৩২০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفًا، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ ثُمَّ قَالَ " مَا لَهُمْ وَلِلْكِلاَبِ " . ثُمَّ رَخَّصَ لَهُمْ فِي كَلْبِ الصَّيْدِ .
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর নিধনের নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? অতঃপর তিনি তাদের শিকারী কুকুর রাখার অনুমতি দেন। [৩২০০]
৩২০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفًا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ ثُمَّ قَالَ " مَا لَهُمْ وَلِلْكِلاَبِ " . ثُمَّ رَخَّصَ لَهُمْ فِي كَلْبِ الزَّرْعِ وَكَلْبِ الْعِينِ . قَالَ بُنْدَارٌ الْعِينُ حِيطَانُ الْمَدِينَةِ .
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? এরপর তিনি তাদের কৃষিক্ষেত ও বাগান পাহারায় নিয়োজিত কুকুর পোষার অনুমতি দেন। বুনদার (রাঃ) বলেন, ‘আল-ঈন’ হলো মদীনার বাগানসমূহ। [৩২০১]
৩২০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন। [৩২০২]
৩২০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৩
حَدَّثَنَا أَبُو طَاهِرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَافِعًا صَوْتَهُ يَأْمُرُ بِقَتْلِ الْكِلاَبِ وَكَانَتِ الْكِلاَبُ تُقْتَلُ إِلاَّ كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উচ্চ কণ্ঠে কুকুর নিধনের নির্দেশ দিতে শুনেছি। শিকারী কুকুর অথবা পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর হত্যা করা হতো (তাঁর যুগে) [৩২০৩]
৩২০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ إِلاَّ كَلْبَ حَرْثٍ أَوْ مَاشِيَةٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কৃষিক্ষেত অথবা পশুপাল পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর পোষে সে তার সৎকর্ম থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস করে। [৩২০৪]
৩২০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي شِهَابٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَوْلاَ أَنَّ الْكِلاَبَ أُمَّةٌ مِنَ الأُمَمِ لأَمَرْتُ بِقَتْلِهَا فَاقْتُلُوا مِنْهَا الأَسْوَدَ الْبَهِيمَ وَمَا مِنْ قَوْمٍ اتَّخَذُوا كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ كَلْبَ حَرْثٍ إِلاَّ نَقَصَ مِنْ أُجُورِهِمْ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ " .
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুকুর যদি আল্লাহর সৃষ্ট প্রজাতিগুলোর অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি না হতো তবে আমি তা নির্মূল করার নির্দেশ দিতাম। অতএব তোমরা এর মধ্যে কালোগুলো হত্যা করো। যে সম্প্রদায় পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর, শিকারী কুকুর ও কৃষিখামার পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পোষে তাদের সৎকর্মের সওয়াব থেকে প্রতিদিন দুই কীরাত করে হ্রাস পায়। [৩২০৫]
৩২০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا لاَ يُغْنِي عَنْهُ زَرْعًا وَلاَ ضَرْعًا نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ " . فَقِيلَ لَهُ أَنْتَ سَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِي وَرَبِّ هَذَا الْمَسْجِدِ .
সুফইয়ান বিন আবূ যুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কুকুর পোষে এবং তা তার কৃষিক্ষেত বা মেষপাল পাহারায় প্রয়োজন হয় না, তার আমল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস পায়। সুফিয়ান (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি সরাসরি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই মসজিদের প্রতিপালকের শপথ। [৩২০৬]
৩২০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا بِأَرْضِ أَهْلِ كِتَابٍ نَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ وَبِأَرْضِ صَيْدٍ أَصِيدُ بِقَوْسِي وَأَصِيدُ بِكَلْبِيَ الْمُعَلَّمِ وَأَصِيدُ بِكَلْبِيَ الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَمَّا مَا ذَكَرْتَ أَنَّكُمْ فِي أَرْضِ أَهْلِ كِتَابٍ فَلاَ تَأْكُلُوا فِي آنِيَتِهِمْ إِلاَّ أَنْ لاَ تَجِدُوا مِنْهَا بُدًّا فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا مِنْهَا بُدًّا فَاغْسِلُوهَا وَكُلُوا فِيهَا وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ أَمْرِ الصَّيْدِ فَمَا أَصَبْتَ بِقَوْسِكَ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ وَكُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الْمُعَلَّمِ فَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ وَكُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ فَأَدْرَكْتَ ذَكَاتَهُ فَكُلْ " .
আবূ সা’লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আহলে কিতাবের (ইহূদী-খৃস্টান) এলাকায় বসবাস করি। আমরা কখনো তাদের পাত্রে আহার করি। এখানে প্রচুর শিকার পাওয়া যায়। আমি তা আমার ধনুক ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যেও শিকার করি। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি যে বলছো- তোমরা আহলে কিতাবের এলাকায় বসবাস করো, একান্ত নিরুপায় না হলে তাদের পাত্রে আহার করো না। যদি তোমরা একান্ত নিরুপায় হয়ে যাও, তবে তাদের পাত্র ধৌত করার পর তাতে আহার করো। আর তুমি যে শিকারের কথা বললে তাতে তুমি তীরের সাহায্যে যে শিকার করো তার উপর আল্লাহ্র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তাতে আল্লাহ্র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তুমি প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তা যবেহ করতে পারলে খাও। [৩২০৭]
৩২০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ بِشْرٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ إِنَّا قَوْمٌ نَصِيدُ بِهَذِهِ الْكِلاَبِ . قَالَ " إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا فَكُلْ مَا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ وَإِنْ قَتَلْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ فَإِنْ أَكَلَ الْكَلْبُ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلَى نَفْسِهِ وَإِنْ خَالَطَهَا كِلاَبٌ أُخَرُ فَلاَ تَأْكُلْ " . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ سَمِعْتُهُ - يَعْنِي عَلِيَّ بْنَ الْمُنْذِرِ - يَقُولُ حَجَجْتُ ثَمَانِيَةً وَخَمْسِينَ حِجَّةً أَكْثَرُهَا رَاجِلٌ .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করে বললাম, আমরা এই কুকুরের সাহায্যে শিকার ধরে থাকি। তিনি বলেন, তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আল্লাহ্র নাম নিয়ে শিকারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে থাকলে সে তোমাদের জন্য যা শিকার করে তা খাও, তা সে হত্যা করে ফেললেও, কিন্তু (তা থেকে) কুকুর খেয়ে ফেললে (তা খেও না)। যদি কুকুর (তা থেকে) খেয়ে থাকে তবে তুমি তা ভক্ষণ করো না। কারণ আমার সন্দেহ হয় যে, সে তা নিজের জন্য শিকার করেছে। আর সাথে অন্য কুকুর থাকলে তুমি তা আহার করো না। ইবনু মাজাহ (রহি) বলেন, আমি আলী ইবনু মুনযিরকে বলতে শুনেছি, আমি আটান্ন বার হাজ্জ করেছি এবং এর অধিকাংশ বার পদব্রজে। [৩২০৮]
৩২০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২০৯
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي بَزَّةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نُهِينَا عَنْ صَيْدِ، كَلْبِهِمْ وَطَائِرِهِمْ يَعْنِي الْمَجُوسَ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের অগ্নি উপাসকদের কুকুর ও পাখির ধৃত শিকার খেতে নিষেধ করা হয়েছে। [৩২০৯]
৩২১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْكَلْبِ الأَسْوَدِ الْبَهِيمِ فَقَالَ " شَيْطَانٌ " .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ঘোর কালো কুকুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তা শয়তান। [৩২১০]
৩২১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১১
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ، عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ النَّحَّاسُ وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ الرَّمْلِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " كُلْ مَا رَدَّتْ عَلَيْكَ قَوْسُكَ " .
আবূ সা’লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা ধনুকের সাহায্যে ধৃত শিকার খাও। [৩২১১]
৩২১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَوْمٌ نَرْمِي . قَالَ " إِذَا رَمَيْتَ وَخَزَقْتَ فَكُلْ مَا خَزَقْتَ " .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা তীরন্দাজ সম্প্রদায়। তিনি বলেনঃ তুমি তীর নিক্ষেপ করলে এবং তা শিকার বিদ্ধ হলে তা খাও। [৩২১২]
উক্ত হাদিসের রাবী আলী ইবনুল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুজালিদ বিন সাঈদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪২১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৪৩ টি খুবই দুর্বল, ১০১ টি দুর্বল, ৬৪ টি হাসান, ২১৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৫, ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৩, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৫৪৮৭, ৫৪৯৭, মুসলিম ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩২, তিরমিযি ১৪৬৪, ১৪৬৪, ১৪৬৭, ১৪৬৮, ১৪৬৯, ১৪৭০, ১৪৭১, ৩৯৮৩, ১৭৯৭, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৮, ২৮৪৯-২৮৫৭, ২৮৬১, দারিমী ২০০২, ২০০৯, আহমাদ ২০৫০, ৬৬৮৬, ১৬৯৭৬, ১৬৯৭৭।
৩২১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرْمِي الصَّيْدَ فَيَغِيبُ عَنِّي لَيْلَةً قَالَ " إِذَا وَجَدْتَ فِيهِ سَهْمَكَ وَلَمْ تَجِدْ فِيهِ شَيْئًا غَيْرَهُ فَكُلْهُ " .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা এক রাত পর্যন্ত নিখোঁজ থাকে। তিনি বলেনঃ তুমি শিকারের সাথে তোমার তীর পেলে এবং অন্য কিছু না পেলে তা খাও। [৩২১৩]
৩২১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الصَّيْدِ بِالْمِعْرَاضِ . قَالَ " مَا أَصَبْتَ بِحَدِّهِ فَكُلْ وَمَا أَصَبْتَ بِعَرْضِهِ فَهُوَ وَقِيذٌ " .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পালক ও সূক্ষ্মাগ্রবিহীন তীরের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেনঃ তীরের আঘাতে যে শিকার ধরতে পারো তা খাও এবং তীরের পার্শ্বদেশের আঘাতে যে শিকার ধরো তা মৃত (তা খাওয়া যাবে না)। [৩২১৪]
সহীহুল বুখারী ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিযী ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭১, নাসায়ী ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৭৪, আবূ দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ৭৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, সহীহ আবু দাউদ ২৫৪৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী ১. আলী ইবনুল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)
৩২১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৫
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ " لاَ تَأْكُلْ إِلاَّ أَنْ يَخْزِقَ " .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট তীর বা লাঠির পার্শ্বদেশের আঘাতে ধৃত শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন, তার শিকার খেও না, কিন্তু যদি তা শিকারের দেহ ভেদ করে (তবে খাবে) [৩২১৫]
উক্ত হাদিসের রাবী জাররাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা ছিলো। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯১০, ৪/৫১৭ নং পৃষ্ঠা)
৩২১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا قُطِعَ مِنَ الْبَهِيمَةِ وَهِيَ حَيَّةٌ فَمَا قُطِعَ مِنْهَا فَهُوَ مَيْتَةٌ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জীবিত প্রানীর দেহের কোন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হলে তা মৃত হিসাবে গণ্য। [৩২১৬]
৩২১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ يَجُبُّونَ أَسْنِمَةَ الإِبِلِ وَيَقْطَعُونَ أَذْنَابَ الْغَنَمِ أَلاَ فَمَا قُطِعَ مِنْ حَىٍّ فَهُوَ مَيِّتٌ " .
তামীম আদ-দারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
২/৩২১৭. তামীম আদ-দারী (রাঃ), তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শেষ যুগে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা উটের কুজ এবং মেষের লেজের (প্রান্তভাগের চর্বিযুক্ত মোটা) অংশ (খাওয়ার জন্য) কেটে বিচ্ছিন্ন করবে। সাবধান! জীবন্ত প্রানীর দেহের কোন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হলে তা মৃত হিসাবে গণ্য (তা খাওয়া নিষিদ্ধ) [৩২১৭]
৩২১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৮
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ الْحُوتُ وَالْجَرَادُ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাদের জন্য দু’টি মৃত জীব হালাল করা হয়েছেঃ মাছ ও টিড্ডি (এক প্রকারের বড় জাতের ফড়িং)। [৩২১৮]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১০ টি খুবই দুর্বল, ৯ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩।
৩২১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْجَرَادِ فَقَالَ " أَكْثَرُ جُنُودِ اللَّهِ لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " .
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট টিড্ডি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার বিরাট বাহিনী। আমি তা খাইও না এবং হারামও করি না। [৩২১৯]
আবূ দাউদ ৩৮১৩, যইফাহ ১৫৩৩, যইফ আল-জামি' ১০৯৭। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া বিন উমারাহ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার কথাগুলো ভালো। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০০১, ৯/৩৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. আবুল আওওয়াম সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে সিকাহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তার জারাহ সম্পর্কে আমার জানা নেই তবে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। মুহাম্মাদ ইবনুয যিবরিকান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বায়হাকী তার দুর্বল হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
৩২২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ الْبَقَّالِ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كُنَّ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَهَادَيْنَ الْجَرَادَ عَلَى الأَطْبَاقِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণ থরে থরে সাজিয়ে টিড্ডি উপঢৌকন পাঠাতেন। [৩২২০]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু সাঈদ আল-বাক্কাল সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস শ্রবন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি সিকাহ নয়, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৩৫১, ১১/৫২ নং পৃষ্ঠা)
৩২২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلاَثَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا دَعَا عَلَى الْجَرَادِ قَالَ " اللَّهُمَّ أَهْلِكْ كِبَارَهُ وَاقْتُلْ صِغَارَهُ وَأَفْسِدْ بَيْضَهُ وَاقْطَعْ دَابِرَهُ وَخُذْ بِأَفْوَاهِهَا عَنْ مَعَايِشِنَا وَأَرْزَاقِنَا إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَدْعُو عَلَى جُنْدٍ مِنْ أَجْنَادِ اللَّهِ بِقَطْعِ دَابِرِهِ قَالَ " إِنَّ الْجَرَادَ نَثْرَةُ الْحُوتِ فِي الْبَحْرِ " . قَالَ هَاشِمٌ قَالَ زِيَادٌ فَحَدَّثَنِي مَنْ رَأَى الْحُوتَ يَنْثُرُهُ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) টীড্ডির ব্যাপারে বদদোয়া করে বলতেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! বড় টিড্ডীগুলো ধংস করো, ছোট টিড্ডীগুলো হত্যা করো, এর ডিমগুলো নষ্ট করে তার মূলোৎপাটন করো এবং আমাদের কৃষিজ উৎপাদনের ক্ষতিসাধন থেকে এবং আমাদের জীবিকা থেকে তার মুখ বন্ধ করে দাও। নিশ্চয় তুমিই দুআ শ্রবণকারী।’’ এক ব্যাক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্র একদল সৈনিকের মূলোৎপাটোনের জন্য আপনি কিরূপে বদদোয়া করলেন? তিনি বলেনঃ সমুদ্রে মাছের হাঁচি থেকে টিড্ডি নির্গত হয়। হাশিম (রাঃ) বলেন, যিয়াদ বলেছেন (রাঃ) এমন এক ব্যক্তি আমাদের তা বলেছেন, যিনি মাছের হাঁচি দিয়ে টিড্ডি নির্গত করতে দেখেছেন। [৩২২১]
তিরমিযী ১৮২৩, যইফাহ ১১২। তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহিম সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল ছিলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না তিনি দুর্বল ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৯৬, ২৯/১৩৯ নং পৃষ্ঠা)
৩২২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّةٍ أَوْ عُمْرَةٍ فَاسْتَقْبَلَنَا رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ أَوْ ضَرْبٌ مِنْ جَرَادٍ فَجَعَلْنَا نَضْرِبُهُنَّ بِأَسْوَاطِنَا وَنِعَالِنَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُوهُ فَإِنَّهُ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হাজ্জ অথবা উমরা করতে রওয়ানা হলাম। আমাদের সামনে একপাল টিড্ডি অথবা এক প্রকারের টিড্ডি উপস্থিত হলো। আমরা আমাদের চাবুক ও জুতা দিয়ে তা মারতে লাগলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তা খাও, কারণ তা সামুদ্রিক বা জলজ শিকার। [৩২২২]
৩২২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ قَتْلِ الصُّرَدِ وَالضِّفْدَعِ وَالنَّمْلَةِ وَالْهُدْهُدِ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুরাদ পাখি, বেঙ, পিপীলিকা ও হুদহুদ পাখি হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। [৩২২৩]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবরাহীম ইবনুল ফাদল এর কারণে সানাদটি খুবই দুর্বল। হাদিসটির ৪৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ১৩ টি খুবই দুর্বল, ২৮ টি দুর্বল, ২ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ৫২৬৭, দারিমী ১৯৯৯, আহমাদ ৩০৫৭, ৩২৩২।
৩২২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ قَتْلِ أَرْبَعٍ مِنَ الدَّوَابِّ النَّمْلَةِ وَالنَّحْلِ وَالْهُدْهُدِ وَالصُّرَدِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার ধরনের প্রাণী হত্যা করতে নিষেধ করেছেনঃ পিপীলিকা, মৌমাছি, হুদহুদ পাখি, সুরাদ পাখি। [৩২২৪]
৩২২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ نَبِيِّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ قَرَصَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ فِي أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ وَقَالَ قَرَصَتْ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নবীগণের মধ্যকার এক নবীকে পিপীলিকা দংশন করলো। তিনি পিপীলিকাদের অবস্থানস্থল সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তা জ্বালিয়া দেয়ে হলো। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি ওহী নাযিল করেনঃ একটি পিপীলিকা তোমাকে দংশন করেছে, আর তুমি আল্লাহ্র গুনগানে রত তাদের গোটা জাতিকে ধ্বংস করলে।
[উপরোক্ত হাদীসের মোট ৬টি সানাদের ৪টি বর্ণিত হয়েছে, অপর ২টি সানাদ হলোঃ]
৪/৩২২৫(১). আবূ হুরায়রা (রাঃ) [৩২২৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩২২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّ قَرِيبًا، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ خَذَفَ فَنَهَاهُ وَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنِ الْخَذْفِ وَقَالَ " إِنَّهَا لاَ تَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ تَنْكَأُ عَدُوًّا وَلَكِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ " . قَالَ فَعَادَ . فَقَالَ أُحَدِّثُكَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْهُ ثُمَّ عُدْتَ لاَ أُكَلِّمُكَ أَبَدًا .
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) এর এক নিকটাত্নীয় কাঁকর নিক্ষেপ করলে তিনি তাকে বারণ করেন এবং বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেনঃ ‘‘তাঁর সাহায্যে শিকারও ধরা যায় না, শত্রুকেও আঘাত করা যায় না, কিন্তু তা দাঁতে ভাংগে ও চোখ নষ্ট করে।’’ রাবী বলেন, সে পুনরায় কাঁকর নিক্ষেপ করলে তিনি বলেন, আমি তোমাকে হাদীস শুনাচ্ছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নিষেধ করেছেন, আর তুমি তা নিক্ষেপ করছো! আমি কখনও তোমার সাথে কথা বলবো না। [৩২২৬]
৩২২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ صُهْبَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْخَذْفِ وَقَالَ " إِنَّهَا لاَ تَقْتُلُ الصَّيْدَ وَلاَ تَنْكِي الْعَدُوَّ وَلَكِنَّهَا تَفْقَأُ الْعَيْنَ وَتَكْسِرُ السِّنَّ " .
আব্দুল্লাহ বিন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁকর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেনঃ তা শিকারও হত্যা করতে পারে না শত্রুকেও আঘাত করতে পারে না, কিন্তু তা চোখ নষ্ট করে এবং দাঁত ভাঙ্গে। [৩২২৭]
৩২২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ .
উম্মু শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গিরগিটি হত্যা করার নির্দেশ দেন। [৩২২৮]
৩২২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ قَتَلَ وَزَغًا فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا - أَدْنَى مِنَ الأُولَى - وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً - أَدْنَى مِنَ الَّذِي ذَكَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যাক্তি প্রথম গিরগিটি হত্যা করতে পারবে, তার জন্য এত এত পরিমান পুন্য। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে তা হত্যা করতে পারবে, তার জন্য এই এই পরিমাণ পুন্য (কিন্তু প্রথম আঘাতের তুলনায় কম)। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা হত্যা করতে পারবে, তার জন্য এই এই পরিমাণ পুন্য (কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতের তুলনায় কম)। [৩২২৯]
৩২৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لِلْوَزَغِ " الْفُوَيْسِقَةُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গিরগিটি সম্পর্কে বলেনঃ তা ক্ষতিকর প্রাণী। [৩২৩০]
৩২৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سَائِبَةَ، - مَوْلاَةِ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ - أَنَّهَا دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ فَرَأَتْ فِي بَيْتِهَا رُمْحًا مَوْضُوعًا فَقَالَتْ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَصْنَعِينَ بِهَذَا قَالَتْ نَقْتُلُ بِهِ هَذِهِ الأَوْزَاغَ فَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَخْبَرَنَا أَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا أُلْقِيَ فِي النَّارِ لَمْ تَكُنْ فِي الأَرْضِ دَابَّةٌ إِلاَّ أَطْفَأَتِ النَّارَ غَيْرَ الْوَزَغِ فَإِنَّهَا كَانَتْ تَنْفُخُ عَلَيْهِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِقَتْلِهِ .
ফাকিহা ইবনুল মুগীরার মুক্তদাসী সাইবাহ (মাকবূলাহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আয়িশাহ (রাঃ) এর নিকট প্রবেশ করে তার ঘরে একটি বর্শা রক্ষিত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনারা এটা দিয়ে কী করেন? তিনি বলেন, আমরা এই বর্শা দিয়ে এসব গিরগিটি হত্যা করি। কারণ আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের অবহিত করেছেন যে, ইবরাহিম (আঃ)-কে যখন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হলো তখন পৃথিবীর বুকে এমন কোন প্রানী ছিল না, যা আগুন নিভাতে চেষ্টা করেনি, গিরগিটি ব্যতীত। সে বরং আগুনে ফুঁ দিয়েছিলো। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটিকে হত্যার নির্দেশ দেন। [৩২৩১]
৩২৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ أَسْمَعْ بِهَذَا حَتَّى دَخَلْتُ الشَّامَ .
আবূ সা‘লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খেতে নিষেধ করেছেন। যুহরী (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত এ হাদীস শুনতে পাইনি। [৩২৩২]
৩২৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ عَبِيدَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أَكْلُ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ حَرَامٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম। [৩২৩৩]
৩২৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৪
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَعَنْ كُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার যুদ্ধের দিন শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু এবং নখরযুক্ত যে কোন শিকারী পাখী আহার করতে নিষেধ করেছেন। [৩২৩৪]
৩২৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ جَزْءٍ، عَنْ أَخِيهِ، خُزَيْمَةَ بْنِ جَزْءٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُكَ لأَسْأَلَكَ عَنْ أَحْنَاشِ الأَرْضِ مَا تَقُولُ فِي الثَّعْلَبِ قَالَ " وَمَنْ يَأْكُلُ الثَّعْلَبَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي الذِّئْبِ قَالَ " وَيَأْكُلُ الذِّئْبَ أَحَدٌ فِيهِ خَيْرٌ " .
খুযায়মাহ বিন জাযই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনার নিকট যমীনের কীট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছি। আপনি খেঁকশিয়াল সম্পর্কে কী বলেন? তিনি পাল্টা জিজ্ঞেস করেনঃ কে খেঁকশিয়াল খায়? আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি নেকড়ে বাঘ সম্পর্কে কী বলেন? তিনি বলেনঃ যার মধ্যে কোন ভালো গুণ আছে সেরূপ কোন ব্যাক্তি কী তা খেতে পারে? [৩২৩৫]
তিরমিযী ১৭৯২। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল কারীম বিন আবুল মুখারিক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকলে একমত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বলেন,আহলে ইলমের নিকট তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ১৮/২৫৯ নং পৃষ্ঠা)
৩২৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، - وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ - قَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الضَّبُعِ أَصَيْدٌ هُوَ قَالَ نَعَمْ . قُلْتُ آكُلُهَا قَالَ نَعَمْ . قُلْتُ أَشَىْءٌ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ نَعَمْ .
আবদুর রহমান বিন আবূ আম্মার থেকে বর্ণিতঃ
আমি জাবির বিন আবদুল্লাহ(রাঃ) নিকট ‘দাবুই’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তা শিকার কিনা? তিনি বলেন, হাঁ। আমি বললাম, আপনি কি তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যা। [৩২৩৬]
৩২৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ جَزْءٍ، عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ جَزْءٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي الضَّبُعِ قَالَ " وَمَنْ يَأْكُلُ الضَّبُعَ " .
খুযায়মাহ বিন জাযই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! ‘দাবু’ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি বলেন, কোন্ লোক দাবু আহার করে? [৩২৩৭]
৩২৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَصَابَ النَّاسُ ضِبَابًا فَاشْتَوَوْهَا فَأَكَلُوا مِنْهَا فَأَصَبْتُ مِنْهَا ضَبًّا فَشَوَيْتُهُ ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخَذَ جَرِيدَةً فَجَعَلَ يَعُدُّ بِهَا أَصَابِعَهُ فَقَالَ " إِنَّ أُمَّةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ مُسِخَتْ دَوَابَّ فِي الأَرْضِ وَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلَّهَا هِيَ " . فَقُلْتُ إِنَّ النَّاسَ قَدِ اشْتَوَوْهَا فَأَكَلُوهَا فَلَمْ يَأْكُلْ وَلَمْ يَنْهَ .
সাবিত বিন ইয়াযিদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। লোকেরা গুইসাপ ধরে তা ভুনা করে আহার করলো। আমিও একটি গুইসাপ ধরে তা ভুনা করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে এলাম। তিনি একটি কাঠ তুলে নিয়ে তা দিয়ে সেটির আঙ্গুল গননা করতে লাগলেন, অতঃপর বলেনঃ বনী ইসরাঈলের একটি সম্প্রদায়ের চেহারা বিকৃত হয়ে পৃথিবীর জন্তুতে পরিণত হয়। আমি জানি না, এটাই সেই প্রাণী কিনা। আমি বললাম লোকেরা তা ভুনা করে খেয়েছে। কিন্তু তিনি তা আহারও করেননি এবং আহার করতে নিষেধও করেননি। [৩২৩৮]
৩২৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يُحَرِّمِ الضَّبَّ وَلَكِنْ قَذِرَهُ وَإِنَّهُ لَطَعَامُ عَامَّةِ الرِّعَاءِ وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَنْفَعُ بِهِ غَيْرَ وَاحِدٍ وَلَوْ كَانَ عِنْدِي لأَكَلْتُهُ .
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গুইসাপ হারাম করেননি, কিন্তু তা অপছন্দ করেছেন। এটা পশুপালের রাখালদের খাদ্য। আল্লাহ তাআলা এই প্রানীর দ্বারা অনেককে উপকৃত করেন। আমার নিকট থাকলে আমি তা অবশ্যি আহার করতাম।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্নিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
৩/৩২৩৯(১) উমার ইবনুল খাত্তাব(রাঃ), [৩২৩৯]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।
৩২৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَادَى رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ حِينَ انْصَرَفَ مِنَ الصَّلاَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَرْضَنَا أَرْضٌ مَضَبَّةٌ فَمَا تَرَى فِي الضِّبَابِ قَالَ " بَلَغَنِي أَنَّهُ أُمَّةٌ مُسِخَتْ " . فَلَمْ يَأْمُرْ بِهِ وَلَمْ يَنْهَ عَنْهُ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায শেষে ফিরছিলেন তখন আহলে সুফ্ফার মধ্যকার এক ব্যক্তি তাঁকে ডেকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের এলাকায় প্রচুর গুইসাপ পাওয়া যায়। এই প্রানী সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? তিনি বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, একটি সম্প্রদায়ের সৃষ্টিগত রূপ সম্পূর্ণ পরিবর্তিত করে দেয়া হয়েছে। অতএব তিনি তা খাওয়ার নির্দেশ দেননি এবং তা খেতে নিষেধও করেননি। [৩২৪০]
৩২৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُتِيَ بِضَبٍّ مَشْوِيٍّ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ فَأَهْوَى بِيَدِهِ لِيَأْكُلَ مِنْهُ فَقَالَ لَهُ مَنْ حَضَرَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَحْمُ ضَبٍّ . فَرَفَعَ يَدَهُ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَرَامٌ الضَّبُّ قَالَ " لاَ وَلَكِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِي فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ " . قَالَ فَأَهْوَى خَالِدٌ إِلَى الضَّبِّ فَأَكَلَ مِنْهُ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَنْظُرُ إِلَيْهِ .
খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য ভুনা গুইসাপ এনে তাঁর সামনে পরিবেশন করা হলে তিনি তা খাওয়ার জন্য হাত বাড়ালেন। তাঁর নিকটে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, এটা গুইসাপের গোশত। তিনি নিজের হাত তুলে নিলেন। খালিদ (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, গুইসাপ কি হারাম? তিনি বলেন, না, কিন্তু তা আমার এলাকার প্রানী নয়। তাই এটাতে আমার রুচি হয় না। খালিদ (রাঃ) হাত বাড়িয়ে তা নিলেন এবং আহার করলেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে দেখলেন। [৩২৪১]
৩২৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ أُحَرِّمُ " . يَعْنِي الضَّبَّ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি গুইসাপ হারাম বলি না। [৩২৪২]
উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা)
৩২৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَرَرْنَا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَأَنْفَجْنَا أَرْنَبًا فَسَعَوْا عَلَيْهَا فَلَغَبُوا فَسَعَيْتُ حَتَّى أَدْرَكْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا فَبَعَثَ بِعَجُزِهَا وَوَرِكِهَا إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَبِلَهَا .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা “মারজা-জাহরান (ওয়াদী ফাতিমাহ)” এলাকা অতিক্রমকালে একটি খরগোশকে উত্তেজিত করে বের করলাম। লোকেরা তার পিছু ধাওয়া করে ক্লান্ত হয়ে পড়লো। অতঃপর আমি তার পিছু ধাওয়া করে তা ধরে ফেললাম এবং তা নিয়ে আবূ তালহা (রাঃ)-র নিকট আসলাম। তিনি তা যবেহ করলেন। অতঃপর তার নিতম্ব ও উরুর গোশত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পাঠালেন। তিনি তা গ্রহণ করলেন। [৩২৪৩]
৩২৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَفْوَانَ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِأَرْنَبَيْنِ مُعَلِّقَهُمَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ هَذَيْنِ الأَرْنَبَيْنِ فَلَمْ أَجِدْ حَدِيدَةً أُذَكِّيهِمَا بِهَا فَذَكَّيْتُهُمَا بِمَرْوَةٍ أَفَآكُلُ قَالَ " كُلْ " .
মুহাম্মদ বিন সফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি দু’টি খরগোশ কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই খরগোশ দু’টি ধরেছি কিন্তু এমন কোন লৌহাস্ত্র পেলাম না, যা দিয়ে তা যবেহ করতে পারতাম। তাই আমি একটি ধারালো সাদা পাথর দিয়ে তা যবেহ করেছি। আমি কি তা আহার করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আহার করো। [৩২৪৪]
৩২৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ جَزْءٍ، عَنْ أَخِيهِ، خُزَيْمَةَ بْنِ جَزْءٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُكَ لأَسْأَلَكَ عَنْ أَحْنَاشِ الأَرْضِ مَا تَقُولُ فِي الضَّبِّ قَالَ " لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " . قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي آكُلُ مِمَّا لَمْ تُحَرِّمْ وَلِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " فُقِدَتْ أُمَّةٌ مِنَ الأُمَمِ وَرَأَيْتُ خَلْقًا رَابَنِي " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي الأَرْنَبِ قَالَ لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " . قُلْتُ فَإِنِّي آكُلُ مِمَّا لَمْ تُحَرِّمْ وَلِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " نُبِّئْتُ أَنَّهَا تَدْمَى " .
খুযায়মাহ বিন জাযই (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি মাটির গর্ভে বসবাসকারী প্রানী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনার নিকট এসেছি। গুইসাপ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি নিজে খাই না এবং হারামও করি না। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যে জিনিস আপনি হারাম করবেন না তা কি আমি আহার করতে পারি, আর আপনিই বা কেন তা আহার করেন না? তিনি বলেন, কোন এক সম্প্রদায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের গঠন এরুপ দেখেছি বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! খরগোশ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তা খাইও না এবং হারামও করি না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যে জিনিস আপনি হারাম করেন না, তা কি আমি আহার করতে পারি, আর আপনি তা কেন খান না? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, তা ঋতুবতী হয়। [৩২৪৫]
৩২৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ، مِنْ آلِ ابْنِ الأَزْرَقِ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ أَبِي بُرْدَةَ، - وَهُوَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ - حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْبَحْرُ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بَلَغَنِي عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ الْجَوَادِ أَنَّهُ قَالَ هَذَا نِصْفُ الْعِلْمِ لأَنَّ الدُّنْيَا بَرٌّ وَبَحْرٌ فَقَدْ أَفْتَاكَ فِي الْبَحْرِ وَبَقِيَ الْبَرُّ .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সমুদ্রের পানি পাক এবং তার মৃতজীব হালাল”। আবূ আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি আবূ উবায়দা আল-জাওয়াদের সূত্রে জানতে পেরেছি যে, তিনি বলেন, এটা জ্ঞানের অর্ধেক। কারণ দুনিয়াটা (দু‘ভাগে বিভক্ত): স্থলভাগ ও জলভাগ। অতএব তোমাকে জলভাগ সম্পর্কে ফতোয়া দেয়া হয়েছে। আর অবশিষ্ট থাকলো স্থলভাগ। [৩২৪৬]
৩২৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا أَلْقَى الْبَحْرُ أَوْ جَزَرَ عَنْهُ فَكُلُوهُ وَمَا مَاتَ فِيهِ فَطَفَا فَلاَ تَأْكُلُوهُ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সমুদ্র যা উদগীরণ করে অথবা তা থেকে যা নিক্ষিপ্ত হয় তা তোমরা আহার করো। আর যা সমুদ্রে মারা যায়, অতঃপর পানির উপর ভেসে উঠে তা আহার করো না। [৩২৪৭]
৩২৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَنْ يَأْكُلُ الْغُرَابَ وَقَدْ سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " فَاسِقًا " . وَاللَّهِ مَا هُوَ مِنَ الطَّيِّبَاتِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন্ লোক কাক খায়? অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নাম রেখেছেন, “ফাসিক” (নিকৃষ্ট প্রাণী)। আল্লাহর শপথ! তা পবিত্র প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত নয়। [৩২৪৮]
৩২৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৪৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " الْحَيَّةُ فَاسِقَةٌ وَالْعَقْرَبُ فَاسِقَةٌ وَالْفَأْرَةُ فَاسِقَةٌ وَالْغُرَابُ فَاسِقٌ " . فَقِيلَ لِلْقَاسِمِ أَيُؤْكَلُ الْغُرَابُ قَالَ مَنْ يَأْكُلُهُ بَعْدَ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " فَاسِقٌ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ বলেনঃ সাপ ক্ষতিকর প্রাণী, বিছা ক্ষতিকর প্রানী, ইঁদুর ক্ষতিকর প্রানী এবং কাক ক্ষতিকর প্রাণী। কাসিমের নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো, কাক আহার করা যায় কি? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কোন্ লোক কাক আহার করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথার পর যে, ‘তা ফাসিক’? [৩২৪৯]
৩২৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : শিকার
হাদীস নং : ৩২৫০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عُمَرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ أَكْلِ الْهِرَّةِ وَثَمَنِهَا.
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিড়াল ও তার ক্রয়মূল্য ভোগ করতে নিষেধ করেছেন। [৩২৫০]