৩১৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سِبَاعِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أُمِّ كُرْزٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " عَنِ الْغُلاَمِ، شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ، شَاةٌ " .
উম্মু কুরয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী (আকীকাস্বরূপ যবেহ করা) যথেষ্ট। [৩১৬২]
৩১৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَعُقَّ عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَيْنِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةً .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী দিয়ে আকীকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিছেন। [৩১৬৩]
৩১৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيقَةً فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الأَذَى " .
সালামান বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে আকীকা করতে হবে অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (পশু যবেহ করো) এবং তার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করো। [৩১৬৪]
৩১৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى " .
সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। [৩১৬৫]
৩১৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدٍ الْمُزَنِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يُعَقُّ عَنِ الْغُلاَمِ وَلاَ يُمَسُّ رَأْسُهُ بِدَمٍ " .
ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করতে হবে (আকীকা করতে হবে) এবং তার মাথা পশুর রক্তে রঞ্জিত করা যাবে না। [৩১৬৬]
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। সানাদে ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব যদিও দুর্বল তবে তার মুতাবি' রয়েছে। হাদিসটির ২২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। ১ টি জাল, ১৭ টি খুবই দুর্বল, ১২৬ টি দুর্বল, ৭২ টি হাসান, ১৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৫১৩, ১৫১৬, আবু দাউদ ২৮৩৪, ২৮৩৫, ২৮৩৬, ২৮৩৬, ২৮৪২, দারিমী ১৯৯৬, ১৯৬৮, মুয়াত্তা মালিক ১০৮২, আহমাদ ৬৬৯৮, ৬৭৮৩, ২২৬২৩, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৯৫৩, ৭৯৫৪, ৭৯৫৫।
৩১৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৭
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ نُبَيْشَةَ، قَالَ نَادَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْتِرُ عَتِيرَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " اذْبَحُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَىِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ وَأَطْعِمُوا " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نُفْرِعُ فَرَعًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " فِي كُلِّ سَائِمَةٍ فَرَعٌ تَغْذُوهُ مَاشِيَتُكَ حَتَّى إِذَا اسْتَحْمَلَ ذَبَحْتَهُ فَتَصَدَّقْتَ بِلَحْمِهِ - أُرَاهُ قَالَ - عَلَى ابْنِ السَّبِيلِ فَإِنَّ ذَلِكَ هُوَ خَيْرٌ " .
নুবায়শাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ডাক দিয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি আমাদের কী হুকুম করেন? তিনি বলেনঃ তোমরা যে কোন মাসে মহামহিম আল্লাহর জন্য পশু যবেহ করো, আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করো এবং (দরিদ্রদের) আহার করাও। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা‘আ করতাম। এখন এ সম্পর্কে আপনি আমাদের কী বলেন? তিনি বলেনঃ প্রতিটি চরে বেড়ানো পশুতে ফারাআ রয়েছে, তাকে তোমরা ইচ্ছা অনুযায়ী আহার করাও এবং যখন ভারবোঝা বহনের উপযুক্ত হবে তখন তা যবেহ করে তার গোশ্ত পথিকদের মধ্যে দান-খয়রাত করলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। [৩১৬৭]
৩১৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ " . قَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ وَالْفَرَعَةُ أَوَّلُ النَّتَاجِ . وَالْعَتِيرَةُ الشَّاةُ يَذْبَحُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ فِي رَجَبٍ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারা‘আ নাই, আতীরাও নাই। হিশাম (রাঃ) তার বর্ণনায় বলেন, ফারা‘আ হলো উট বা ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা। আর আতীরা হলো কোন পরিবারের লোকেরা রজব মাসে যে বকরী যবেহ করে তা। [৩১৬৮]
৩১৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ " . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا مِنْ فَرَائِدِ الْعَدَنِيِّ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারাআও নাই, আতীরাও নাই। ইব্ন মাজাহ (রহঃ) বলেন, এটা কেবলমাত্র আল-‘আদানী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। [৩১৬৯]
৩১৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ كَتَبَ الإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ " .
শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মহান আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য দয়া ও অনুগ্রহ নির্ধারণ করেছেন। অতএব যখন তোমরা হত্যা (যুদ্ধ) করো, তা উত্তম পন্থায় করো, যখন যবেহ করো, তাও উত্তম পন্থায় করো। তোমাদের প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ চাক ধারালো করে নেয় এবং নিজের যবেহকৃত পশুকে আরাম দেয়। [৩১৭০]
৩১৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِرَجُلٍ وَهُوَ يَجُرُّ شَاةً بِأُذُنِهَا فَقَالَ " دَعْ أُذُنَهَا وَخُذْ بِسَالِفَتِهَا " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তখন একটি বকরীর কান ধরে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেনঃ তুমি এর কান ছেড়ে দাও এবং ঘাড় ধরো। [৩১৭১]
৩১৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنُ أَخِي، حُسَيْنٍ الْجُعْفِيِّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي قُرَّةُ بْنُ حَيْوَئِيلَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِحَدِّ الشِّفَارِ وَأَنْ تُوَارَى عَنِ الْبَهَائِمِ وَقَالَ " إِذَا ذَبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجْهِزْ " .
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلَهُ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যবেহ করার সময় যেন দ্রুত যবেহ করে।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
৪/৩১৭২ (১). আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [৩১৭২]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
উক্ত হাদীসের রাবী ১. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদীসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ার যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবূল কাসিম বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবূ বাক্র আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবূ হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো তবে আমি তার থেকে কোন হাদীস গ্রহণ করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ২. জা‘ফার বিন মুসাফির সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাইযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা)
৩১৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، {إِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ} قَالَ كَانُوا يَقُولُونَ مَا ذُكِرَ عَلَيْهِ اسْمُ اللَّهِ فَلاَ تَأْكُلُوا وَمَا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلُوهُ . فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ} .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি “শয়তানেরা নিজেদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয়” (সূরা আনআমঃ২১) শীর্ষক আয়াত উল্লেখপূর্বক বলেন, শয়তানেরা বলে যে, যা আল্লাহর নাম নিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা ভক্ষণ করো না এবং যা আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা খাও। অতএব মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তার কিছুই আহার করো না” (সূরা আনআমঃ ১২১)। [৩১৭৩]
৩১৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ قَوْمًا، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قَوْمًا يَأْتُونَا بِلَحْمٍ لاَ نَدْرِي ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ أَمْ لاَ قَالَ " سَمُّوا أَنْتُمْ وَكُلُوا " . وَكَانُوا حَدِيثَ عَهْدٍ بِالْكُفْرِ .
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদল লোক বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কতক লোক আমাদের নিকট গোশ্ত নিয়ে আসে। জানি না, (তা যবেহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে কি না? তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো এবং তা খাও। এটা ছিল তাদের কুফর পরিত্যাগের নিকটবর্তী কালের বিষয়। [৩১৭৪]
৩১৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَيْفِيٍّ، قَالَ ذَبَحْتُ أَرْنَبَيْنِ بِمَرْوَةٍ فَأَتَيْتُ بِهِمَا النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَرَنِي بِأَكْلِهِمَا .
মুহাম্মাদ বিন সয়ফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ধারালো সাদা পাথর দিয়ে দু’টি খরগোশ যবেহ করে তা নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে তা আহারের নির্দেশ দিলেন। [৩১৭৫]
৩১৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ حَاضِرَ بْنَ مُهَاجِرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ ذِئْبًا، نَيَّبَ فِي شَاةٍ فَذَبَحُوهَا بِمَرْوَةٍ فَرَخَّصَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي أَكْلِهَا .
যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একটি নেকড়ে বাঘ একটি বকরীকে কামড় দিলে লোকেরা তা ধারালো সাদা পাথর দ্বারা যবেহ করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের তা খাওয়ার অনুমতি দেন। [৩১৭৬]
৩১৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُرِّيِّ بْنِ قَطَرِيٍّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَصِيدُ الصَّيْدَ فَلاَ نَجِدُ سِكِّينًا إِلاَّ الظِّرَارَ وَشِقَّةَ الْعَصَا . قَالَ " أَمْرِرِ الدَّمَ بِمَا شِئْتَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ " .
আদী বিন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা শিকার ধরে থাকি এবং কখনও আমাদের সাথে ধারালো পাথর বা ধারালো লাঠি ব্যতীত ছুরি থাকে না। তিনি বলেনঃ যা দিয়ে কারো রক্ত প্রবাহিত করো এবং যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম লও। [৩১৭৭]
৩১৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَدِّهِ، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَكُونُ فِي الْمَغَازِي فَلاَ يَكُونُ مَعَنَا مُدًى فَقَالَ " مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلْ غَيْرَ السِّنِّ وَالظُّفْرِ فَإِنَّ السِّنَّ عَظْمٌ وَالظُّفْرَ مُدَى الْحَبَشَةِ " .
রাফি‘ বিন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকাকালে আমাদের সাথে ছুরি থাকে না। তিনি বলেনঃ দাঁত ও নখ ব্যতীত যা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত করা যায় (তা দিয়ে যবেহ করো) এবং তা যবেহকালে আল্লাহর নাম স্মরণ করো, অতঃপর খাও। কারণ দাঁত হলো হাড় এবং নখ হলো হাবশাবাসীদের ছুরি। [৩১৭৮]
৩১৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ مَيْمُونٍ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، - قَالَ عَطَاءٌ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَّ بِغُلاَمٍ يَسْلُخُ شَاةً فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " تَنَحَّ حَتَّى أُرِيَكَ " . فَأَدْخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَدَهُ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ فَدَحَسَ بِهَا حَتَّى تَوَارَتْ إِلَى الإِبْطِ وَقَالَ " يَا غُلاَمُ هَكَذَا فَاسْلُخْ " . ثُمَّ مَضَى وَصَلَّى لِلنَّاسِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক যুবকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি বকরীর চামড়া ছাড়াচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ তুমি সরে দাঁড়াও, আমি তোমাকে দেখিয়ে দিবো। রাসূলুল্লাহ চামড়া ও গোশতের মাঝখান দিয়ে নিজের হাত ঢুকালেন, এমনকি বগল পর্যন্ত তাঁর হাত আন্তর্হিত হয়ে গেলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে বৎস! এভাবে চামড়া ছাড়াও। অতঃপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন এবং লোকেদের সাথে সলাত আদায় করলেন কিন্তু উযু করেননি। [৩১৭৯]
৩১৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنْبَأَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَتَى رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَأَخَذَ الشَّفْرَةَ لِيَذْبَحَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِيَّاكَ وَالْحَلُوبَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসার ব্যক্তির নিকট এলেন। সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য পশু যবেহ করতে ছুরি নিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ সাবধান! দুগ্ধবতী পশু যবেহ করো না। [৩৭৮০]
৩১৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَهُ وَلِعُمَرَ " انْطَلِقُوا بِنَا إِلَى الْوَاقِفِيِّ " . قَالَ فَانْطَلَقْنَا فِي الْقَمَرِ حَتَّى أَتَيْنَا الْحَائِطَ فَقَالَ مَرْحَبًا وَأَهْلاً . ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ ثُمَّ جَالَ فِي الْغَنَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِيَّاكَ وَالْحَلُوبَ " . أَوْ قَالَ " ذَاتَ الدَّرِّ " .
আবূ বাক্র বিন আবূ কুহাফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ও উমার (রাঃ) কে বলেনঃ তোমরা উভয়ে আমাদের সাথে আল-ওয়াকিফীর নিকট চলো। রাবী বলেন, আমরা চাঁদনি রাতে রওয়ানা হলাম এবং শেষে (আল-ওয়াকিফীর) বাগানে গিয়ে পৌঁছলাম। আল-ওয়াকিফী বলেন, সাদর সম্ভাষণ। অতঃপর তিনি একটি ছুরিসহ মেষ পালের মধ্যে চক্কর দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ সাবধান! দুগ্ধবতী পশু যবেহ করো না। [৩১৮১]
৩১৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮২
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً، ذَبَحَتْ شَاةً بِحَجَرٍ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمْ يَرَ بِهِ بَأْسًا .
কা‘ব বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক স্ত্রীলোক ধারালো পাথরের সাহায্যে একটি বকরী যবেহ করলো। তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানানো হলে তিনি তা দূষণীয় মনে করেননি। [৩১৮২]
৩১৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَدِّهِ، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَنَدَّ بَعِيرٌ فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ لَهَا أَوَابِدَ - أَحْسَبُهُ قَالَ - كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ فَمَا غَلَبَكُمْ مِنْهَا فَاصْنَعُوا بِهِ هَكَذَا " .
রাফি‘ বিন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। একটি উট পলায়নে তৎপর হলে এক ব্যক্তি সেটিকে লক্ষ করে তীর নিক্ষেপ করলো। মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এই চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যেও কোনটি জংলী পশুর ন্যায় বন্য হয়ে যায়। অতএব তোমরা অন্যভাবে কাবু করতে না পারলে একে এভাবেই কাবু করবে। [৩১৮৩]
৩১৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الْعُشَرَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَكُونُ الذَّكَاةُ إِلاَّ فِي الْحَلْقِ وَاللَّبَّةِ قَالَ " لَوْ طَعَنْتَ فِي فَخِذِهَا لأَجْزَأَكَ " .
মালিক বিন কাহতাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কণ্ঠনালী ও বুকের উপরিভাগের মাঝখান ছাড়া কি যবেহ হয় না? তিনি বলেনঃ তুমি যদি তার উরুতে বর্শা ঢুকিয়ে দিতে পারো তবে তা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। [৩১৮৪]
৩১৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُمَثَّلَ بِالْبَهَائِمِ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৫]
৩১৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ صَبْرِ الْبَهَائِمِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পশুকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানাতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৬]
৩১৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تَتَّخِذُوا شَيْئًا فِيهِ الرُّوحُ غَرَضًا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কোন জীবন্ত প্রাণীকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানিও না। [৩১৮৭]
৩১৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُقْتَلَ شَىْءٌ مِنَ الدَّوَابِّ صَبْرًا .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন প্রাণীকে চাঁদমারির লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৮]
৩১৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৮৯
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ لُحُومِ الْجَلاَّلَةِ وَأَلْبَانِهَا .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষ্ঠা ভক্ষণে অভ্যস্ত পশুর গোশ্ত খেতে ও তার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন। [৩১৮৯]
৩১৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ نَحَرْنَا فَرَسًا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আসমা’ বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে একটি ঘোড়া যবেহ করে তার গোশ্ত খেয়েছি। [৩১৯০]
৩১৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯১
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَكَلْنَا زَمَنَ خَيْبَرَ الْخَيْلَ وَحُمُرَ الْوَحْشِ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খায়বারের যুদ্ধকালে আমরা ঘোড়া ও বন্য গাধার গোশ্ত খেয়েছি। [৩১৯১]
৩১৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، فَقَالَ أَصَابَتْنَا مَجَاعَةٌ يَوْمَ خَيْبَرَ وَنَحْنُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَدْ أَصَابَ الْقَوْمُ حُمُرًا خَارِجًا مِنَ الْمَدِينَةِ فَنَحَرْنَاهَا وَإِنَّ قُدُورَنَا لَتَغْلِي إِذْ نَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنِ اكْفَئُوا الْقُدُورَ وَلاَ تَطْعَمُوا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ شَيْئًا . فَأَكْفَأْنَاهَا . فَقُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى حَرَّمَهَا تَحْرِيمًا قَالَ تَحَدَّثْنَا أَنَّمَا حَرَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَلْبَتَّةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهَا تَأْكُلُ الْعَذِرَةَ .
আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) এর নিকট গৃহপালিত গাধার গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন, খায়বারের যুদ্ধকালে আমরা দুর্ভিক্ষে পতিত হই। আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। লোকেরা মদীনার (শহরের) বাইরে কিছু গাধা পেলো। আমরা তা যবেহ করলাম। আমাদের হাঁড়িতে গোশত টগবগ করে ফুটছিল। ইতোমধ্যে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘোষক ঘোষণা করলো যে, গোশতের পাতিলগুলোকে উল্টে ফেলে দাও এবং গাধার গোশত থেকে মোটেও খেও না। অতএব আমরা পাতিলগুলো উল্টে ফেলে দিলাম। আমি আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি তা চূড়ান্তভাবে হারাম করেছেন? রাবী বলেন, আপনি আমাদের জানিয়ে দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা কি বিষ্ঠা খাওয়ার কারণে হারাম করেছেন? [৩১৯২]
৩১৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ جَابِرٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ الْكِنْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَرَّمَ أَشْيَاءَ حَتَّى ذَكَرَ الْحُمُرَ الإِنْسِيَّةَ .
আল-মিকদাম বিন মা‘দীকারিব আল-কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতগুলো জিনিস হারাম ঘোষণা করেন, তার মধ্যে গৃহপালিত গাধার কথাও উল্লেখ করেন। [৩১৯৩]
৩১৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৪
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُلْقِيَ لُحُومَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ نِيئَةً وَنَضِيجَةً ثُمَّ لَمْ يَأْمُرْنَا بِهِ بَعْدُ .
বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে গৃহপালিত গাধার কাঁচা গোশ্ত ও রান্না করা গোশ্ত সব ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তী কালে তিনি আর তা (খাওয়ার) হুকুম দেননি। [৩১৯৪]
৩১৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৫
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَزْوَةَ خَيْبَرَ فَأَمْسَى النَّاسُ قَدْ أَوْقَدُوا النِّيرَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " عَلاَمَ تُوقِدُونَ " . قَالُوا عَلَى لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ فَقَالَ " أَهْرِيقُوا مَا فِيهَا وَاكْسِرُوهَا " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَوْ نُهَرِيقُ مَا فِيهَا وَنَغْسِلُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَوْ ذَاكَ " .
সালামা ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে খায়বারের যুদ্ধ করেছি। সন্ধ্যা হলে লোকেরা চুলায় আগুন ধরালো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কী রান্না করছো? তারা বলেন, গৃহপালিত গাধার গোশ্ত। তিনি বলেন, হাঁড়িতে যা আছে তা ফেলে দাও এবং হাঁড়িগুলো ভেঙ্গে ফেলো। দলের মধ্যকার এক ব্যক্তি বললো, হাঁড়ির মধ্যে যা আছে আমরা কি তা ফেলে দিয়ে হাঁড়ি ধুয়ে নিতে পারি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আচ্ছা! তাই করো। [৩১৯৫]
৩১৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مُنَادِيَ النَّبِيِّ، ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَادَى إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فَإِنَّهَا رِجْسٌ .
আনাস মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঘোষক ঘোষণা করলেনঃ নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমাদেরকে গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। কারণ তা নাপাক। [৩১৯৬]
৩১৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৭
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ ح و حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ وَمَعْمَرٌ جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا نَأْكُلُ لُحُومَ الْخَيْلِ قُلْتُ فَالْبِغَالُ قَالَ لَا
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ঘোড়ার গোশ্ত আহার করতাম। আমি (আতা) বললাম, খচ্চরের গোশ্ত? তিনি বলেন, না। [৩১৯৭]
৩১৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ لُحُومِ الْخَيْلِ وَالْبِغَالِ وَالْحَمِيرِ .
খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার গোশ্ত, খচ্চরের গোশ্ত ও গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। [৩১৯৮]
৩১৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : যবেহ করা
হাদীস নং : ৩১৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَأَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ سَأَلْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْجَنِينِ فَقَالَ كُلُوهُ إِنْ شِئْتُمْ فَإِنَّ ذَكَاتَهُ ذَكَاةُ أُمِّهِ» قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ سَمِعْتُ الْكَوْسَجَ إِسْحَقَ بْنَ مَنْصُورٍ يَقُولُ فِي قَوْلِهِمْ فِي الذَّكَاةِ لَا يُقْضَى بِهَا مَذِمَّةٌ قَالَ مَذِمَّةٌ بِكَسْرِ الذَّالِ مِنْ الذِّمَامِ وَبِفَتْحِ الذَّالِ مِنْ الذَّمِّ
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গর্ভবতী পশুর পেটের বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা ইচ্ছা করলে তা খেতে পারো। কেননা তার মায়ের যবেহ তার যবাহ–এর জন্য যথেষ্ট। [৩১৯৯]
উক্ত হজাদিসের সানাদ মুজালিদ বিন সাঈদ এর কারণে দুর্বল। হাদিসটির ১৫৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। ১ টি জাল, ১১ টি খুবই দুর্বল, ৭৪ টি দুর্বল, ৩৫ টি হাসান, ৩৮ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৪৭৬, আবু দাউদ ২৮২৭, ২৮২৮, দারিমী ১৯৭৯, আহমাদ ১০৮৬৭, ১০৯৫০, ১১০২২, ১১১০৩, দারাকুতনী ৪৬৮৬, ৪৬৯০, ৪৬৯১, ৪৬৯২, ৪৬৯৩, ৪৬৯৪, ৪৬৯৫, ৪৬৯৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৬৪৯, ৮৬৫০, মু'জামুল আওসাত ৩৬০৬, ৩৭১১, ৬৭২১, ৭৮৫৬, ৮০৯৯, ৮২৩৪, ৯৪৫৩, শারহুস সুন্নাহ ২৭৮৯।