২৮৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَأَبُو مُصْعَبٍ الزُّهْرِيُّ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنَ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ فَإِذَا قَضَى أَحَدُكُمْ نَهْمَتَهُ مِنْ سَفَرِهِ فَلْيُعَجِّلِ الرُّجُوعَ إِلَى أَهْلِهِ " .
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সফর শাস্তিরই একটি টুকরা। তা তোমাদের যে কোন ব্যক্তির ঘুম ও পানাহারকে বাধাগ্রস্ত করে। তোমাদের যে কেউ সফরে নিজ প্রয়োজন পূরণ হওয়ার সাথে সাথে যেন অবিলম্বে বাড়ি ফিরে আসে।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ৪টি সানাদের ৩টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলো:]
২/২৮৮২ (১) . আবূ হুরায়রা (রাঃ) , নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। [২৮৮২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، - أَوْ أَحَدِهِمَا عَنِ الآخَرِ، - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ فَإِنَّهُ قَدْ يَمْرَضُ الْمَرِيضُ وَتَضِلُّ الضَّالَّةُ وَتَعْرِضُ الْحَاجَةُ " .
ইবনুল আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে সে যেন অবিলম্বে তা আদায় করে। কারণ মানুষ কখনও আসুস্থ হয়ে যায়, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কখনও অপরিহার্য প্রয়োজন সামনে এসে যায়। [২৮৮৩]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ {وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً}. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ ثُمَّ قَالُوا أَفِي كُلِّ عَامٍ فَقَالَ " لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ " . فَنَزَلَتْ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ }.
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন এ আয়াত নাযিল হলো (অনুবাদ) : “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য” (সূরা আল ইমরান : ৯৭) , তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি হজ্জ ফারদ? তিনি নিরুত্তর থাকলেন। পুনরায় তারা বলেন, প্রতি বছরই কি? তিনি বলেন, না। কিন্তু আমি যদি বলতাম, হাঁ, তবে তদ্রুপই ওয়াজিব হতো। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে...” (সুরা মাইদাহ: ১০১)। [২৮৮৪]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ عَامٍ قَالَ " لَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَمْ تَقُومُوا بِهَا وَلَوْ لَمْ تَقُومُوا بِهَا عُذِّبْتُمْ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, হে আলাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি হজ্জ ফারদ? তিনি বলেনঃ আমি যদি বলি হাঁ, তবে তা অবশ্যই ওয়াজিব (ফারদ) হতো। আর যদি তা ওয়াজিব হতো তবে তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়তে। আর তোমরা যদি তা আদায় করতে না পারতে তবে তোমাদের শাস্তি দেয়া হতো। [২৮৮৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৬
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْحَجُّ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَوْ مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ " بَلْ مَرَّةً وَاحِدَةً فَمَنِ اسْتَطَاعَ فَتَطَوُّعٌ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-আকরা’ বিন হাসিব (রাঃ) মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কি প্রতি বছর, না মাত্র একবার? তিনি বলেনঃ বরং একবার মাত্র। অতঃপর এর অধিক করার কারো সামর্থ্য থাকলে তা নফল। [২৮৮৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّ الْمُتَابَعَةَ بَيْنَهُمَا تَنْفِي الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ " .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা ধারাবাহিকভাবে হজ্জ ও উমরাহ আদায় করো। কেননা এ দু’টি ধারাবাহিকভাবে আদায় করলে তা দারিদ্র ও গুনাহ দূরীভুত করে, যেমন হাপর লোহার মরিচা দূর করে।
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
২/২৮৮৭ (১) . উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) , মহানবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [২৮৮৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আসিম বিন উবায়দুল্লাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। উক্ত হাদিসটির ৮৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২৪ টি খুবই দুর্বল, ২৩ টি দুর্বল, ১৭ টি হাসান, ২৪ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৮১০, আহমাদ ১৬৮, ৩৬৬০, ১৫২৬৭, ১৫২৭০, ১৫২৭১, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৭৯৬, মুজামুল আওসাত ৩৮১৪, ৪৯৭৭, ৪৯৯৭, ৫৫২৯, শারহুস সুন্নাহ ১৮৪৩।
২৮৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ سُمَىٍّ، - مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةُ مَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এক উমরাহ থেকে অপর উমরাহ মাঝখানের সময়ের জন্য কাফ্ফারাস্বরূপ এবং জান্নাতই হলো মাবরূর (ত্রুটিমুক্ত) হজ্জের প্রতিদান। [২৮৮৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَسُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ حَجَّ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই ঘরের হজ্জ করেছে এবং তাতে অশালীন কথাবার্তা বা আচরণ করেনি, সে এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে যেমন তার মা তাকে (নিষ্পাপ) প্রসব করেছে। [২৮৮৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ حَجَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ وَقَطِيفَةٍ تُسَاوِي أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ أَوْ لاَ تُسَاوِي ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ حِجَّةٌ لاَ رِيَاءَ فِيهَا وَلاَ سُمْعَةَ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (উটের পিঠে) একটি পুরাতন জিন ও পালানে উপবিষ্ট অবস্থায় হজ্জ করেন। তাঁর পরিধানে ছিল একটি চাদর যার মূল্য চার দিরহাম বা তারও কম। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! এ এমন হজ্জ, যাতে কোন প্রদর্শনেচ্ছা বা প্রচারেচ্ছা নেই। [২৮৯০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু রাবী' বিন সাবীহ ও তার উসতায ইয়াযীদ বিন আবান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১৭ টি দুর্বল, ১১ টি হাসান, ৩ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মু'জামুল আওসাত ১৩৭৮, মুসান্নাফ ইবনু আবু শায়বাহ ১৬০৩৭, সহিহ ইবনু খুযাইমাহ ২৬৬২।
২৮৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَمَرَرْنَا بِوَادٍ فَقَالَ " أَىُّ وَادٍ هَذَا " . قَالُوا وَادِي الأَزْرَقِ . قَالَ " كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى مُوسَى ـ صلى الله عليه وسلم ـ - فَذَكَرَ مِنْ طُولِ شَعَرِهِ شَيْئًا لاَ يَحْفَظُهُ دَاوُدُ - وَاضِعًا إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ لَهُ جُؤَارٌ إِلَى اللَّهِ بِالتَّلْبِيَةِ مَارًّا بِهَذَا الْوَادِي " . قَالَ ثُمَّ سِرْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى ثَنِيَّةٍ فَقَالَ " أَىُّ ثَنِيَّةٍ هَذِهِ " . قَالُوا ثَنِيَّةُ هَرْشَى أَوْ لَفْتٍ . قَالَ " كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى يُونُسَ عَلَى نَاقَةٍ حَمْرَاءَ عَلَيْهِ جُبَّةُ صُوفٍ وَخِطَامُ نَاقَتِهِ خُلْبَةٌ مَارًّا بِهَذَا الْوَادِي مُلَبِّيًا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মক্কা ও মদীনার মাঝপথে ছিলাম। আমরা একটি উপত্যকা অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ এটা কোন্ উপত্যকা? সাহাবীগণ বলেন, আল-আযরাক উপত্যকা। তিনি বলেনঃ আমি মূসা (আঃ) -কে দেখতে পাচ্ছি। অতঃপর তিনি নিজের দু’ আংগুল কর্ণদ্বয়ে স্থাপন করে তাঁর দীর্ঘ কেশের কিছুটা বর্ণনা দেন, যা রাবী দাউদ পূর্ণ মনে রাখতে পারেননি। তিনি উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে করতে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় এ উপত্যকা অতিক্রম করেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমরা পথ অতিক্রম করে একটি টিলার উপর আসলাম। তিনি বলেন, এটা কোন টিলা? সাহাবীগণ বলেন, এটা হারশা অথবা লিফাত (লাফ্ত) নামীয় টিলা। তিনি বলেন, আমি যেন ইউনুস (আঃ) -কে একটি লাল বর্ণের উষ্ট্রীর উপর পশমী জুব্বা পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি, যার নাসারন্ধ্রের রমি ছিল খেজুর পাতার তৈরী এবং তিনি তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় এ উপত্যকা অতিক্রম করেন। [২৮৯১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯২
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، - مَوْلَى بَنِي عَامِرٍ - حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ " الْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللَّهِ إِنْ دَعَوْهُ أَجَابَهُمْ وَإِنِ اسْتَغْفَرُوهُ غَفَرَ لَهُمْ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হজ্জযাত্রীগণ ও উমরার যাত্রীগণ আল্লাহর প্রতিনিধিদল। তারা তাঁর নিকট দুআ’ করলে তিনি তাদের দুআ’ কবুল করেন এবং তাঁর নিকট মাফ চাইলে তিনি তাদের ক্ষমা করেন। [২৮৯২]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ وَفْدُ اللَّهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথের সৈনিক, হজ্জযাত্রী ও উমরা যাত্রীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর নিকট দুআ’ করলে তিনি তা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা তাদের দান করেন। [২৮৯৩]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْعُمْرَةِ فَأَذِنَ لَهُ وَقَالَ " يَا أُخَىَّ أَشْرِكْنَا فِي شَىْءٍ مِنْ دُعَائِكَ وَلاَ تَنْسَنَا " .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উমরা আদায় করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দেন এবং বলেনঃ “হে আমার ছোট ভাই! তোমার দুআ’র মধ্যে আমাদেরকেও শরীক করবে, আমাদের ভুলে যেও না”। [২৮৯৪]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، قَالَ وَكَانَتْ تَحْتَهُ ابْنَةُ أَبِي الدَّرْدَاءِ فَأَتَاهَا فَوَجَدَ أُمَّ الدَّرْدَاءِ وَلَمْ يَجِدْ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَقَالَتْ لَهُ تُرِيدُ الْحَجَّ الْعَامَ قَالَ نَعَمْ . قَالَتْ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا بِخَيْرٍ فَإِنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ " دَعْوَةُ الْمَرْءِ مُسْتَجَابَةٌ لأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ عِنْدَ رَأْسِهِ مَلَكٌ يُؤَمِّنُ عَلَى دُعَائِهِ كُلَّمَا دَعَا لَهُ بِخَيْرٍ قَالَ آمِينَ وَلَكَ بِمِثْلِهِ " . قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ إِلَى السُّوقِ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِ ذَلِكَ .
আবূ দারদা’ ও উম্মু দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ দারদা’ (রাঃ) এর কন্যা তার বিবাহ বন্ধনে ছিল। তিনি তার নিকট এলেন এবং সেখানে উম্ম দারদা (রাঃ) কেও উপস্থিত পেলেন কিন্তু আবূ দারদা’ (রাঃ) কে পাননি। উম্মু দারদা’ (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ বছর হজ্জ করতে চাও? সফওয়ান (রাঃ) বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, তাহলে তুমি আমাদের কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর নিকট দুআ’ করো। কেননা নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : কোন ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দুআ’ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা তার দুআ’র সময় আমীন বলতে থাকেন। যখনই সে তার কল্যাণ কামনা করে দুআ’ করে, তখন ফেরেশতা বলেন, আমীন, তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ। রাবী বলেন, অতঃপর আমি বাজারের দিকে গেলাম এবং আবূ দারদা’ (রাঃ) -র সাক্ষাত পেলাম। তিনিও নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুরূপ হাদীস আমার নিকট বর্ণনা করেন। [২৮৯৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ الْمَكِّيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا الْحَاجُّ قَالَ " الشَّعِثُ التَّفِلُ " . وَقَامَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْحَجُّ قَالَ " الْعَجُّ وَالثَّجُّ " . قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي بِالْعَجِّ الْعَجِيجَ بِالتَّلْبِيَةِ وَالثَّجُّ نَحْرُ الْبُدْنِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! কিসে হজ্জ ফরদ হয়? তিনি বলেনঃ পাথেয় ও বাহন থাকলে। সে (পুনরায়) বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জী কে? তিনি বলেনঃ যার (ইহরামের কারনে) এলোমেলো কেশ এবং দুর্গন্ধ শরীর। অপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কী? তিনি বলেন, উচ্চৈস্বরে তালবিয়া পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত (কোরবানী) করা। ওয়াকী’ (রাঃ) -এর মতে “আল-‘আজ্জ” অর্থ “তালবিয়া পাঠ” এবং “আস-সাজ্জু” অর্থ “পশু কোরবানী করা”। [২৮৯৬]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।
২৮৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৭
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِيهِ أَيْضًا، عَنِ ابْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . يَعْنِي قَوْلَهُ { مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً } .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পাথেয় ও বাহন অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার বাণী : “যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে” (সূরা আল ইমরান : ৯৭) (-এর তাৎপর্য এটাই)। [২৮৯৭]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।
২৮৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ سَفَرَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ مَعَ أَبِيهَا أَوْ أَخِيهَا أَوِ ابْنِهَا أَوْ زَوْجِهَا أَوْ ذِي مَحْرَمٍ " .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা যেন তিন দিন বা তার অধিক দূরত্বের পথ সাথে তার পিতা, ভাই, ছেলে, স্বামী অথবা কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তিন দিন বা তার অধিক দূরত্বের পথ সফর না করে। [২৮৯৮]
তাহকীকঃ সহীহ।
২৮৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৮৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَاحِدٍ لَيْسَ لَهَا ذُو حُرْمَةٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে মহিলা আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের উপর ঈমান রাখে তার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ ব্যতীত তার জন্য এক দিনের পরিমাণ দূরত্বের পথ সফর করা বৈধ নয়। [২৮৯৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০০
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِنِّي اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَامْرَأَتِي حَاجَّةٌ . قَالَ " فَارْجِعْ مَعَهَا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, অমুক অমুক যুদ্ধে যোগদানের জন্য আমার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং আমার স্ত্রী হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করেছে। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে তার সাথে হজ্জে যাও। [২৯০০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ قَالَ " نَعَمْ عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لاَ قِتَالَ فِيهِ الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলাদের জন্য কি জিহাদ বাধ্যতামূলক? তিনি বলেনঃ হাঁ, তাদের উপরও জিহাদ ফারদ, তবে তাতে অস্ত্রবাজি নাই। তা হচ্ছে হজ্জ ও উমরা। [২৯০১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْحَجُّ جِهَادُ كُلِّ ضَعِيفٍ " .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন দুর্বল ব্যক্তির জিহাদ হলো হজ্জ। [২৯০২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৯০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ شُبْرُمَةُ " . قَالَ قَرِيبٌ لِي . قَالَ " هَلْ حَجَجْتَ قَطُّ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَاجْعَلْ هَذِهِ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ احْجُجْ عَنْ شُبْرُمَةَ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন : “শুবরুমার পক্ষ থেকে আমি তোমার দরবারে হাযির হয়েছি”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করেন : শুবরুমা কে? সে বললো, আমার এক নিকটাত্মীয়। তিনি বলেনঃ তুমি কি কখনও হজ্জ করেছো? সে বললো, না। তিনি বলেনঃ তাহলে এই হজ্জ তোমার নিজের পক্ষ থেকে করো, অতঃপর শুবরুমার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। [২৯০৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ أَحُجُّ عَنْ أَبِي قَالَ " نَعَمْ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ فَإِنْ لَمْ تَزِدْهُ خَيْرًا لَمْ تَزِدْهُ شَرًّا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমি কি আমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারি? তিনি বলেনঃ হাঁ, তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। তুমি যদি তার জন্য কল্যাণ ও নেকী বৃদ্ধি করতে না পারো, তবে অন্তত তার জন্য অকল্যাণ ও পাপ বৃদ্ধি করো না। [২৯০৪]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।
২৯০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْغَوْثِ بْنِ حُصَيْنٍ، - رَجُلٌ مِنَ الْفُرْعِ - أَنَّهُ اسْتَفْتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ حِجَّةٍ كَانَتْ عَلَى أَبِيهِ مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " حُجَّ عَنْ أَبِيكَ " . وَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " وَكَذَلِكَ الصِّيَامُ فِي النَّذْرِ يُقْضَى عَنْهُ " .
আবুল গাওস বিন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট তার পিতার উপর ফরজ হওয়া হজ্জ সম্পর্কে ফতওয়া জিজ্ঞেস করেন, যিনি মারা গেছেন কিন্তু হজ্জ করতে পারেননি। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করো। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ মানতের সিয়ামও অনুরূপ অর্থাৎ তার পক্ষ থেকে তা আদায় করা যাবে। [২৯০৫]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উসমান বিন আতা ও আতা বিন মুসলিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৮৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৪২ টি খুবই দুর্বল, ১৪৫ টি দুর্বল, ১৮৭ টি হাসান, ৩১১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৫১৩, ১৮৫২, ১৮৫৪, ১৮৫৫, ২৭৬১, ৪৩৯৯, ৬২২৮, ৬৬৯৮, ৬৬৯৯, ৬৯৫৯, ৭৩১৫, মুসলিম ১১৪৯, ১১৫০, ১১৫১, ১৩৩৬, ১৬৩৯, তিরমিযি ৯২৮, ৯২৯, ৯৩০, ১৫৪৬, আবু দাউদ ১৮০৯, ১৮১০, দারিমী ১৮৩১, ১৮৩২, ১৮৩৩, ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৭, ২৩৩২, আহমাদ ১৮৯৩, ১৮৯৬, ২০০৬, ২১৪১, ২১৯০, ২৩৩২।
২৯০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعَنَ . قَالَ " حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ " .
আবূ রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ অথবা উমরা করতে বা বাহনে উপবিষ্ট থাকতে অক্ষম। নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা আদায় করো। [২৯০৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৭
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ خَثْعَمٍ جَاءَتِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ قَدْ أَفْنَدَ وَأَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَدَاءَهَا فَهَلْ يُجْزِئُ عَنْهُ أَنْ أُؤَدِّيَهَا عَنْهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نَعَمْ " .
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
খাসআম গোত্রের এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ এবং অচল হয়ে পড়েছেন। বান্দাদের উপর আল্লাহর ফরযকৃত হজ্জ তার উপর ও ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি তা আদায় করতে সক্ষম নন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করি, তবে তা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হাঁ। [২৯০৭]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি হাসান।
উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল আযিয আদ-দারাওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বোন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব হতে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহীহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস বিন আয়্যাশ বিন আবু রাবীআহ আয-যুকারী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন, অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা)
২৯০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُصَيْنُ بْنُ عَوْفٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي أَدْرَكَهُ الْحَجُّ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَحُجَّ إِلاَّ مُعْتَرِضًا . فَصَمَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " حُجَّ عَنْ أَبِيكَ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাকে হুসায়ন বিন আওফ (রাঃ) , অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি হজ্জ করতে সক্ষম নন-যদি না তাকে হাওদার সাথে বেঁধে দেয়া হয়। তিনি মুহুর্তকাল নীরব থাকার পর বলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো। [২৯০৮]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।
২৯০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯০৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَخِيهِ الْفَضْلِ، أَنَّهُ كَانَ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَدَاةَ النَّحْرِ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمٍ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَرْكَبَ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ " نَعَمْ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكِ دَيْنٌ قَضَيْتِيهِ " .
আল ফাদাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুরবানীর দিন ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সওয়ারীতে তাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন খাষআম গোত্রের এক মহিলা তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল!বান্দাদের উপর আল্লাহর ধার্যকৃত হজ্জ আমার পিতার উপরও তার বৃদ্ধ বয়সে ফারদ হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনে চড়তে সক্ষম নন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করবো? তিনি বলেনঃ হাঁ। কেননা তোমার পিতার কোন ঋণ থাকলে তাও তোমাকেই পরিশোধ করতে হতো। [২৯০৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سُوقَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَفَعَتِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا لَهَا إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ " نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হজ্জের সময় এক মহিলা তার শিশু সন্তানকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে উঁচিয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! এই শিশুর জন্যও কি হজ্জ? তিনি বলেনঃ হাঁ, তবে সওয়াব হবে তোমার। [২৯১০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِالشَّجَرَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَأْمُرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
শাজারা (যুল-হুলায়ফা) নামক স্থানে উমায়স কন্যা আসমা (রাঃ) এর নিফাস হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর (রাঃ) -কে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি যেন তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন। [২৯১১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ خَرَجَ حَاجًّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَعَهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ فَوَلَدَتْ بِالشَّجَرَةِ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَتَى أَبُو بَكْرٍ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَهُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَأْمُرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ ثُمَّ تُهِلَّ بِالْحَجِّ وَتَصْنَعَ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ إِلاَّ أَنَّهَا لاَ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ .
আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তাঁর সাথে (তাঁর স্ত্রী) উমায়স-কন্যা আসমা’ (রাঃ) -ও ছিলেন। তিনি শাজারা নামক স্থানে মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকর-কে প্রসব করলেন। আবূ বাকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন তাকে গোসল করার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধার এবং লোকেদের অনুরূপ অনুষ্ঠানাদি পালনের নির্দেশ দেন, কিন্তু সে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না। [২৯১২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتَسْتَثْفِرَ بِثَوْبٍ وَتُهِلَّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) (মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকরকে প্রসব করলেন। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করার জন্য লোক পাঠালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন গোসল করে একটি কাপড় জড়িয়ে নেন ও ইহরাম বাঁধেন। [২৯১৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৪
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَأَهْلُ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ " . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَمَّا هَذِهِ الثَّلاَثَةُ فَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মদীনাবাসীগন যুল-হুলায়ফা থেকে, সিরিয়ার অধিবাসীগন আল-জুহ্ফা থেকে, নাজ্দবাসীগণ ‘কারন’ নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, এই তিনটি মীকাতের বর্ণনা আমি সরাসরি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছি। আমি আরোও জানতে পেরেছি যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগন ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে। [২৯১৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " مُهَلُّ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ وَمُهَلُّ أَهْلِ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْمَشْرِقِ مِنْ ذَاتِ عِرْقٍ " . ثُمَّ أَقْبَلَ بِوَجْهِهِ لِلأُفُقِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ أَقْبِلْ بِقُلُوبِهِمْ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলেনঃ মদীনাবাসীগণের মীকাত যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের মীকাত আল-জুহ্ফা, ইয়ামানবাসীদের মীকাত ইয়ালামলাম, নাজদবাসীদের মীকাত ‘কারন’, প্রাচ্যের মীকাত যাতু ইরক অতঃপর তিনি দিগন্তের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেনঃ হে আল্লাহ! তাদের অন্তরসমূহ ঈমানের দিকে ধাবিত করুন। [২৯১৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৬০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৮ টি জাল, ৪২ টি খুবই দুর্বল, ১২৮ টি দুর্বল, ১৩০ টি হাসান, ১৫২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৩৩, ১৫২২, ১৫২৪, ১৫২৫, ১৫২৬, ১৫২৮, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৩১, ১৮৪৫, ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২, ১১৮৪, তিরমিযি ৮৩১, ৮৩২, আবু দাউদ ১৭৩৭, ১৭৩৯, ১৭৪০, ১৭৪২, দারিমী ১৭৯০, ১৭৯২, আহমাদ ২২৪০, ২২৭২, ৩০৫৬, ৩১৩৮, ৪৪৪১, ১৪২০৫।
২৯১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৬
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَاسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَهَلَّ مِنْ عِنْدِ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন স্বীয় পদদ্বয় বাহনের পাদানিতে রাখেন এবং তাঁর জন্তুযান তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন তিনি যুল-হুলায়ফার মসজিদের নিকট ইহরাম্ বাঁধেন| [২৯১৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي عِنْدَ ثَفِنَاتِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ قَائِمَةً قَالَ " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا " . وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আশ-শাজারা (যুল-হুলায়ফা) নামক স্থানে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উষ্ট্রীর পায়ের নিকটে ছিলাম। উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন তিনি বলেনঃ “লাব্বায়কাবি-উমরাতিন ওয়া হাজ্জাতিম-মাআন” (আমি তোমার দরবারে একসাথে হজ্জ ও উমরার সংকল্প নিয়ে হাযির হচ্ছি)। এটা বিদায় হজ্জের ঘটনা। [২৯১৭]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।
২৯১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَأَبُو أُسَامَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ تَلَقَّفْتُ التَّلْبِيَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يَقُولُ " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " . قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَزِيدُ فِيهَا لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট তালবিয়া শিখেছি। তিনি বলেনঃ “লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা লাব্বায়কা, লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়’মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা শারীকা লাকা (“হে আল্লাহ!আমি তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার দরবারে হাযির হয়েছি। তোমার কোন শরীক নেই, আমি তোমার নিকট হাযির হয়েছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব ও কর্তৃত্ব তোমার। তোমার কোন শরীক নাই”) রাবী (রহঃ) বলেন, বিন উমার (রাঃ) এর সাথে যোগ করতেনঃ “লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা ওয়া সা’দায়কা ওয়াল-খায়রু ফী ইয়াদায়কা, লাব্বায়কা ওয়ার-রাগবাউ ইলায়কা ওয়াল-আমালু” (“তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি (রাঃ) তোমার নিকট হাযির হয়েছি, তোমার নিকট হাযির আছি, তোমার খেদমতে সৌভাগ্য লাভ করেছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হয়েছি। সমস্ত আকর্ষন তোমার প্রতি এবং সকল কাজ তোমারই নির্দেশে”)। [২৯১৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯১৯
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَتْ تَلْبِيَةُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তালবিয়া ছিল নিম্নরূপঃ “লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা, লাব্বায়কা লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়’মাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা”। [২৯১৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي تَلْبِيَتِهِ " لَبَّيْكَ إِلَهَ الْحَقِّ لَبَّيْكَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর তালবিয়ায় বলেনঃ “লাব্বায়কা ইলাহাল্-হাক্ক লাব্বায়কা। [২৯২০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا مِنْ مُلَبٍّ يُلَبِّي إِلاَّ لَبَّى مَا عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ مَدَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا " .
সাহল বিন সা’দ আস-সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তিই তালবিয়া পাঠ করে, সাথে সাথে তার ডান ও বাম দিকের পাথর, গাছপালা অথবা মাটি, এমনকি দুনিয়ার সর্বশেষ প্রান্ত উভয় দিকের সবকিছু তালবিয়া পাঠ করে। [২৯২১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، حَدَّثَهُ عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ " .
সাইব বিন খাল্লাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন আমার সাহাবীগণকে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠের আদেশ দেই। [২৯২২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي لَبِيدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ مُرْ أَصْحَابَكَ فَلْيَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ فَإِنَّهَا مِنْ شِعَارِ الْحَجِّ " .
যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে বলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি আপনার সাহাবীদের নির্দেশ দিন, তারা যেন উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করে। কারন তা হজ্জের অন্যতম নিদর্শন। [২৯২৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৪
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُئِلَ أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ " الْعَجُّ وَالثَّجُّ " .
আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ কাজটি সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং কোরবানীর দিন কোরবানী করা। [২৯২৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا مِنْ مُحْرِمٍ يَضْحَى لِلَّهِ يَوْمَهُ يُلَبِّي حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ إِلاَّ غَابَتْ بِذُنُوبِهِ فَعَادَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন ইহরামধারী ব্যক্তি কোরবানীর দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানী করে এবং মধ্যাহ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনবরত তালবিয়া পাঠ করতে থাকে, সূর্য তার গুনাহরাশিসহ অস্ত যায়। তখন সে তার জন্মদিনের মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। [২৯২৫]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৯২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ - قَالَ سُفْيَانُ - بِيَدَىَّ هَاتَيْنِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই এবং ইহরাম খোলার সময় তাওয়াফে ইফাযা করার পূর্বেও আমি তাঁকে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই। সুফিয়ানের বর্ণনায় “আমার এই দু’হাত দিয়ে” কথাটুকুও উল্লেখ আছে। [২৯২৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفَارِقِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يُلَبِّي .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিঁথিতে সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি, তখন তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করছিলেন। [২৯২৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৮
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَأَنِّي أَرَى وَبِيصَ الطِّيبِ فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدَ ثَلاَثَةٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিঁথিতে তিনদিন পরেও সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি, অথচ তিনি ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। [২৯২৮]
উক্ত হাদীসের রাবী ইসমাঈল বিন মূসা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল- আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, তার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা )
২৯২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯২৯
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَنْ لاَ يَجِدَ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوِ الْوَرْسُ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলো , ইহরামধারী ব্যক্তি কিরূপ কাপড় পরিধান করবে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং মোজা পরবে না। কিন্তু তার জুতা না থাকলে, সে মোজা পরতে পারবে, তবে পায়ের গোছা বরাবর মোজার উপরিভাগ কেটে ফেলবে। সে জাফরান অথবা সুগন্ধি ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় ও পরিধান করবে না। [২৯২৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩০
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَلْبَسَ الْمُحْرِمُ ثَوْبًا مَصْبُوغًا بِوَرْسٍ أَوْ زَعْفَرَانٍ .
. আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামধারী ব্যক্তিকে কুমকুম অথবা ওয়ারস ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। [২৯৩০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩১
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ - قَالَ هِشَامٌ عَلَى الْمِنْبَرِ - فَقَالَ " مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ " . وَقَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ " فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ إِلاَّ أَنْ يَفْقِدَ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে বলতে শুনেছিঃ যে (মুহরিম ) ব্যক্তি কাপড় সংগ্রহ করতে পারেনি সে মোজা পরতে পারে। হিশামের বর্ণনায় আছেঃ কাপড়’ না পেলে সে পাজামা পরিধান করবে’। [২৯৩১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩২
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি জুতা সংগ্রহ করতে না পারলে মোজা পরিধান করবে। সে যেন গোছার উপরিভাগ কেটে নেয়। [২৯৩২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ نَزَلْنَا فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَعَائِشَةُ إِلَى جَنْبِهِ وَأَنَا إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَتْ زِمَالَتُنَا وَزِمَالَةُ أَبِي بَكْرٍ وَاحِدَةً مَعَ غُلاَمِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ فَطَلَعَ الْغُلاَمُ وَلَيْسَ مَعَهُ بَعِيرُهُ فَقَالَ لَهُ أَيْنَ بَعِيرُكَ قَالَ أَضْلَلْتُهُ الْبَارِحَةَ . قَالَ مَعَكَ بَعِيرٌ وَاحِدٌ تُضِلُّهُ قَالَ فَطَفِقَ يَضْرِبُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْمُحْرِمِ مَا يَصْنَعُ " .
আবু বাকর (রাঃ) এর কন্যা আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। আল-আরজ নামক স্থানে পৌঁছে আমরা যাত্রাবিরতি করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আয়িশাহ (রাঃ) তাঁর পাশে বসলেন এবং আমি আবু বাকর (রাঃ) -র পাশে বসলাম। ইত্যবসরে গোলাম আসলো কিন্তু তার সাথে উট ছিল না। আবু বাকর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার উট কোথায়? সে বলল , গত রাতে তা হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, তোমার সাথে একটি মাত্র উট ছিল, তাও তুমি হারিয়ে ফেললে? রাবী বলেন, তিনি তাকে মারতে শুরু করলেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দেখো ! এই ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কি করছে? [২৯৩৩]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৯৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، اخْتَلَفَا بِالأَبْوَاءِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ . وَقَالَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ لاَ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ . فَأَرْسَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ أَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يَسْتَتِرُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا قُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ . فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ . ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُهُ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُ .
আবু আয়্যুব (খালিদ বিন যায়দ) আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) এবং আল-মিসওয়ার বিন মাখরামাহ (রাঃ) আল-আবওয়া নামক স্থানে একটি বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হলেন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে। আর আল-মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, সে নিজ মাথা ধৌত করতে পারবে না। অতএব বিন আব্বাস (রাঃ) আমাকে আবু আয়্যুব আল-আনসারী (রাঃ) - র নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। আমি গন্তব্যে পৌঁছে দেখি যে, তিনি দুটি খুঁটির মাঝখানে কাপড় দ্বারা পর্দা টেনে গোসল করছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে? আমি বললাম, আমি আবদুল্লাহ বিন হুনায়ন। বিন আব্বাস (রাঃ) আমাকে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে পাঠিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতেন? রাবী বলেন, আবু আইউব (রাঃ) তার হস্তদ্বয় পর্দার কাপড়ের উপর রেখে তা মাথা পযন্ত উত্তোলন করলেন এবং আমি তার মাথা দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন, পানি ঢালো। লোকটি তার গোসলে সাহায্য করছিলো। সে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলো। তিনি স্বহস্তে তার গোটা মাথা মর্দন করলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছি। [২৯৩৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৯৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَإِذَا لَقِيَنَا الرَّاكِبُ أَسْدَلْنَا ثِيَابَنَا مِنْ فَوْقِ رُءُوسِنَا فَإِذَا جَاوَزَنَا رَفَعْنَاهَا .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِنَحْوِهِ
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। কোন কাফেলা আমাদের নিকটবর্তী হলে আমরা নিজেদের মাথার সামনে দিয়ে (মুখমণ্ডলে) কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। তারা আমাদের অতিক্রম করে যাওয়ার পর আবার তা মুখমণ্ডল থেকে তুলে ফেলতাম। [২৯৩৫]
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের একটি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলঃ]
২/২৯৩৫ (১) . {আলী বিন মুহাম্মদ ><আব্দুল্লাহ বিন ইদরীস><ইয়াযীদ বিন আবু যীয়াদ (দঈফ বা দুর্বল) ><মুজাহিদ>< আয়িশাহ (রাঃ) } [২৯৩৫]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
২৯৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ جَدَّتِهِ، - قَالَ لاَ أَدْرِي أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَوْ سُعْدَى بِنْتِ عَوْفٍ . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ عَلَى ضُبَاعَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ " مَا يَمْنَعُكِ يَا عَمَّتَاهُ مِنَ الْحَجِّ " . فَقَالَتْ أَنَا امْرَأَةٌ سَقِيمَةٌ وَأَنَا أَخَافُ الْحَبْسَ . قَالَ " فَأَحْرِمِي وَاشْتَرِطِي أَنَّ مَحِلَّكِ حَيْثُ حُبِسْتِ " .
সু’দায় বিনতু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্দুল মুত্তালিব কন্যা দুবাআ (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে ফুফুজান ! কোন জিনিস আপনাকে হজ্জ থেকে বিরত রাখছে।? তিনি বলেন, আমি একজন অসুস্থ মহিলা। আমার আশঙ্কা হয় যে, আমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পূর্ণ করতে পারব না। তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাঁধুন এবং এই শর্ত আরোপ করুন, “ যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো, সেখানেই ইহরাম মুক্ত হবো। [২৯৩৬]
তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ضُبَاعَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا شَاكِيَةٌ فَقَالَ " أَمَا تُرِيدِينَ الْحَجَّ الْعَامَ " قُلْتُ إِنِّي لَعَلِيلَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " حُجِّي وَقُولِي مَحِلِّي حَيْثُ تَحْبِسُنِي " .
দুবাআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট উপস্থিত হলেন, আমি তখন রোগগ্রস্থ ছিলাম। তিনি বলেন, আপনি কি এ বছর হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল , আমি তো অসুস্থ। তিনি বলেন, আপনি হজ্জের নিয়ত করুন এবং বলুন, “আপনি যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন সেখানে ইহরাম খুলে ফেলব”। [২৯৩৭]
তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَاوُسًا، وَعِكْرِمَةَ، يُحَدِّثَانِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَتْ ضُبَاعَةُ بِنْتُ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ ثَقِيلَةٌ وَإِنِّي أُرِيدُ الْحَجَّ فَكَيْفَ أُهِلُّ قَالَ " أَهِلِّي وَاشْتَرِطِي أَنَّ مَحِلِّي حَيْثُ حَبَسْتَنِي " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যুবায়র বিন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা দুবাআ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি রোগগ্রস্থ এবং আমি হজ্জে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি। অতএব আমি কিভাবে ইহরাম বাধব? তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাধুন এবং শর্ত রাখুন, “আপনি (আল্লাহ) যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন, সেটাই হবে আমার ইহরাম খোলার স্থান”। [২৯৩৮]
তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ صَبِيحٍ حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ حَسَّانَ أَبُو عَبْدِ اللهِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَتْ الْأَنْبِيَاءُ تَدْخُلُ الْحَرَمَ مُشَاةً حُفَاةً وَيَطُوفُونَ بِالْبَيْتِ وَيَقْضُونَ الْمَنَاسِكَ حُفَاةً مُشَاةً
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আম্বিয়া-ই কিরাম (রাঃ) হেরেমর এলাকায় পদব্রজে ও নগ্নপদে প্রবেশ করতেন এবং বায়তুল্লাহ তাওয়াফহসহ হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান নগ্নপদে ও পদব্রজে সমাপন করতেন। [২৯৩৯]
তাহকী্ক আলবানীঃ দুর্বল।
২৯৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَدْخُلُ مَكَّةَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا وَإِذَا خَرَجَ خَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চ ভূমি দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং যখন বের হতেন তখন নিম্ন ভূমি দিয়ে বের হতেন। [২৯৪০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْعُمَرِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَخَلَ مَكَّةَ نَهَارًا .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিনের বেলায় মক্কায় প্রবেশ করেন। [২৯৪১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا وَذَلِكَ فِي حَجَّتِهِ قَالَ " وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مَنْزِلاً " . ثُمَّ قَالَ " نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ - يَعْنِي الْمُحَصَّبَ - حَيْثُ قَاسَمَتْ قُرَيْشٌ عَلَى الْكُفْرِ " . وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي كِنَانَةَ حَالَفَتْ قُرَيْشًا عَلَى بَنِي هَاشِمٍ أَنْ لاَ يُنَاكِحُوهُمْ وَلاَ يُبَايِعُوهُمْ . قَالَ مَعْمَرٌ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَالْخَيْفُ الْوَادِي .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূ্লাল্লাহ ! আমরা আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবো? এটা তাঁর (বিদায়) হজ্জের সময়কার কথা। তিনি বলেন,আকীল কি আমাদের জন্য একটি বাড়িও অবশিষ্ট রেখেছে? তিনি পুনরায় বলেনঃ আমরা আগামীকাল বনূ কিনানার ঘাঁটিতে (অর্থাৎ মুহাসসাবে) অবতরণ করবো যেখানে কুরায়াশগণ কুফরীর উপর অবিচল থাকার শপথ করেছিলো। অর্থাৎ বনূ কিনানাহ কুরায়াশদের নিকট থেকে বনু হাশিমের বিরুদ্ধে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায় করে যে, তারা শেষোক্ত গোত্রের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না এবং ব্যবসায়িক লেনদেনও করবে না। মা’মার (রাঃ) বলেন, যুহরী (রাঃ) বলেছেন,আল- খায়ফ অর্থ উপত্যকা। [২৯৪২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ رَأَيْتُ الأُصَيْلِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ .
আবদুল্লাহ বিন সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আল-উসায়লিহ্ অর্থাৎ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে দেখলাম যে, তিনি হাজরে আসওয়াদে চুমা দিচ্ছেন আর বলছেন, আমি অবশ্যই তোমাকে চুম্বন করছি। আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র, তুমি ক্ষতিও করতে পারো না এবং উপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তোমায় চুমা দিতে না দেখতাম , তাহলে আমিও তোমায় চুমা দিতাম না। [২৯৪৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৪
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ الرَّازِيُّ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَيَأْتِيَنَّ هَذَا الْحَجَرُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَهُ عَيْنَانِ يُبْصِرُ بِهِمَا وَلِسَانٌ يَنْطِقُ بِهِ يَشْهَدُ عَلَى مَنْ يَسْتَلِمُهُ بِحَقٍّ " .
সাঈদ বিন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়া্মতের দিন এই পাথরকে উপস্থিত করা হবে। তার দুটি চোখ থাকবে, তা দিয়ে সে দেখবে, যবান থাকবে তা দিয়ে সে কথা বলবে এবং সে এমন লোকের অনুকূলে সাক্ষ্য দিবে যে তাকে সত্যতার সাথে চুমা দিয়েছে। [২৯৪৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْحَجَرَ ثُمَّ وَضَعَ شَفَتَيْهِ عَلَيْهِ يَبْكِي طَوِيلاً ثُمَّ الْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَبْكِي فَقَالَ " يَا عُمَرُ هَاهُنَا تُسْكَبُ الْعَبَرَاتُ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথরের দিকে মুখ করলেন, অতঃপর তার উপর নিজের দুই ঠোঁট স্থাপন করে দীর্ঘক্ষণ কাঁদলেন। অতঃপর তিনি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখলেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ও কাঁদলেন। তিনি বলেন,হে উমার ! এটাই অশ্রু প্রবাহিত করার উপযুক্ত স্থান। [২৯৪৫]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।
২৯৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْتَلِمُ مِنْ أَرْكَانِ الْبَيْتِ إِلاَّ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ وَالَّذِي يَلِيهِ مِنْ نَحْوِ دُورِ الْجُمَحِيِّينَ .
আবদুল্লাহ বিন উমার) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহর কোন রুকনে চুমা খেতেন না, কেবলমাত্র রুকনুল আসওয়াদ (কালো পাথর) এবং এর নিকটের জুমাহ গোত্রের দিককার কোণে (রুকনে ইয়ামানিতে) চুমা খেতেন। [২৯৪৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ لَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَامَ الْفَتْحِ طَافَ عَلَى بَعِيرِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ بِيَدِهِ ثُمَّ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَوَجَدَ فِيهَا حَمَامَةَ عَيْدَانٍ فَكَسَرَهَا ثُمَّ قَامَ عَلَى بَابِ الْكَعْبَةِ فَرَمَى بِهَا وَأَنَا أَنْظُرُهُ .
শায়বাহ’র কন্যা সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর যখন নিশ্চিত (নিরাপদ) হলেন তখন তিনি স্বীয় উটে আরোহণ করে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করেন এবং নিজের হাতের লাঠির সাহাস্যে রুকন (হাজরে আসওয়াদ) কে চুম্বন করেন। অতঃপর তিনি কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং তথায় কাঠের তৈরী একটি কবুতর দেখতে পান। তিনি তা ভেঙ্গে ফেলেন এবং অতঃপর তা কাবার দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে নিক্ষেপ করেন। আমি তা দেখেছিলাম। [২৯৪৭]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৯৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ عَلَى بَعِيرٍ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে একটি উটে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন এবং একটি লাঠির সাহায্যে (ইশারায়) রুকনকে চুম্বন করেন। [২৯৪৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৪৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا هَدِيَّةُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا مَعْرُوفُ بْنُ خَرَّبُوذَ الْمَكِّيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، عَامِرَ بْنَ وَاثِلَةَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ وَيُقَبِّلُ الْمِحْجَنَ .
আবূ তোফায়েল আমর বিন ওয়াসেলাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি তিনি তাঁর সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন, নিজ লাঠির সাহায্যে রুকন স্পর্শ করেন এবং লাঠিতে চুমা দেন। [২৯৪৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ الطَّوَافَ الأَوَّلَ رَمَلَ ثَلاَثَةً وَمَشَى أَرْبَعَةً مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ শুরু করতেন তখন প্রথম তিন চক্করে (তাওয়াফে) রামল করতেন (বাহু দুলিয়ে বীরদর্পে প্রদক্ষিণ করতেন) এবং চার চক্করে সাধারণভাবে হেঁটে তাওয়াফ করতেন- হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) শুরু করে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত। ইবনু উমার (রাঃ) ও তাই করতেন। [২৯৫০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আহমাদ বিন বাশীর সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। উসমান বিন সা'দ আদ-দারিমী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪/১/২৭৩ নং পৃষ্ঠা)
২৯৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ الْعُكْلِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَلَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত তিনবার রামল করতেন এবং চারবার সাধারণ গতিতে তাওয়াফ করতেন। [২৯৫১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ فِيمَ الرَّمَلاَنُ الآنَ وَقَدْ أَطَّأَ اللَّهُ الإِسْلاَمَ وَنَفَى الْكُفْرَ وَأَهْلَهُ وَايْمُ اللَّهِ مَا نَدَعُ شَيْئًا كُنَّا نَفْعَلُهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এখন এই দু’ রামলের মধ্যে কী ফায়দা আছে? এখন তো আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন এবং কুফর ও তার অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করেছেন। আল্লাহর শপথ! আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে যেসব আমল করেছি তার কিছুই ত্যাগ করব না। [২৯৫২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৯৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لأَصْحَابِهِ حِينَ أَرَادُوا دُخُولَ مَكَّةَ فِي عُمْرَتِهِ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ " إِنَّ قَوْمَكُمْ غَدًا سَيَرَوْنَكُمْ فَلَيَرَوُنَّكُمْ جُلْدًا " . فَلَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ اسْتَلَمُوا الرُّكْنَ وَرَمَلُوا وَالنَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَعَهُمْ حَتَّى إِذَا بَلَغُوا الرُّكْنَ الْيَمَانِيَّ مَشَوْا إِلَى الرُّكْنِ الأَسْوَدِ ثُمَّ رَمَلُوا حَتَّى بَلَغُوا الرُّكْنَ الْيَمَانِيَّ ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَفَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ مَشَى الأَرْبَعَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার ঘটনার পরবর্তী বছরে উমরা পালনকালে মক্কায় প্রবেশের প্রাক্কালে তাঁর সাহাবীগণকে বলেনঃ অচিরেই তোমাদের সম্প্রদায় আগামীকাল তোমাদের দেখতে পাবে। অতএব তারা যেন তোমাদের সতেজ ও চালাক চতুর দেখতে পায়। তারা মসজিদে প্রবেশ করে রুকন (পাথর) চুম্বন করেন এবং রামল করেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে ছিলেন। তারা রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে অগ্রসর হন। তারা পুনরায় রামল করে রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছান; অতঃপর রুকনুল আসওয়াদ পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে চলেন। তারা তিনবার রামল করেন ও চারবার স্বাভাবিক গতিতে হাঁটেন। [২৯৫৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، وَقَبِيصَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، يَعْلَى أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ مُضْطَبِعًا . قَالَ قَبِيصَةُ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ .
ইয়া’লা বিন উমায়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান কাঁধ খোলা রেখে এবং বাম কাঁধের উপর চাদরের উভয় কোণ একত্রে লটকিয়ে তাওয়াফ করেন। কাবীসা (রাঃ) বলেন, তাঁর পরিধানে ছিল একটি চাদর। [২৯৫৪]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৯৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْحِجْرِ . فَقَالَ " هُوَ مِنَ الْبَيْتِ " . قُلْتُ مَا مَنَعَهُمْ أَنْ يُدْخِلُوهُ فِيهِ قَالَ " عَجَزَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ " . قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا لاَ يُصْعَدُ إِلَيْهِ إِلاَّ بِسُلَّمٍ قَالَ " ذَلِكَ فِعْلُ قَوْمِكِ لِيُدْخِلُوهُ مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوهُ مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُ عَهْدٍ بِكُفْرٍ مَخَافَةَ أَنْ تَنْفِرَ قُلُوبُهُمْ لَنَظَرْتُ هَلْ أُغَيِّرُهُ فَأُدْخِلَ فِيهِ مَا انْتَقَصَ مِنْهُ وَجَعَلْتُ بَابَهُ بِالأَرْضِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হিজর (হাতীম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেনঃ তা বাইতুল্লার অন্তর্ভূক্ত। আমি বললাম, তাকে কা’বার অন্তর্ভূক্ত করতে কোন জিনিস তাদের বাধা দিলো? তিনি বলেনঃ অর্থাভাব তাদের অপারগ করে দিয়েছিল। আমি বললাম, তার দরজা এতো উঁচুতে স্থাপিত হওয়ার কারণ কী যে, তাতে সিঁড়ি ব্যতীত উঠা যায় না? তিনি বলেনঃ তা তোমার সম্প্রদায়ের কান্ড। তাদের মর্জি হলে কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারতো, আর যাদেরকে ইচ্ছা তাতে প্রবেশে বাধা দিতো। তোমার সম্প্রদায়ের কুফরী ত্যাগের যুগ যদি অতি নিকট না হতো এবং (কাবা ঘর ভাঙার কারণে) তাদের মধ্যে বিতৃষ্ণার উদ্রেক হওয়ার আশঙ্কা না থাকতো, তাহলে তুমি দেখতে পেতে আমি কিভাবে তা পরিবর্তন করতাম! তা থেকে যা বাদ দেওয়া হয়েছিল আমি পুনরায় তা এর অন্তর্ভূক্ত করতাম আবং তার দরজা ভূমি বরাবর স্থাপন করতাম। [২৯৫৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলো এবং দু’ রাকাআত নামায পড়লো, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য। [২৯৫৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي سَوِيَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ هِشَامٍ، يَسْأَلُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ، وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " وُكِلَ بِهِ سَبْعُونَ مَلَكًا فَمَنْ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - قَالُوا آمِينَ " . فَلَمَّا بَلَغَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ مَا بَلَغَكَ فِي هَذَا الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ فَاوَضَهُ فَإِنَّمَا يُفَاوِضُ يَدَ الرَّحْمَنِ " . قَالَ لَهُ ابْنُ هِشَامٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ فَالطَّوَافُ قَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَلاَ يَتَكَلَّمُ إِلاَّ بِسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَقُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مُحِيَتْ عَنْهُ عَشْرُ سِيِّئَاتٍ وَكُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ بِهَا عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَمَنْ طَافَ فَتَكَلَّمَ وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَالِ خَاضَ فِي الرَّحْمَةِ بِرِجْلَيْهِ كَخَائِضِ الْمَاءِ بِرِجْلَيْهِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনে হিশামকে রকনে ইয়ামানী সম্পর্কে আ’তা বিন আবূ রাবাহ (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি তখন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (রুকনে ইয়ামানীতে) সত্তরজন ফেরেশতা মোতায়েন আছেন। অতএব যে ব্যক্তি বলে, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকাল আফওয়া, ওয়াল-আফিয়াতা ফিদ-দুনয়া ওয়াল-আখিরাতে রব্বানা আতিনা ফিদ-দুনয়া হাসানাতান ওয়াফিল-আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকিনা আযাবান-নার,” তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন। (“হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি দুনিয়া ও আখিরাতের। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেরও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন”)।
আতা’ বিন আবূ রাবাহ (রাঃ) রুকনুল-আসওয়াদ (হাজরে আসওয়াদ) পৌঁছালে ইবনু হিশাম (রাঃ) বলেন, হে আবূ মুহাম্মদ! এই রুকনল আসওয়াদ সম্পর্কে আপনি কী জানতে পেরেছেন? আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ “যে কেউ তার সামনা-সামনি হলো, সে যেন দয়াময় আল্লাহর হাতের সামনাসামনি হলো। ইবনু হিশাম পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আবূ মুহাম্মদ! তাওয়াফ সম্পর্কে কী এসেছে? আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ “যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’, তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে, তার জন্য দশটি নেকি লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফরত অবস্থায় কথা বলে, সে তার পদদ্বয় কেবল রহমাতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে, যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবে থাকে।” [২৯৫৭]
তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল।
২৯৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ السَّهْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا فَرَغَ مِنْ سَبْعِهِ جَاءَ حَتَّى يُحَاذِيَ بِالرُّكْنِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فى حَاشِيَةِ الْمَطَافِ وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطُّوَّافِ أَحَدٌ . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا بِمَكَّةَ خَاصَّةً .
আল-মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি যে, তিনি সাত চক্কর তাওয়াফ শেষ করে হাজরে আসওয়াদ বরাবর এলেন এবং মাতাফের প্রান্তে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তাঁর ও তাওয়াফের মাঝে আর কেউ ছিল না। ইবনু মাজাহ (রহঃ) বলেন, এটা (সুতরাবিহীন অবস্থায় সলাত আদায় করা) কেবল মক্কার জন্য নির্দিষ্ট। [২৯৫৮]
তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল।
২৯৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৫৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدِمَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ - قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي عِنْدَ الْمَقَامِ - ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মক্কায়) পৌঁছে সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন, অতঃপর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেন। (ওয়াকী’ বলেন, অর্থাৎ মাকামে ইবরাহীমের নিকটে) , অতঃপর সাফা পর্বতের দিকে রওয়ানা হন। [২৯৫৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
বুখারী ১৬৬, ৩৯৬, ৪৯২, ১৫৪১, ১৫৭৩, ১৫৭৪, ১৬০৩, ১৬০৪, ১৬১৬, ১৬১৭, ১৬২৪, ১৬২৭, ১৬৪৪, ১৬৪৬, ১৬৪৭, ১৬৯২, ১৭৯৪, ২৭০২, মুসলিম ২০৩৩, ২০৩৭, ২১৫৯, ২১৬০, ২১৭২, ২২০৬, ২২০৭, ২২০৯, ২২১০, ২২১২, ২২২৫, ২৩৯৭, তিরমিযি ৮১৮, ৮২৪, ৮৬১, ৮৬৪, নাসাঈ ২৭৩২, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৯৩০, ২৯৪০, ২৯৪১, ২৯৪২, ২৯৪৩, ২৯৪৬, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭৬, আবু দাউদ ১৭৭১, ১৭৭২, ১৮০৫, ১৮৬৫, ১৮৯১, ১৮৯৩, ১৯০৪, ৪০৬৪, ৪২১০, আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৫৭১, ৪৬০৪, ৪৬১৪, ৪৮২৯, ৪৮৭২, ৪৯৬৩, ৫১৭৯, ৫২১৬, ৫৩৭৮, ৫৪২১, ৫৭০৩, ৫৭২৬, ৫৮৬০, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬২০২, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, মালিক ৭১৪, ৭৪০, ৭৪২, ৮১৭, ৯২৩, দারিমী ১৮৩৮, ১৮৪১, ১৮৪২, ১৯২৭, ১৯৩১, রাওদুন নাদীর ৫২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন সাবিত আল-আবদী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫১০৪, ২৪/৫৫৪ নং পৃষ্ঠা)
২৯৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ طَوَافِ الْبَيْتِ أَتَى مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا مَقَامُ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ الَّذِي قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} . قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِمَالِكٍ هَكَذَا قَرَأَهَا {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} قَالَ نَعَمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমে এলেন। তখন উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এট আমাদের পিতা (পূর্ব পুরুষ) ইবরাহীম (আঃ) এর স্থান, যে সম্পর্কে মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ করো।” (সুরা বাকারাঃ ১২৫)। ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি ইমাম মালিক (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এভাবে পাঠ করেছেনঃ “ওয়াত্তাখিযু মিম-মাকামি ইবরাহীমা মুসাল্লা”? তিনি বলেন, হাঁ। [২৯৬০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আল-আব্বাদ বিন উসমান আদ-দিমাশকী সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুমায় বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৩২, ১৪/২৩৩ নং পৃষ্ঠা)
২৯৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا مَرِضَتْ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تَطُوفَ مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَهِيَ رَاكِبَةٌ . قَالَتْ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي إِلَى الْبَيْتِ وَهُوَ يَقْرَأُ {وَالطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ} . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ .
উম্মু সালমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রোগগ্রস্ত হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে লোকদের পেছনে পেছনে জন্তুযানে আরোহিত অবস্থায় তাওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন। উম্মু সালমাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামায পরতে দেখেছি এবং তাতে তিনি “ওয়াত-তূর ওয়া কিতাবিম-মাসতূর” সূরা তিলাওয়াত করেন। ইবনু মাজাহ (রঃ) বলেন, এটা আবূ বকর বর্ণিত হাদীস। [২৯৬১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُثَنَّى بْنَ الصَّبَّاحِ، يَقُولُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ طُفْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَلَمَّا فَرَغْنَا مِنَ السَّبْعِ رَكَعْنَا فِي دُبُرِ الْكَعْبَةِ فَقُلْتُ أَلاَ نَتَعَوَّذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ . قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ . قَالَ ثُمَّ مَضَى فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ ثُمَّ قَامَ بَيْنَ الْحَجَرِ وَالْبَابِ فَأَلْصَقَ صَدْرَهُ وَيَدَيْهِ وَخَدَّهُ إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُ .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) এর সাথে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলাম। আমরা সাতবার তাওয়াফ শেষে কা’বার পশ্চাতে নামায পড়লাম। অতঃপর আমি বললাম, আমরা কি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবো না? তিনি বলেন, আমি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি অগ্রসর হয়ে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন, অতঃপর হাজরে আসওয়াদ ও কা’বার দরজার মাঝ বরাবর দাঁড়ান, অতঃপর তার নিজের বুক, হস্তদ্বয় ও গাল তার সাথে লাগান এবং বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপ করতে দেখেছি। [২৯৬২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আল মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৪ টি খুবই দুর্বল, ৭ টি দুর্বল, ১ টি হাসান, ১৪ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ১৮৯৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯০৪৩, শুআবুল ঈমান ৪০৫৮।
২৯৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ نَرَى إِلاَّ الْحَجَّ فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ سَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ مَالَكِ أَنَفِسْتِ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاقْضِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ " . قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল হজ্জ আদায় করা। আমরা সারিফ নামক স্থানে অথবা তার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছালাম, তখন আমার মাসিক ঋতু শুরু হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কী হয়েছে, তুমি কি ঋতুগ্রস্ত হয়েছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ এটি এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ তাআলা আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তুমি হজ্জের সমস্ত অনুষ্ঠান পালন করো, শুধুমাত্র বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করো না। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানী করেন। [২৯৬৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَأَبُو مُصْعَبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ - عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ، وَحَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেছেন। [২৯৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযিয আদ-দারাওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বোন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব হতে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহীহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
২৯৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ أَفْرَدُوا الْحَجَّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বকর, উমার ও উসমান (রাঃ) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৭]
তাহকীক আলবানীঃ সনদটি দূর্বল।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী কাসিম বিন আবদুল্লাহ আল-উমারী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার থেকে হাদিস কখনই গ্রহন করিনি ও তার থেকে গ্রহন করার ইচ্ছাও করিনি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও জাল (বানোয়াট) হাদিস বর্ণনা করতেন মানুষ তার হাদিস বর্জন করেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৯৮, ২৩/৩৭৫ নং পৃষ্ঠা)
২৯৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى مَكَّةَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجَّةً " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ “আমি উমরা ও হজ্জের উদ্দেশ্যে হাজির”। [২৯৬৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৬৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আমি উমরা ও হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার দরবারে হাজির হচ্ছি”। [২৯৬৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ الصُّبَىَّ بْنَ مَعْبَدٍ، يَقُولُ كُنْتُ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ فَأَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَسَمِعَنِي سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَأَنَا أُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا بِالْقَادِسِيَّةِ فَقَالاَ لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ فَكَأَنَّمَا حَمَلاَ عَلَىَّ جَبَلاً بِكَلِمَتِهِمَا فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمَا فَلاَمَهُمَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَىَّ فَقَالَ هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ قَالَ شَقِيقٌ فَكَثِيرًا مَا ذَهَبْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ نَسْأَلُهُ عَنْهُ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَخَالِي يَعْلَى قَالُوا حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنِ الصُّبَىِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِنَصْرَانِيَّةٍ فَأَسْلَمْتُ فَلَمْ آلُ أَنْ أَجْتَهِدَ، فَأَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সূবায় বিন মা’বাদ বলেন) “আমি ছিলাম একজন নাসারা (খৃষ্টান)। অতঃপর ইসলাম গ্রহন করি। আমি হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধলাম। সালমান বিন রবী’আ ও যায়েদ বিন সূহান (রাঃ) উভয়ে আমাকে কাদিসিয়ায় হজ্জ ও উমরার একত্রে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেন। তখন তারা বলেন “এই ব্যাক্তি তো উটের চেয়েও পথভ্রষ্ট। তাদের এ মন্তব্য যেন আমার উপর একটি পাহাড় নিক্ষেপ করলো। তাই আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করলাম। তিনি তাদের উভয়কে তিরষ্কার করলেন এবং আমাকে বললেন, তুমি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছো,তুমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত অনুযায়ী আমল করেছো। হিশাম (রাঃ আঃ) তার বর্ণিত হাদীসে বলেন , শাকীক (রাঃ আঃ) বলেছেন,আমি ও মাসরূক অনেকবার (সুবাই ইব্ন মা’বাদের নিকট ) গিয়েছি এবং এ হাদীস সম্পর্কে তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছি। [উপরোক্ত হাদীসে মোট ৫টি সনদের ২ টি বর্ণিত হয়েছে, অপর তিনটি সনদ হলোঃ]
৪/২৯৭০ (১) . উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (সুবায়) বলেন, যুবক বয়সে আমি খৃষ্টান ছিলাম। অতঃপর ইসলাম গ্রহন করি এবং ইবাদত –বন্দেগী করার চেষ্টা করি। আমি একই সাথে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাধলাম.......। পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [২৯৭০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে অবহিত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই ইহরামে হজ্জ ও উমরা আদায় করেন (কিরান হজ্জ করেন)। [২৯৭১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ حَارِثٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَامِعٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَطَاوُسٍ، وَمُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَابْنِ، عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يَطُفْ هُوَ وَأَصْحَابُهُ لِعُمْرَتِهِمْ وَحَجَّتِهِمْ حِينَ قَدِمُوا إِلاَّ طَوَافًا وَاحِدًا .
জাবির বিন আব্দুল্লাহ, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগন মক্কায় পৌছে হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্যে একবার (সাত চক্র) মাত্র তাওয়াফ করেন। [২৯৭২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৭, ২৪/২৭৯ নং পৃষ্ঠা)
২৯৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৩
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ لِلْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ طَوَافًا وَاحِدًا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে এক তাওয়াফ করেন। [২৯৭৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আশআস (বিন সাওয়ার) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৪, ৩/২৬৪ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আশআস (বিন সাওয়ার) এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৩২, মুসলিম ১২১২, ১২১৩, তিরমিযি ৯৪৮, আবু দাউদ ১৮৯৭, দারিমী ১৮৪৪, আহমাদ ২২২৪, ৪৯৪৪, ১৪৬৬৭, ২৪৪১০, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৫৭৭, ২৫৭৮, দারাকুতনী ২৫৬৯, ২৫৭০, ২৫৭২, ২৫৯০, ২৫৯১, ২৫৯৩, ২৫৯৫, ২৫৯৬, ২৫৯৯, ২৬০১, ২৬০২, ২৬০৩, মু'জামুল আওসাত ৫৫৮০, ৮০৭৮।
২৯৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَدِمَ قَارِنًا فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি কিরান হজ্জের ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) আগমন করেন। তিনি সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করেন, অতঃপর বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করেছেন। [২৯৭৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী মুসলিম বিন খালিদ আয-যানজী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। আবু জা'ফার আল-উকায়লী ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯২৫, ২৭/৫০৮ নং পৃষ্ঠা)
২৯৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৫
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَحْرَمَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كَفَى لَهُمَا طَوَافٌ وَاحِدٌ وَلَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَيَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ বলেনঃ কোন ব্যাক্তি হজ্জ ও উমরার জন্যে একত্রে ইহরাম বাধলে এদূভয়ের জন্য এক তাওয়াফই যথেষ্ট।সে হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান পালন না করা পর্যন্ত ইহরাম মুক্ত হতে পারেনা। সে হজ্জ ও উমরা থেকে একই সাথে ইহরাম মুক্ত হবে। [২৯৭৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، - يَعْنِي دُحَيْمًا - حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ وَهُوَ بِالْعَقِيقِ " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ " . وَاللَّفْظُ لِدُحَيْمٍ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আল-আকীক নামক স্থানে অবস্থানকালে বলতে শুনেছিঃ আমার প্রতিপালক থেকে একজন দূত এসে বলেন, এই বরকতময় উপত্যকায় নামাজ পড়ুন এবং বলুনঃ উমরা ও হজ্জের (ইহরাম)। হাদীসের মূল পাঠ দুহায়ম এর বর্ণনা অনূযায়ী। [২৯৭৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَطِيبًا فِي هَذَا الْوَادِي فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
সুরাকা বিন জু’সুম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণদানের উদ্দেশ্যে এই উপত্যকায় দাঁড়িয়ে বলেনঃ জেনে রাখো! কেয়ামত পর্যন্ত হজ্জের সাথে উমরা আদায় করা যেতে পারে। [২৯৭৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، يَزِيدَ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَخِيهِ، مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ قَالَ قَالَ لِي عِمْرَانُ بْنُ الْحُصَيْنِ إِنِّي أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ بَعْدَ الْيَوْمِ اعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ أَعْمَرَ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِهِ فِي الْعَشْرِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَلَمْ يَنْهَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلَمْ يَنْزِلْ نَسْخُهُ قَالَ فِي ذَلِكَ بَعْدُ رَجُلٌ بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ أَنْ يَقُولَ .
ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় আমি তোমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করবো। আশা করি আল্লাহ তাআলা আজকের দিনের পর থেকে এ হাদীস দ্বারা তোমাকে উপকৃত করবেন। জেনে রাখো! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর পরিবারের একদল সদস্য যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের মধ্যে উমরা আদায় করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে বাঁধা দেননি এবং তা রহিতকারী কোন আয়াতও নাযিল হয়নি। কিন্তু পরবর্তী কালে এক ব্যাক্তি (উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ) এ সম্পর্কে নিজ ইচ্ছামত যা বলার তাই বলেন। [২৯৭৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي بِالْمُتْعَةِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ رُوَيْدَكَ بَعْضَ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ . حَتَّى لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ عُمَرُ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَلَهُ وَأَصْحَابُهُ وَلَكِنِّي كَرِهْتُ أَنْ يَظَلُّوا بِهِنَّ مُعْرِسِينَ تَحْتَ الأَرَاكِ ثُمَّ يَرُوحُونَ بِالْحَجِّ تَقْطُرُ رُءُوسُهُمْ .
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আবূ মূসা আল–আশআরী) তিনি তামাত্তু হজ্জের অনুকূলে ফতোয়া দিতেন। এক ব্যাক্তি তাকে বললো, আপনি আপনার কতক ফতোয়া দেয়া ছেড়ে দিন বা ত্যাগ করুন। আপনার জানা নেই যে, আপনার পরে আমীরুল মুমিনীন (উমার) হজ্জের ব্যাপারে নতুন হুকুম জারী করেছেন। অবশেষে আমি (আবূ মূসা) তার সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তখন উমার (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই জানি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগণ তামাত্তু হজ্জ করেছেন। কিন্তু আমার নিকট এটা খুবই খারাপ লাগে যে, লোকেরা গাছের নীচে স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবে, অতঃপর মাথার চুল থেকে পানি পতিত অবস্থায় হজ্জে যাবে। [২৯৭৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْحَجِّ خَالِصًا لاَ نَخْلِطُهُ بِعُمْرَةٍ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا طُفْنَا بِالْبَيْتِ وَسَعَيْنَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً وَأَنْ نَحِلَّ إِلَى النِّسَاءِ . فَقُلْنَا مَا بَيْنَنَا لَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ فَنَخْرُجُ إِلَيْهَا وَمَذَاكِيرُنَا تَقْطُرُ مَنِيًّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنِّي لأَبَرُّكُمْ وَأَصْدَقُكُمْ وَلَوْلاَ الْهَدْىُ لأَحْلَلْتُ " . فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ أَمُتْعَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا أَمْ لأَبَدٍ فَقَالَ " لاَ بَلْ لأَبَدِ الأَبَدِ " .
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা কেবল হজ্জের নিয়তে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ইহরাম বাঁধলাম, এর সাথে উমরার নিয়ত করিনি। যিলহজ্জ মাসের চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা মক্কায় উপনীত হলাম। আমরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ সমাপ্ত করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইহরাম (ভঙ্গ করে) উমরার ইহরামে পরিনত করার নির্দেশ দেন এবং স্ত্রীদের সাথে মেলামেশার অনুমতি দেন। আমরা আরয করলাম, আমাদের লজ্জাস্থান থেকে বীর্য নির্গত হওয়ার পরপরই আরাফতের দিকে অগ্রসর হবো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক সৎকর্মশীল ও সর্বাধিক সত্যবাদী। আমার সাথে কোরবানির পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুরাকা বিন মালিক (রাঃ) জিজ্ঞেস করেন, এ সুযোগ কি আমাদের এ বছরের জন্য, না চিরকালের জন্য? তিনি বলেনঃ না, চিরকালের জন্য। [২৯৮০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৯৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ لاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا وَدَنَوْنَا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ أَنْ يَحِلَّ فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ دُخِلَ عَلَيْنَا بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقِيلَ ذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ أَزْوَاجِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যিলকাদ মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। হজ্জ করাই ছিল আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আমরা গন্তব্যে (মক্কায়) বা তার কাছাকাছি পৌঁছলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দেন, যার সাথে কোরবানির পশু নেই সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। অতএব যাদের সাথে কোরবানির পশু ছিল তারা ব্যতীত আর সকলেই ইহরাম খুলে ফেলেন। কোরবানির দিন আমাদের জন্য গরুর গোশত নিয়ে আসা হল এবং বলা হল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন। [২৯৮১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৯৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَصْحَابُهُ فَأَحْرَمْنَا بِالْحَجِّ فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ " اجْعَلُوا حَجَّكُمْ عُمْرَةً " . فَقَالَ النَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَحْرَمْنَا بِالْحَجِّ فَكَيْفَ نَجْعَلُهَا عُمْرَةً قَالَ " انْظُرُوا مَا آمُرُكُمْ بِهِ فَافْعَلُوا " . فَرَدُّوا عَلَيْهِ الْقَوْلَ فَغَضِبَ فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ غَضْبَانَ فَرَأَتِ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ فَقَالَتْ مَنْ أَغْضَبَكَ أَغْضَبَهُ اللَّهُ قَالَ " وَمَالِي لاَ أَغْضَبُ وَأَنَا آمُرُ أَمْرًا فَلاَ أُتْبَعُ " .
আল-বারা বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগণ রওনা হলেন। আমরা হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। আমরা মক্কায় পৌঁছলে তিনি বলেনঃ তোমাদের হজ্জকে উমরায় পরিণত করো। লোকেরা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমরা তো হজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধেছি, তা কিরুপে উমরায় পরিনত করবো? তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর, আমি তোমাদের যা নির্দেশ করি তা করো। তারা তাদের কথার পুনরাবৃত্তি করলে তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে স্থান ত্যাগ করেন এবং এই অবস্থায় আয়িশাহ (রাঃ) -র নিকট যান। তিনি তাঁর চেহারায় অসন্তোষের ভাব লক্ষ্য করে বলেন, আপনাকে কে অসন্তুষ্ট করেছে, আল্লাহ তাকে অসন্তুষ্ট করুন? তিনি বলেনঃ আমি কীভাবে অসন্তুষ্ট না হয়ে পারি, আমি কোনো কাজের হুকুম করি, অথচ তা মান্য করা হবে না? [২৯৮২]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
২৯৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৩
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُحْرِمِينَ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُقِمْ عَلَى إِحْرَامِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَحْلِلْ " . قَالَتْ وَلَمْ يَكُنْ مَعِي هَدْىٌ فَأَحْلَلْتُ وَكَانَ مَعَ الزُّبَيْرِ هَدْىٌ فَلَمْ يَحِلَّ فَلَبِسْتُ ثِيَابِي وَجِئْتُ إِلَى الزُّبَيْرِ فَقَالَ قُومِي عَنِّي . فَقُلْتُ أَتَخْشَى أَنْ أَثِبَ عَلَيْكَ .
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা ইহরাম অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাদের সাথে কোরবানির পশু আছে তারা যেন ইহরাম অবস্থায় থাকে। আর যাদের সাথে কোরবানির পশু নেই তারা যেন ইহরাম ভঙ্গ করে। রাবী বলেন, আমার সাথে কোরবানির পশু না থাকায় আমিও ইহরাম ভঙ্গ করলাম, কিন্তু (আমার স্বামী) যুবাইর (রাঃ) -র সাথে কোরবানির পশু থাকায় তিনি ইহরাম ভঙ্গ করতে পারেননি। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্র পরে যুবাইর (রাঃ) -র নিকট আসলে তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট থেকে উঠে যাও। আমি বললাম, আপনি কি আশঙ্কা করছেন যে, আমি আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বো? [২৯৮৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ فَسْخَ الْحَجِّ فِي الْعُمْرَةِ لَنَا خَاصَّةً أَمْ لِلنَّاسِ عَامَّةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَلْ لَنَا خَاصَّةً " .
বিলাল ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করে উমরা করার সুযোগ কি কেবল আমাদের পর্যন্তই সীমিত, না সাধারণভাবে সব লোকের জন্য উন্মুক্ত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বরং আমাদের জন্যই সীমিত। [২৯৮৪]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
২৯৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ كَانَتِ الْمُتْعَةُ فِي الْحَجِّ لأَصْحَابِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَاصَّةً .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করার সুযোগ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণের মধ্যে সীমিত ছিল। [২৯৮৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৯৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ، قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَىَّ جُنَاحًا أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ . قَالَتْ إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . إِنَّمَا أُنْزِلَ هَذَا فِي نَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ كَانُوا إِذَا أَهَلُّوا أَهَلُّوا لِمَنَاةَ فَلاَ يَحِلُّ لَهُمْ أَنْ يَطَّوَّفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْحَجِّ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَهَا اللَّهُ فَلَعَمْرِي مَا أَتَمَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَجَّ مَنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
হিশাম বিন উরওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
আমার পিতা আমাকে অবহিত করে বলেছেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) – কে বললাম, আমি যদি সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ না করি তবে তা আমার জন্য দূষণীয় মনে করি না। তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ বলেছেনঃ “সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে কেউ কাবা ঘরের হজ্জ অথবা উমরাহ সম্পন্ন করে, এই দু’টির মাঝে সাঈ করলে তার কোনো পাপ নেই” (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তুমি যেরূপ বুঝেছ যদি তাই হত তবে এভাবে বলা হতঃ “তবে এ দু’টির মাঝে সাঈ না করলে তার কোনো গুনাহ নেই”। উপরোক্ত আয়াত আনসার সম্প্রদায়ের কতক লোকের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। তারা যখন ইহরাম বাঁধতো (জাহিলী যুগে) মানাত দেবতার উদ্দেশ্যে বাঁধতো। তাই সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা (তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী) তাদের জন্য হালাল ছিলো না। তারা (ইসলামোত্তর যুগে) মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জ করতে এসে বিষয়টি তাঁর সামনে উত্থাপন করলে তখন আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত আয়াত নাযিল করেন। (আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমার জীবনের শপথ! যে ব্যক্তি হজ্জ করতে এসে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করবে না মহান আল্লাহ তার হজ্জ পূর্ণ করবেন না। [২৯৮৬]
২৯৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ أُمِّ وَلَدِ، شَيْبَةَ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ يَقُولُ " لاَ يُقْطَعُ الأَبْطَحُ إِلاَّ شَدًّا " .
শায়বার উম্মু ওয়ালাদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে দেখেছি এবং তিনি তখন বলছিলেনঃ আল-আবতাহ্ উপত্যকা অতিক্রম করতে হবে। [২৯৮৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ إِنْ أَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْعَى وَإِنْ أَمْشِ فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَمْشِي وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যদি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করে দৌড়াই তবে তা এজন্য যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাঈ করতে দেখেছি। আমি যদি তা হেঁটে অতিক্রম করি তবে তা এজন্য যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তা হেঁটে অতিক্রম করতে দেখেছি। আমি তো একজন অতি বৃদ্ধ। [২৯৮৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী জাররাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা ছিলো। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯১০, ৪/৫১৭ নং পৃষ্ঠা)
আতা ইবনুস সায়িব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আয়্যুব বিন আবু তামিমাহ আস-সাখতিয়ানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৩৪, ২০/৮৬ নং পৃষ্ঠা)
২৯৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৮৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْخُشَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ، أَخْبَرَنِي طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْحَجُّ جِهَادٌ وَالْعُمْرَةُ تَطَوُّعٌ " .
তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ হাজ্জ হলো জিহাদ এবং উমরা হলো নফল। [২৯৮৯]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
২৯৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِينَ اعْتَمَرَ فَطَافَ وَطُفْنَا مَعَهُ وَصَلَّى وَصَلَّيْنَا مَعَهُ وَكُنَّا نَسْتُرُهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ لاَ يُصِيبُهُ أَحَدٌ بِشَىْءٍ .
আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে ছিলাম। তিনি উমরা করা কালে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করেন, আমরাও তাঁর সাথে তাওয়াফ করি, তিনি সলাত আদায় করেন এবং আমরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করি। আমরা তাঁকে মক্কাবাসীদের থেকে আড়াল করে রাখতাম যাতে কেউ তাঁর কোনরূপ ক্ষতি করার সুযোগ না পায়। [২৯৯০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَيَانٍ، وَجَابِرٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً " .
ওয়াহব বিন খানবাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের উমরা (সওয়াবের ক্ষেত্রে ) হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু জাবির এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০তি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ৭৭৭, ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৭১৪৬, ২৬৫৬৪, মু'জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮।
২৯৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الزَّعَافِرِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ هَرِمِ بْنِ خَنْبَشٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً " .
হারিম বিন খানবাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের উমরা হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
আহমাদ ১৭১৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন ইয়াযীদ আয-যাআফিরী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৯১, ৮/৪৬৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু দাউদ বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ৭৭৭, ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৭১৪৬, ২৬৫৬৪, মু'জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮।
২৯৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৩
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَعْقِلٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً " .
আবূ মা‘কিল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের একটি উমরা একটি হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস ও ইবরাহীম বিন উসমান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, মুয়াত্তা মালিক ৭৭৭, আহমাদ ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৪৮৪৬, ১৫৯৭১, ১৭১৪৮, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২২২৫, ২৮৭৮, ২৮৮০, সহিহ ইবনু ইব্বান ৩৬৯৯, ৩৭০০, মু'জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮, ৮১৫৬।
২৯৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমদানের একটি উমরা একটি হাজের সমতুল্য। [২৯৯৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রমদান মাসের উমরা হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল যিলকাদ মাসেই উমরা করেছেন। [২৯৯৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عُمْرَةً إِلاَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলকাদ মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে উমরা করেননি। [২৯৯৭]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
২৯৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي ثَابِتٍ - عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ فِي أَىِّ شَهْرٍ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي رَجَبٍ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ مَا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي رَجَبٍ قَطُّ وَمَا اعْتَمَرَ إِلاَّ وَهُوَ مَعَهُ - تَعْنِي ابْنَ عُمَرَ .
উরওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু উমার (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন মাসে উমরা করেছেন? তিনি বলেন, রজব মাসে। তখন আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও রজব মাসে উমরা করেননি। আর তিনি যখনই উমরা করেছেন, বিন উমার (রাঃ) তাঁর সাথে ছিলেন (কিন্তু তিনি ভুলবশত রজব মাসে বলেছেন)। [২৯৯৮]
২৯৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ২৯৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ شَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ فَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ .
আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন আয়িশাহ (রাঃ) -কে নিজের জন্তুযানে করে নিয়ে যান এবং তানঈম নামক স্থান থেকে তার উমরা করার ব্যবস্থা করেন। [২৯৯৯]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ نُوَافِي هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهْلِلْ فَلَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ " . قَالَتْ فَكَانَ مِنَ الْقَوْمِ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ فَكُنْتُ أَنَا مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ . قَالَتْ فَخَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا مَكَّةَ فَأَدْرَكَنِي يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَنَا حَائِضٌ لَمْ أَحِلَّ مِنْ عُمْرَتِي فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " دَعِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ " . قَالَتْ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ وَقَدْ قَضَى اللَّهُ حَجَّنَا أَرْسَلَ مَعِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي وَخَرَجَ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ فَقَضَى اللَّهُ حَجَّنَا وَعُمْرَتَنَا وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ هَدْىٌ وَلاَ صَدَقَةٌ وَلاَ صَوْمٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার কাছাকাছি সময়ে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বিদায় হজ্জে রওয়ানা হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধতে চায় সে তা করতে পারে। আমি যদি সাথে কোরবানির পশু না আনতাম তবে অবশ্যই উমরার ইহরাম বাঁধতাম। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, কাফেলার কতক উমরার উদ্দেশ্যে এবং কতক হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলো। যারা উমরার নিয়াতে ইহরাম বাঁধে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমরা রওয়ানা হয়ে মক্কায় পৌছলাম। আরাফাত দিবস নিকটবর্তী হলে আমি হায়েজগ্রস্থ হলাম এবং তখনও উমরার ইহরাম খুলিনি। এ ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেন: তুমি উমরা ত্যাগ করো, মাথার চুলের বাঁধন খুলে ফেলো, তাতে চিরুনী করো এবং হজ্জের ইহরাম বাঁধো। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। যখন হাসবার রাত (যিলহজ্জ মাসের ১২ তম রাত) এলো এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের হজ্জ পূর্ণ করলেন তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে (আমার ভাই) আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (রাঃ) কে পাঠালেন। তিনি আমাকে তাঁর উটের পিঠে পেছন দিকে তুলে নিয়ে তানঈম রওনা হলেন। সেখানে আমি উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলাম। এভাবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করে দিলেন এবং এজন্য আমাদের উপর না কোরবানী, না সদাকা, আর না রোযা বাধ্যতামূলক হয়েছিল। [৩০০০]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ أُمَيَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ غُفِرَ لَهُ " .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদিস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধে, তাকে ক্ষমা করা হয়। [৩০০১]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
৩০০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ أُمَيَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَانَتْ لَهُ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ " . قَالَتْ فَخَرَجْتُ - أَىْ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ - بِعُمْرَةٍ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি বায়তুল মাকদিস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলে তাতে তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহর কাফফারা হয়ে যায়। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, অতএব আমি বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। [৩০০২]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
৩০০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৩
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ مِنْ قَابِلٍ وَالثَّالِثَةَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ وَالرَّابِعَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার উমরা করেছেন: হুদায়বিয়ার উমরা, পরবর্তী বছরের কাযা উমরা, তৃতীয়টি জি'রানা থেকে এবং চতুর্থটি তার বিদায় হজ্জের সাথে উমরা। [৩০০৩]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى بِمِنًى يَوْمَ التَّرْوِيَةِ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ غَدَا إِلَى عَرَفَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারবিয়ার দিন (৮ যিলহজ্জ) মিনায় যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সলাত আদায় করেন, অত:পর ভোরবেলা আরাফাতে রওয়ানা হন। [৩০০৪]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইসমাইল বিন মুসলিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৮০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৭ টি জাল, ৬৩ টি খুবই দুর্বল, ১৮৮ টি দুর্বল, ১০৫ টি হাসান, ১১৭ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৬৭৪, ১৬৮২, ৪৪১৪, মুসলিম ১২৮৮, ১২৯০, তিরমিযি ৮৭৯, ৮৮০, ৮৮৭, আবু দাউদ ১৯১১, ১৯২৬, ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩৩, ১৯৩৪, দারিমী ১৫১৬, ১৫১৮, ১৮৭১, ১৮৮৩, ১৮৮৪, আহমাদ ২৩০৬, ২৫৩০, ২৬৯৬, ৩৬৩০, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৫২১, ২৬৩১, ২৬৩৯, ২৬৬৫, ২৬৭৪।
৩০০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ بِمِنًى ثُمَّ يُخْبِرُهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তেন, অত:পর সঙ্গীদের অবহিত করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাই করতেন। [৩০০৫]
তাহকীক আলবানী: হাসান।
৩০০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بَيْتًا قَالَ " لاَ مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার জন্য মিনায় একটি ঘর বানিয়ে দিবো না? তিনি বলেনঃ না, যারা আগে পৌছে যাবে মিনা তাদের ঠিকানা। [৩০০৬]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
৩০০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، مُسَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بُنْيَانًا يُظِلُّكَ قَالَ " لاَ مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি মিনায় আপনার জন্য একটি ঘর বানাবো না, যা আপনাকে ছায়া দান করবে? তিনি বলেন: না, মিনায় যারা আগে পৌছবে, তা তাদের ঠিকানা। [৩০০৭]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
৩০০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي هَذَا الْيَوْمِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ فَمِنَّا مَنْ يُكَبِّرُ وَمِنَّا مَنْ يُهِلُّ فَلَمْ يَعِبْ هَذَا عَلَى هَذَا وَلاَ هَذَا عَلَى هَذَا - وَرُبَّمَا قَالَ هَؤُلاَءِ عَلَى هَؤُلاَءِ وَلاَ هَؤُلاَءِ عَلَى هَؤُلاَءِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আজকের (৯ যিলহজ্জ) ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মিনা থেকে আরাফাতে রওয়ানা হয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতো এবং কতক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) উচ্চারণ করতো। এদের কেউই এজন্য পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করেননি। অথবা তিনি এ কথা বলেছেন যে, না এরা ওদের ত্রুটি নির্দেশ করেছে, আর না ওরা এদের ত্রুটি ধরেছে। [৩০০৮]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০০৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، أَنْبَأَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَنْزِلُ بِعَرَفَةَ فِي وَادِي نَمِرَةَ . قَالَ فَلَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عُمَرَ أَىَّ سَاعَةٍ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَرُوحُ فِي هَذَا الْيَوْمِ قَالَ إِذَا كَانَ ذَلِكَ رُحْنَا . فَأَرْسَلَ الْحَجَّاجُ رَجُلاً يَنْظُرُ إِلَى سَاعَةِ يَرْتَحِلُ . فَلَمَّا أَرَادَ ابْنُ عُمَرَ أَنْ يَرْتَحِلَ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا نَعَمْ . فَلَمَّا قَالُوا قَدْ زَاغَتِ ارْتَحَلَ . قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي رَاحَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে 'নামিরা' উপত্যকায় অবতরণ করেছিলেন। রাবী বলেন, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, যুবায়ের (রাঃ) কে হত্যা করার পর বিন উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করে পাঠায় যে, আজকের এ দিনের কোন সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (খোতবা দিতে মাঠের কেন্দ্রস্থলে) রওয়ানা হতেন? তিনি বলেন, সেই সময় উপস্থিত হলে স্বয়ং আমরাই রওয়ানা হবো। অতএব তিনি কখন রওয়ানা হন তা লক্ষ্য করার জন্য হাজ্জাজ একজন লোক পাঠায়। বিন উমার (রাঃ) যখন রওয়ানা হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? লোকেরা বললো এখনও ঢলেনি। তিনি বসে রইলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? তারা বললো, এখনও ঢলেনি। কিছুক্ষণ পর তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? তারা বললো, হাঁ। তারা যখন বললো, সূর্য ঢলেছে তখন তিনি রওয়ানা হলেন। [৩০০৯]
তাহকীক আলবানী: হাসান।
৩০১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِعَرَفَةَ فَقَالَ " هَذَا الْمَوْقِفُ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ " .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতে অবস্থান করেন এবং বলেন: এটাই অবস্থানস্থল, গোটা অরাফাতই অবস্থানস্থল। [৩০১০]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ كُنَّا وُقُوفًا فِي مَكَانٍ تُبَاعِدُهُ مِنَ الْمَوْقِفِ فَأَتَانَا ابْنُ مِرْبَعٍ فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَيْكُمْ يَقُولُ " كُونُوا عَلَى مَشَاعِرِكُمْ فَإِنَّكُمُ الْيَوْمَ عَلَى إِرْثٍ مِنْ إِرْثِ إِبْرَاهِيمَ " .
ইয়াযীদ বিন শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা এক স্থানেই অবস্থানরত ছিলাম, কিন্তু আরাফাত থেকে তা দূরে মনে হলো। ইতিমধ্যে বিন মিরবা' (রাঃ) আমাদের নিকট আসেন এবং বলেন, আমি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দূত হিসাবে এসেছি। তিনি বলেন: তোমরা নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করো। কারণ তোমরা আজকে ইবরাহীম (আ:) এর উত্তরসূরি। [৩০১১]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَارْفَعُوا عَنْ بَطْنِ عُرَنَةَ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ وَارْفَعُوا عَنْ بَطْنِ مُحَسِّرٍ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ إِلاَّ مَا وَرَاءَ الْعَقَبَةِ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সমগ্র অরাফাতই অবস্থানস্থল, বাতনে আরাফাত থেকে উঠে যাও। গোটা মুযদালিফাই অবস্থানস্থল এবং বাতনে মুহাসসির থেকে উঠে যাও (সেখানে অবস্থান করো না)। সমস্ত মিনাই কুরবানীর স্থান, কিন্তু জামরাতুল আকাবার পশ্চাদভাগ নয়। [৩০১২]
তাহকীক আলবানী: (اِلاَّ ماَ وَرَاءَ الْمَقَبَةِ) অর্থাৎ কিন্তু জামরাতুল আকাবার পশ্চাদভাগ নয়; কথাটি ব্যতীত সহীহ।
উক্ত হাদীসের রাবী কাসিম বিন আবদুল্লাহ আল-উমারী সম্পর্কে আবূ আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আবুল ফাতহ আল-আযদী ও আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবূ দাঊদ আস সাজিসতানী বলেন, আমি তার থেকে কোন হাদীস গ্রহণ করিনি। আবূ যুরআহ আর রাযী বলেন, তিনি দুর্বল ও মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামাল: রাবী নং ৪৭৯৮, ২৩/৩৭৫ নং পৃষ্ঠা)
৩০১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৩
حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ السَّرِيِّ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كِنَانَةَ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَعَا لأُمَّتِهِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ فَأُجِيبَ إِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ مَا خَلاَ الظَّالِمَ فَإِنِّي آخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ . قَالَ " أَىْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْجَنَّةِ وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ " . فَلَمْ يُجَبْ عَشِيَّتَهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ بِالْمُزْدَلِفَةِ أَعَادَ الدُّعَاءَ فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ . قَالَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . أَوْ قَالَ تَبَسَّمَ . فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ هَذِهِ لَسَاعَةٌ مَا كُنْتَ تَضْحَكُ فِيهَا فَمَا الَّذِي أَضْحَكَكَ أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ قَالَ " إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ لَمَّا عَلِمَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدِ اسْتَجَابَ دُعَائِي وَغَفَرَ لأُمَّتِي أَخَذَ التُّرَابَ فَجَعَلَ يَحْثُوهُ عَلَى رَأْسِهِ وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ فَأَضْحَكَنِي مَا رَأَيْتُ مِنْ جَزَعِهِ " .
আব্বাস বিন মিরদাস আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ) আরাফাতে তৃতীয় প্রহরে তাঁর উম্মাতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে দুআ' করেন। জবাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়: আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম, স্বৈরাচারী যালেম ব্যতীত। কারণ আমি অবশ্যই তার উপর নির্যাতিতের প্রতিশোধ নিবো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে প্রভু! আপনি ইচ্ছা করলে নির্যাতিত ব্যক্তিকে জান্নাত দান করতে এবং যালেমকে ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত এর কোন জবাব পাওয়া গেলো না। ভোরবেলা তিনি মুযদালিফায় পুনরায় উপরোক্ত দুআ' করেন। এবার তাঁর আবেদন কবুল হলো। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনন্দের হাসি দিলেন অথবা মুচকি হাসলেন। আবূ বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক! আপনি এ (হজ্জের) সময় কখনও হাসেননি, আজ কোন জিনিস আপনাকে হাসালো? আল্লাহ আপনাকে হাসিমুখে রাখুন। তিনি বলেন: আল্লাহর দুশমন ইবলীস যখন জানতে পারলো যে, মহামহিম আল্লাহ আমার দুআ' কবুল করেছেন এবং আমার উম্মাতকে ক্ষমা করেছেন, তখন সে গুড়া মাটি তুলে নিজের মাথায় ঢালতে ঢালতে বলতে লাগলো, হায় সর্বনাশ, হায় ধংস। আমি ওর যে অস্থিরতা দেখেছি তা আমাকে হাসিয়েছে। [৩০১৩]
তাহকীক আলবানী: দূর্বল।
৩০১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يُوسُفَ، يَقُولُ عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلاَئِكَةَ فَيَقُولُ مَا أَرَادَ هَؤُلاَءِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরাফাতের দিন জাহান্নাম থেকে যতো অধিক সংখ্যক বান্দাকে নাজাত দেন, অন্য কোন দিন এতো অধিক বান্দাকে নাজাত দেন না। মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ এ দিন (বান্দার) নিকটবর্তী হন, অত:পর তাদের সম্পর্কে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করে বলেন: তারা কী চায়? [৩০১৪]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَعْمُرَ الدِّيلِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ وَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ الْحَجُّ قَالَ " الْحَجُّ عَرَفَةُ فَمَنْ جَاءَ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ لَيْلَةَ جَمْعٍ فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ أَيَّامُ مِنًى ثَلاَثَةٌ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ " . ثُمَّ أَرْدَفَ رَجُلاً خَلْفَهُ فَجَعَلَ يُنَادِي بِهِنَّ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمُرَ الدِّيلِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِعَرَفَةَ فَجَاءَهُ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى مَا أُرَى لِلثَّوْرِيِّ حَدِيثًا أَشْرَفَ مِنْهُ .
আবদুর রহমান বিন ইয়া'মার আদ-দীলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আরাফাতে উপস্থিতকালে তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। নাজদ এলাকার কতক লোক তাঁর নিকট হাযির হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কিভাবে সম্পন্ন হয়? তিনি বলেন: "আরাফাতে অবস্থান হচ্ছে হজ্জ"। অতএব যে ব্যক্তি মুযদালিফার রাতে ফজর সলাতের পূর্বেই আরাফাতে এসে পৌঁছলো তার হজ্জ পূর্ণ হলো। মিনায় তিন দিন (১১,১২ ও ১৩ যুলহিজ্জা) অবস্থান করতে হয়। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি দু'দিন অবস্থানের পর চলে আসে, তবে তাতে কোন গুনাহ নেই। অত:পর তিনি কোন ব্যক্তিকে নিজ বাহনের পেছনে উঠিয়ে নিলেন এবং সে উচ্চৈ:স্বরে একথা ঘোষণা করতে থাকলো।
২/৩০১৫ (১) . আবদুর রহমান বিন ইয়া'মার আদ-দীলী (রাঃ) , তিনি বলেন, আমি আরাফাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলাম। তখন নাজদের একদল লোক তাঁর নিকট উপস্থিত হলো ... অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনূরূপ। মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া বলেন, আমি সাওরীর কোন রিওয়ায়াত এ হাদীসের তুলনায় অধিক উত্তম পাইনি। [৩০১৫]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، - يَعْنِي الشَّعْبِيَّ - عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ الطَّائِيِّ، أَنَّهُ حَجَّ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمْ يُدْرِكِ النَّاسَ إِلاَّ وَهُمْ بِجَمْعٍ . قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَنْضَيْتُ رَاحِلَتِي وَأَتْعَبْتُ نَفْسِي وَاللَّهِ إِنْ تَرَكْتُ مِنْ حَبْلٍ إِلاَّ وَقَفْتُ عَلَيْهِ فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ شَهِدَ مَعَنَا الصَّلاَةَ وَأَفَاضَ مِنْ عَرَفَاتٍ لَيْلاً أَوْ نَهَارًا فَقَدْ قَضَى تَفَثَهُ وَتَمَّ حَجُّهُ " .
উরওয়া বিন মুদাররিস আত-তায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে হজ্জ করেন। লোকেরা যখন মুযদালিফায় ছিল তখন তিনি পৌছেন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আমার উষ্ট্রীকে শীর্ণকায় করে ফেলেছি (দীর্ঘ সফরে) এবং নিজেও কষ্টক্লেশ করেছি। আল্লাহর শপথ! আমি এমন কোন ঢিলা ত্যাগ করিনি যার উপর অবস্থান করিনি। আমার হজ্জ হয়েছে কি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি আমাদের সাথে নামাযে শরীক হয়েছে এবং আরাফাতে অবস্থানের পর রাতে অথবা দিনে প্রত্যাবর্তন করেছে সে নিজের ময়লা-মালিন্য (নখ-চুল ইত্যাদি) দূর করেছে এবং তার হজ্জ পূর্ণ হয়েছে। [৩০১৬]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
৩০১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سُئِلَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسِيرُ حِينَ دَفَعَ مِنْ عَرَفَةَ قَالَ كَانَ يَسِيرُ الْعَنَقَ فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ . قَالَ وَكِيعٌ وَالنَّصُّ يَعْنِي فَوْقَ الْعَنَقِ .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কিভাবে পথ অতিক্রম করতেন? তিনি বললেন, তিনি জন্তযানে আরোহিত অবস্থায় কিছুটা দ্রুত গতিতে পথ অতিক্রম করতেন। উন্মুক্ত জায়গা পেলে তিনি দ্রুত চলতেন। ওয়াকী (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ প্রথমোক্ত গতিবেগের তুলনায় অধিক দ্রুত বেগে (চলতেন)। [৩০১৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَتْ قُرَيْشٌ نَحْنُ قَوَاطِنُ الْبَيْتِ لَا نُجَاوِزُ الْحَرَمَ فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ { ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুরাইশগণ বললেন, আমরা তো বায়তুল্লাহর অধিবাসী। তাই আমরা হারামের বাইরে যাই না (আরাফাত হারামের সীমার বাইরে হওয়াতে তারা আরাফাতে যেতো না)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেনঃ “আতঃপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন কর।” (সূরা বাকারাঃ ১৯৯)। [৩০১৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ أَفَضْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمَّا بَلَغَ الشِّعْبَ الَّذِي يَنْزِلُ عِنْدَهُ الأُمَرَاءُ نَزَلَ فَبَالَ وَتَوَضَّأَ قُلْتُ الصَّلاَةَ . قَالَ " الصَّلاَةُ أَمَامَكَ " . فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى جَمْعٍ أَذَّنَ وَأَقَامَ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ حَتَّى قَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে (আরাফাত থেকে) প্রত্যাবর্তন করলাম। যখন তিনি সেই উপত্যকায় পৌঁছালেন যেখানে সম্ভ্রান্ত লোকেরা যাত্রাবিরতি করে, তখন সেখানে যাত্রাবিরতি দিয়ে পেশাব করেন, অতঃপর উযু করেন। আমি বললাম, (মাগরিবের) নামায পরে নিন। তিনি বলেনঃ আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে নামায পড়বো। তিনি মুযদালিফায় পৌঁছলে আযান ও ইকামত দেওয়া হল এবং মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর কেউ জন্তুযানের পালান না খুলতেই তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং এশার সালাত আদায় করলেন। [৩০১৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْمُزْدَلِفَةِ .
আবদুল্লাহ বিন ইয়াযীদ আল-খাতমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ আয়্যূব (খালিদ বিন যায়দ) আল-আনসারী (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, আমি বিদায় হজ্জের সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার নামায পড়েছি। [৩০২০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২১
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِالْمُزْدَلِفَةِ فَلَمَّا أَنَخْنَا قَالَ " الصَّلاَةُ بِإِقَامَةٍ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফায় মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। আমরা যখন উটগুলো বসাচ্ছিলাম তখন তিনি বলেনঃ (এশার) সালাতের ইকামাত হচ্ছে। [৩০২১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
সহীহুল বুখারী ১০৯২, ১১০৮, ১১০৯, ১৬৬৮, ১৬৭৩, ১৬৭৫, ১৮০৫, ৩০০০ মুসলিম ৭০৩, ১২৮৮, ১২৮৯, তিরমিযী ৮৮৭, নাসায়ী ৬০৬, ৬০৭, ৬০৮, ৩০২৮, ৩০২৯, ৩০৩০, ৩০২৮, আবূ দাউদ ১৯২৬, ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩২, ১৯৩৩, আহমাদ ৪৪৪৬, ৪৪৫৮, ৪৬৬২, ৪৮৭৫, ৫১৬৪, ৫২৬৫, ৫৪৭১, ৫৪৮২, ৫৫১৩, ৬০৪৭, ৬৩৬৩, ৬৪৩৭, মুয়াত্তা মালেক ৯১৩, ৯১৬, দারেমী ১৫১৮, ১৮৮৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬৮২, ১৬৮৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
৩০২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُفِيضَ، مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ قَالَ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ كَانُوا يَقُولُونَ أَشْرِقْ ثَبِيرُ كَيْمَا نُغِيرُ . وَكَانُوا لاَ يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَخَالَفَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَفَاضَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
আমর বিন মায়মূন থেকে বর্ণিতঃ
আমরা উমার ইবনূল খাত্তাব (রাঃ) -এর সাথে হজ্জ করেছি। আমরা যখন মুযদালিফা থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম তখন তিনি বলেন, মুশরিকরা বলতো, হে সাবীর (মুযদালিফার একটি পাহাড়) ! উজ্জ্বল হও, আমরা প্রত্যাবর্তন করবো। তারা সূর্য না উঠা পর্যন্ত (মুযদালিফা থেকে) প্রত্যাবর্তন করতো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিপরীত আমল করেন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে (মিনার উদ্দেশ্যে) রওয়ানা করেন। [৩০২২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ قَالَ جَابِرٌ أَفَاضَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَأَمَرَهُمْ بِالسَّكِينَةِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَأَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ . وَقَالَ " لِتَأْخُذْ أُمَّتِي نُسُكَهَا فَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلِّي لاَ أَلْقَاهُمْ بَعْدَ عَامِي هَذَا "
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে ধীরেসুস্থে (মুযদালিফা থেকে) রওয়ানা করেন এবং লোকেদেরও শান্তভাবে রওয়ানা হতে বলেন। (মিনায় পৌঁছার পর) তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন ক্ষুদ্র কাঁকর নিক্ষেপ করে। তিনি নিজে (মুযদালিফা ও মিনার মাঝখানে অবস্থিত) ওয়াদী মুহাসসির দ্রুত অতিক্রম করেন এবং বলেনঃ আমার উম্মাত যেন হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শিখে নেয়। কারণ এ বছরের পর হয়তো আমি তাদের সাথে মিলিত হতে পারবো না। [৩০২৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ رَبَاحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَهُ غَدَاةَ جَمْعٍ " يَا بِلاَلُ أَسْكِتِ النَّاسَ " . أَوْ " أَنْصِتِ النَّاسَ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَطَوَّلَ عَلَيْكُمْ فِي جَمْعِكُمْ هَذَا فَوَهَبَ مُسِيئَكُمْ لِمُحْسِنِكُمْ وَأَعْطَى مُحْسِنَكُمْ مَا سَأَلَ ادْفَعُوا بِاسْمِ اللَّهِ " .
বিলাল বিন রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুযদালিফার দিন ভোরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে বিলাল! লোকেদের চুপ করতে বল। আতঃপর তিনি বলেনঃ এই মুযদালিফায় আল্লাহ তাআ’লা তোমাদের প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ করেছেন, তোমাদের উত্তম লোকেদের ওয়াসীলায় তোমাদের গুনাহগারদের ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে সৎকর্মশীল ব্যক্তি যা প্রার্থনা করেছে তিনি তাকে তা দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যাবর্তন কর। [৩০২৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১৬২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইবনু আবু রাওওয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার দিক থেকে তিনি পরিচিত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও মুরজীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪৭, ১৮/১৩৬ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু সালামাহ আল-হিমসী সম্পর্কে আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৪১১, ৩৩/৩৭৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবনু আবু রাওওয়াদ ও আবু সালামাহ আল-হিমসী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৩ টি খুবই দুর্বল, ৫ টি দুর্বল, ৪ টি হাসান, ৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৮৩১, মা'রিফাতুস সাহাবাহ ৩০৩৭।
৩০২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، وَسُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُغَيْلِمَةَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حُمُرَاتٍ لَنَا مِنْ جَمْعٍ فَجَعَلَ يَلْطَحُ أَفْخَاذَنَا وَيَقُولُ " أُبَيْنِيَّ لاَ تَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " . زَادَ سُفْيَانُ فِيهِ " وَلاَ إِخَالُ أَحَدًا يَرْمِيهَا حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে অর্থাৎ আবদুল মুত্তালিব গোত্রের অল্প বয়স্কদের আমাদের গাধাগুলোয় চড়িয়ে মুযদালিফা থেকে আগেভাগে পাঠিয়ে দেন। তিনি আমাদের উরুর উপর হালকা আঘাত করে বলতেনঃ আমার কচিকাঁচা! সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত জামরায় পাথর নিক্ষেপ করো না। সুফইয়ান এর বর্ণনায় আরও আছে, সূর্যোদয়ের পূর্বে কেউ কাঁকর নিক্ষেপ করতো কিনা জানি না। [৩০২৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ فِيمَنْ قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পরিবারের যেসব দুর্বল লোকেদের (মুযদালিফা থেকে মিনায়) আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। [৩০২৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ، كَانَتِ امْرَأَةً ثَبِطَةً فَاسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تَدْفَعَ مِنْ جَمْعٍ قَبْلَ دُفْعَةِ النَّاسِ فَأَذِنَ لَهَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় সাওদা বিনতু যামআহ (রাঃ) স্থূলকায় ছিলেন। তিনি মুযদালিফা থেকে লোকেদের রওনা হওয়ার আগেই চলে যাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৩০২৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى بَغْلَةٍ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَارْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ " .
উম্মু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোরবানির দিন জামরাতুল আকাবার নিকটে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খচ্চরের পিঠে আরোহিত অবস্থায় দেখেছি। তখন তিনি বলেছেনঃ হে লোকসকল! যখন তোমরা জামরায় (কংকর ) নিক্ষেপ করতে যাবে তখন সেখানে ক্ষুদ্র আকারের কংকর নিক্ষেপ করবে। [৩০২৮]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
৩০২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০২৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَدَاةَ الْعَقَبَةِ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ " الْقُطْ لِي حَصًى " . فَلَقَطْتُ لَهُ سَبْعَ حَصَيَاتٍ هُنَّ حَصَى الْخَذْفِ فَجَعَلَ يَنْفُضُهُنَّ فِي كَفِّهِ وَيَقُولُ " أَمْثَالَ هَؤُلاَءِ فَارْمُوا " . ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي الدِّينِ فَإِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْغُلُوُّ فِي الدِّينِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল আকাবার ভোরে তাঁর উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় বলেনঃ আমার জন্য কংকর সংগ্রহ করে লও। আমি তাঁর জন্য সাতটি কংকর সংগ্রহ করলাম। তা ছিল আকারে ক্ষুদ্র। তিনি তা নিজের হাতের তালুতে নাড়াচাড়া করতে করতে বলেনঃ এই আকারের ক্ষুদ্র কংকর নিক্ষেপ করবে। তিনি পুনরায় বলেনঃ দ্বীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে তোমরা সাবধান থাকো। কেননা তোমাদের পূর্বেকার লোকদেরকে দ্বীনের ব্যাপারে তাদের বাড়াবাড়ি ধ্বংস করেছে। [৩০২৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ لَمَّا أَتَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ اسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ وَاسْتَقْبَلَ الْكَعْبَةَ وَجَعَلَ الْجَمْرَةَ عَلَى حَاجِبِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ رَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ قَالَ مِنْ هَاهُنَا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ .
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) জামরাতুল আকাবায় পৌঁছে উপত্যকার নিম্নভূমিতে কাবাকে সামনে রেখে এবং জামরাতুল আকাবাকে ডান দিকে রেখে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সাথে সাথে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন, অতঃপর বলেন, সেই মহান সত্তার শপথ যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই! যে মহান ব্যক্তির উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছিল তিনি এখান থেকে কংকর নিক্ষেপ করেছিলেন। [৩০৩০]
উক্ত হাদীসের রাবী আল-মাসঊদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি সিকাহ তবে বাগদাদে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আলী ইবনুল মাদানী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কালামঃ রাবী নং ৩৮৭২, ১৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)।
৩০৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ اسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ فَرَمَى الْجَمْرَةَ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ انْصَرَفَ .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِنَحْوِهِ .
উম্মু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি কোরবানির দিন জামরাতুল আকাবার নিকটে উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সাথে সাথে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন, অতঃপর প্রত্যাবর্তন করেন। [৩০৩১]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
৩০৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَلَمْ يَقِفْ عِنْدَهَا وَذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পর সেখানে আর অবস্থান করেন নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এরূপ করেন। [৩০৩২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৩
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ مَضَى وَلَمْ يَقِفْ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করে চলে যেতেন, অবস্থান করতেন না। [৩০৩৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى الْجَمْرَةَ عَلَى رَاحِلَتِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীতে আরোহিত অবস্থায় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন। [৩০৩৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ صَهْبَاءَ لاَ ضَرْبَ وَلاَ طَرْدَ وَلاَ إِلَيْكَ إِلَيْكَ .
কুদামাহ বিন আবদুল্লাহ আল-আমিরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কোরবানির দিন লাল-সাদা মিশ্র বর্ণের একটি উষ্ট্রীতে সওয়ার অবস্থায় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। এতে না ছিল আঘাত, না ছিল হাঁকানো, না এদিক, না ওদিক। [৩০৩৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَخَّصَ لِلرِّعَاءِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمًا وَيَدَعُوا يَوْمًا .
আসিম বিন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট চারকদের একদিন কাঁকর নিক্ষেপ করার ও একদিন বিরতি দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। [৩০৩৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِرِعَاءِ الإِبِلِ فِي الْبَيْتُوتَةِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَجْمَعُوا رَمْىَ يَوْمَيْنِ بَعْدَ النَّحْرِ فَيَرْمُونَهُ فِي أَحَدِهِمَا - قَالَ مَالِكٌ ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَالَ فِي الأَوَّلِ مِنْهُمَا - ثُمَّ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّفْرِ .
আসিম বিন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট চারকদের মিনায় অথবা তার বাইরে রাত যাপনের অনুমতি দিয়েছেন, যেন তারা কোরবানীর দিন কংকর নিক্ষেপ করে। এরপর কোরবানীর পরে দু’দিনের কংকর একসাথে নিক্ষেপ করবে। তারা ঐ দু’দিনের যে কোন একদিন তা নিক্ষেপ করবে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় আবদুল্লাহ দিন আবূ বকর বলেছেন, প্রথম দিন (কোরবানির দিন) কংকর নিক্ষেপ করবে, অতঃপর প্রস্থানের দিন কংকর নিক্ষেপ করবে। [৩০৩৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَعَنَا النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَلَبَّيْنَا عَنِ الصِّبْيَانِ وَرَمَيْنَا عَنْهُمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জ করলাম। আমাদের সাথে মহিলা ও শিশুরা ছিল। আমরা শিশুদের পক্ষ থেকে তালবিয়া পাঠ ও কংকর নিক্ষেপ করেছি। [৩০৩৮]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
৩০৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৩৯
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রেখেছেন যতক্ষন না জামরাতুল আকাবায় (কোরবানীর দিন) কংকর নিক্ষেপ করেছেন। [৩০৩৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪০
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَا زِلْتُ أَسْمَعُهُ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَلَمَّا رَمَاهَا قَطَعَ التَّلْبِيَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাদল বিন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে একই বাহনে তাঁর পিছনে সওয়ার ছিলাম। আমি তাকে অনবরত তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি, যতক্ষন না তিনি জামরাতুল ‘আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি যখন তা নিক্ষেপ করেন, তখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করেছেন। [৩০৪০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী খুসায়ফ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি যখন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তার হাদিস গ্রহন করতে সমস্যা নেই। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হিফযের দুর্বলতা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশিক্তি দুর্বল, তিনি মুরজিয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন ইসহাক বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৯৩, ৮/২৫৭ নং পৃষ্ঠা)
৩০৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَوَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَقَدْ حَلَّ لَكُمْ كُلُّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّسَاءَ . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ وَالطِّيبُ فَقَالَ أَمَّا أَنَا فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُضَمِّخُ رَأْسَهُ بِالْمِسْكِ أَفَطِيبٌ ذَلِكَ أَمْ لاَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন তোমরা জামরায় কংকর নিক্ষেপ করলে, তখন স্ত্রীসংগ ব্যাতীত সবকিছু হালাল হয়ে গেল। এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করেন, হে বিন আব্বাস! সুগন্ধিও? তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বক্তব্য এই যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিজ মাথায় কস্তুরী মাখতে দেখেছি (কংকর নিক্ষেপের পরে)। তা সুগন্ধি কি নয়? [৩০৪১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، مُحَمَّدٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لإِحْرَامِهِ حِينَ أَحْرَمَ وَلإِحْلاَلِهِ حِينَ أَحَلَّ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ইহরাম বাঁধার আগে সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি এবং যখন তিনি ইহরাম খুলেছেন তখনও। [৩০৪২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ قَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ " . ثَلاَثًا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ قَالَ " وَالْمُقَصِّرِينَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তাদের ক্ষমা করুন। সাহাবীগন বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা নিজেদের মাথার চুল ছাঁটিয়েছে? তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! যারা নিজেদের মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তাদের ক্ষমা করুন। এ কথা তিনি তিনাবার বলেন। সাহাবীগন বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা নিজেদের মাথার চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্যও। তিনি বলেনঃ যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্যও। [৩০৪৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ الدِّمَشْقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ " . قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ " . قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ " . قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " وَالْمُقَصِّرِينَ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি দয়া করুন। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। তিনি বলেনঃ যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি দয়া করুন। তারা বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। তিনি বলেনঃ যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। [৩০৪৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ظَاهَرْتَ لِلْمُحَلِّقِينَ ثَلاَثًا وَلِلْمُقَصِّرِينَ وَاحِدَةً قَالَ " إِنَّهُمْ لَمْ يَشُكُّوا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আপনি তাদের জন্য তিনবার, আর যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্য একবার মাত্র দুআ’ করেছেন, এর কারন কী? তিনি বলেনঃ যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তারা সন্দেহ করেনি (অর্থাৎ উত্তম কাজ সন্দেহমুক্তভাবে সমাধা করেছে)। [৩০৪৫]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
৩০৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ حَفْصَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ " .
হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! লোকেরা ইহরামমুক্ত হয়েছে, আর আপনি এখনও উমরার ইহরাম থেকে মুক্ত হননি, এর কারণ কী? তিনি বলেনঃ আমি আমার মাথার চুল জমাটবদ্ধ করে নিয়েছি এবং সাথে কোরবানির পশু এনেছি। তাই কোরবানী না করা পর্যন্ত আমি ইহরামমুক্ত হতে পারি না। [৩০৪৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُهِلُّ مُلَبِّدًا .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মাথার চুল একত্রে জমাটবদ্ধ অবস্থায় লাব্বাইক ধ্বনি করেছেন। [৩০৪৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন মিনার সমস্ত এলাকাই কোরবানীর স্থান, মক্কার প্রতিটি প্রশস্ত সড়কই রাস্তা এবং কোরবানীর স্থান, আরাফাতের গোটা এলাকাই অবস্থানস্থল এবং মুযদালিফার সমস্ত এলাকাও অবস্থানস্থল। [৩০৪৮]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
৩০৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৪৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَمَّنْ قَدَّمَ شَيْئًا قَبْلَ شَىْءٍ إِلاَّ يُلْقِي بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا " لاَ حَرَجَ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হজ্জের অনুষ্ঠানাদিতে অগ্র-পশ্চাৎ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দু’হাতের ইশারায় বলেনঃ কোন ক্ষতি নেই। [৩০৪৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُسْأَلُ يَوْمَ مِنًى فَيَقُولُ " لاَ حَرَجَ لاَ حَرَجَ " . فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ " لاَ حَرَجَ " . قَالَ رَمَيْتُ بَعْدَ مَا أَمْسَيْتُ قَالَ " لاَ حَرَجَ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, মিনার দিবসে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেতেন, কোন দোষ নেই, কোন ক্ষতি নেই। অতএব এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, কোরবানীর পূর্বে আমি মাথা মুণ্ডন করিয়েছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। আরেকজন বললো, আমি সন্ধ্যায় কাঁকর নিক্ষেপ করেছি। তিনি বললেন, কোন ক্ষতি নেই। [৩০৫০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُئِلَ عَمَّنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ أَوْ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ قَالَ " لاَ حَرَجَ " .
আবদুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট মাসাআলা জানতে চাওয়া হলো যে, কোন ব্যক্তি মাথা মুণ্ডনের পূর্বে কোরবানী করেছে অথবা কোন ব্যক্তি কোরবানীর পূর্বে কামিয়েছে। তিনি বলেনঃ তাতে কোন দোষ নেই। [৩০৫১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫২
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَعَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِنًى يَوْمَ النَّحْرِ لِلنَّاسِ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ " لاَ حَرَجَ " . ثُمَّ جَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي نَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ " لاَ حَرَجَ " . فَمَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَىْءٍ قُدِّمَ قَبْلَ شَىْءٍ إِلاَّ قَالَ " لاَ حَرَجَ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানীর দিন লোকেদের উদ্দেশে মিনায় বসলেন। এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কোরবানী করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করেয়েছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। অপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কংকর নিক্ষেপের পূর্বে কোরবানী করেছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। সেদিন কোন অনুষ্ঠান কোন অনুষ্ঠানের আগে বা পরে সম্পন্ন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। [৩০৫২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
৩০৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৩
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ ضُحًى وَأَمَّا بَعْدَ ذَلِكَ فَبَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জামরাতুল আকাবায় পূর্বাহ্ণে পাথর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তিনি এরপরের (দিনগুলোতে) পাথর নিক্ষেপ করেন অপরাহ্ণে। [৩০৫৩]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
৩০৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৪
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ أَبُو شَيْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَرْمِي الْجِمَارَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ قَدْرَ مَا إِذَا فَرَغَ مِنْ رَمْيِهِ صَلَّى الظُّهْرَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (অপরাহ্ণে) সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জামরায় কাঁকর নিক্ষেপ করতেন, কাঁকর নিক্ষেপের পর তাঁর নামায পরার সময় হয়ে যেতো। [৩০৫৪]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।
৩০৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلاَ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ . أَلاَ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ أَنْ يُعْبَدَ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَبَدًا وَلَكِنْ سَيَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِي بَعْضِ مَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَيَرْضَى بِهَا أَلاَ وَكُلُّ دَمٍ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ مَا أَضَعُ مِنْهَا دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ - أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا مِنْ رِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ أَلاَ يَا أُمَّتَاهُ هَلْ بَلَّغْتُ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
আমর ইবনুল আহ্ওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিদায় হজ্জে বলতে শুনেছিঃ হে লোকসকল! কোন্ দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? তিনি তিনবার এ কথা বলেন। তারা বলেন, হজ্জের বড় দিন। তিনি বলেনঃ তোমাদের রক্ত (জীবন) , তোমাদের সম্পদ, তোমাদের মান-সম্ভ্রম তোমাদের পরস্পরের জন্য (তাতে হস্তক্ষেপ করা) হারাম, যেভাবে তোমাদের এ দিনে, এই মাসে এবং এই শহরে হারাম। সাবধান! কেউ অপরাধ করলে সেজন্য তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে। পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে দায়ী করা যাবে না এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। জেনে রাখো ! তোমাদের এই শহরে শয়তান নিজের জন্য ইবাদাত পাওয়া থেকে চিরকালের জন্য নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কতগুলো কাজ যা তোমরা তুচ্ছজ্ঞানে করতে গিয়ে শয়তানের আনুগত্য করো এবং তাতে সে খুশি হয়ে যায়। সাবধান! জাহিলী যুগের সকল রক্তের (হত্যার) দাবি রহিত হলো। এসব দাবির মধ্যে আমি সর্ব প্রথম আল-হারিস বিন আবদুল মুত্তালিবের রক্তের দাবি রহিত করছি, সে লাইস গোত্রে প্রতিপালিত হওয়াকালে হুযাইল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে। সাবধান! জাহিলী যুগের সমস্ত সূদের দাবি রহিত হলো। তবে তোমরা মূলধন ফেরত পাবে, তোমরাও জুলুম করবে না এবং জুলুমের শিকারও হবে না। শোনো হে আমার উম্মাত! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? একথা তিনি তিনবার জিজ্ঞেস করেন। তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। একথাও তিনি তিনবার বলেন। [৩০৫৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى فَقَالَ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرُ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلاَثٌ لاَ يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُؤْمِنٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنَّصِيحَةُ لِوُلاَةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ " .
জুবায়র বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনার মসজিদুল খায়ফ-এ দাঁড়িয়ে বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন যে আমার কথা শোনে, অতঃপর তা (অন্যদের নিকট) পৌঁছে দেয়। জ্ঞানের অনেক বাহক মূলত জ্ঞানী নয়। কোন কোন জ্ঞানের বাহক যার নিকট জ্ঞান বয়ে নিয়ে যায়, সে তার চেয়ে অধিক জ্ঞানী। তিনটি বিষয়ে মুমিন ব্যক্তির অন্তর প্রতারণা করতে পারে না। (১) একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) জন্য ‘আমাল (কাজ) করা, (২) মুসলিম শাসকবর্গকে সদুপদেশ প্রদানে এবং (৩) মুসলিম জামা’আতের (সমাজের) সাথে সংঘবদ্ধ থাকার ব্যপারে। কারণ মুসলমানদের দুআ’ তাদেরকে পেছন থেকে পরিবেষ্টন করে রাখে। [৩০৫৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
আহমাদ ১৬২৯৬, ১৬৩১২, দারিমী ২২৭, যিলাল ১০৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪১৬, ১৮/৬৩ নং পৃষ্ঠা
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন ইসহাক ও আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৩৩ টি খুবই দুর্বল, ১১৪ টি দুর্বল, ৬৭ টি হাসান, ৭৮ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৬৫৬, ২৬৫৭, ২৬৫৮, আবু দাউদ ৩৬৬০, দারিমী ২২৭, ২২৮, ২২৯, ২৩০।
৩০৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৭
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا زَافِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْمُخَضْرَمَةِ بِعَرَفَاتٍ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا وَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا وَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قَالُوا هَذَا بَلَدٌ حَرَامٌ وَشَهْرٌ حَرَامٌ وَيَوْمٌ حَرَامٌ . قَالَ " أَلاَ وَإِنَّ أَمْوَالَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي يَوْمِكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَأُكَاثِرُ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تُسَوِّدُوا وَجْهِي أَلاَ وَإِنِّي مُسْتَنْقِذٌ أُنَاسًا وَمُسْتَنْقَذٌ مِنِّي أُنَاسٌ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُصَيْحَابِي . فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ " .
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে তাঁর স্বীয় উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্হায় বলেনঃ তোমরা কি জানো আজ কোন দিন, এটা কোন মাস এবং এটা কোন শহর? তারা বলেন, এটা (মক্কা) সন্মানিত শহর , সন্মানিত মাস ও সন্মানিত দিন। তিনি আরো বলেনঃ সাবধান ! তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের প্রতি তেমনি হারাম যেমনি তোমাদের এই মাসের সন্মান রয়েছে তোমাদের এই শহরে তোমাদের এই দিনে। শুনে রাখো ! আমি তোমাদের আগেই হাওযে কাওসারে উপস্থিত থাকবো। অন্যান্য উম্মাতের তুলনায় তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমি গৌরব করবো। তোমরা যেন আমার চেহারা কালিমালিপ্ত না করো। সাবধান! কিছু লোককে আমি মুক্ত করতে পারবো। আর কিছু লোককে আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। তখন আমি বলবো , হে আল্লাহ ! এরা তো আমার সাহাবী ! তিনি বলবেনঃ তোমার পরে এরা কী বিদআতী কাজ করেছে, তা তুমি জানো না। [৩০৫৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَفَ يَوْمَ النَّحْرِ بَيْنَ الْجَمَرَاتِ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي حَجَّ فِيهَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَىُّ يَوْمٍ هَذَا " . قَالُوا يَوْمُ النَّحْرِ . قَالَ " فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قَالُوا هَذَا بَلَدُ اللَّهِ الْحَرَامُ . قَالَ " فَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا " . قَالُوا شَهْرُ اللَّهِ الْحَرَامُ . قَالَ " هَذَا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ وَدِمَاؤُكُمْ وَأَمْوَالُكُمْ وَأَعْرَاضُكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ هَذَا الْبَلَدِ فِي هَذَا الشَّهْرِ فِي هَذَا الْيَوْمِ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ بَلَّغْتُ " . قَالُوا نَعَمْ . فَطَفِقَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " . ثُمَّ وَدَّعَ النَّاسَ فَقَالُوا هَذِهِ حَجَّةُ الْوَدَاعِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বছর হজ্জ করেন, সেই বছর কোরবানির দিন জামরাসমূহের মধ্যস্থলে দাঁড়ালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ আজ কোন দিন? সাহাবীগণ বললেন, কোরবানীর দিন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কোন শহর? তারা বললেন, এটা আল্লাহর সন্মানিত শহর। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন মাস? তারা বললেন, আল্লাহর সন্মানিত মাস। তিনি বললেনঃ এটি হজ্জের বড় দিন। তোমাদের রক্ত , তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের মান-সম্ভ্রম ( প্রভৃতির উপর হস্তক্ষেপ ) তোমাদের জন্য হারাম , যেমন এই শহরের হুরমাত ( সন্মান) এই মাসে এবং এই দিনে। তিনি পুনরায় বলেনঃ আমি কি পৌছে দিয়েছি? তারা বলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বলতে শুরু করলেনঃ হে আল্লাহ! সাক্ষী থাকুন। অতঃপর তিনি লোকেদের বিদায় দেন। তখন তারা বলেন, এটা বিদায় হজ্জ। [৩০৫৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৫৯
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَارِقٍ، عَنْ طَاوُسٍ، وَأَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَخَّرَ طَوَافَ الزِّيَارَةِ إِلَى اللَّيْلِ .
আয়িশাহ (রাঃ) ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত বিলম্ব করেন। [৩০৫৯]
তাহকীক আলবানীঃ শায।
৩০৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬০
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يَرْمُلْ فِي السَّبْعِ الَّذِي أَفَاضَ فِيهِ . قَالَ عَطَاءٌ وَلاَ رَمَلَ فِيهِ .
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাওয়াফে যিয়ারতের সাত চক্করে রমল ( বাহু দুলিয়ে বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ) করেননি। আতা (রহঃ) বলেন, তাওয়াফে যিয়ারতে রমল করতে হয় না। [৩০৬০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَالِسًا فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ جِئْتَ قَالَ مِنْ زَمْزَمَ . قَالَ فَشَرِبْتَ مِنْهَا كَمَا يَنْبَغِي قَالَ وَكَيْفَ قَالَ إِذَا شَرِبْتَ مِنْهَا فَاسْتَقْبِلِ الْكَعْبَةَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ وَتَنَفَّسْ ثَلاَثًا وَتَضَلَّعْ مِنْهَا فَإِذَا فَرَغْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ آيَةَ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ أَنَّهُمْ لاَ يَتَضَلَّعُونَ مِنْ زَمْزَمَ " .
মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (মাকবুল) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এক ব্যাক্তি তাঁর নিকট এলে তিনি জিজ্ঞেস করনে, তুমি কোথা থেকে এসেছো? সে বললো যমযমের নিকট থেকে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন , তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমত পান করেছ? সে বললো ,তা কিরুপে? তিনি বললেন , তুমি তা থেকে পান করার সময় কিবলামুখী হবে , আল্লাহর নাম স্মরন করবে , তিনবার নিঃশ্বাস নিবে এবং তৃপ্তি সহকারে পান করবে। পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারন , রাসুলাল্লাহ ( (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) বলেছেনঃ আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তি সহকারে যমযমের পানি পান করে না। [৩০৬১]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
৩০৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُؤَمَّلِ إِنَّهُ سَمِعَ أَبَا الزُّبَيْرِ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যমযমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে , তা অর্জিত হবে। [৩০৬২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটির ৪৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৮ টি খুবই দুর্বল, ১৯ টি দুর্বল, ৯ টি হাসান, ১২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আহমাদ ১৪৪৩৫, ১৪৫৭৮, দারাকুতনী ২৭১৩, মু'জামুল আওসাত ৮৪৯, ৩৮১৫, ৯০২৭, শুআবুল ঈমান ৪১২৭, ৪১২৮।
৩০৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ الْفَتْحِ الْكَعْبَةَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ شَيْبَةَ فَأَغْلَقُوهَا عَلَيْهِمْ مِنْ دَاخِلٍ فَلَمَّا خَرَجُوا سَأَلْتُ بِلاَلاً أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ صَلَّى عَلَى وَجْهِهِ حِينَ دَخَلَ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ لُمْتُ نَفْسِي أَنْ لاَ أَكُونَ سَأَلْتُهُ كَمْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘরে প্রবেশ করেন। তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল ও উসমান বিন শায়বাহ (রাঃ)। তাঁরা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা বেরিয়ে এলে আমি বিলালাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন স্হানে নামায পড়েছেন? তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, তিনি ভিতরে প্রবেশ করে ডান দিকের দু’স্তম্ভের মাঝখানে দাড়িয়ে তার দিকে মুখ করে সলাত আদায় করেন। অতপর আমি নিজেকে তিরস্কার করলাম যে, আমি কেন জিজ্ঞেস করলাম না যে, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কত রাকাত নামায পরেছেন। [৩০৬৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ عِنْدِي وَهُوَ قَرِيرُ الْعَيْنِ طَيِّبُ النَّفْسِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَىَّ وَهُوَ حَزِينٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجْتَ مِنْ عِنْدِي وَأَنْتَ قَرِيرُ الْعَيْنِ وَرَجَعْتَ وَأَنْتَ حَزِينٌ . فَقَالَ " إِنِّي دَخَلْتُ الْكَعْبَةَ وَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ فَعَلْتُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَكُونَ أَتْعَبْتُ أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট থেকে আনন্দিত চোখে ও উৎফুল্ল চিত্তে বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু বিষণ্ণ অবস্হায় ফিরে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার নিকট থেকে চক্ষু শীতল অবস্থায় বেরিয়ে গেলেন, অথচ দুশ্চিন্তাযুক্ত অবস্হায় ফিরে এলেন। তিনি বলেনঃ আমি কা’বা ঘরে প্রবেশ করার পর ভাবলাম, আমি যদি এটা না করতাম! আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, আমার উম্মাতের কষ্ট হবে। [৩০৬৪]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
৩০৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اسْتَأْذَنَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَبِيتَ بِمَكَّةَ أَيَّامَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) মিনার দিনগুলোর রাত মক্কায় কাটানোর জন্য রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন। কারন হাজ্জীদের পানি পান করানোর দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত ছিল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৩০৬৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ يُرَخِّصِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لأَحَدٍ يَبِيتُ بِمَكَّةَ إِلاَّ لِلْعَبَّاسِ مِنْ أَجْلِ السِّقَايَةِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্বাস (রাঃ) ব্যাতীত আর কাউকে মিনার রাতগুলোতে মক্কা অবস্থানের অনুমতি দেননি। কারন তার উপর পানি সরবরাহের দায়িত্ব অর্পিত ছিল। [৩০৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।
৩০৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৭
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، وَعَبْدَةُ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ نُزُولَ الأَبْطَحِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-আবতাহ্’ নামক স্থানে যাত্রাবিরতি সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - সেখানে এজন্য যাত্রাবিরতি করেন যাতে মদীনার উদ্দেশ্যে তাঁর রওয়ানা করা সহজ হয়। [৩০৬৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
৩০৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : হজ্জ
হাদীস নং : ৩০৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ ادَّلَجَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَيْلَةَ النَّفْرِ مِنَ الْبَطْحَاءِ ادِّلاَجًا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা বাতহা নামক স্থান থেকে মদীনার উদ্দেশে রওনা হন। [৩০৬৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।