُ " .
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো খাদেম যখন তার নিকট খাদ্য নিয়ে আসে, তখন সে তাকে যেন নিজের সাথে বসায় অথবা খাদ্য থেকে তাকেও খেতে দেয়। কারণ সে খাদ্যদ্রব্য রান্না করতে গিয়ে গরম ও ধোঁয়া সহ্য করেছে। [৩২৯১]
উক্ত হাদিসের সানাদটি ইবরাহীম আল-হাজারী এর কারণে দুর্বল। হাদিসটির ৮৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২৫৫৭, ৫৪৬০, মুসলিম ১৬৬০, তিরমিযি ১৮৫৩, আবু দাউদ ৩৮৪৬, দারিমী ২০৭৩, ২০৭৪, আহমাদ ৩৬৭১, ৪২৪৫, ৪২৫৪, ৭২৯৩, ৭৪৬২, ৭৬৬৯, ৭৯২১, শারহুস সুন্নাহ ২৪০৫, ২৪০৬।
৩২৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي الْفُرَاتِ الإِسْكَافِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا أَكَلَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى خِوَانٍ وَلاَ فِي سُكُرُّجَةٍ . قَالَ فَعَلاَمَ كَانُوا يَأْكُلُونَ قَالَ عَلَى السُّفَرِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কোন উঁচু জিনিসের উপর থালা রেখে আহার করেননি। কাতাদা (রাঃ) বলেন, তাহলে তারা কিসের উপর রেখে খেতেন? তিনি (আনাস) বলেন, দস্তরখানের উপর রেখে। [৩২৯২]
৩২৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْجُبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَحْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَكَلَ عَلَى خِوَانٍ حَتَّى مَاتَ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত কখনও খাঞ্চা ভরে আহার করতে দেখিনি। [৩২৯৩]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবু বাহর আল-বাকরাবী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১০ টি খুবই দুর্বল, ১৩ টি দুর্বল, ১৪ টি হাসান, ১৪ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৪১৪, তিরমিযি ১৭৮৮, আহমাদ ১১৯১৬, শারহুস সুন্নাহ ২৮৩৭।
৩২৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَشِيرِ بْنِ ذَكْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُنِيرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى أَنْ يُقَامَ عَنِ الطَّعَامِ حَتَّى يُرْفَعَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদ্যসামগ্রী তুলে নেয়ার পূর্বে (সকলের আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত) উঠে যেতে নিষেধ করেছেন।[৩২৯৪]
৩২৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا وُضِعَتِ الْمَائِدَةُ فَلاَ يَقُومُ رَجُلٌ حَتَّى تُرْفَعَ الْمَائِدَةُ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَهُ وَإِنْ شَبِعَ حَتَّى يَفْرُغَ الْقَوْمُ وَلْيُعْذِرْ فَإِنَّ الرَّجُلَ يُخْجِلُ جَلِيسَهُ فَيَقْبِضُ يَدَهُ وَعَسَى أَنْ يَكُونَ لَهُ فِي الطَّعَامِ حَاجَةٌ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দস্তরখান বিছানো হলে তা পুনরায় তুলে না নেয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তি যেন উঠে না যায় এবং সে আহারে পরিতৃপ্ত হলেও হাত গুটিয়ে না নেয়, যতক্ষন না অন্য সকলের আহার গ্রহন শেষ হয়। (একান্তই যদি উঠার প্রয়োজন হয় তবে) সে যেন ওজরখাহি করে। কারণ সে হাত গুটিয়ে নিলে তার সাথের লোক লজ্জিত হবে এবং হয়ত তার আরও খাদ্যের প্রয়োজন থাকতে পারে। [৩২৯৫]
৩২৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৬
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ وَسِيمٍ الْجَمَّالُ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أُمِّهِ، فَاطِمَةَ ابْنَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَلاَ لاَ يَلُومَنَّ امْرُؤٌ إِلاَّ نَفْسَهُ يَبِيتُ وَفِي يَدِهِ رِيحُ غَمَرٍ " .
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! যে ব্যক্তি আহারের তেলচিটে হাত নিয়ে (হাত পরিস্কার না করে) রাত কাটায়, সে যেন নিজেকেই ভর্ৎসনা করে। [৩২৯৬]
৩২৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا نَامَ أَحَدُكُمْ وَفِي يَدِهِ رِيحُ غَمَرٍ فَلَمْ يَغْسِلْ يَدَهُ فَأَصَابَهُ شَىْءٌ فَلاَ يَلُومَنَّ إِلاَّ نَفْسَهُ " .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি হাতে তেলচিটে নিয়ে ঘুমালো, তা ধুয়ে পরিস্কার করলো না, এমতাবস্থায় সে কোন অনিষ্টের শিকার হলে এজন্য সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে। [৩২৯৭]
৩২৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّ ثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ أُتِيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِطَعَامٍ فَعُرِضَ عَلَيْنَا فَقُلْنَا لاَ نَشْتَهِيهِ . فَقَالَ " لاَ تَجْمَعْنَ جُوعًا وَكَذِبًا " .
আসমা’ বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য খাদ্যদ্রব্য আনা হলো। তা আমাদের সামনে পরিবেশন করা হলে আমরা বললাম, আমাদের ক্ষুধা নেই। তখন তিনি বলেনঃ মিথ্যা ও ক্ষুধা একত্র করো না (পেটে ক্ষুধা রেখে খেতে অস্বীকার করো না)। [৩২৯৮]
৩২৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩২৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، - رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ - قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَتَغَدَّى فَقَالَ " ادْنُ فَكُلْ " . فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ فَيَا لَهْفَ نَفْسِي هَلاَّ كُنْتُ طَعِمْتُ مِنْ طَعَامِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি সকালের আহার করছিলেন। তিনি বলেনঃ এগিয়ে আসো এবং খাও। আমি বললাম, আমি রোযাদার। আফসোস আমার জন্য আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আহারে অংশগ্রহণ করতাম। [৩২৯৯]
৩৩০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০০
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ زِيَادٍ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيَّ، يَقُولُ كُنَّا نَأْكُلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْمَسْجِدِ الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ .
আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিস বিন জাযই আয-যুবায়দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে মসজিদে বসে রুটি ও গোশ্ত আহার করতাম। [৩৩০০]
৩৩০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০১
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَأْكُلُ وَنَحْنُ نَمْشِي وَنَشْرَبُ وَنَحْنُ قِيَامٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে হাঁটা অবস্থায় আহার করেছি এবং দাঁড়ানো অবস্থায় পান করেছি। [৩৩০১]
৩৩০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، أَنْبَأَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُحِبُّ الْقَرْعَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাউয়ের তরকারী পছন্দ করতেন। [৩৩০২]
সহীহুল বুখারী ২০৯২, ৫৩৭৯, ৫৪২০, ৫৪৩৩, ৫৪৩৫, ৫৪৩৬, ৫৪৩৭, ৫৪৩৯, মুসলিম ২০৪১, তিরমিযী ১৮৪৯, ১৮৫০, আবূ দাউদ ৩৭৮২, আহমাদ ১২৪৫০ ১২৭২৯, ১২৯৪৬, মুয়াত্তা মালেক ১১৬১, দারেমী ২০৫০, সহীহাহ ২১২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আবীদাহ বিন হুমায়দ সম্পর্কে আবু হাফস উমার বিন শাহীন বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। মুহাম্মাদ বিন আম্মার বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৫২, ১৯/২৫৭ নং পৃষ্ঠা)
৩৩০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَعَثَتْ مَعِي أُمُّ سُلَيْمٍ بِمِكْتَلٍ فِيهِ رُطَبٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمْ أَجِدْهُ وَخَرَجَ قَرِيبًا إِلَى مَوْلًى لَهُ دَعَاهُ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يَأْكُلُ . قَالَ فَدَعَانِي لآكُلَ مَعَهُ . قَالَ وَصَنَعَ ثَرِيدَةً بِلَحْمٍ وَقَرْعٍ . قَالَ فَإِذَا هُوَ يُعْجِبُهُ الْقَرْعُ . قَالَ فَجَعَلْتُ أَجْمَعُهُ فَأُدْنِيهِ مِنْهُ فَلَمَّا طَعِمْنَا مِنْهُ رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ وَوَضَعْتُ الْمِكْتَلَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ وَيَقْسِمُ حَتَّى فَرَغَ مِنْ آخِرِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (আমার মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) আমাকে এক টুকরি তাজা খেজুরসহ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠালেন। কিন্ত আমি তাঁকে পেলাম না। তিনি তাঁর নিকটস্থ এক মুক্তদাসের বাড়ীতে গিয়েছিলেন। সে তাঁকে আহার গ্রহনের দাওয়াত করেছিল। এবং তার জন্য খাবার তৈরি করেছিল। আমি তাঁর নিকট আসলাম, তখন তিনি আহার করছিলেন। রাবী বলেন, তিনি আমাকে তাঁর সাথে আহার করার জন্য ডাকলেন। রাবী বলেন, সে তাঁর জন্য গোশ্ত ও লাউ দিয়ে ছারীদ তৈরী করেছিল। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি লাউ খুব পছন্দ করেন। তাই আমি লাউয়ের টুকরাগুলো একত্র করে তাঁর সামনে দিতে থাকলাম। আমরা আহার শেষ করার পর তিনি নিজের বাড়ীতে ফিরে এলেন এবং আমি তাঁর সামনে টুকরিটি রাখলাম। তিনি খেজুর আহার করতে লাগলেন এবং অন্যদেরও দিতে থাকলেন, এভাবে তা দিতে দিতে শেষ করে অবসর হলেন। [৩৩০৩]
৩৩০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي بَيْتِهِ وَعِنْدَهُ هَذِهِ الدُّبَّاءُ فَقُلْتُ أَىُّ شَىْءٍ هَذَا قَالَ " هَذَا الْقَرْعُ هُوَ الدُّبَّاءُ نُكَثِّرُ بِهِ طَعَامَنَا " .
জাবির বিন তারিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাড়ীতে তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর সামনে লাউয়ের তরকারী ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? তিনি বললেনঃ এটা লাউ তরকারী। আমরা তা দিয়ে আমাদের খাদ্যদ্রবের পরিমাণ বাড়াই। [৩৩০৪]
৩৩০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৫
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الْخَلاَّلُ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنِي مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي مَشْجَعَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " سَيِّدُ طَعَامِ أَهْلِ الدُّنْيَا وَأَهْلِ الْجَنَّةِ اللَّحْمُ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়াবাসী ও জান্নাতবাসীদের খাদ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ খাদ্য হলো গোশ্ত। [৩৩০৫]
৩৩০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৬
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي مَشْجَعَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ مَا دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى لَحْمٍ قَطُّ إِلاَّ أَجَابَ وَلاَ أُهْدِيَ لَهُ لَحْمٌ قَطُّ إِلاَّ قَبِلَهُ .
আবূ দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যখনই গোশ্ত খাওয়ার দাওয়াত দেয়া হয়েছে তখনই তিনি তাতে সাড়া দিয়েছেন এবং যখনই তাঁকে গোশ্ত উপঢৌকন দেয়া হয়েছে, তিনি তা কবুল করেছেন। [৩৩০৬]
৩৩০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গোশ্ত আনা হল। তাঁকে রানের গোশ্ত দেয়া হল এবং তিনি এটাই পছন্দ করতেন। তিনি তা চুষে চুষে খেলেন। [৩৩০৭]
৩৩০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৮
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ، مِنْ فَهْمٍ - قَالَ وَأَظُنُّهُ يُسَمَّى مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ - أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ يُحَدِّثُ ابْنَ الزُّبَيْرِ وَقَدْ نَحَرَ لَهُمْ جَزُورًا أَوْ بَعِيرًا أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ - قَالَ وَالْقَوْمُ يُلْقُونَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اللَّحْمَ - يَقُولُ " أَطْيَبُ اللَّحْمِ لَحْمُ الظَّهْرِ " .
আবদুল্লাহ বিন জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তাদের জন্য একটি উট যবেহ করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, যখন লোকেরা তাঁর জন্য গোশ্ত ঢালছিলঃ গোশ্তের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উত্তম হচ্ছে রানের (পাছার) গোশ্ত। [৩৩০৮]
৩৩০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى شَاةً سَمِيطًا حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহামহিম আল্লাহ্র সাথে মিলিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কখনো আস্ত ভুনা বকরী দেখেছেন বলে আমি জানি না। [৩৩০৯]
৩৩১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১০
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رُفِعَ مِنْ بَيْنِ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَضْلُ شِوَاءٍ قَطُّ وَلاَ حُمِلَتْ مَعَهُ طِنْفِسَةٌ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে থেকে কখনো খাওয়ার পর অবশিষ্ট ভুনা গোশ্ত তুলে রাখা হয়নি (কারন এই গোশ্তের পরিমান কম হত এবং অভ্যাগত অধিক হওয়ায় তা অবশিষ্ট থাকতো না) এবং তাঁর জন্য কখনো মোটা বিছানা বহন করা হত না। [৩৩১০]
৩৩১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১১
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ زِيَادٍ الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْجَزْءِ الزُّبَيْدِيِّ، قَالَ أَكَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَعَامًا فِي الْمَسْجِدِ لَحْمًا قَدْ شُوِيَ فَمَسَحْنَا أَيْدِيَنَا بِالْحَصْبَاءِ ثُمَّ قُمْنَا فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ .
আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনুল হারিস ইবনুল জাযই আয-যুবায়দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মসজিদে বসে ভুনা গোশ্ত খেয়েছি, অতঃপর কাঁকরে হাত মুছে দাঁড়িয়ে নামায পড়েছি, কিন্তু (গোশ্ত খাওয়ার কারনে পুনরায়) উযু করিনি। [৩৩১১]
তাহকীক আলবানীঃ হাত মুছার কথা ব্যতীত সহীহ।
৩৩১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১২
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ فَكَلَّمَهُ فَجَعَلَ تُرْعَدُ فَرَائِصُهُ فَقَالَ لَهُ " هَوِّنْ عَلَيْكَ فَإِنِّي لَسْتُ بِمَلِكٍ إِنَّمَا أَنَا ابْنُ امْرَأَةٍ تَأْكُلُ الْقَدِيدَ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ إِسْمَاعِيلُ وَحْدَهُ وَصَلَهُ .
আবু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এল। তিনি লোকটির সাথে কথা বলেন। তার কাঁধের গোশ্ত (ভয়ে) কাঁপছিল। তিনি তাকে বলেনঃ তুমি শান্ত হও, স্বাভাবিক হও। কারন আমি কোন রাজা-বাদশা নই, বরং আমি শুকনো গোশ্ত খেয়ে জীবনধারিনী এক মহিলার পুত্র। [৩৩১২]
৩৩১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ كُنَّا نَرْفَعُ الْكُرَاعَ فَيَأْكُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدَ خَمْسَ عَشْرَةَ مِنَ الأَضَاحِيِّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা ছাগলের পায়া তুলে রাখতাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানির পনের দিন পরও তা খেতেন। [৩৩১৩]
৩৩১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৪
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ فَأَمَّا الْمَيْتَتَانِ فَالْحُوتُ وَالْجَرَادُ وَأَمَّا الدَّمَانِ فَالْكَبِدُ وَالطِّحَالُ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের জন্য দু প্রকারের মৃতজীব ও দু ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দুটি হল মাছ ও টিড্ডি এবং দু প্রকারের রক্ত হল কলিজা ও প্লীহা। [৩৩১৪]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১০ টি খুবই দুর্বল, ৯ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩।
৩৩১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَبِي عِيسَى، عَنْ رَجُلٍ، - أُرَاهُ مُوسَى - عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " سَيِّدُ إِدَامِكُمُ الْمِلْحُ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের তরকারীর নেতা (প্রধান উপকরণ) হল লবণ। [৩৩১৫]
৩৩১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نِعْمَ الإِدَامُ الْخَلُّ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সির্কা (টক ও ঝাঁঝযুক্ত) পানীয় উত্তম তরকারী। [৩৩১৬]
৩৩১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৭
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نِعْمَ الإِدَامُ الْخَلُّ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সির্কা উত্তম তরকারী। [৩৩১৭]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৮০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৩৩ টি খুবই দুর্বল, ৮৫ টি দুর্বল, ৭১ টি হাসান, ৯০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ২০৫২, ২০৫৩, ২০৫৪, তিরমিযি ১৮৩৯, ১৮৪০, ১৮৪১, আবু দাউদ ৩৮২০, ৩৮২১, দারিমী ২০৪৮, ২০৪৯, আহমাদ ১৩৮১৩, ১৩৮৪৯, ১৪৩৯৩, ১৪৫০৮, ১৪৫৬৭, ১৪৮৬৯, মু'জামুল আওসাত ৬২১, ২২২৭, ৫০৬৬, ৬৯৩৪, ৮৮১৭।
৩৩১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৮
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ سَعْدٍ، قَالَتْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى عَائِشَةَ وَأَنَا عِنْدَهَا فَقَالَ " هَلْ مِنْ غَدَاءٍ " . قَالَتْ عِنْدَنَا خُبْزٌ وَتَمْرٌ وَخَلٌّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نِعْمَ الإِدَامُ الْخَلُّ اللَّهُمَّ بَارِكْ فِي الْخَلِّ فَإِنَّهُ كَانَ إِدَامَ الأَنْبِيَاءِ قَبْلِي وَلَمْ يَفْتَقِرْ بَيْتٌ فِيهِ خَلٌّ " .
উম্মু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট আসলেন। আমি তখন তার কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেনঃ সকালের নাস্তা আছে কি? তিনি বলেনঃ আমাদের নিকট রুটি, খেজুর ও সির্কা আছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সির্কা উত্তম তরকারী। হে আল্লাহ! সির্কায় বরকত দান করুন, কারন তা ছিল আমার পূর্বকালের নবীগণের তরকারি। যে ঘরে সির্কা আছে সে ঘরে কখনো তরকারীর অভাব হয়না। [৩৩১৮]
৩৩১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩১৯
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اِئْتَدِمُوا بِالزَّيْتِ وَادَّهِنُوا بِهِ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ " .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যায়তুন তেল দিয়ে রুটি খাও ও তা দেহে মাখো। কারন তা বরকতপূর্ণ গাছ থেকে নির্গত হয়। [৩৩১৯]
৩৩২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২০
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُوا الزَّيْتَ وَادَّهِنُوا بِهِ فَإِنَّهُ مُبَارَكٌ " .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যায়তুন তৈল খাও এবং তা দেহে মাখো। কারন তা বরকতপূর্ণ। [৩৩২০]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল তবে ৩৭৯ নং হাদিসের অনুরূপে সহীহ।
৩৩২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২১
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْدٍ الرَّاسِبِيِّ، حَدَّثَتْنِي مَوْلاَتِي أُمُّ سَالِمٍ الرَّاسِبِيَّةُ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا أُتِيَ بِلَبَنٍ قَالَ " بَرَكَةٌ أَوْ بَرَكَتَانِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দুধ আনা হলে তিনি বলতেনঃ এক অথবা দুই বরকত। [৩৩২১]
৩৩২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَطْعَمَهُ اللَّهُ طَعَامًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَارْزُقْنَا خَيْرًا مِنْهُ . وَمَنْ سَقَاهُ اللَّهُ لَبَنًا فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ فَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ مَا يُجْزِئُ مِنَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ إِلاَّ اللَّبَنُ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন কাউকে আহার করান তখন সে যেন বলেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহী ওয়ারযুকনা খাইরাম মিনহু’ (হে আল্লাহ! আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দান করুন এবং এর চেয়েও উত্তম রিযিক দান করুন)। আর আল্লাহ যাকে দুধ পান করান সে যেন বলেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহী ওয়া যিদনা মিনহু’ (হে আল্লাহ! এ দুধে আমাদের বরকত দান করুন এবং এর চেয়েও বাড়িয়ে দিন)। কারন আমি জানিনা যে, দুধ ছাড়া এমন কোন জিনিস আছে কিনা যা একি সঙ্গে আহার ও পানীয় উভয়ের জন্যে যথেষ্ট হতে পারে। [৩৩২২]
৩৩২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হালুয়া ও মধু পছন্দ করতেন। [৩৩২৩]
৩৩২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ أُمِّي تُعَالِجُنِي لِلسُّمْنَةِ تُرِيدُ أَنْ تُدْخِلَنِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَا اسْتَقَامَ لَهَا ذَلِكَ حَتَّى أَكَلْتُ الْقِثَّاءَ بِالرُّطَبِ فَسَمِنْتُ كَأَحْسَنِ سُمْنَةٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমার মা আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন বিধায় আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন। কিন্তু তা কোন উপকারে আসলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরুপে দৈহিক পরিপুস্টি লাভ করলাম। [৩৩২৪]
৩৩২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৫
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْكُلُ الْقِثَّاءَ بِالرُّطَبِ .
আবদুল্লাহ বিন জা’ফার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেতে দেখেছি। [৩৩২৫]
৩৩২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَعَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْكُلُ الرُّطَبَ بِالْبِطِّيخِ .
সাহল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাজা খেজুর তরমুজের সাথে মিশিয়ে আহার করতেন। [৩৩২৬]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াকুব ইবনুল ওয়ালীদ বিন আবু হিলাল আল-মাদীনী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৪ টি জাল, ২৫ টি খুবই দুর্বল, ২৩ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ৭ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৮৪৩, আবু দাউদ ৩৮৩৬, আহমাদ ১২০৪১, ১২০৫১, মু'জামুল আওসাত ৯০৪, ৭৯০৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮৯৪।
৩৩২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে খেজুর নাই সে ঘরের বাসিন্দারা অভুক্ত। [৩৩২৭]
৩৩২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ جَدَّتِهِ، سَلْمَى أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " بَيْتٌ لاَ تَمْرَ فِيهِ كَالْبَيْتِ لاَ طَعَامَ فِيهِ " .
সালমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘর খাদ্যশুন্য ঘরের ন্যায়। [৩৩২৮]
৩৩২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أُتِيَ بِأَوَّلِ الثَّمَرَةِ قَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَفِي ثِمَارِنَا وَفِي مُدِّنَا وَفِي صَاعِنَا بَرَكَةً مَعَ بَرَكَةٍ " . ثُمَّ يُنَاوِلُهُ أَصْغَرَ مَنْ بِحَضْرَتِهِ مِنَ الْوِلْدَانِ .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট মৌসুমের প্রথম ফল উপস্থিত করা হলে তিনি বলতেনঃ ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী মাদিনাতিনা ওয়া ফী সিমারিনা ওয়া ফী মুদ্দিনা ওয়া ফী সাইনা বারাকাতান মাআ বারাকাতিন’ (হে আল্লাহ! আমাদের বরকত দান করুন আমাদের শহরে, আমাদের ফলে, আমাদের মুদ্দ-এ ও আমাদের সা-এ, বরকতের উপর বরকত)। অতঃপর তিনি তার নিকট উপস্থিত শিশুদের তা খেতে দিতেন। [৩৩২৯]
৩৩৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩০
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُوا الْبَلَحَ بِالتَّمْرِ كُلُوا الْخَلَقَ بِالْجَدِيدِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَغْضَبُ وَيَقُولُ بَقِيَ ابْنُ آدَمَ حَتَّى أَكَلَ الْخَلَقَ بِالْجَدِيدِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তাজা খেজুর শুকনা খেজুরের সাথে মিশিয়ে খাও, পুরাতন খেজুর নতুন খেজুরের সাথে মিশিয়ে খাও। কারন তাতে শয়তান রাগান্বিত হয় এবং বলে, আদম সন্তান জীবিত রইল, এমনকি পুরাতন ফল নতুন ফলের সাথে আহার করল। [৩৩৩০]
৩৩৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَقْرِنَ الرَّجُلُ بَيْنَ التَّمْرَتَيْنِ حَتَّى يَسْتَأْذِنَ أَصْحَابَهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন কোন ব্যক্তি যেন নিজ সাথীদের অনুমতি ব্যতিরেকে একত্রে দুটি খেজুর মুখে না দেয়। [৩৩৩১]
৩৩৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْخَزَّازُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدٍ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ - وَكَانَ سَعْدٌ يَخْدُمُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَكَانَ يُعْجِبُهُ حَدِيثُهُ - أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنِ الإِقْرَانِ . يَعْنِي فِي التَّمْرِ .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা’দ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমত করতেন এবং তাঁর কথাবার্তা তার ভাল লাগত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকটি খেজুর একসাথে মুখে দিতে নিষেধ করেছেন। [৩৩৩২]
৩৩৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُتِيَ بِتَمْرٍ عَتِيقٍ فَجَعَلَ يُفَتِّشُهُ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি যে, তাঁর সামনে খেজুর পেশ করা হলে তিনি ভাল খেজুর খোঁজ করতেন। [৩৩৩৩]
৩৩৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنَىْ، بُسْرٍ السُّلَمِيَّيْنِ قَالاَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَضَعْنَا تَحْتَهُ قَطِيفَةً لَنَا صَبَبْنَاهَا لَهُ صَبًّا فَجَلَسَ عَلَيْهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ الْوَحْىَ فِي بَيْتِنَا وَقَدَّمْنَا لَهُ زُبْدًا وَتَمْرًا وَكَانَ يُحِبُّ الزُّبْدَ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আতিয়্যাহ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসলেন। আমরা তাঁর বসার জন্য আমাদের একটি চাদর পেতে দিলাম। পানি ছিটিয়ে আমরা তা তাঁর জন্য নরম করে দিলাম। তিনি তার উপর বসলেন। তখন আমাদের ঘরে মহামহিম আল্লাহ তাঁর উপর ওহী নাযিল করলেন। আমরা তাঁর সামনে মাখন ও খেজুর পেশ করলাম। তিনি মাখন পছন্দ করতেন। [৩৩৩৪]
৩৩৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَأَلْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ هَلْ رَأَيْتَ النَّقِيَّ قَالَ مَا رَأَيْتُ النَّقِيَّ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . فَقُلْتُ فَهَلْ كَانَ لَهُمْ مَنَاخِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ مَا رَأَيْتُ مُنْخُلاً حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قُلْتُ فَكَيْفَ كُنْتُمْ تَأْكُلُونَ الشَّعِيرَ غَيْرَ مَنْخُولٍ قَالَ نَعَمْ نَنْفُخُهُ فَيَطِيرُ مِنْهُ مَا طَارَ وَمَا بَقِيَ ثَرَّيْنَاهُ .
আবু হাযিম থেকে বর্ণিতঃ
আমি সাহল বিন সা’দ (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি ময়দা দেখেছেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত ময়দা দেখিনি। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে লোকদের কি চালুনী ছিল? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত চালুনীও দেখিনি। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে আপনারা চালুনী ছাড়া কিভাবে যব খেতেন? তিনি বললেন , হাঁ (আমরা তা গুড়ো করে) তাতে ফুঁ দিতাম এবং যা উড়ে যাওয়ার তা উড়ে যেত এবং যা অবশিষ্ট থাকতো তা পানিতে ভিজাতাম। [৩৩৩৫]
৩৩৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَخْبَرَنِي بَكْرُ بْنُ سَوَادَةَ، أَنَّ حَنَشَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ عَنْ أُمِّ أَيْمَنَ، أَنَّهَا غَرْبَلَتْ دَقِيقًا فَصَنَعَتْهُ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَغِيفًا فَقَالَ " مَا هَذَا " . قَالَتْ طَعَامٌ نَصْنَعُهُ بِأَرْضِنَا فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَصْنَعَ مِنْهُ لَكَ رَغِيفًا . فَقَالَ " رُدِّيهِ فِيهِ ثُمَّ اعْجِنِيهِ " .
উম্মু আয়মান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আটা ছেনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য রুটি তৈরি করলেন। নবীজী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? তিনি বললেন, এটা আমাদের এলাকার খাবার। আমি আপনার জন্য এ খাবার তৈরি করতে আগ্রহী হলাম। তিনি বলেন, এর মধ্যে ভুষি ঢেলে দাও, তারপর ছেনে নাও। [৩৩৩৬]
৩৩৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৭
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو الْجَمَاهِرِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَغِيفًا مُحَوَّرًا بِوَاحِدٍ مِنْ عَيْنَيْهِ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক চোখেও (কখনো) ময়দার রুটি দেখেননি, এমনকি এই অবস্থায় তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হন। [৩৩৩৭]
৩৩৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ، عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ الرَّمْلِيُّ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ زَارَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَوْمَهُ بِيُبْنَا فَأَتَوْهُ بِرُقَاقٍ مِنْ رُقَاقِ الأُوَلِ فَبَكَى وَقَالَ مَا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذَا بِعَيْنِهِ قَطُّ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আতা’) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) তার এলাকা অর্থাৎ উবাইনায় (ইউনা) যান। লোকেরা তার জন্য মিহি রুটি পরিবেশন করলে তিনি কেঁদে দিলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো এরূপ রুটি দেখেননি। [৩৩৩৮]
উক্ত হাদীসের রাবী ১. দমরাহ বিন রাবীআহ সম্পর্কে আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। আবূ সাঈদ বিন য়ুনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি তাদের যুগে একজন ফাকীহ ছিলেন। আহমেদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ননায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৩৮, ১৩/৩১৬ নং পৃষ্ঠা) ২. (উসমান) ইবনু আতা’ সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবূ বাক্র আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আহমেদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৪৬, ১৯/৪৪১ নং পৃষ্ঠা) ৩. আতা’ বিন মুসলিম সম্পর্কে আবূ বাক্র আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদীস ভুলে যেতেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তার হাদীস প্রত্যাখ্যানযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৪১, ২০/১০৬ নং পৃষ্ঠা)
৩৩৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৩৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ - قَالَ إِسْحَاقُ وَخَبَّازُهُ قَائِمٌ وَقَالَ الدَّارِمِيُّ وَخِوَانُهُ مَوْضُوعٌ - فَقَالَ يَوْمًا كُلُوا فَمَا أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَغِيفًا مُرَقَّقًا بِعَيْنِهِ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ وَلاَ شَاةً سَمِيطًا قَطُّ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(কাতাদাহ) বলেন, আমরা আনাস বিন মালিক (রাঃ)-র নিকট যেতাম। ইসহাক (রহঃ) এর বর্ণনায় আছেঃ তার রুটি প্রস্তুতকারী দাঁড়ানো থাকতো আর দারিমীর বর্ণনায় আছেঃ তার খাঞ্চা বিছানো থাকতো। একদিন তিনি বলেন, তোমরা আহার করো। আমি জানি না, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত স্বচক্ষে মিহি রুটি এবং আস্ত ভূনা বকরী দেখেছেন কি না। [৩৩৩৯]
৩৩৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ السُّلَمِيُّ أَبُو الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَوَّلُ مَا سَمِعْنَا بِالْفَالُوذَجِ، أَنَّ جِبْرِيلَ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ إِنَّ أُمَّتَكَ تُفْتَحُ عَلَيْهِمُ الأَرْضُ فَيُفَاضُ عَلَيْهِمْ مِنَ الدُّنْيَا حَتَّى إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الْفَالُوذَجَ . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " وَمَا الْفَالُوذَجُ " . قَالَ يَخْلِطُونَ السَّمْنَ وَالْعَسَلَ جَمِيعًا . فَشَهَقَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِذَلِكَ شَهْقَةً .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমরা ফালূদার নাম শুনতে পাই, জিবরীল (আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলেন, আপনার উম্মত অনেক দেশের উপর বিজয়ী হবে এবং অঢেল সম্পদ তাদের হস্তগত হবে, এমনকি তারা ফালূদা খাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ ফালূদা কী? তিনি বলেনঃ তারা ঘি ও মধু একত্রে মিশাবে। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কান্নার মত আওয়াজ করলেন। [৩৩৪০]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি মুনকার ও মাতানটি বানোয়াট।
৩৩৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪১
حَدَّثَنَا هَدِيَّةُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّيْنَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ " وَدِدْتُ لَوْ أَنَّ عِنْدَنَا خُبْزَةً بَيْضَاءَ مِنْ بُرَّةٍ سَمْرَاءَ مُلَبَّقَةٍ بِسَمْنٍ نَأْكُلُهَا " . قَالَ فَسَمِعَ بِذَلِكَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَاتَّخَذَهُ فَجَاءَ بِهِ إِلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " فِي أَىِّ شَىْءٍ كَانَ هَذَا السَّمْنُ " . قَالَ فِي عُكَّةِ ضَبٍّ . قَالَ فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন বলেনঃ আহা! আমার নিকট যদি ঘি মিশ্রিত সাদা মিহি আটার রুটি থাকতো, আমরা তা আহার করতাম। রাবী বলেন, একথা শুনে এক আনসার সাহাবী অনুরূপ রুটি তৈরি করে তাঁর নিকট নিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এই ঘি কিসের মধ্যে ছিল? সাহাবী বলেন, গুই সাপের চামড়ার তৈরি পাত্রের মধ্যে। রাবী বলেন, তিনি তা আহার করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। [৩৩৪১]
৩৩৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ صَنَعَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خُبْزَةً وَضَعَتْ فِيهَا شَيْئًا مِنْ سَمْنٍ ثُمَّ قَالَتِ اذْهَبْ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَادْعُهُ قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ أُمِّي تَدْعُوكَ . قَالَ فَقَامَ وَقَالَ لِمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنَ النَّاسِ " قُومُوا " . قَالَ فَسَبَقْتُهُمْ إِلَيْهَا فَأَخْبَرْتُهَا فَجَاءَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " هَاتِي مَا صَنَعْتِ " . فَقَالَتْ إِنَّمَا صَنَعْتُهُ لَكَ وَحْدَكَ . فَقَالَ " هَاتِيهِ " . فَقَالَ " يَا أَنَسُ أَدْخِلْ عَلَىَّ عَشْرَةً عَشْرَةً " . قَالَ فَمَا زِلْتُ أُدْخِلُ عَلَيْهِ عَشْرَةً عَشْرَةً فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَكَانُوا ثَمَانِينَ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলাইম (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য রুটি তৈরি করলেন এবং তাতে কিছু ঘি ঢেলে দিলেন। অতঃপর তিনি (আমাকে) বলেন, তুমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যাও এবং তাঁকে দাওয়াত দাও। রাবী বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমার মা আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন। রাবী বলেন, আমি তাদের আগেই বাড়ি পৌঁছে মাকে এ কথা জানালাম। ইতোমধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বলেন, তুমি যা তৈরি করেছো, তা নিয়ে এসো। মা বলেন, আমি তো মাত্র আপনার একার পরিমাণ খাবার তৈরি করেছি। তিনি বলেন, তাই দাও। তিনি আরও বলেনঃ হে আনাস! দশজন দশজন করে আমার কাছে ভেতরে পাঠাও। তিনি বলেন, আমি দশজন দশজন করে তাঁর নিকট পাঠাতে থাকি। তারা সবাই আহার করলেন, এমনকি সবাই পরিতৃপ্ত হলেন, আর তারা ছিলেন আশিজন। [৩৩৪২]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু উসমান বিন আবদুর রহমান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৩২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ১৪ টি খুবই দুর্বল, ৪৩ টি দুর্বল, ৮১ টি হাসান, ৯৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩৫৮৭, ৫৩৮১, ৫৪৫০, ৬৬৮৮, মুসলিম ২০৪১, ২০৪২, তিরমিযি ৩৬৩০, দারিমী ৪৩, মুয়াত্তা মালিক ১৭২৪, আহমাদ ১২০৮২, ১২৮৭০, ১৩০১৫, ১৩১৩৫, ১৪৬১০, ১৪৬২৭, মু'জামুল আওসাত ২৭৬৫, ২৯০৭, ৩১০৫, ৩২৭৬, ৩৯৭৫।
৩৩৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৩
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا شَبِعَ نَبِيُّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ تِبَاعًا مِنْ خُبْزِ الْحِنْطَةِ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো পরপর তিনদিন গমের রুটি পেট ভরে খেতে পাননি, এ অবস্থায় মহামহিম আল্লাহ তাঁকে তুলে নেন (ইনতিকাল করেন)। [৩৩৪৩]
৩৩৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُنْذُ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ ثَلاَثَ لَيَالٍ تِبَاعًا مِنْ خُبْزِ بُرٍّ حَتَّى تُوُفِّيَ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আ’য়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আসার পর থেকে তাঁর ইনতিকাল পর্যন্ত তাঁর পরিবার কখনো একাধারে তিনদিন পেট ভরে আটার রুটি খেতে পাননি। [৩৩৪৪]
৩৩৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَا فِي بَيْتِي مِنْ شَىْءٍ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ إِلاَّ شَطْرُ شَعِيرٍ فِي رَفٍّ لِي فَأَكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى طَالَ عَلَىَّ فَكِلْتُهُ فَفَنِيَ .
আ’য়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইনতিকাল করেন, তখন আমার ঘরে আমার আলমিরায় রক্ষিত যবের সামান্য আটা ব্যতীত কোন প্রাণীর আহার করার মত আর কিছুই ছিলো না। আমি তা থেকে আহারের ব্যবস্থা করতে থাকলাম। এভাবে অনেকদিন চলে গেলো। অবশেষে একদিন আমি তা ওজন করলাম। ফলে তা শেষ হয়ে গেলো। [৩৩৪৫]
৩৩৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ حَتَّى قُبِضَ .
আ’য়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সদস্যগণ কখনো যবের রুটি পেট ভরে আহার করেননি। [৩৩৪৬]
৩৩৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا وَأَهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ الْعَشَاءَ وَكَانَ عَامَّةَ خُبْزِهِمْ خُبْزُ الشَّعِيرِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একাধারে কয়েক রাত অভুক্ত অবস্থায় কেটে যেত এবং তাঁর পরিবারের লোকদেরও রাতের আহার জুটতো না। অধিকাংশ সময় তাদের রুটি হত যবের তৈরি। [৩৩৪৭]
৩৩৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، - وَكَانَ يُعَدُّ مِنَ الأَبْدَالِ - حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ نُوحِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَبِسَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الصُّوفَ وَاحْتَذَى الْمَخْصُوفَ . وَقَالَ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَشِعًا وَلَبِسَ خَشِنًا . فَقِيلَ لِلْحَسَنِ مَا الْبَشِعُ قَالَ غَلِيظُ الشَّعِيرِ مَا كَانَ يُسِيغُهُ إِلاَّ بِجُرْعَةِ مَاءٍ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশমী বস্ত্র ও সাধারণ জুতা পরিধান করতেন। তিনি আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বাদহীন খাবার খেতেন এবং মোটা বস্ত্র পরিধান করতেন। হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘স্বাদহীন-এর অর্থ কী? তিনি বলেন, মোটা যবের রুটি। তিনি তা এক ঢোক পানি ব্যতীত গলাধঃকরণ করতে পারতেন না। [৩৩৪৮]
৩৩৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৪৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَتْنِي أُمِّي، عَنْ أُمِّهَا، أَنَّهَا سَمِعَتِ الْمِقْدَامَ بْنَ مَعْدِيكَرِبَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَا مَلأَ آدَمِيٌّ وِعَاءً شَرًّا مِنْ بَطْنٍ حَسْبُ الآدَمِيِّ لُقَيْمَاتٌ يُقِمْنَ صُلْبَهُ فَإِنْ غَلَبَتِ الآدَمِيَّ نَفْسُهُ فَثُلُثٌ لِلطَّعَامِ وَثُلُثٌ لِلشَّرَابِ وَثُلُثٌ لِلنَّفَسِ " .
মিকদাম বিন মা’দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন পাত্র ভর্তি করে না। (যতটুকু খাদ্য গ্রহণ করলে পেট ভরে পাত্র থেকে ততটুকু খাদ্য উঠানো কোন ব্যক্তির জন্য দূষণীয় নয়)। যতটুকু আহার করলে মেরুদণ্ড সোজা রাখা সম্ভব, ততটুকু খাদ্যই কোন ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট। এরপরও যদি কোন ব্যক্তির নফস (প্রবৃত্তি) জয়জুক্ত হয়, তবে সে তার পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। [৩৩৪৯]
তিরমিযী ২৩৮০, ইরওয়া ২৩৮০, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১২২, সহীহাহ ২২৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী শাম বিন আবদুল মালিক আল হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৮৩, ৩০/২২৩ নং পৃষ্ঠা) ২. উম্মু মুহাম্মাদ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮০২৭, ৩৫/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু উম্মু মুহাম্মাদ ও তার মাতার কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১২ টি খুবই দুর্বল, ২১ টি দুর্বল, ১০ টি হাসান, ১১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৩৮০, আহমাদ ১৬৭৩৫, শারহুস সুন্নাহ ৪০৪৮।
৩৩৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو يَحْيَى، عَنْ يَحْيَى الْبَكَّاءِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ تَجَشَّأَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " كُفَّ جُشَاءَكَ عَنَّا فَإِنَّ أَطْوَلَكُمْ جُوعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُكُمْ شِبَعًا فِي دَارِ الدُّنْيَا " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে ঢেকুর তুললে তিনি বলেন: তুমি আমাদের থেকে তোমার ঢেকুর প্রতিরোধ করো। কারণ যারা পার্থিব জীবনে ভুরিভোজ করে তারাই হবে কিয়ামতের দিন অর্ধেক ক্ষুধার্ত। [৩৩৫০]
৩৩৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫১
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْعَسْكَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مُوسَى الْجُهَنِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ سَلْمَانَ، وَأُكْرِهَ، عَلَى طَعَامٍ يَأْكُلُهُ فَقَالَ حَسْبِي إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ شِبَعًا فِي الدُّنْيَا أَطْوَلُهُمْ جُوعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আতিয়্যাহ বিন আমির আল-জুহানী (মাকবূল) থেকে বর্ণিতঃ
আমি সালমান (রাঃ), এর নিকট শুনেছি যে, তাকে আহার করতে পীড়াপীড়ি করা হলে তিনি বলতেন, আমার জন্য যথেষ্ট যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ দুনিয়াতে যেসব লোক ভুরিভোজ করে, তারাই হবে কিয়ামতের দিন অধিক ক্ষুধার্ত। [৩৩৫১]
৩৩৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ نُوحِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ مِنَ السَّرَفِ أَنْ تَأْكُلَ كُلَّ مَا اشْتَهَيْتَ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখনই তোমার যা খেতে লোভ জাগে, তখনই তা খাওয়াই (যথেচ্ছ আহার) হলো অপচয়। [৩৩৫২]
৩৩৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৩
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا وَسَّاجُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ وَسَّاجٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُوَقَّرِيُّ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْبَيْتَ فَرَأَى كِسْرَةً مُلْقَاةً فَأَخَذَهَا فَمَسَحَهَا ثُمَّ أَكَلَهَا وَقَالَ " يَا عَائِشَةُ أَكْرِمِي كَرِيمَكِ فَإِنَّهَا مَا نَفَرَتْ عَنْ قَوْمٍ قَطُّ فَعَادَتْ إِلَيْهِمْ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে ঘরে প্রবেশ করে এক টুকরা রুটি পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তা তুলে নিয়ে ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলে আহার করলেন এবং বললেনঃ হে আয়িশাহ! সম্মান করো সম্মানিতের (আল্লাহ প্রদত্ত রিযিকের)। কারণ কোন জাতির নিকট থেকে আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক উঠে গেলে তা পুনরায় তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে না। [৩৩৫৩]
৩৩৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُرَيْمٌ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُوعِ فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ فَإِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল জূ’, ফাইন্নাহু বি’সাদ-দাজীঊ ওয়া আউযুবিকা মিনাল খিয়ানাতে ফাইন্নাহা বি’সাতিল-বিতানাহ” (হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। কারণ তা (মানুষের) নিকৃষ্ট সাথী এবং আমি আপনার নিকট আরও আশ্রয় প্রার্থনা করি প্রতারণা থেকে। কারণ তা গোপন চারিত্রিক দোষ)। [৩৩৫৪]
৩৩৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تَدَعُوا الْعَشَاءَ وَلَوْ بِكَفٍّ مِنْ تَمْرٍ فَإِنَّ تَرْكَهُ يُهْرِمُ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতের আহার ত্যাগ করো না, যদিও তা এক মুঠো খেজুরও হয়। কারণ রাতের আহার ত্যাগ মানুষকে বৃদ্ধ করে দেয়। [৩৩৫৫]
৩৩৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৬
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْخَيْرُ أَسْرَعُ إِلَى الْبَيْتِ الَّذِي يُغْشَى مِنَ الشَّفْرَةِ إِلَى سَنَامِ الْبَعِيرِ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ঘরে মেহমানের ভিড় লেগে থাকে সেই ঘরে উটের কুঁজের দিকে দ্রুত ধাবমান ছুরির চেয়েও দ্রুততর গতিতে কল্যাণ প্রবেশ করে। [৩৩৫৬]
৩৩৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৭
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَهْشَلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْخَيْرُ أَسْرَعُ إِلَى الْبَيْتِ الَّذِي يُؤْكَلُ فِيهِ مِنَ الشَّفْرَةِ إِلَى سَنَامِ الْبَعِيرِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে (মেহমানদের) আহার করানো হয়, সেই ঘরে উটের কুঁজের দিকে দ্রুত ধাবমান ছুরির চেয়েও দ্রুত গতিতে কল্যাণ প্রবেশ করে। [৩৩৫৭]
৩৩৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ مَعَ ضَيْفِهِ إِلَى بَابِ الدَّارِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিদায়ের প্রাক্কালে মেহমানের সাথে ঘরের দরজা পযর্ন্ত এগিয়ে যাওয়া সুন্নাত। [৩৩৫৮]
৩৩৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ صَنَعْتُ طَعَامًا فَدَعَوْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ فَرَأَى فِي الْبَيْتِ تَصَاوِيرَ فَرَجَعَ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আহার তৈরি করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দাওয়াত দিলাম। তিনি এসে ঘরের ভেতর ছবি দেখতে পেয়ে ফিরে গেলেন। [৩৩৫৯]
৩৩৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجَزَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُمْهَانَ، حَدَّثَنَا سَفِينَةُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَجُلاً، أَضَافَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَقَالَتْ فَاطِمَةُ لَوْ دَعَوْنَا النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَكَلَ مَعَنَا . فَدَعَوْهُ فَجَاءَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى عِضَادَتَىِ الْبَابِ فَرَأَى قِرَامًا فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَرَجَعَ فَقَالَتْ فَاطِمَةُ لِعَلِيٍّ الْحَقْ فَقُلْ لَهُ مَا رَجَعَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّهُ لَيْسَ لِي أَنْ أَدْخُلَ بَيْتًا مُزَوَّقًا " .
সাফীনাহ আবূ আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি ‘আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ)-এর মেহমান হলো। তিনি তার জন্য আহার তৈরি করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমরা যদি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেও দাওয়াত করতাম তবে তিনিও আমাদের সাথে আহার করতেন। অতএব তাঁরা তাঁকে ও দাওয়াত করলেন এবং তিনি আসলেন। তিনি ঘরের দরজার চৌকাঠে হাত রেখে ঘরের এক কোণে পাতলা নকশাযুক্ত কাপড় দেখতে পেয়ে ফিরে গেলেন। ফাতিমা (রাঃ) আলী (রাঃ)-কে বলেন, আপনি তাঁর সাথে সাক্ষাত করুন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ জিনিস আপনাকে ফিরিয়ে দিলো? তিনি বলেনঃ এ রকম সুসজ্জিত ঘরে প্রবেশ করা আমার জন্য শোভা পায় না। [৩৩৬০]
৩৩৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬১
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَرْحَبِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي الْيَعْفُورِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ وَهُوَ عَلَى مَائِدَتِهِ فَأَوْسَعَ لَهُ عَنْ صَدْرِ الْمَجْلِسِ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ . ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ فَلَقِمَ لُقْمَةً ثُمَّ ثَنَّى بِأُخْرَى ثُمَّ قَالَ إِنِّي لأَجِدُ طَعْمَ دَسَمٍ مَا هُوَ بِدَسَمِ اللَّحْمِ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنِّي خَرَجْتُ إِلَى السُّوقِ أَطْلُبُ السَّمِينَ لأَشْتَرِيَهُ فَوَجَدْتُهُ غَالِيًا فَاشْتَرَيْتُ بِدِرْهَمٍ مِنَ الْمَهْزُولِ وَحَمَلْتُ عَلَيْهِ بِدِرْهَمٍ سَمْنًا فَأَرَدْتُ أَنْ يَتَرَدَّدَ عِيَالِي عَظْمًا عَظْمًا . فَقَالَ عُمَرُ مَا اجْتَمَعَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَطُّ إِلاَّ أَكَلَ أَحَدَهُمَا وَتَصَدَّقَ بِالآخَرِ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ خُذْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَنْ يَجْتَمِعَا عِنْدِي إِلاَّ فَعَلْتُ ذَلِكَ . قَالَ مَا كُنْتُ لأَفْعَلَ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(ইবনু উমার) বলেন যে, তিনি আহাররত অবস্থায় উমার (রাঃ) তার ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি তাকে আহারের মজলিসে মধ্যখানে জায়গা করে দিলেন। তিনি বিসমিল্লাহ বলে খাবারের পাত্রে হাত দিলেন এবং এক গ্রাস তুলে দিলেন, অতঃপর দ্বিতীয় গ্রাস তুলে নিয়ে বলেনঃ আমি তৈলাক্ত জিনিসের স্বাদ পাচ্ছি এবং তা গোশতের চর্বি নয়। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আমি মোটা গোশত ক্রয়ের উদ্দেশে বাজারে গিয়েছিলাম, কিন্তূ তার চড়া দাম দেখে এক দিরহামের শীর্ণকায় পশুর গোশত ক্রয় করে এবং এক দিরহামের ঘি ক্রয় করে তা ঐ গোশতের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি। আমি চাচ্ছিলাম যে, পরিবারের সকলের ভাগে অন্তত একটি করে হাড় পড়ুক। উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঘি ও গোশত একত্রে উপস্থিত করা হলে, তিনি তার একটি আহার করতেন এবং অন্যটি দান খয়রাত করতেন। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আহার করুন। পুনরায় কখনো ঘি ও গোশত একত্র হলে আমি তাই করবো। উমার (রাঃ) বলেন, আমি কখনও খাবো না। [৩৩৬১]
৩৩৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْخَزَّازُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا عَمِلْتَ مَرَقَةً فَأَكْثِرْ مَاءَهَا وَاغْتَرِفْ لِجِيرَانِكَ مِنْهَا " .
আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তরকারী রান্না করলে তাতে ঝোল বেশী দিও এবং তোমার প্রতিবেশীদের পযর্ন্ত তা পৌঁছিও। [৩৩৬২]
৩৩৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَطِيبًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أُرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الثُّومُ وَهَذَا الْبَصَلُ وَلَقَدْ كُنْتُ أَرَى الرَّجُلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوجَدُ رِيحُهُ مِنْهُ فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ حَتَّى يُخْرَجَ بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ كَانَ آكِلَهُمَا لاَ بُدَّ فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জুমুআর দিন খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। তিনি আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা ও গুনগান করেন, অতঃপর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা দু’প্রকারের গাছ খাও, আমি তা নিকৃষ্ট জ্ঞান করি। তা হলো রসুন ও পিঁয়াজ। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে দেখেছি যে, এক ব্যক্তির মুখ থেকে তার দুর্গন্ধ নির্গত হলে তার হাত ধরে আল-বাকী নামক স্থানের দিকে বের করে দেয়া হয়। অতএব তোমাদের কেউ যদি তা খেতেই চায়, তবে সে যেন তা রান্না করে এর দুর্গন্ধ দূর করে দেয়। [৩৩৬৩]
৩৩৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ أَيُّوبَ، قَالَتْ صَنَعْتُ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَعَامًا فِيهِ مِنْ بَعْضِ الْبُقُولِ فَلَمْ يَأْكُلْ وَقَالَ " إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُوذِيَ صَاحِبِي " .
উম্মু আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করলাম, এবং তাতে কিছু শাক-সব্জিও ছিল। তিনি তা ত্যাগ করে বলেনঃ আমি আমার সাথীকে (জিবরীল) কষ্ট দেয়া পছন্দ করি না। [৩৩৬৪]
৩৩৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৫
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو شُرَيْحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نِمْرَانَ الْحَجْرِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ نَفَرًا، أَتَوُا النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مِنْهُمْ رِيحَ الْكُرَّاثِ فَقَالَ " أَلَمْ أَكُنْ نَهَيْتُكُمْ عَنْ أَكْلِ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسَانُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক দল লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলে তিনি তাদের থেকে দুর্গন্ধ অনুভব করেন। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাদের এই বৃক্ষ খেতে নিষেধ করিনি? মানুষ যে সব জিনিসে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও সেসব জিনিসে কষ্ট পান। [৩৩৬৫]
৩৩৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৬
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ دُخَيْنٍ الْحَجْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لأَصْحَابِهِ " لاَ تَأْكُلُوا الْبَصَلَ " . ثُمَّ قَالَ كَلِمَةً خَفِيَّةً " النِّيءَ " .
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণকে বললেনঃ তোমরা পিঁয়াজ খেও না। অতঃপর তিনি আস্তে বলেন: কাঁচা পিয়াজ। [৩৩৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ “অতঃপর তিনি বললেন” কথাটি ব্যতিত সহীহ।
৩৩৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৭
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى السُّدِّيُّ، حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ السَّمْنِ وَالْجُبْنِ وَالْفِرَاءِ قَالَ " الْحَلاَلُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ وَالْحَرَامُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ مِمَّا عَفَا عَنْهُ " .
সালমান আল-ফারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঘি, পনির ও বন্য গাধা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেন, আল্লাহ তাঁর কিতাবে যেসব জিনিষ হালাল করেছেন তা হালাল এবং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে যেসব জিনিষ হারাম করেছেন তা হারাম। আর যে সব জিনিষ সম্পর্কে তিনি নীরব থেকেছেন তা তিনি ক্ষমা করেছেন। [৩৩৬৭]
৩৩৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৮
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عِرْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أُهْدِيَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عِنَبٌ مِنَ الطَّائِفِ فَدَعَانِي فَقَالَ " خُذْ هَذَا الْعُنْقُودَ فَأَبْلِغْهُ أُمَّكَ " . فَأَكَلْتُهُ قَبْلَ أَنْ أُبْلِغَهُ إِيَّاهَا فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ لَيَالٍ قَالَ لِي " مَا فَعَلَ الْعُنْقُودُ هَلْ أَبْلَغْتَهُ أُمَّكَ " . قُلْتُ لاَ . قَالَ فَسَمَّانِي غُدَرَ .
নুমান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য তায়েফ থেকে আংঙ্গুরের উপঢৌকন এলো। তিনি আমাকে ডেকে বলেনঃ এই আংঙ্গুরের গুচ্ছ তুমি লও এবং তোমার মাকে পৌঁছিয়ে দাও। কিন্তূ আমার মাকে পৌঁছানোর পূর্বে আমি তা খেয়ে ফেললাম। কয়েক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেনঃ আংঙ্গুরের গুচ্ছের কী হলো? তুমি কি তোমার মাকে তা পৌঁছেছিলে? আমি বললাম, না। তাই তিনি রসিকতা করে আমার নাম রাখলেন “গুদার” (দাগাবাজ)। [৩৩৬৮]
৩৩৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৬৯
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّلْحِيُّ، حَدَّثَنَا نُقَيْبُ بْنُ حَاجِبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ الزُّبَيْرِيِّ، عَنْ طَلْحَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبِيَدِهِ سَفَرْجَلَةٌ فَقَالَ " دُونَكَهَا يَا طَلْحَةُ فَإِنَّهَا تُجِمُّ الْفُؤَادَ " .
তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম তখন তাঁর হাতে ছিল এক জাতীয় অম্ল ফল। তিনি বলেনঃ হে তালহা! এগুলো লও। এগুলো অন্তরকে শান্তি দেয়। [৩৩৬৯]
৩৩৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : আহার ও তার শিষ্টাচার
হাদীস নং : ৩৩৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَأْكُلَ الرَّجُلُ وَهُوَ مُنْبَطِحٌ عَلَى وَجْهِهِ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে কোন ব্যাক্তিকে উপুড় হয়ে আহার করতে নিষেধ করেছেন। [৩৩৭০]