২৭৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعَدَّ اللَّهُ لِمَنْ خَرَجَ فِي سَبِيلِهِ لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ جِهَادٌ فِي سَبِيلِي وَإِيمَانٌ بِي وَتَصْدِيقٌ بِرُسُلِي فَهُوَ عَلَىَّ ضَامِنٌ أَنْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ أَرْجِعَهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ نَائِلاً مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ " . ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مَا قَعَدْتُ خِلاَفَ سَرِيَّةٍ تَخْرُجُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَبَدًا وَلَكِنْ لاَ أَجِدُ سَعَةً فَأَحْمِلَهُمْ وَلاَ يَجِدُونَ سَعَةً فَيَتَّبِعُونِي وَلاَ تَطِيبُ أَنْفُسُهُمْ فَيَتَخَلَّفُونَ بَعْدِي وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنْ أَغْزُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأُقْتَلَ ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ " .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়, আমার রাস্তায় জিহাদ, আমার উপর ঈমান এবং আমার রাসুলগণকে সত্যবাদী বলে মেনে নেয়াই তাকে এ পথে বের করে, তার জন্য আমার যিম্মাদারি এই যে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো অথবা তাকে তার বের হওয়ার স্থান অর্থাৎ তার আবাসে তাকে সওয়াব ও গণীমাতসহ ফিরিয়া আনবো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি মুসলমানদের জন্য কষ্টসাধ্য মনে না করলে তারা আল্লাহর রাস্তায় যে যুদ্ধেই যায় আমি পেছনে থেকে যেতাম না। কিন্তু আমার এতোটুকু সঙ্গতি নাই যে, আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য সওয়ারীর ব্যবস্থা করে দিবো এবং তাদেরও সঙ্গতি নেই যে, প্রতিটি যুদ্ধে তারা আমার সাথে যাবে। আমি তাদেরকে আমার সাথে না নিয়ে গেলে তাদেরও দুশ্চিন্তা হবে। সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আমার ইচ্ছা হয় যে, আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হই, তারপর আবার জিহাদ করে শহীদ হই, তারপর আবার জিহাদ করে শহীদ হই। [২৭৫৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَضْمُونٌ عَلَى اللَّهِ إِمَّا أَنْ يَكْفِتَهُ إِلَى مَغْفِرَتِهِ وَرَحْمَتِهِ وَإِمَّا أَنْ يَرْجِعَهُ بِأَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَمَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ الَّذِي لاَ يَفْتُرُ حَتَّى يَرْجِعَ " .
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীর জিম্মাদার। হয় তিনি তাকে তার ক্ষমা ও রহমাতে ধন্য করে উঠিয়ে নিবেন অথবা তাকে সওয়াব ও গণীমাতসহ ফিরিয়ে আনবেন। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী সেই ব্যক্তির ন্যায় যে অক্লান্তভাবে (দিনভর) সিয়াম রাখে এবং (রাতভর) নামায পড়ে জিহাদ থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত। [২৭৫৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " غَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম। [২৭৫৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " غَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
সাহল বিন সাদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে কল্যাণকর। [২৭৫৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু যাকারিয়্যা বিন মানসুর এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৩৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২৭৯২, ২৭৯৪, ২৭৯৬, ২৮৯২, ৬৫৬৮, মুসলিম ১৮৮৩-১৮৮৬, তিরমিযি ১৬৪৮, ১৬৪৯, ১৬৫১, দারিমী ২৩৯৮, আহমাদ ২৭৭৭৬, ১০৫০২, ১০৫১৯, ১২০২৮, ১২১৪৬, ১২৭৪৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯৫৪৩, ৯৫৪৯।
২৭৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৭
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَغَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল অথবা একটি বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে কল্যাণকর। [২৭৫৭]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
২৭৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَسْتَقِلَّ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ حَتَّى يَمُوتَ أَوْ يَرْجِعَ " .
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন গাযীকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেয় যাতে সে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়, এতে তার সেই যোদ্ধার অনুরূপ সওয়াব হতে থাকে যতক্ষণ না সে মৃত্যুবরণ করে (বা নিহত হয়) অথবা ফিরে আসে। [২৭৫৮]
তাহকীক আলবানী : দঈফ।
২৭৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجْرِ الْغَازِي شَيْئًا " .
যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন গাযীকে (যুদ্ধের) সরঞ্জাম সংগ্রহ করে দেয়, তার সেই গাযীর সমপরিমাণ সওয়াব হয় এবং এতে গাযীর সওয়াব থেকে মোটেও কমানো হয় না। [২৭৫৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬০
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ دِينَارٍ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ دِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى عِيَالِهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকে যে দীনারগুলো (অর্থ-সম্পদ) খরচ করে তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দীনার হলো- যা সে তার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করে, যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ঘোড়া প্রতিপালনে ব্যয় করে এবং যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী সহ-যোদ্ধাদের জন্য খরচ করে। [২৭৬০]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
২৭৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبِي الدَّرْدَاءِ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ أَرْسَلَ بِنَفَقَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَقَامَ فِي بَيْتِهِ فَلَهُ بِكُلِّ دِرْهَمٍ سَبْعُمِائَةِ دِرْهَمٍ وَمَنْ غَزَا بِنَفْسِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَنْفَقَ فِي وَجْهِ ذَلِكَ فَلَهُ بِكُلِّ دِرْهَمٍ سَبْعُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ {وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ} .
আবূ দারদা’, আবদুল্লাহ বিন উমার, আবূ হুরাইরা, আবূ উমামা আল-বাহিলী, আবদুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের খরচ বহন করে এবং সে নিজ আবাসে থেকে যায়, সে তার প্রতিটি দিরহামের বিনিময়ে সাত শত দিরহামের সওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সশরীরে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে এবং এর খরচ বহন করে, তার প্রতিটি দিরহামের বিনিময়ে সে সাত লাখ দিরহামের সওয়াব পায়। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেন” (সূরা বাকারাঃ ২৬১)। [২৭৬১]
তাহকীক আলবানী : দঈফ।
২৭৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ لَمْ يَغْزُ أَوْ يُجَهِّزْ غَازِيًا أَوْ يَخْلُفْ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ أَصَابَهُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ بِقَارِعَةٍ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদ করে না বা জিহাদকারীর সরঞ্জাম প্রস্তুত করে দেয় না অথবা জিহাদকারী (যুদ্ধে) যাওয়ার পর তার পরিবার-পরিজনের উত্তমরূপে খোঁজ–খবর নেয় না, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের পূর্বে ভীষণ বিপদে নিক্ষেপ করবেন। [২৭৬২]
তাহকীক আলবানী :হাসান।
২৭৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو رَافِعٍ، - هُوَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَافِعٍ - عَنْ سُمَىٍّ، - مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ - عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَقِيَ اللَّهَ وَلَيْسَ لَهُ أَثَرٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَقِيَ اللَّهَ وَفِيهِ ثُلْمَةٌ "
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, তার মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের) কোন চিহ্ন নাই সে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। [২৭৬৩]
তাহকীক আলবানী : দইফ।
২৭৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَدَنَا مِنَ الْمَدِينَةِ قَالَ " إِنَّ بِالْمَدِينَةِ لَقَوْمًا مَا سِرْتُمْ مِنْ مَسِيرٍ وَلاَ قَطَعْتُمْ وَادِيًا إِلاَّ كَانُوا مَعَكُمْ فِيهِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ قَالَ " وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ حَبَسَهُمُ الْعُذْرُ "
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাবুকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে মদীনার নিকটবর্তী হয়ে বলেনঃ মদীনায় এমন কতক লোক আছে যে, তোমরা যেখানেই গিয়েছো এবং যে উপত্যকাই অতিক্রম করেছো, তারা তোমাদের সাথেই ছিল। সাহাবাগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা মদীনায় থেকেও (আমাদের সাথে ছিলেন) ! তিনি বলেনঃ তারা মদীনায় থেকেও, তাদের অক্ষমতা তাদের প্রতিরোধ করে রেখেছে। [২৭৬৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بِالْمَدِينَةِ رِجَالاً مَا قَطَعْتُمْ وَادِيًا وَلاَ سَلَكْتُمْ طَرِيقًا إِلاَّ شَرِكُوكُمْ فِي الأَجْرِ حَبَسَهُمُ الْعُذْرُ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ أَوْ كَمَا قَالَ كَتَبْتُهُ لَفْظًا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদীনায় এমন কতক লোক আছে যে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম করেছো এবং যে পথই চলেছো তারা সওয়াবে তোমাদের সাথে শরীক আছে, প্রতিবন্ধকতা তাদের আটকে রেখেছে। আবূ আবদুল্লাহ ইবনু মাজা (রহঃ) বলেন, আহমাদ বিন সিনান অনুরূপ কিছু বলেছেন। আমি তার মূল পাঠ লিখে নিয়েছি। [২৭৬৫]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
২৭৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ خَطَبَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ النَّاسَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ حَدِيثًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أُحَدِّثَكُمْ بِهِ إِلاَّ الضِّنُّ بِكُمْ وَبِصَحَابَتِكُمْ فَلْيَخْتَرْ مُخْتَارٌ لِنَفْسِهِ أَوْ لِيَدَعْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَابَطَ لَيْلَةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ كَانَتْ كَأَلْفِ لَيْلَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا " .
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উসমান বিন আফ্ফান (রাঃ) লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বলেন, হে জনগণ! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একটি হাদীস শুনেছি। সেটি তোমাদের নিকট বর্ণনা করা থেকে আমাকে বিরত রেখেছে তোমাদের সাহচর্যের প্রতি আমার কৃপণতা। অতএব কেউ চাইলে তা নিজের জন্য গ্রহণ করতে পারে অথবা পরিহারও করতে পারে। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার রাস্তায় এক রাত সীমান্ত অঞ্চলে পাহারা দেয়, তা এক হাজার দিন সিয়াম রাখা এবং এক হাজার রাত জেগে নামায পড়ার সমতুল্য। [২৭৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৭২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১১ টি জাল, ৪৭ টি খুবই দুর্বল, ৫৭ টি দুর্বল, ২২ টি হাসান, ৩৫ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ১৯১৬, তিরমিযি ১৬৬৫, ১৬৬৭, দারিমী ২৪২৪, আহমাদ ৪৪৪, ৪৭২, ৪৭৯, ৫৫৯, ৬৬১৫, ৮৯৯১, ২৩২১৪, ২৩২১৫, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯৬১৭, ৯৬১৮, ৯৬১৯, মু'জামুল আওসাত ৩১২৩, ৪০৪৯, ৪৮২১, ৪৮২৫, ৫৬৭২, ৮০৫৯।
২৭৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৭
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ زُهْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ مَاتَ مُرَابِطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَجْرَى عَلَيْهِ أَجْرَ عَمَلِهِ الصَّالِحِ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُ وَأَجْرَى عَلَيْهِ رِزْقَهُ وَأَمِنَ مِنَ الْفَتَّانِ وَبَعَثَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ آمِنًا مِنَ الْفَزَعِ " .
আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত অঞ্চল পাহারাদানরত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য সেইসব নেক আমলের সওয়াব প্রদান অব্যাহত রাখবেন যা সে করতো, জান্নাতে তাকে রিযিক দান করবেন, কবরের বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখবেন এবং কিয়ামতের ভয়ভীতি থেকে মুক্ত অবস্থায় উঠাবেন। [২৭৬৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَعْلَى السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ صُبْحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَرِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مِنْ وَرَاءِ عَوْرَةِ الْمُسْلِمِينَ مُحْتَسِبًا مِنْ غَيْرِ شَهْرِ رَمَضَانَ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ عِبَادَةِ مِائَةِ سَنَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا وَرِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مِنْ وَرَاءِ عَوْرَةِ الْمُسْلِمِينَ مُحْتَسِبًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ أَفْضَلُ عِنْدَ اللَّهِ وَأَعْظَمُ أَجْرًا - أُرَاهُ قَالَ - مِنْ عِبَادَةِ أَلْفِ سَنَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا فَإِنْ رَدَّهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِهِ سَالِمًا لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْهِ سَيِّئَةٌ أَلْفَ سَنَةٍ وَتُكْتَبُ لَهُ الْحَسَنَاتُ وَيُجْرَى لَهُ أَجْرُ الرِّبَاطِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةَ " .
উবায় বিন কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমাদান মাস ব্যতীত অন্য মাসে সওয়াবের আশায় মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত চৌকিতে একদিন পাহারা দেয়া একশত বছরের ইবাদত, সিয়াম ও (নফল) নামায অপেক্ষা অধিক সওয়াবের কাজ। আর রমাদান মাসে সওয়াবের আশায় আল্লাহর রাস্তায় মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্য এক দিন পাহারা দেয়া আল্লাহর নিকট এক হাজার বছরের বছরের ইবাদত, সিয়াম ও নামায অপেক্ষা অধিক সওয়াবের কাজ। আল্লাহ যদি তাকে নিরাপদে তার পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরিয়ে আনেন তবে এক হাজার বছর পর্যন্ত তার কোন গুনাহ লেখা হবে না, তার জন্য নেকী লেখা হবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য সীমান্ত চৌকিতে পাহারাদানের সওয়াব অব্যাহতভাবে লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। [২৭৬৮]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
উক্ত হাদীসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইয়া’লা আস-সুলামী সম্পর্কে আবূ আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল।(তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭১৩, ২৭/৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. উমার বিন সুবহ সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইসহাক বিন রাহওয়ায় তাকে মিথ্যুক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য।(তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৫৯, ২১/৩৯৬ নং পৃষ্ঠা)
২৭৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَحِمَ اللَّهُ حَارِسَ الْحَرَسِ " .
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা নিরাপত্তামূলক পাহারাদানকারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন। [২৭৬৯]
তাহকীক আলবানীঃ দইফ।
২৭৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭০
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَبِي الطَّوِيلِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " حَرْسُ لَيْلَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِنْ صِيَامِ رَجُلٍ وَقِيَامِهِ فِي أَهْلِهِ أَلْفَ سَنَةٍ السَّنَةُ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ يَوْمًا وَالْيَوْمُ كَأَلْفِ سَنَةٍ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর রাস্তায় একরাত পাহারা দেয়া কোন লোকের নিজ পরিবারে অবস্থানরত থেকে এক হাজার বছর সিয়াম রাখা ও নামাজ পড়ার চেয়ে অধিক উত্তম। এক বছর হলো তিন শত ষাট দিনে, যার প্রতিটি দিন এক হাজার বছরের সমান। [২৭৭০]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
উক্ত হাদীসের রাবী ১.ঈসা বিন য়ূনুস আর-রামলী সম্পর্কে আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবূ দাউদ আস সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৭২, ২৩/৬০ নং পৃষ্ঠা) ২. সাঈদ বিন খালিদ বিন আবুত- তাবীল সম্পর্কে আবূ জা‘ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আবূ যূরআহ আর রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কওলী বা আমালীগত ফিসক এর সাথে জড়িত।(তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২৫৭, ১০/৪০২ নং পৃষ্ঠা)
২৭৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ " أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ "
আবূ হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বলেনঃ আল্লাহভীতি অবলম্বনের এবং প্রতিটি উঁচু স্থানে আরোহণকালে তাকবীর ধ্বনি করার জন্য আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি। [২৭৭১]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
তিরমিযী ৩৪৪৫, আত-তালীকু আলা ইবনু খুযায়মাহ ২৫৬১, সহীহাহ ১৭৩০। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)
২৭৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ذُكِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَشْجَعَ النَّاسِ وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَيْلَةً فَانْطَلَقُوا قِبَلَ الصَّوْتِ فَتَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ سَبَقَهُمْ إِلَى الصَّوْتِ وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لأَبِي طَلْحَةَ عُرْىٍ مَا عَلَيْهِ سَرْجٌ فِي عُنُقِهِ السَّيْفُ وَهُوَ يَقُولُ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ لَنْ تُرَاعُوا " . يَرُدُّهُمْ ثُمَّ قَالَ لِلْفَرَسِ " وَجَدْنَاهُ بَحْرًا " . أَوْ " إِنَّهُ لَبَحْرٌ " . قَالَ حَمَّادٌ وَحَدَّثَنِي ثَابِتٌ أَوْ غَيْرُهُ قَالَ كَانَ فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ يُبَطَّأُ فَمَا سُبِقَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ .
আনাস বিন মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বাধিক সুন্দর, সর্বাধিক দানশীল এবং সর্বাধিক সাহসী বীর পুরুষ। এক রাতে মদীনাবাসী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো। তারা একটি বিকট শব্দ শুনে সেদিকে ছুটলো। পথিমধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সাথে মিলিত হলেন। অবশ্য তিনি তাদের আগেই সেই বিকট শব্দের কারণ অনুসন্ধানে গিয়েছিলেন। তিনি আবূ তালহা(রাঃ) -র ঘোড়ার গদিহীন খালি পিঠে সওয়ার ছিলেন। তাঁর ঘাড়ে তরবারি ঝুলানো ছিল। তিনি বলছিলেনঃ হে জনগণ! তোমরা সন্ত্রস্ত হয়ো না। এই বলে তিনি তাদের ফিরিয়ে আনছিলেন। অতঃপর তিনি ঘোড়া সম্পর্কে মন্তব্য করেনঃ আমি এটিকে সমুদ্রের ন্যায় পেয়েছি অথবা এটি যেন একটি সমুদ্র। রাবী হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, সাবিত (রহঃ) বা অপর কেউ আমাকে বলেছেন যে, আবূ তালহা (রাঃ) -র ঘোড়াটি ছিল মন্থর গতিসম্পন্ন। কিন্তু এ দিনের পর থেকে কোন ঘোড়াই দৌড় প্রতিযোগিতায় একে অতিক্রম করতে পারেনি। [২৭৭২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَكَّارِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ بُسْرِ بْنِ أَبِي أَرْطَاةَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنِي شَيْبَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا " .
ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদেরকে জিহাদে যোগদানের আহবান জানানো হলে তোমরা বেরিয়ে পড়বে। [২৭৭৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৪
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ - عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَجْتَمِعُ غُبَارٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ فِي جَوْفِ عَبْدٍ مُسْلِمٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহর পথে ধুলা এবং জাহান্নামের ধোঁয়া কোনো মুসলমান বান্দার পেটে একত্র হতে পারবে না। [২৭৭৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ شَبِيبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ رَاحَ رَوْحَةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَانَ لَهُ بِمِثْلِ مَا أَصَابَهُ مِنَ الْغُبَارِ مِسْكًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আনাস বিন মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একটি বিকাল চললো, তাতে সে যতোটা ধূলিমলিন হলো, তা কিয়ামতের দিন তার জন্য এর সমপরিমাণ কস্তরীতে পরিণত হবে। [২৭৭৫]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৭৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ حَبَّانَ، - هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ - عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ خَالَتِهِ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ، أَنَّهَا قَالَتْ نَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا قَرِيبًا مِنِّي ثُمَّ اسْتَيْقَظَ يَبْتَسِمُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَضْحَكَكَ قَالَ " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ يَرْكَبُونَ ظَهْرَ هَذَا الْبَحْرِ كَالْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ " . قَالَتْ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ . قَالَ فَدَعَا لَهَا ثُمَّ نَامَ الثَّانِيَةَ فَفَعَلَ مِثْلَهَا ثُمَّ قَالَتْ مِثْلَ قَوْلِهَا فَأَجَابَهَا مِثْلَ جَوَابِهِ الأَوَّلِ . قَالَتْ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ " أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ " . قَالَ فَخَرَجَتْ مَعَ زَوْجِهَا عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ غَازِيَةً أَوَّلَ مَا رَكِبَ الْمُسْلِمُونَ الْبَحْرَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَلَمَّا انْصَرَفُوا مِنْ غَزَاتِهِمْ قَافِلِينَ فَنَزَلُوا الشَّامَ فَقُرِّبَتْ إِلَيْهَا دَابَّةٌ لِتَرْكَبَ فَصَرَعَتْهَا فَمَاتَتْ .
উম্মু হারাম বিনতু মিলহান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক দিন আমার ঘরে ঘুমালেন। তিনি হাসতে হাসতে জাগ্রত হলেন। আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কে হাসালো? তিনি বলেনঃ আমার উম্মতের কতক লোককে সমুদ্রপৃষ্ঠে উপবিষ্ট অবস্থায় আমার সামনে পেশ করা হয়েছে, যেভাবে বাদশাহ সিংহাসনে উপবিষ্ট থাকে। উম্মু হারাম(রাঃ) বলেন, আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন যাতে তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আনাস(রাঃ) বলেন, তিনি তার জন্য দোয়া করলেন। তিনি পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন, অতঃপর পূর্বের ন্যায় জাগ্রত হলেন। উম্মু হারাম(রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্বানুরুপ জবাব দেন। থাকে। উম্মু হারাম(রাঃ) বলেন, আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন যাতে তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আনাস(রাঃ) বলেন, মুসলমানগণ মুআবিয়া বিন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) -র নেতৃত্বে সর্বপ্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা হলে উম্মু হারাম (রাঃ) ও তার স্বামী উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) -এর সাথে জিহাদে রওয়ানা হলেন। তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করেন। আরোহণের জন্য তার নিকট একটি জন্তুযান আনা হলো। জন্তুটি তাকে ছুড়ে ফেলে দিলে তিনি তাতে নিহত হন। [২৭৭৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " غَزْوَةٌ فِي الْبَحْرِ مِثْلُ عَشْرِ غَزَوَاتٍ فِي الْبَرِّ وَالَّذِي يَسْدَرُ فِي الْبَحْرِ كَالْمُتَشَحِّطِ فِي دَمِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, একটি নৌযুদ্ধ দশটি স্থলযুদ্ধের সমতুল্য। আর সমুদ্রে যার মাথাঘুরানি হবে সে মহান আল্লাহর রাস্তায় রক্তে রঞ্জিত (নিহত) ব্যক্তির সমতুল্য। [২৭৭৭]
তাহকীক আলবানীঃ দইফ।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ১২৩০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুআবিয়াহ বিন ইয়াহইয়া সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী, আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবুল কাসিম আল-বাগাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৬৯, ২৮/২২৪ নং পৃষ্ঠা) ২. লায়স বিন আবু সুলায়ম সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৭, ২৪/২৭৯ নং পৃষ্ঠা)
২৭৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৮
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْجُبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ الشَّامِيُّ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " شَهِيدُ الْبَحْرِ مِثْلُ شَهِيدَىِ الْبَرِّ وَالْمَائِدُ فِي الْبَحْرِ كَالْمُتَشَحِّطِ فِي دَمِهِ فِي الْبَرِّ وَمَا بَيْنَ الْمَوْجَتَيْنِ كَقَاطِعِ الدُّنْيَا فِي طَاعَةِ اللَّهِ وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَكَلَ مَلَكَ الْمَوْتِ بِقَبْضِ الأَرْوَاحِ إِلاَّ شَهِيدَ الْبَحْرِ فَإِنَّهُ يَتَوَلَّى قَبْضَ أَرْوَاحِهِمْ وَيَغْفِرُ لِشَهِيدِ الْبَرِّ الذُّنُوبَ كُلَّهَا إِلاَّ الدَّيْنَ وَلِشَهِيدِ الْبَحْرِ الذُّنُوبَ وَالدَّيْنَ " .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি; একজন শহীদ নৌযোদ্ধার মর্যাদা দু’জন শহীদ স্থলযোদ্ধার সমান। আর নৌ-পথে যার মাথাঘুরানি হয়, তার মর্যাদা স্থলযুদ্ধে শহীদের মর্যাদার সমান। আর দু’টি ঢেউয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব অতিক্রমকারীর মর্যাদা আল্লাহ্র আনুগত্যে সারা দুনিয়া সফরকারীর সমান। আল্লাহ তাআলা মৃত্যুদূতকে নৌযোদ্ধা ব্যতীত সকলের রূহ হরণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ নৌযোদ্ধার রূহ নিয়ে নেন। তিনি যুদ্ধে শহীদের সকল গুনাহ মাফ করেন তার ঋণ ব্যতিত, কিন্তু নৌ-যুদ্ধে শহীদের সকল গুনাহ এবং ঋণও মাফ করেন। [২৭৭৮]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।
২৭৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، كُلُّهُمْ عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ يَوْمٌ لَطَوَّلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى يَمْلِكَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَمْلِكُ جَبَلَ الدَّيْلَمِ وَالْقُسْطَنْطِينِيَّةَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়ার একটি মাত্র দিনও যদি অবশিষ্ট থাকে তবে মহামহিম আল্লাহ সেই দিনটিকে দীর্ঘায়িত করবেন, যে পর্যন্ত না আমার আহলে বাইত-এর এক ব্যক্তি দায়লামের পাহাড় এবং কুসতুনতিয়ার কন্সট্যান্টিনোপলের অধিপতি হবে। [২৭৭৯]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৭৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮০
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، أَنْبَأَنَا الرَّبِيعُ بْنُ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَتُفْتَحُ عَلَيْكُمُ الآفَاقُ وَسَتُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مَدِينَةٌ يُقَالُ لَهَا قَزْوِينُ مَنْ رَابَطَ فِيهَا أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً كَانَ لَهُ فِي الْجَنَّةِ عَمُودٌ مِنْ ذَهَبٍ عَلَيْهِ زَبَرْجَدَةٌ خَضْرَاءُ عَلَيْهَا قُبَّةٌ مِنْ يَاقُوتَةٍ حَمْرَاءَ لَهَا سَبْعُونَ أَلْفَ مِصْرَاعٍ مِنْ ذَهَبٍ عَلَى كُلِّ مِصْرَاعٍ زَوْجَةٌ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অচিরেই তোমরা বেশ কয়েকটি দেশ এবং কাযবীন নামক শহর জয় করবে। যে ব্যক্তি তথায় চল্লিশ দিন অথবা চল্লিশ রাত প্রতিরক্ষামূলক পাহারা দিবে, জান্নাতে তার জন্য স্বর্ণের গম্বুজবিশিষ্ট পীত বর্ণের মনি-মুক্তার স্তম্ভসমূহের বালাখানা থাকবে। এতে সোনার তৈরি সত্তর হাজার দরজা থাকবে এবং প্রতিটি দরজায় থাকবে একজন করে আয়তলোচনা হূর। [২৭৮০]
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।
২৭৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮১
حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ، مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الْجِهَادَ مَعَكَ أَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَ " وَيْحَكَ أَحَيَّةٌ أُمُّكَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " ارْجِعْ فَبَرَّهَا " . ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنَ الْجَانِبِ الآخَرِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الْجِهَادَ مَعَكَ أَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَ " وَيْحَكَ أَحَيَّةٌ أُمُّكَ " . قُلْتُ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " فَارْجِعْ إِلَيْهَا فَبَرَّهَا " . ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنْ أَمَامِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الْجِهَادَ مَعَكَ أَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَ " وَيْحَكَ أَحَيَّةٌ أُمُّكَ " . قُلْتُ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَيْحَكَ الْزَمْ رِجْلَهَا فَثَمَّ الْجَنَّةُ " .
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَمَّالُ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ أَنَّ جَاهِمَةَ أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ بْن مَاجَةَ هَذَا جَاهِمَةُ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ الَّذِي عَاتَبَ النَّبِيَّ ﷺ يَوْمَ حُنَيْنٍ
মুআবিয়াহ বিন জাহিমাহ আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তোষ লাভের এবং আখেরাতে জান্নাত প্রাপ্তির আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ ফিরে গিয়ে তার সেবাযত্ন করো। এরপর আমি অপর পাশ থেকে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম,ইয়া রাসূলাল্লাহ! হাঁ। তিনি বলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তার সেবাযত্ন করো। এরপর আমি সম্মুখভাগে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ তোমার জন্য আফসোস! তার পায়ের কাছে পড়ে থাকো, সেখানেই জান্নাত। [২৭৮১]
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
---------
২/২৭৮১(১) . মুআবিয়া বিন জাহিমাহ আস-সুলামী(রাঃ) , জাহিমাহ(রাঃ) নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলেন... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। আবূ আবদুল্লাহ ইবনু মাজাহ (রহঃ) বলেন, ইনি হলেন জাহিমাহ বিন আব্বাস বিন মিরদাস আস-সুলামী যিনি হুনায়ন যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ভর্ৎসনা করেছিলেন (পরে ইসলাম গ্রহণ করেন)। [২৭৮১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي جِئْتُ أُرِيدُ الْجِهَادَ مَعَكَ أَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ وَالدَّارَ الآخِرَةَ وَلَقَدْ أَتَيْتُ وَإِنَّ وَالِدَىَّ لَيَبْكِيَانِ . قَالَ " فَارْجِعْ إِلَيْهِمَا فَأَضْحِكْهُمَا كَمَا أَبْكَيْتَهُمَا " .
আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সাথে জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এসেছি। আমি আমার পিতা- মাতাকে কাঁদিয়ে এসেছি। তিনি বলেনঃ তাদের নিকট ফিরে যাও এবং তাদের মুখে হাসি ফুটাও, যেভাবে তুমি তাদেরকে কাঁদিয়ে এসেছো। [২৭৮২]
তাহকীক আলবানীঃসহীহ।
২৭৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُقَاتِلُ شَجَاعَةً وَيُقَاتِلُ حَمِيَّةً وَيُقَاتِلُ رِيَاءً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .
আবূ মুসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সে জিহাদ করে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য, সে জিহাদ করে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং সে জিহাদ করে প্রদর্শনীর জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে আল্লাহর কলেমা (দীন) সমুন্নত করার জন্য জিহাদ করে সে-ই হলো আল্লাহর পথে (জিহাদরত)। [২৭৮৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي عُقْبَةَ، - وَكَانَ مَوْلًى لأَهْلِ فَارِسَ - قَالَ شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ فَضَرَبْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقُلْتُ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الْفَارِسِيُّ . فَبَلَغَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَلاَ قُلْتَ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الأَنْصَارِيُّ " .
আবূ উকবাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন পারস্যবাসীর মুক্ত দাস। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে উহুদ যুদ্ধের দিন হাজির ছিলাম। আমি এক মুশরিককে তরবারির আঘাত হেনে বললাম, নে এটা আমার পক্ষ থেকে, আর আমি হলাম পারস্য যুবক। ঘটনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতে পেরে বলেনঃ তুমি কেন বললে না, নে এটা আমার পক্ষ থেকে, আর আমি হলাম আনসারী যুবক। [২৭৮৪]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৭৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، يَقُولُ إِنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ غَازِيَةٍ تَغْزُو فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُصِيبُوا غَنِيمَةً إِلاَّ تَعَجَّلُوا ثُلُثَىْ أَجْرِهِمْ فَإِنْ لَمْ يُصِيبُوا غَنِيمَةً تَمَّ لَهُمْ أَجْرُهُمْ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে সেনাদল আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে গনীমাতের মাল লাভ করলো, তারা তাদের দু’তৃতীয়াংশ সওয়াব সাথে সাথে পেয়ে গেলো। আর গনীমাতের মাল না পেলে তারা (আখেরাতে) পূর্ণ সওয়াব লাভ করবে। [২৭৮৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ عُرْوَةَ الْبَارِقِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخَيْرُ مَعْقُودٌ بِنَوَاصِي الْخَيْلِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
উরওয়াহ আল-বারিকী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘোড়ার কপালে কিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ ও প্রাচুর্য বাঁধা থাকবে। [২৭৮৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " الْخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ ও প্রাচুর্য যুক্ত থাকবে। [২৭৮৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْرُ - أَوْ قَالَ الْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا قَالَ سُهَيْلٌ أَنَا أَشُكُّ الْخَيْرُ - إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ فَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَيُعِدُّهَا لَهُ فَلاَ تُغَيِّبُ شَيْئًا فِي بُطُونِهَا إِلاَّ كُتِبَ لَهُ أَجْرٌ وَلَوْ رَعَاهَا فِي مَرْجٍ مَا أَكَلَتْ شَيْئًا إِلاَّ كُتِبَ لَهُ بِهَا أَجْرٌ وَلَوْ سَقَاهَا مِنْ نَهَرٍ جَارٍ كَانَ لَهُ بِكُلِّ قَطْرَةٍ تُغَيِّبُهَا فِي بُطُونِهَا أَجْرٌ - حَتَّى ذَكَرَ الأَجْرَ فِي أَبْوَالِهَا وَأَرْوَاثِهَا - وَلَوِ اسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كُتِبَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ تَخْطُوهَا أَجْرٌ . وَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا تَكَرُّمًا وَتَجَمُّلاً وَلاَ يَنْسَى حَقَّ ظُهُورِهَا وَبُطُونِهَا فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا . وَأَمَّا الَّذِي هِيَ عَلَيْهِ وِزْرٌ فَالَّذِي يَتَّخِذُهَا أَشَرًا وَبَطَرًا وَبَذَخًا وَرِياءً لِلنَّاسِ فَذَلِكَ الَّذِي هِيَ عَلَيْهِ وِزْرٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘোড়ার কপালে বাঁধা রয়েছে কল্যাণ ও বরকত অথবা তিনি বলেছেনঃ কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ ও বরকত বাঁধা থাকবে। ঘোড়া তিন ধরনেরঃ একজনের জন্য তা সওয়াব বয়ে আনে, একজনের জন্য তা পর্দাস্বরূপ; আরেকজনের জন্য তা পাপের কারণ হয়। ঘোড়া তার জন্য সওয়াব বয়ে আনেঃ যে লোক আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য তা পোষে এবং একে সেজন্য প্রস্তুত করে রাখে। সেই ঘোড়ার পেটে যা কিছু যায় তার জন্যও তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়। যদি তার ঘোড়া চারণভূমিতে চরায় তবে ঘোড়া যা কিছুই খায় তার বিনিময়ে তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়। সে যদি ঘোড়াকে বহমান নদীর পানি পান করায় তবে তার পেটে যাওয়া প্রতিটি ফোঁটা পানির বিনিময়েও তার আমলনামায় একটি করে সওয়াব লেখা হয়। এমনকি তিনি ঘোড়ার পেশাব ও গোবরের বিনিময়েও সওয়াব হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। আর তা যদি একটি বা দু’টি টিলা অতিক্রম করে তবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হয়। আর যে লোক ঘোড়া পোষে সম্মান ও সৌন্দর্যের উপকরণস্বরূপ তা তার জন্য আবরণ। অবশ্য সে তার ঘোড়ার সহজ বা কঠিন কর্তব্য বিস্মৃত হয় না। আর ঘোড়া যার জন্য পাপের কারণঃ যে লোক ঘোড়া পোষে অহংকারবশে ও প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে, তা তার জন্য পাপের কারণ হয়, তার জন্য ঘোড়া শাস্তিস্বরূপ। [২৭৮৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عُلَىِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَيْرُ الْخَيْلِ الأَدْهَمُ الأَقْرَحُ الْمُحَجَّلُ الأَرْثَمُ طَلْقُ الْيَدِ الْيُمْنَى فَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَدْهَمَ فَكُمَيْتٌ عَلَى هَذِهِ الشِّيَةِ " .
আবূ কাতাদা আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কালো রং-এর ঘোড়া সর্বোত্তম যার কপাল ও উপরের ওষ্ঠ সাদা। অতঃপর যে ঘোড়ার ডান পা ও কপাল ব্যতীত অবশিষ্ট পাগুলো সাদা। যদি কালো ঘোড়া না পাওয়া যায় তবে লাল- কালো মিশ্রিত বর্ণের ঘোড়া উত্তম। [২৭৮৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلْمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّخَعِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَكْرَهُ الشِّكَالَ مِنَ الْخَيْلِ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিকাল ঘোড়া (অর্থাৎ তিন পা সাদা এবং এক পা শরীরের রং-বিশিষ্ট) অপছন্দ করেছেন। [২৭৯০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯১
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ، عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ رَوْحٍ الدَّارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ الْقَاضِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنِ ارْتَبَطَ فَرَسًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَالَجَ عَلَفَهُ بِيَدِهِ كَانَ لَهُ بِكُلِّ حَبَّةٍ حَسَنَةٌ " .
তামীম আদ-দারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে (জিহাদের উদ্দেশ্যে) একটি ঘোড়া পোষে, অতঃপর স্বহস্তে একে ঘাস ও শস্যদানা খাওয়ায়, তার আমলনামায় প্রতিটি দানার বিনিময়ে একটি করে সওয়াব লেখা হয়। [২৭৯১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আহমাদ বিন ইয়াযীদ বিন রাওহ আদ-দারী ও মুহাম্মাদ বিন উকবাহ আল-কাদী এবং উকবাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ১১ টি খুবই দুর্বল, ৪২ টি দুর্বল, ২ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২৮৫৩, আহমাদ ৮৬৪৯, ১৬৫০৭, ২৬৯৩৪, মুজামুল আওসাত ১১৩৩, ১১৭২, শারহুস সুন্নাহ ২৬৪৮।
২৭৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯২
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ يُخَامِرَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " .
মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, কোন মুসলমান ব্যক্তি মহামহিম আল্লাহর পথে একটি উষ্ট্রী দোহনের সময় পরিমাণ যুদ্ধ করলে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। [২৭৯২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا دَيْلَمُ بْنُ غَزْوَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ حَضَرْتُ حَرْبًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ يَا نَفْسِ أَلاَ أَرَاكِ تَكْرَهِينَ الْجَنَّهْ أَحْلِفُ بِاللَّهِ لَتَنْزِلِنَّهْ طَائِعَةً أَوْ لَتُكْرَهِنَّهْ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি এক যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহাহ (রাঃ) বললেন, “হে আত্মা! আমি কি দেখছি না যে, তুমি জান্নাতকে অপছন্দ করছো! আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমাকে অবশ্যই জান্নাতে যেতে হবে আনন্দে হোক বা নিরানন্দে”। [২৭৯৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ قَالَ " مَنْ أُهْرِيقَ دَمُهُ وَعُقِرَ جَوَادُهُ " .
আমর বিন আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন জিহাদ উত্তম? তিনি বলেনঃ যে যুদ্ধে মুজাহিদের রক্ত প্রবাহিত হয় এবং তার ঘোড়াও আহত হয়। [২৭৯৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। তাছাড়া শাহর বিন হাওশাব আমর বিন আবাসাহ থেকে হাদিসটি শ্রবন করেননি। হাদিসটির ৩৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৮ টি খুবই দুর্বল, ১৪ টি দুর্বল, ১ টি হাসান, ৯ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারিমী ২৩৯২, আহমাদ ১৩৭৯৮, ১৩৮২১, ১৪৩১৭, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪৮৪৪, মুজামুল আওসাত ১২২৫, ২১০৬, ৪৪৪৭।
২৭৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৫
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مَجْرُوحٍ يُجْرَحُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُجْرَحُ فِي سَبِيلِهِ - إِلاَّ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَجُرْحُهُ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ جُرِحَ وَاللَّوْنُ لَوْنُ دَمٍ وَالرِّيحُ رِيحُ مِسْكٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলে, রাসূলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর পথে আহত ব্যক্তি, আল্লাহই ভালো জানেন কে তার পথে আহত হয়, কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার ক্ষতস্থান আহত হওয়ার দিনের মত দগদগে তাজা থাকবে, তার রং হবে রক্তিম বর্ণ এবং তার ঘ্রাণ হবে কস্তরীর মত সুগন্ধে ভরপুর। [২৭৯৫]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৭৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الأَحْزَابِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ سَرِيعَ الْحِسَابِ اهْزِمِ الأَحْزَابَ اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ " .
আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফের বাহিনীসমুহকে বদদোয়া করে বলেনঃ “হে কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী আল্লাহ! আপনি বাহিনীসমুহকে পরাস্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদের পরাস্ত করুন এবং তাদের ভীত-কম্পিত করুন। [২৭৯৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৭
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُرَيْحٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ مِنْ قَلْبِهِ بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ " .
সাহল বিন হুনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সর্বান্তঃকরণে সত্যিকারভাবে আল্লাহর নিকট শাহাদাত কামনা করবে, আল্লাহ তাকে শহীদদের মর্যাদা দান করবেন, যদিও সে তার বিছানায় মারা যায়। [২৭৯৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي زَيْنَبَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذُكِرَ الشُّهَدَاءُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ تَجِفُّ الأَرْضُ مِنْ دَمِ الشَّهِيدِ حَتَّى تَبْتَدِرَهُ زَوْجَتَاهُ كَأَنَّهُمَا ظِئْرَانِ أَضَلَّتَا فَصِيلَيْهِمَا فِي بَرَاحٍ مِنَ الأَرْضِ وَفِي يَدِ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا حُلَّةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শহীদদের বিষয় উল্লেখ করা হলে তিনি বলেনঃ শহীদের রক্ত মাটিতে শুকিয়ে যাবার আগেই তার দু’জন স্ত্রী (জান্নাতের হূর) এসে তাকে এমনভাবে তুলে নেয়, যেন তারা স্তন্যদানকারিনী, যারা তাদের দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে জঙ্গলে হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দু’জনের প্রত্যেকের হাতে থাকবে একটি করে চাদর যা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব কিছুর চেয়ে উত্তম। [২৭৯৮]
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।
২৭৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৭৯৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنِي بَحِيرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ مِنْ دَمِهِ وَيُرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الأَكْبَرِ وَيُحَلَّى حُلَّةَ الإِيمَانِ وَيُزَوَّجُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ إِنْسَانًا مِنْ أَقَارِبِهِ " .
মিকদাম বিন মা’দীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহর নিকট ছয়টি বৈশিষ্ট্য রয়েছেঃ (১) তার দেহের রক্তের প্রথম ফোঁটাটি বের হতেই তিনি তাকে ক্ষমা করেন এবং জান্নাতে তার ঠিকানা তাকে দেখানো হয়, (২) কবরের আযাব থেকে তাকে রক্ষা করা হয়, (৩) (কিয়ামতের) ভয়ংকর ত্রাস থেকে সে নিরাপদ থাকবে; (৪) তাকে ঈমানের চাদর পড়ানো হবে; (৫) আয়তলোচনা হুরের সাথে তার বিবাহ দেয়া হবে এবং (৬) তার নিকট আত্মীয়দের মধ্য থেকে সত্তরজনের পক্ষে তাকে শাফাআত করার অনুমতি দেয়া হবে। [২৭৯৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০০
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحَرَامِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَرَامِيُّ الأَنْصَارِيُّ، سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا جَابِرُ أَلاَ أُخْبِرُكَ مَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لأَبِيكَ " . قُلْتُ بَلَى . قَالَ " مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَكَلَّمَ أَبَاكَ كِفَاحًا . فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ . قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلُ فِيكَ ثَانِيَةً . قَالَ إِنَّهُ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يُرْجَعُونَ . قَالَ يَا رَبِّ فَأَبْلِغْ مَنْ وَرَائِي . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَذِهِ الآيَةَ {وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا} " . الآيَةَ كُلَّهَا .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উহুদের যুদ্ধের দিন আবদুল্লাহ বিন ‘আমর বিন হারাম (রাঃ) শহীদ হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে জাবির! মহামহিম আল্লাহ তোমার পিতাকে যা বলেছেন তা কি আমি তোমাকে অবহিত করবো না? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তায়ালা যার সাথেই কথা বলেছেন, পর্দার অন্তরাল থেকে বলেছেন, কিন্তু তোমার পিতার সাথে সামনা সামনি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, হে আমার বান্দা! তুমি আকাঙ্ক্ষা করো, আমি তোমাকে দিবো। সে বললো, হে প্রভু! আমাকে জীবিত করুন আমি পুনরায় আপনার রাস্তায় শহীদ হবো। তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে পূর্বেই এটা সাব্যস্ত হয়ে গেছে যে, এখানে আসার পর তারা আর প্রত্যাবর্তন করবে না। সে বললো, প্রভু! আমার পক্ষ থেকে আমার পশ্চাতের (পৃথিবীর) লোকেদের সুসংবাদ পৌঁছে দিন। তখন মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) : “যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনও মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত....” (সূরা আল ইমরানঃ ১৬৯-১৭১)। [২৮০০]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، فِي قَوْلِهِ {وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ} قَالَ أَمَا إِنَّا سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " أَرْوَاحُهُمْ كَطَيْرٍ خُضْرٍ تَسْرَحُ فِي الْجَنَّةِ فِي أَيِّهَا شَاءَتْ ثُمَّ تَأْوِي إِلَى قَنَادِيلَ مُعَلَّقَةٍ بِالْعَرْشِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذِ اطَّلَعَ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ اطِّلاَعَةً فَيَقُولُ سَلُونِي مَا شِئْتُمْ . قَالُوا رَبَّنَا وَمَاذَا نَسْأَلُكَ وَنَحْنُ نَسْرَحُ فِي الْجَنَّةِ فِي أَيِّهَا شِئْنَا فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لاَ يُتْرَكُونَ مِنْ أَنْ يَسْأَلُوا قَالُوا نَسْأَلُكَ أَنْ تَرُدَّ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا إِلَى الدُّنْيَا حَتَّى نُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ . فَلَمَّا رَأَى أَنَّهُمْ لاَ يَسْأَلُونَ إِلاَّ ذَلِكَ تُرِكُوا " .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ তা’আলার নিম্মোক্ত বাণী সম্পর্কে বর্ণিতঃ “যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরানঃ ১৬৯)। তিনি বলেন, আমরা উক্ত আয়াতের তাৎপর্য জিজ্ঞেস করলে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শহীদগণের রূহ সবুজ পাখির ন্যায় স্বাধীনভাবে জান্নাতে যত্রতত্র উড়ে বেড়ায় এবং আরশের সাথে ঝুলন্ত ফানুসের মধ্যে বিশ্রাম গ্রহণ করে। একদা তাদের রূহসমূহ ঐ অবস্থায় থাকাকালে তোমার প্রতিপালক তাদের নিকট উদ্ভাসিত হয়ে বলেন, তোমরা যা ইছা আমার নিকট চাও। তারা বললো, আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার নিকট আর কি চাবো! আমরা তো স্বাধীনভাবে জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুড়ে বেড়াই। তারা যখন দেখলো যে, কিছু না চাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ছাড়া হচ্ছে না, তখন তারা বললো, আমরা আপনার নিকট চাই যে, আপনি আমাদের দেহে আমাদের রূহ ফেরত দিয়ে আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠাবেন, যাতে আমরা আপনার রাস্তায় জিহাদ করতে পারি। আল্লাহ যখন দেখলেন যে, তারা এটাই চাচ্ছে, তখন তাদেরকে (স্ব স্ব অবস্থায়) ত্যাগ করা হলো। [২৮০১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَبِشْرُ بْنُ آدَمَ، قَالُوا حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا يَجِدُ الشَّهِيدُ مَسَّ الْقَتْلِ إِلاَّ كَمَا يَجِدُ أَحَدُكُمْ مَسَّ الْقَرْصَةِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শহীদ ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় কোন কষ্টই অনুভব করে না, শুধু এতটুকু যে, তোমাদের কাউকে পিঁপড়ায় দংশন করলে সে যতটুকু ব্যাথা অনুভব করে। [২৮০২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৮০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَالَ قَائِلٌ مِنْ أَهْلِهِ إِنْ كُنَّا لَنَرْجُو أَنْ تَكُونَ وَفَاتُهُ قَتْلَ شَهَادَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ شُهَدَاءَ أُمَّتِي إِذًا لَقَلِيلٌ الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ شَهَادَةٌ وَالْمَطْعُونُ شَهَادَةٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهَادَةٌ - يَعْنِي الْحَامِلَ - وَالْغَرِقُ وَالْحَرِقُ وَالْمَجْنُوبُ - يَعْنِي ذَاتَ الْجَنْبِ - شَهَادَةٌ " .
জাবর বিন আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে আসেন। জাবর (রাঃ) -এর পরিবারের কেউ বললো, আমরা আশা করতাম যে, সে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে মৃত্যু বরণ করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাহলে আমার উম্মাতের শহীদের সংখ্যা তো খুব কম হয়ে যাবে। আল্লাহর পথে নিহত হলে শহীদ, মহামারীতে নিহত হলে শহীদ, যে মহিলা গর্ভাবস্থায় মারা যায় সে শহীদ এবং পানিতে ডুবে, আগুনে পুড়ে ও ক্ষয়রোগে মৃত্যুবরণকারী শহীদ। [২৮০৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَا تَقُولُونَ فِي الشَّهِيدِ فِيكُمْ " . قَالُوا الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ " إِنَّ شُهَدَاءَ أُمَّتِي إِذًا لَقَلِيلٌ مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ مَاتَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَالْمَطْعُونُ شَهِيدٌ " .
قَالَ سُهَيْلٌ وَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مِقْسَمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَزَادَ، فِيهِ " وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কাদের তোমরা শহীদ মনে করো? সাহাবীগণ বলেন, আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তাহলে তো আমার উম্মাতের শহীদের সংখ্যা কম হবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে নিহত হয়, সে শহীদ, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মারা যায় সে শহীদ, যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় মারা যায় সে শহীদ এবং যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায় সেও শহীদ। আবূ হুরায়রাহ(রাঃ) , (সুহায়ল) বলেন, এ সুত্রে আমাকে অবহিত করেন যে, তিনি তাঁর রিওয়ায়াতে আরো উল্লেখ করেছেনঃ পানিতে ডুবে মরা ব্যক্তিও শহীদ। [২৮০৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন। [২৮০৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى . أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ أَخَذَ دِرْعَيْنِ كَأَنَّهُ ظَاهَرَ بَيْنَهُمَا .
সাইব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের যুদ্ধের দিন দুটি লৌহবর্ম একটির উপর অপরটি পরিধান করেন। [২৮০৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي أُمَامَةَ فَرَأَى فِي سُيُوفِنَا شَيْئًا مِنْ حِلْيَةِ فِضَّةٍ فَغَضِبَ وَقَالَ لَقَدْ فَتَحَ الْفُتُوحَ قَوْمٌ مَا كَانَ حِلْيَةُ سُيُوفِهِمْ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَكِنِ الآنُكُ وَالْحَدِيدُ وَالْعَلاَبِيُّ . قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ الْعَلاَبِيُّ الْعَصَبُ .
সুলায়মান বিন হাবীব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আবূ উমমাহ(রাঃ) এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদের তরবারিতে রূপার অলঙ্করণ দেখতে পেয়ে অসন্তুষ্ট হন এবং বলেন, (আগেকার) লোকেরা বহু বিজয় অর্জন করেছিলো। কিন্তু তাদের তরবারি সোনা বা রূপা দ্বারা অলঙ্কৃত ছিলো না, বরং শিশা, লোহা বা উটের রগ দ্বারা অলংকৃত ছিল। আবুল হাসান আল-কাত্তান(রহঃ) বলেন, হাদীসে উল্লিখিত শব্দ “আলাবী” এর অর্থ ‘রগ’। [২৮০৭]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।
২৮০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الصَّلْتِ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَنَفَّلَ سَيْفَهُ ذَا الْفِقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ‘যুল-ফাকার’ নামক তরবারি বদরের যুদ্ধের দিন গনীমতস্বরূপ গ্রহণ করেন। [২৮০৮]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি হাসান।
২৮০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَانَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ إِذَا غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَمَلَ مَعَهُ رُمْحًا فَإِذَا رَجَعَ طَرَحَ رُمْحَهُ حَتَّى يُحْمَلَ لَهُ . فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ لأَذْكُرَنَّ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ " لاَ تَفْعَلْ فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ لَمْ تُرْفَعْ ضَالَّةٌ " .
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুগীরাহ বিন শু‘বাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে জিহাদ করতে গেলে সাথে একটা বর্শা নিতেন। ফিরে এসে তিনি বর্শাটি ফেলে দিতেন। শেষে কেউ তা তুলে এনে তাকে দিতো। ‘আলী (রাঃ) তাকে বলেন, আমি অবশ্যই এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলবো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এটা করো না। কেননা তুমি যদি এরূপ করো তবে কেউ আর কোন পড়ে থাকা জিনিস কুড়িয়ে নিয়ে ফেরত দিবে না। [২৮০৯]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দঈফ।
২৮১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَتْ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْسٌ عَرَبِيَّةٌ فَرَأَى رَجُلاً بِيَدِهِ قَوْسٌ فَارِسِيَّةٌ فَقَالَ " مَا هَذِهِ أَلْقِهَا وَعَلَيْكُمْ بِهَذِهِ وَأَشْبَاهِهَا وَرِمَاحِ الْقَنَا فَإِنَّهُمَا يَزِيدُ اللَّهُ بِهِمَا فِي الدِّينِ وَيُمَكِّنُ لَكُمْ فِي الْبِلاَدِ " .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হতে একটি আরবীয় ধনুক ছিল। তিনি এক ব্যক্তির হতে একটি পারসিক ধনুক দেখে বলেনঃ এটা কি? এটা ফেলে দাও। তোমরা এটার অনুরূপ ধনুক রাখো এবং বর্শাও রাখো। কেননা আল্লাহ তা’আলা এই ধনুক ও বর্শা দ্বারা তোমাদের দ্বীনের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের দ্বারা বিভিন্ন দেশ জয় করাবেন। [২৮১০]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদ দুর্বল।
২৮১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَزْرَقِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيُدْخِلُ بِالسَّهْمِ الْوَاحِدِ الثَّلاَثَةَ الْجَنَّةَ صَانِعَهُ يَحْتَسِبُ فِي صَنْعَتِهِ الْخَيْرَ وَالرَّامِيَ بِهِ وَالْمُمِدَّ بِهِ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْمُوا وَارْكَبُوا وَأَنْ تَرْمُوا أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ تَرْكَبُوا وَكُلُّ مَا يَلْهُو بِهِ الْمَرْءُ الْمُسْلِمُ بَاطِلٌ إِلاَّ رَمْيَهُ بِقَوْسِهِ وَتَأْدِيبَهُ فَرَسَهُ وَمُلاَعَبَتَهُ امْرَأَتَهُ فَإِنَّهُنَّ مِنَ الْحَقِّ " .
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ একটা তীরের উপলক্ষে তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেনঃ (১) তীর নির্মাতা যে তা নির্মাণকালে কল্যাণের আশা করে, (২) (জিহাদে) এই তীর নিক্ষেপ কারী এবং (৩) যে তা নিক্ষেপে সাহায্য করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা তীরন্দাজী করো এবং ঘোড়দৌড় শিক্ষা করো। তবে তোমার ঘোড়দৌড় শেখার তুলনায় তীরন্দাজী শিক্ষা করা আমার কাছে অধিক প্রিয়। মুসলিম ব্যক্তির সকল ক্রীড়া-কৌতুকই বৃথা। তবে তাঁর ধনুক দ্বারা তীর নিক্ষেপ, তার ঘোড়াকে প্রশিক্ষন দান এবং স্ত্রীর সাথে তাঁর ক্রীড়া-কৌতুক বৃথা নয়। কারন এগুলো উপকারী ও বিধিসম্মত। [২৮১১]
তাহকীক আলবানীঃ “মুসলিম ব্যক্তির সকল ক্রীড়াকৌতুক বৃথা। তবে তাঁর ধনুক দ্বারা তীর নিক্ষেপ, তার ঘোড়াকে প্রশিক্ষন দান এবং স্ত্রীর সাথে তাঁর ক্রীড়াকৌতুক বৃথা নয়”। এই কথা ব্যাতীত হাদীসটি দঈফ। “কারন এগুলো উপকারী ও বিধিসম্মত।“ এই বাক্যটি দুর্বল।
২৮১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১২
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَمَى الْعَدُوَّ بِسَهْمٍ فَبَلَغَ سَهْمُهُ الْعَدُوَّ أَصَابَ أَوْ أَخْطَأَ فَيَعْدِلُ رَقَبَةً " .
আমর বিন আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি শত্রুবাহিনীর প্রতি একটি তীর নিক্ষেপ করলো, অতঃপর তা শত্রুবাহিনী পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে লক্ষ্যে আঘাত হানুক বা লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হোক, তা একটি গোলাম আযাদ করার সমান। [২৮১২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৩
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ عَلَى الْمِنْبَرِ " {وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ} أَلاَ وَإِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ " ثَلاَثَ مَرَّاتٍ
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে তিলাওয়াত করতে শুনেছি (অনুবাদ) : “তোমরা দুশমনের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য শক্তি সঞ্চয় করো” (সূরা আনফালঃ ৬০)। জেনে রেখো! এই শক্তি হলো তীরন্দাজী। কথাটি তিনি তিনবার বলেন। [২৮১৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৪
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ نُعَيْمٍ الرُّعَيْنِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ نَهِيكٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ تَعَلَّمَ الرَّمْىَ ثُمَّ تَرَكَهُ فَقَدْ عَصَانِي " .
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তীরন্দাজী শিক্ষা করার পর তা ত্যাগ করলো সে আমার নাফরমানী করলো। [২৮১৪]
তাহকীক আলবানীঃ [আরবী] শব্দে সহীহ।
২৮১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِنَفَرٍ يَرْمُونَ فَقَالَ " رَمْيًا بَنِي إِسْمَاعِيلَ فَإِنَّ أَبَاكُمْ كَانَ رَامِيًا " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন যারা তীরন্দাজী করছিল। তিনি বলেন, হে ইসমাঈলের বংশধর! তোমরা তীরন্দাজী করো। কেননা তোমাদের পিতা ছিলেন তীরন্দাজ। [২৮১৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا عَلَى الْمِنْبَرِ وَبِلاَلٌ قَائِمٌ بَيْنَ يَدَيْهِ مُتَقَلِّدٌ سَيْفًا وَإِذَا رَايَةٌ سَوْدَاءُ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ قَدِمَ مِنْ غَزَاةٍ .
আল হারিস বিন হাসসান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মদীনায় পৌঁছে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে আছেন এবং বিলাল (রাঃ) তার গলায় তরবারি ঝুলিয়ে তাঁর সামনে দন্ডায়মান। আরো ছিল একটি কালো পতাকা। আমি বললাম, এই লোক কে? লোকেরা বললো, আমর ইবনুল আস (রাঃ)। তিনি একটি যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছেন। [২৮১৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَعَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَلِوَاؤُهُ أَبْيَضُ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন মক্কায় প্রবেশ করেন এবং তাঁর পতাকাটি ছিল সাদা রং-এর। [২৮১৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْوَاسِطِيُّ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ، سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَايَةَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتْ سَوْدَاءَ وَلِوَاؤُهُ أَبْيَضُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বড় পতাকাটি ছিল কালো রং-এর এবং ক্ষুদ্র পতাকাটি ছিল সাদা রং-এর। [২৮১৮]
তাহকিক আলবানীঃ হাসান।
২৮১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮১৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، - مَوْلَى أَسْمَاءَ - عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا أَخْرَجَتْ جُبَّةً مُزَرَّرَةً بِالدِّيبَاجِ فَقَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُ هَذِهِ إِذَا لَقِيَ الْعَدُوَّ .
আসমা’ বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একটি সোনার বোতামযুক্ত জামা বের করে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শত্রুবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার সময় এটি পরিধান করতেন।[২৮১৯]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَنْهَى عَنِ الْحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ، إِلاَّ مَا كَانَ هَكَذَا ثُمَّ أَشَارَ بِإِصْبَعِهِ ثُمَّ الثَّانِيَةِ ثُمَّ الثَّالِثَةِ ثُمَّ الرَّابِعَةِ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا عَنْهُ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করতেন, কিন্তু এতটুকু পরিমাণ হলে (দোষ নেই)। অতঃপর তাঁর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন, তারপর দ্বিতীয় আঙ্গুল দিয়ে, তারপর তৃতীয় আঙ্গুল দিয়ে, তারপর চতুর্থ আঙ্গুল দিয়ে, অতঃপর বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের তা পরিধান করতে নিষেধ করতেন। [২৮২০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُسَاوِرٍ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ قَدْ أَرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ .
আমর বিন হুরায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি যেন এখনো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি এবং তিনি তাঁর পাগড়ির উভয় প্রান্ত তাঁর দু’কাঁধের উপর ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। [২৮২১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথায় কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন। [২৮২২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنَا سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ حَيَّانَ الرَّقِّيِّ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عُرْوَةَ الْبَارِقِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً سَأَلَ أَبِي عَنِ الرَّجُلِ، يَغْزُو فَيَشْتَرِي وَيَبِيعُ وَيَتَّجِرُ فِي غَزْوِهِ فَقَالَ لَهُ أَبِي كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَبُوكَ نَشْتَرِي وَنَبِيعُ وَهُوَ يَرَانَا وَلاَ يَنْهَانَا .
যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি দেখলাম এক ব্যক্তি আমার পিতার নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছেন, যে যুদ্ধে যোগদান করে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় করছে। আমার পিতা তাকে বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাবুকে অবস্থানকালে ক্রয়-বিক্রয় করতাম। তিনি আমাদের দেখতেন কিন্তু নিষেধ করতেন না। [২৮২৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৪
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لأَنْ أُشَيِّعَ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَكُفَّهُ عَلَى رَحْلِهِ غَدْوَةً أَوْ رَوْحَةً أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
মুআয বিন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর পথের মুজাহিদকে বিদায় জানানো, অতঃপর তাকে সকালে বা সন্ধ্যায় তাঁর সওয়ারীতে তুলে দেয়া আমার নিকট দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব কিছু থেকে অধিক পছন্দনীয়। [২৮২৪]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
আহমাদ ১৫২১৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/১৫০, ইরওয়া ১১৮৯। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী জা'ফার বিন মুসাফির সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন। তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. যাব্বান বিন ফাইদ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৫৩, ৯/২৮১ নং পৃষ্ঠা)
২৮২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ وَدَّعَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ الَّذِي لاَ تَضِيعُ وَدَائِعُهُ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিদায় দিয়ে বলেন, আমি তোমাকে আল্লাহর আমানতে সোপর্দ করলাম, যাঁর নিকট সোপর্দকৃত জিনিস ধ্বংস হয় না। [২৮২৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৬
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مِحْصَنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَشْخَصَ السَّرَايَا يَقُولُ لِلشَّاخِصِ " أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ " .
ইবনু উমার(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সামরিক বাহিনীকে বিদায় দিয়ে বলতেনঃ আমি তোমার দীন, তোমার বিশ্বস্থতা ও তোমার সর্বশেষ আমল আল্লাহর নিকট সোপর্দ করলাম। [২৮২৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْعَامِلِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَكْثَمَ بْنِ الْجَوْنِ الْخُزَاعِيِّ " يَا أَكْثَمُ اغْزُ مَعَ غَيْرِ قَوْمِكَ يَحْسُنْ خُلُقُكَ وَتَكْرُمْ عَلَى رُفَقَائِكَ يَا أَكْثَمُ خَيْرُ الرُّفَقَاءِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلاَفٍ وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকসাম বিন জাওন আল-খুযাঈ (রাঃ) কে বলেনঃ হে আকসাম! তুমি তোমার সম্প্রদায় ব্যাতীত অন্য সম্প্রদায়ের সাথে একত্ত্রে জিহাদ করো, তাহলে তোমার চরিত্র সুন্দর হবে। তোমার সঙ্গীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করো (বা সঙ্গীদের সম্মান করো)। উত্তম সঙ্গী চারজন এবং উত্তম সারিয়্যা (ক্ষুদ্র যুদ্ধাভিযান) হলো চারটি, যার সৈন্যসংখ্যা চারশত। চার হাজার সৈন্য সম্বলিত সেনাদল হলো উত্তম। আর ১২ হাজার সদস্যবিশিষ্ঠ সেনাদল সংখ্যা স্বল্পতার দরুন কখনো পরাজিত হবে না। [২৮২৭]
তাহকীক আলবানীঃ হাদীসের ২য় অংশ ব্যাতীত খুবই দুর্বল। কারণ (আরবি) অংশটি সহিহ।
২৮২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ أَصْحَابَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يَوْمَ بَدْرٍ ثَلاَثَمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوتَ مَنْ جَازَ مَعَهُ النَّهَرَ وَمَا جَازَ مَعَهُ إِلاَّ مُؤْمِنٌ .
বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আলোচনা করতাম যে, বদরের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীর সংখ্যা ছিল তিন শত দশের কিছু বেশী। এই সংখ্যা ছিল তালূতের সাথে নদী অতিক্রমকারী সেনাদলের সমান। তালূতের সাথে মুমিন ব্যক্তিগনই নদী পার হয়েছিলেন। [২৮২৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮২৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ لَهِيعَةَ بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْوَرْدِ، صَاحِبَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِيَّاكُمْ وَالسَّرِيَّةَ الَّتِي إِنْ لَقِيَتْ فَرَّتْ وَإِنْ غَنِمَتْ غَلَّتْ .
আবুল ওয়ারদ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তোমরা সেই সেনাদল পরিহার করো যারা শত্রুর মোকাবিলায় অবতীর্ণ হলে পলায়ন করে এবং গনীমাত পেলে তাতে প্রতারণা করে। [২৮২৯]
তাহকীক আলবানীঃ সনদটি দুর্বল।
২৮৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ طَعَامِ النَّصَارَى فَقَالَ " لاَ يَخْتَلِجَنَّ فِي صَدْرِكَ طَعَامٌ ضَارَعْتَ فِيهِ نَصْرَانِيَّةً " .
হুলব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নাসারাদের (খৃস্টানদের) খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তোমার অন্তরে যেন কোন খাদ্য সন্দেহ সৃষ্টি না করে, তাহলে তুমিও এ ক্ষেত্রে নাসারাদের অনুরূপ হয়ে যাবে। [২৮৩০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ، رُوَيْمٍ اللَّخْمِيُّ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، - قَالَ وَلَقِيَهُ وَكَلَّمَهُ - قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُدُورُ الْمُشْرِكِينَ نَطْبُخُ فِيهَا قَالَ " لاَ تَطْبُخُوا فِيهَا " . قُلْتُ فَإِنِ احْتَجْنَا إِلَيْهَا فَلَمْ نَجِدْ مِنْهَا بُدًّا قَالَ " فَارْحَضُوهَا رَحْضًا حَسَنًا ثُمَّ اطْبُخُوا وَكُلُوا " .
আবূ সা’লাবাহ আল-খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মুশরিকদের হাঁড়ি-পাতিলে কি আমরা রান্না করব? তিনি বলেনঃ তোমরা তাতে রান্না করো না। আমি বললাম, আমরা যদি এর মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ি এবং সেগুলো ছাড়া যদি আমরা পাত্র না পাই? তিনি বলেনঃ তাহলে তোমরা তা উত্তমরূপে ধুয়ে নাও, অতঃপর তাতে রান্না করো এবং আহার করো। [২৮৩১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবু ফারওয়াহ ইয়াযীদ বিন সিনান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৩২, তিরমিযি ১৫৬০, ১৭৯৬, আবু দাউদ ৩৮৩৯, দারিমী ২৪৯৯, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৯৮, দারাকুতনী ৪৭৫৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৫৮০৩, ১০১৫১, শারহুস সুন্নাহ ২৭৭১।
২৮৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ نِيَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا لاَ نَسْتَعِينُ بِمُشْرِكٍ " . قَالَ عَلِيٌّ فِي حَدِيثِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ أَوْ زَيْدٍ .
আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় আমরা কোন মুশরিকের সাহায্য চাইনা। ‘আলী (রাঃ) তার রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন যে, রাবীর নাম ‘আবদুল্লাহ বিন ইয়াযীদ অথবা যায়েদ। [২৮৩২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْحَرْبُ خُدْعَةٌ "
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। [২৮৩৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।
২৮৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مَطَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْحَرْبُ خُدْعَةٌ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। [২৮৩৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মাতার বিন মায়মুন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৩৬ টি খুবই দুর্বল, ৯৩ টি দুর্বল, ৬৮ টি হাসান, ৭১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩০২৯, ৩০৩০, মুসলিম ১৭৪২, তিরমিযি ১৬৭৫, আবু দাউদ ২৬৩৬, ২৬৩৭, আহমাদ ৬৯৮, ৬৯৯, ১০৩৭, ১০৯২, ১২৯২৯, ১৩৮৬৯।
২৮৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، وَحَفْصُ بْنُ عَمْرٍو، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ الرُّمَّانِيِّ، - قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هُوَ يَحْيَى بْنُ الأَسْوَدِ - عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يُقْسِمُ لَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَاتُ فِي هَؤُلاَءِ الرَّهْطِ السِّتَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} إِلَى قَوْلِهِ: { إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ} فِي حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ اخْتَصَمُوا فِي الْحُجَجِ يَوْمَ بَدْرٍ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিবাদে লিপ্ত...’’ (সূরা হজ্জঃ১৯) শীর্ষক আয়াত নাযিল হয় বদর যুদ্ধের দিন ছয় ব্যক্তি সম্পর্কেঃ (মুসলমানদের) হামযা বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) , ‘আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) ও উবায়দা ইবনুল হারিছ( রাঃ) এবং (কাফেরদের) উতবা বিন রবীআ, শায়বা বিন রবীআ ও ওয়ালীদ বিন উতবা সম্পর্কে। বদরের দিন তারা পরস্পরের সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। [২৮৩৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ بَارَزْتُ رَجُلاً فَقَتَلْتُهُ فَنَفَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَلَبَهُ .
সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি এক ব্যক্তির সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মালপত্র আমাকে দিলেন। [২৮৩৬]
তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।
২৮৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَهُ سَلَبَ قَتِيلٍ قَتَلَهُ يَوْمَ حُنَيْنٍ .
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুনায়নের যুদ্ধের দিন তিনি যাকে হত্যা করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মালপত্র তাকে দিলেন। [২৮৩৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ ابْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ فَلَهُ السَّلَبُ " .
সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (যুদ্ধের ময়দানে) যে যাকে হত্যা করে তার মালপত্র হত্যাকারীর প্রাপ্য। [২৮৩৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَهْلِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُبَيَّتُونَ فَيُصَابُ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ قَالَ " هُمْ مِنْهُمْ " .
সা’ব বিন জাসসামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হলো যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত। [২৮৩৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ هَوَازِنَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْنَا مَاءً لِبَنِي فَزَارَةَ فَعَرَّسْنَا حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الصُّبْحُ شَنَنَّاهَا عَلَيْهِمْ غَارَةً فَأَتَيْنَا أَهْلَ مَاءٍ فَبَيَّتْنَاهُمْ فَقَتَلْنَاهُمْ تِسْعَةً أَوْ سَبْعَةَ أَبْيَاتٍ .
সালামা ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আবূ বাকর (রাঃ) -এর সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমরা ফাযারা গোত্রের পানির উৎসে পৌঁছে সেখানে রাত কাটাই। ভোর হলে আমরা তাদেরকে অতর্কিত আক্রমণ করলাম। অতঃপর আমরা পানির মালিকদের নিকট এসে তাদেরকে আক্রমণ করে তাদের নয় অথবা সাত ঘর লোককে হত্যা করি। [২৮৪০]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً مَقْتُولَةً فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক নারীকে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। অতঃপর তিনি নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করলেন। [২৮৪১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
২৮৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْمُرَقَّعِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَرْنَا عَلَى امْرَأَةٍ مَقْتُولَةٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهَا النَّاسُ فَأَفْرَجُوا لَهُ فَقَالَ (مَا كَانَتْ هَذِهِ تُقَاتِلُ فِيمَنْ يُقَاتِلُ) . ثُمَّ قَالَ لِرَجُلٍ (انْطَلِقْ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَقُلْ لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُكَ يَقُولُ لاَ تَقْتُلَنَّ ذُرِّيَّةً وَلاَ عَسِيفًا).
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْمُرَقَّعِ، عَنْ جَدِّهِ، رَبَاحِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ يُخْطِئُ الثَّوْرِيُّ فِيهِ .
হানযালাহ আল-কাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে যুদ্ধ করলাম। আমরা নিহত নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যার নিকট লোকজন ভীড় জমিয়েছিল। লোকেরা তাঁর জন্যে পথ করে দিলো। তিনি বলেনঃ যারা যুদ্ধ করে, সে তো তাদের সাথে যুদ্ধ করতো না! অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেনঃ তুমি খালিদ ইবনুল ওয়ালিদকে গিয়ে বলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের এই বলে নির্দেশ দিয়েছেনঃ তোমরা কখনো শিশু ও শ্রমিককে হত্যা করো না।
[উপ্রোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়ীছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
------------
৪/২৮৪২(১). রাবাহ ইবনুর রাবী‘ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আবূ বাকর বিন আবূ শায়বাহ বলেন, সাওবী তার এই রিয়ায়াতে ভুল করেছেন। [২৮৪২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৮৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الأَخْضَرِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا أُبْنَى فَقَالَ " ائْتِ أُبْنَى صَبَاحًا ثُمَّ حَرِّقْ " .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উবনা’ নামে কথিত একটি জনপদে পাঠালেন এবং বললেনঃ তুমি ভোরবেলা উবনা পৌঁছে তাকে ভস্মীভূত করো। [২৮৪৩]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ . وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ {مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً } الآيَةَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদি নাদীর গোত্রের বুওয়ায়রা নামক খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন (অনুবাদ) : “তোমরা যে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলেছো এবং যেগুলো কাণ্ডের উপর স্থির রেখেছো ...’’ (সূরা হাশরঃ ৫)। [২৮৪৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ . وَفِيهِ يَقُولُ شَاعِرُهُمْ فَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَىٍّ حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ
ইবনু উমার(রা) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ নাযীরের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। এ বিষয়ে তাদের (মুসলিমদের) কবি (হাসসান বিন সাবিত রাঃ) বলেনঃ “লুআয়্যি (কুরায়শ) গোত্রের নেতৃবৃন্দের পক্ষে বুওয়ায়রা নামক বাগানটি ব্যাপকভাবে জ্বালিয়ে দেয়া সহজ”। [২৮৪৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ أَبِي بَكْرٍ هَوَازِنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَفَّلَنِي جَارِيَةً مِنْ بَنِي فَزَارَةَ مِنْ أَجْمَلِ الْعَرَبِ عَلَيْهَا قِشْعٌ لَهَا فَمَا كَشَفْتُ لَهَا عَنْ ثَوْبٍ حَتَّى أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّوقِ فَقَالَ " لِلَّهِ أَبُوكَ هَبْهَا لِي " . فَوَهَبْتُهَا لَهُ فَبَعَثَ بِهَا فَفَادَى بِهَا أُسَارَى مِنْ أُسَارَى الْمُسْلِمِينَ كَانُوا بِمَكَّةَ .
সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে আবূ বকর (রাঃ) -র সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করি। তিনি ফাযারা গোত্রের একটি কন্যা গনীমতের অতিরিক্ত আমাকে দেন। সে ছিল আরবের সেরা সুন্দরী। তার পরনে ছিল চামড়ার পোশাক। আমি তার কাপড় উন্মোচন করিনি। এমতাবস্থায় আমি মদীনায় পৌঁছি। বাজারে আমার সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাক্ষাত হলে তিনি বলেনঃ তোমার পিতা ছিল উত্তম লোক (তোমার পিতা, আল্লাহর শপথ!) , ঐ মেয়েটিকে আমাকে দান করো। আমি মেয়েটিকে দান করলাম। অতঃপর তিনি সেই মেয়েটিকে মক্কায় বন্দী মুসলমানদের মুক্তিপণস্বরূপ তথায় পাঠিয়ে দেন। [২৮৪৬]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ذَهَبَتْ فَرَسٌ لَهُ فَأَخَذَهَا الْعَدُوُّ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّ عَلَيْهِ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَأَبَقَ عَبْدٌ لَهُ فَلَحِقَ بِالرُّومِ فَظَهَرَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার একটি ঘোড়া ছুটে চলে গেলে শত্রুপক্ষ তা ধরে নিয়ে যায়। এরপর মুসলমানগণ তাদের উপর বিজয়ী হলে তার ঘোড়া তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময়কার। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, তার একটি গোলাম পলায়ন করে রূম এলাকায় চলে যায়। অতঃপর মুসলমানগণ তাদের উপর বিজয়ী হলে (এবং গোলামটিকে গ্রেপ্তার করে আনা হলে) খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ (রাঃ) তা তাকে ফেরত দেন। এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তিকালের পরের ঘটনা। [২৮৪৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ تُوُفِّيَ رَجُلٌ مِنْ أَشْجَعَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ " . فَأَنْكَرَ النَّاسُ ذَلِكَ وَتَغَيَّرَتْ لَهُ وُجُوهُهُمْ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ " إِنَّ صَاحِبَكُمْ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " . قَالَ زَيْدٌ فَالْتَمَسُوا فِي مَتَاعِهِ فَإِذَا خَرَزَاتٌ مِنْ خَرَزِ يَهُودَ مَا تُسَاوِي دِرْهَمَيْنِ .
যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আশজাআ গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারে যুদ্ধের দিন মারা গেল। নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর নামায পড়ো। লোকদের কাছে বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো এবং এর কারনে তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেলো। তিনি তা দেখে বলেনঃ তোমাদের সাথী আত্মসাৎ করেছে। যায়েদ (রাঃ) বলেন, তারা তার মালপত্র তালাশ করলে তার মধ্যে ইহূদীদের দু’দিরহাম মূল্যের আংটির পাথর বা মনি পাওয়া গেল।[২৮৪৮]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৮৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৪৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ كِرْكِرَةُ . فَمَاتَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هُوَ فِي النَّارِ " . فَذَهَبُوا يَنْظُرُونَ فَوَجَدُوا عَلَيْهِ كِسَاءً أَوْ عَبَاءَةً قَدْ غَلَّهَا .
আবদুল্লাহ বিন আমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কিরকিরা নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মালপত্র পাহারা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। সে মারা গেলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সে জাহান্নামী। সাহাবীগন অনুসন্ধান করে তার সঙ্গে একটি কম্বল অথবা একটি আবা পেলো যা সে আত্মসাৎ করেছিল। [২৮৪৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عِيسَى بْنِ سِنَانٍ عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ إِلَى جَنْبِ بَعِيرٍ مِنَ الْمَقَاسِمِ ثُمَّ تَنَاوَلَ شَيْئًا مِنَ الْبَعِيرِ فَأَخَذَ مِنْهُ قَرَدَةً - يَعْنِي وَبَرَةً - فَجَعَلَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ هَذَا مِنْ غَنَائِمِكُمْ أَدُّوا الْخَيْطَ وَالْمِخْيَطَ فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ فَمَا دُونَ ذَلِكَ فَإِنَّ الْغُلُولَ عَارٌ عَلَى أَهْلِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشَنَارٌ وَنَارٌ " .
উবাদাহ ইবনুস সামিত(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুনায়নের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে গনীমতের উটের পাশে নামায পরলেন। তারপর তিনি উটের দেহ থেকে একটি পশম নিয়ে তা তাঁর দু’আঙ্গুলের মাঝে রেখে বলেনঃ হে লোকসকল! অবশ্য এটা তোমাদের গনীমতের মাল। সুতা এবং সুঁই, আর যা পরিমানে তার চেয়ে বেশী এবং যা তার চেয়ে কম, সবই তোমরা গনীমতের মালের মধ্যে জমা দাও। কেননা গনীমতের মাল চুরি করার ফলে কিয়ামতের দিন তা চোরের জন্য অপমান ও গ্লানি এবং জাহান্নামের শাস্তির কারন হবে। [২৮৫০]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৮৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جَارِيَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ
হাবীব বিন মাসলামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক পঞ্চমাংশ নেয়ার পর অবশিষ্ট মালের এক তৃ্তীয়াংশ থেকে নফল (পুরস্কার) দিয়েছেন। [২৮৫১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ الزُّرَقِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَفِي الرَّجْعَةِ الثُّلُثَ .
উবাদাহ ইউনুস সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের প্রথমভাগের গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি যুদ্ধে এক-তৃতীয়াংশ থেকে (পুরস্কারস্বরূপ) অতিরিক্ত দেন। [২৮৫২]
তাহকীক আলবানীঃ সানদটি দুর্বল।
তিরমিযি ১৫৬১, আহমাদ ২২২৫৬, দারেমী ২৪৮২, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/২০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুর রহমান ইবনুল হারিস আয-যুরাকী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা) ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা)
২৮৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ أَنْبَأَنَا رَجَاءُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ لَا نَفَلَ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ الْمُسْلِمُونَ قَوِيُّهُمْ عَلَى ضَعِيفِهِمْ قَالَ رَجَاءٌ فَسَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ مُوسَى يَقُولُ لَهُ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَحِينَ قَفَلَ الثُّلُثَ فَقَالَ عَمْرٌو أُحَدِّثُكَ عَنْ أَبِي عَنْ جَدِّي وَتُحَدِّثُنِي عَنْ مَكْحُولٍ
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এর পর আর কোন নফল (অতিরিক্ত) দেওয়া যাবে না। শক্তিশালী মুসলামানগণ দুর্বল মুসলমানকে গণীমতের মাল ফেরত দিবে। রাবী রাজা (রাঃ) বলেন, আমি সুলায়মান বিন মূসাকে বলতে শুনেছি, মাকহূল আমাকে হাবীব বিন মাসলামা্র সূ্ত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের প্রথমভাগের অর্জিত গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং শেষভাগে অর্জিত গনীমতের এক-তৃ্তীয়াংশ পুরস্কারস্বরূপ দিতেন। আমর (রাঃ) বলেন, আমি যেখানে তোমাকে আমার পিতা ও দাদার সূ্ত্রে হাদীস শুনাচ্ছি, সেখানে তুমি আমাকে মাকহূ্লের সূ্ত্রে হাদীস শুনাচ্ছো। [২৮৫৩]
তাহকীক আলবানীঃ আমর থেকে মাওকূফ ব্যতীত সহীহ।
২৮৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْهَمَ يَوْمَ خَيْبَرَ لِلْفَارِسِ ثَلاَثَةَ أَسْهُمٍ لِلْفَرَسِ سَهْمَانِ وَلِلرَّجُلِ سَهْمٌ .
ইবনূ উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধের দিন গনীমতের মাল বন্টন করে অশ্বারোহীর জন্য তিনভাগঃ ঘোড়ার জন্য দু’ভাগ এবং পদাতিকের জন্য একভাগ। [২৮৫৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَيْرًا، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ - قَالَ وَكِيعٌ كَانَ لاَ يَأْكُلُ اللَّحْمَ - قَالَ غَزَوْتُ مَعَ مَوْلاَىَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَأَنَا مَمْلُوكٌ فَلَمْ يَقْسِمْ لِي مِنَ الْغَنِيمَةِ وَأُعْطِيتُ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ سَيْفًا فَكُنْتُ أَجُرُّهُ إِذَا تَقَلَّدْتُهُ .
ওয়াকী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবুল লাহম (রাঃ) গোশত খেতেন না। উমাইর (রাঃ) বলেন, আমি গোলাম অবস্থায় আমার মনিবের সাথে খায়বারের দিন যুদ্ধ করেছিলাম। গনীমতের মালে আমাকে ভাগ দেওয়া হয়নি। আমাকে ঘরের আসবাবপত্র থেকে একখানি তরবারি দেয়া হয়। আমি তা কোমরে বেঁধে মাটিতে হেঁচরিয়ে নিয়ে যেতাম। [২৮৫৫]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، قَالَتْ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ غَزَوَاتٍ أَخْلُفُهُمْ فِي رِحَالِهِمْ وَأَصْنَعُ لَهُمُ الطَّعَامَ وَأُدَاوِي الْجَرْحَى وَأَقُومُ عَلَى الْمَرْضَى .
উম্মু আতিয়্যাহ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাদের সওয়ারী ও মালপত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য পশ্চাতে থাকতাম, তাদের খাবার তৈ্রী করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং রোগীদের দেখাশোনা করতাম।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي عَطِيَّةُ بْنُ الْحَارِثِ أَبُو رَوْقٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو الْغَرِيفِ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ خَلِيفَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَقَالَ " سِيرُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا " .
সফওয়ান বিন আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান, তিনি বলেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে আল্লাহর রাস্তায় রওয়ানা হয়ে যাও, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, লাশ (নাক-কান কেটে) বিকৃ্ত করো না, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, গণীমতের মাল আত্মসাৎ করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। [২৮৫৭]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৮৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمَّرَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا فَقَالَ " اغْزُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا وَإِذَا أَنْتَ لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِلاَلٍ أَوْ خِصَالٍ فَأَيَّتُهُنَّ أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ هُمْ فَعَلُوا ذَلِكَ أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَإِنْ أَبَوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَكُونُ لَهُمْ فِي الْفَىْءِ وَالْغَنِيمَةِ شَىْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا أَنْ يَدْخُلُوا فِي الإِسْلاَمِ فَسَلْهُمْ إِعْطَاءَ الْجِزْيَةِ فَإِنْ فَعَلُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ وَقَاتِلْهُمْ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّكَ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّكَ وَلَكِنِ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَّةَ أَبِيكَ وَذِمَّةَ أَصْحَابِكَ فَإِنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَّتَكُمْ وَذِمَّةَ آبَائِكُمْ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلاَ تُنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَتُصِيبُ فِيهِمْ حُكْمَ اللَّهِ أَمْ لاَ " .
قَالَ عَلْقَمَةُ فَحَدَّثْتُ بِهِ، مُقَاتِلَ بْنَ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ هَيْصَمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ .
বুরায়দাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র সেনা-অভিযানে অধিনায়ক করে পাঠানোর সময় বিশেষভাবে তার জন্য আল্লাহভীতি অবলম্বনের এবং তার সহ যোদ্ধাদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো,যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তোমরা জিহাদ করো, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, চুরি করো না, কারো অঙ্গহানি বা অঙ্গ বিকৃ্ত করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। যখন তুমি শত্রুপক্ষের মুশরিকদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে, তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি আহবান জানাবে। তারা সেগুলোর যেকোন একটির প্রতি সাড়া দিলে তুমি তাদের থেকে তা কবুল করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।
(১) তুমি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও। তারা যদি তা কবুল করে তবে তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নাও এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো, অতঃপর তাদেরকে স্বদেশ ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে চলে আসার আহবান জানাও এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তারা যদি এ কাজ করে তবে যেসব সুযোগ সুবিধা মুহাজিরগণ পাবে তারাও তা পাবে এবং মুহাজিরদের উপর যেসম দায়দায়িত্ব বর্তাবে তা তাদের উপরও বর্তাবে। তারা যদি (স্বদেশ ত্যাগ করতে) অসম্মত হয় তবে তাদের জানিয়ে দাও যে, তারা বেদুইন মুসলমানদের সমান মর্যাদা পাবে, তাদের উপর আল্লাহর সেইসব হুকুম জারি হবে যা মুমিন মুসলমানদের উপর জারি হয় এবং তারা গণীমত ও ফাই-এর কিছুই পাবে না, তবে তারা মুসলমানদের সাথে মিলে জিহাদ করতে পারবে।
(২) তারা যদি ইসলামে দাখিল হতে অস্বীকার করে তবে তাদেরকে জিযয়া দিতে বলো। তারা যদি তা দেয় তবে তাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।
(৩) তারা যদি জিযয়া দিতেও অস্বীকার করে, তবে তুমি তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থণা করো এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।
আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর যিম্মাদারি আর তোমার নবীর যিম্মাদারি লাভের আশা করলে তুমি তাদের জন্য আল্লাহর যিম্মাদারি এবং তোমার নবীর যিম্মাদারি দান করো। কারণ তোমাদের নিজেদের এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের যিম্মাদারি ভঙ্গ করা আল্লাহ ও তাঁর রাসূ্লের যিম্মাদারি ভঙ্গ করার চেয়ে তোমাদের জন্য অধিকতর সহজ। আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর হুকুমে দূ্র্গ থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন করলে তুমি তাদেরকে আল্লাহর হুকুমে বেরিয়ে আসার অনুমতি দিও না, বরং তাদেরকে তোমার নিজের হুকুমে বেরিয়ে আশার অনুমতি দাও। কারণ তোমার জানা নেই যে, তাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর হুকুম কার্যকর করতে পারবে কি না।
নু’মান বিন মুকাররিন (রাঃ) , সূ্ত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমার কাছে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।। [২৮৫৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَمَنْ أَطَاعَ الإِمَامَ فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ عَصَى الإِمَامَ فَقَدْ عَصَانِي " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহরই অবাধ্য হলো। যে ব্যক্তি ইমামের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি ইমামের অবাধ্য করলো সে আমারই অবাধ্য করলো। [২৮৫৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَإِنِ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করো এবং আনুগত্য করো, এমনকি আংগুর ফল সদৃশ (ক্ষুদ্র) মস্তিষ্কবিশিষ্ট কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নে্তৃপদে নিয়োগ করা হয়। [২৮৬০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ الْحُصَيْنِ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ مُجَدَّعٌ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا مَا قَادَكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ " .
উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি; নাক কান কর্তিত কোন কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নেতৃপদে নিয়োগ করা হয় তবুও তোমরা তার নির্দেশ শোনো ও আনুগত্য করো, যতক্ষণ সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) অনুযায়ী পরিচালনা করে। [২৮৬১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى الرَّبَذَةِ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَإِذَا عَبْدٌ يَؤُمُّهُمْ فَقِيلَ هَذَا أَبُو ذَرٍّ . فَذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ أَوْصَانِي خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি যখন (নির্বাসনে) রাবাযা নামক স্থানে পৌছালেন তখন নামাযের একামত হচ্ছিল। এক ক্রীতদাস লোকেদের নামাযে ইমামতি করছিল। (তাকে) বলা হলো, ইনি আবূ যার(রাঃ)। (এ কথায়) ক্রীতদাস পেছনে সরে আসতে উদ্যত হলে আবূ যার (রাঃ) তাকে বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ওসীয়াত করেছেনঃ আমি যেন (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করি ও আনুগত্য করি, যদিও সে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তিত কাফ্রী ক্রীতদাস হয়। [২৮৬২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ عَلْقَمَةَ بْنَ مُجَزِّزٍ عَلَى بَعْثٍ وَأَنَا فِيهِمْ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَأْسِ غَزَاتِهِ أَوْ كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ اسْتَأْذَنَتْهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَيْشِ فَأَذِنَ لَهُمْ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسٍ السَّهْمِيَّ فَكُنْتُ فِيمَنْ غَزَا مَعَهُ فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ أَوْقَدَ الْقَوْمُ نَارًا لِيَصْطَلُوا أَوْ لِيَصْنَعُوا عَلَيْهَا صَنِيعًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ - وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ - أَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمُ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ قَالُوا بَلَى . قَالَ فَمَا أَنَا بِآمِرِكُمْ بِشَىْءٍ إِلاَّ صَنَعْتُمُوهُ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَإِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكُمْ إِلاَّ تَوَاثَبْتُمْ فِي هَذِهِ النَّارِ . فَقَامَ نَاسٌ فَتَحَجَّزُوا فَلَمَّا ظَنَّ أَنَّهُمْ وَاثِبُونَ قَالَ أَمْسِكُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّمَا كُنْتُ أَمْزَحُ مَعَكُمْ . فَلَمَّا قَدِمْنَا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَمَرَكُمْ مِنْهُمْ بِمَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلاَ تُطِيعُوهُ " .
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলকামা বিন মুজাযযিয (রাঃ) কে একটি সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করেন। আমিও তাতে শরীক ছিলাম। তিনি যখন গন্তব্যে পৌছেন অথবা পথিমধ্যে ছিলেন, তখন একদল সৈ্ন্য তার নিকট (কোন বিষয়ে) অনুমতি চাইলে তিনি তাদের অনুমতি দিলেন এবং আবদুল্লাহ বিন হুযাফা বিন কায়স আস-সাহমী (রাঃ) কে তাদের অধিনায়ক নিযুক্ত করেন। যেসব লোক আবদুল্লাহ(রাঃ) -এর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করেছে, আমিও তাদের সাথে ছিলাম। লোকেরা পথিমধ্যে ছিলো। এ অবস্থায় একদল লোক উত্তাপ গ্রহণের জন্য অথবা অন্য কোন কাজে আগুন প্রজ্জ্বলিত করলো। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের বলেন (তিনি কিছুটা রসিক প্রকৃ্তির ছিলেন) , আমার নির্দেশ শোনা ও আনুগত্য করা কি তোমাদের জন্য বাধ্যতামূ্লক নয়? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যা করার নির্দেশই দিবো তোমরা কি তাই করবে? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে চুড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা এই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ো। কতক লোক (আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য) দাঁড়িয়ে গেলো এবং কোমর বাঁধলো। তিনি যখন দেখলেন, লোকেরা সত্যিই আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত হয়েছে, তখন বললেন, থামো। আমি তোমাদের সাথে ঠাট্টা করেছি। (রাবী বলেন) আমরা ফিরে এলে লোকেরা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করলো। রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ তোমাদেরকে আল্লাহর নাফরমানী করার নির্দেশ দিলে তোমরা তার আনুগত্য করবে না। [২৮৬৩]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৮৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ الطَّاعَةُ فِيمَا أَحَبَّ أَوْ كَرِهَ إِلاَّ أَنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيَةٍ فَمَنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পাপকাজ ব্যতীত যে কোন কাজে মুসলিম ব্যক্তির (নেতৃবৃন্দের) আনুগত্য করা অপরিহার্য, তা তার মনঃপূত হোক বা না হোক। অতএব পাপ কাজের নির্দেশ দেয়া হলে তা শোনাও যাবে না, আনুগত্য করাও যাবে না। [২৮৬৪]
তাহকীক আলবানীঃ সানদটি সহীহ।
২৮৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৫
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَيَلِي أُمُورَكُمْ بَعْدِي رِجَالٌ يُطْفِئُونَ السُّنَّةَ وَيَعْمَلُونَ بِالْبِدْعَةِ وَيُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ مَوَاقِيتِهَا " فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَدْرَكْتُهُمْ كَيْفَ أَفْعَلُ قَالَ " تَسْأَلُنِي يَا ابْنَ أُمِّ عَبْدٍ كَيْفَ تَفْعَلُ لاَ طَاعَةَ لِمَنْ عَصَى اللَّهَ " .
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অচিরেই আমার পরে এমন সব লোক তোমাদের নেতা হবে যারা সুন্নাতকে বিলুপ্ত করবে, বিদআতের অনুসরণ করবে এবং নামায নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে বিলম্বে পড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূ্ল! আমি যদি তাদের (যুগ) পাই, তবে কি করবো? তিনি বলেন, হে উম্মু আবদ-এর পুত্র! তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছো যে, তুমি কি করবে? যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যচরণ করে, তার আনুগত্য করা যাবে না। [২৮৬৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَابْنِ، عَجْلاَنَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَالأَثَرَةِ عَلَيْنَا وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُولَ الْحَقَّ حَيْثُمَا كُنَّا لاَ نَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন দুঃসময় ও সুসময়, আনন্দ ও বিষাদে এবং নিজেদের উপরে অন্যদের অগ্রাধিকার প্রদানে (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট থেকে বায়আত (শপথ) গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের থেকে এ বিষয়ে বায়আত নেন যে, (রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে) আমরা যেন যোগ্য ব্যক্তির সাথে (গদি নিয়ে) বিবাদে লিপ্ত না হই। আর যেখানেই থাকি আমরা যেন সত্য কথা বলি এবং আল্লাহর ব্যাপারে নিন্দুকের নিন্দার যেন পরোয়া না করি। [২৮৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَبِيبُ الأَمِينُ، - أَمَّا هُوَ إِلَىَّ فَحَبِيبٌ وَأَمَّا هُوَ عِنْدِي فَأَمِينٌ - عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَبْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ تِسْعَةً فَقَالَ " أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ " . فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ فَقَالَ " أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَتَسْمَعُوا وَتُطِيعُوا - وَأَسَرَّ كَلِمَةً خُفْيَةً - وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا " . قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُهُ فَلاَ يَسْأَلُ أَحَدًا يُنَاوِلُهُ إِيَّاهُ .
আওফ বিন মালিক আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা সাত, আট অথবা নয় ব্যক্তি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি বলেনঃ তোমরা কি আল্লাহর রাসূ্লের নিকট বায়আত হবে না? তৎক্ষণাৎ আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে দিলাম। এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমরা তো আপনার নিকট (ইতোপূর্বে) বায়আত হয়েছি, এখন (আবার) কিসের জন্য আপনার নিকট বায়আত হবো? তিনি বলেনঃ (তোমরা এ বিষয়ে বায়আত হবে যে) তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্তের নামায কায়েম করবে, (নেতৃ-আদেশ) শ্রবণ করবে ও আনুগত্য করবে। (একটি কথা তিনি গোপনে বললেন) : মানুষের কাছে কিছু প্রার্থনা করবে না। রাবী বলেন, অতঃপর আমি তাদের যে কোন ব্যক্তিকে দেখেছি যে, তার চাবুক নিচে পড়ে গেলেও তিনি কাউকে তা তুলে দিতে বলতেন না। [২৮৬৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَتَّابٍ، - مَوْلَى هُرْمُزَ - قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَقَالَ " فِيمَا اسْتَطَعْتُمْ " .
আনাস বিন মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূ্লুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য বায়আত হলাম। তিনি বলেন, “যতদূ্র তোমাদের সাধ্যে কুলায়”। [২৮৬৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ عَبْدٌ فَبَايَعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْهِجْرَةِ وَلَمْ يَشْعُرِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ عَبْدٌ فَجَاءَ سَيِّدُهُ يُرِيدُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " بِعْنِيهِ " . فَاشْتَرَاهُ بِعَبْدَيْنِ أَسْوَدَيْنِ ثُمَّ لَمْ يُبَايِعْ أَحَدًا بَعْدَ ذَلِكَ حَتَّى يَسْأَلَهُ أَعَبْدٌ هُوَ
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন ক্রীতদাস এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হিজরত করার শপথ নেয়। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতেন না যে, সে ক্রীতদাস। তার মনিব তাকে ফেরত নিতে এলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাকে আমার নিকট বিক্রয় করো। তিনি দু’টি কৃষ্ণকায় গোলামের বিনিময়ে তাকে খরিদ করেন। এরপর থেকে তিনি কাউকে বায়আত করার পূর্বেই জিজ্ঞেস করে নিতেন যে, সে ক্রীতদাস কি না? [২৮৬৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ رَجُلٌ عَلَى فَضْلِ مَاءٍ بِالْفَلاَةِ يَمْنَعُهُ مِنِ ابْنِ السَّبِيلِ وَرَجُلٌ بَايَعَ رَجُلاً بِسِلْعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ فَحَلَفَ بِاللَّهِ لأَخَذَهَا بِكَذَا وَكَذَا فَصَدَّقَهُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ وَرَجُلٌ بَايَعَ إِمَامًا لاَ يُبَايِعُهُ إِلاَّ لِدُنْيَا فَإِنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا وَفَى لَهُ وَإِنْ لَمْ يُعْطِهِ مِنْهَا لَمْ يَفِ لَهُ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন শ্রেনীর লোকের সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবে না, তদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে পীড়াদায়ক শাস্তি। (১) যে ব্যক্তি মাঠে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রাখে কিন্তু তা পথিকদের ব্যবহার করতে দেয় না; (২) যে ব্যক্তি আসরের নামাযের পর অপর কোন ব্যক্তির নিকট পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করে এবং আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, সে তা এত এত মূল্যে খরিদ করেছে এবং ক্রেতা তার কথা বিশ্বাস করে, অথচ তার কথা সত্য নয় এবং (৩) যে ব্যক্তি পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে নেতার কাছে আনুগত্যের শপথ নেয়, নেতা তাকে কিছু পার্থিব স্বার্থ দিলে সে তার শপথ পূর্ণ করে এবং না দিলে শপথ পূর্ণ করে না। [২৮৭০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ فُرَاتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَتْ تَسُوسُهُمْ أَنْبِيَاؤُهُمْ كُلَّمَا ذَهَبَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَأَنَّهُ لَيْسَ كَائِنٌ بَعْدِي نَبِيٌّ فِيكُمْ " . قَالُوا فَمَا يَكُونُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " تَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُوا " . قَالُوا فَكَيْفَ نَصْنَعُ قَالَ " أَوْفُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ أَدُّوا الَّذِي عَلَيْكُمْ فَسَيَسْأَلُهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنِ الَّذِي عَلَيْهِمْ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের রাজনীতি পরিচালনা করতেন তাদের নবীগণ। যখনই একজন নবী চলে যেতেন (ইনতিকাল করতেন) তখনই আরেকজন নবী নেতৃত্ব গ্রহণ করতেন। কিন্তু আমার পরে তোমাদের মধ্যে আর কেউ নবী হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে কী অবস্থা হবে? তিনি বলেনঃ খলীফা হবে এবং তাদের সংখ্যা অনেক হবে। সাহাবীগণ বলেন, আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রথমে খলীফা হবে তোমরা তার আনূগত্যের শপথ করো, অতঃপর তার পরবর্তী খলীফার। তোমাদের উপর তাদের যে অধিকার রয়েছে তোমরা তা আদায় করো। আর তাদের উপর (তোমাদের) যে অধিকার প্রাপ্য আছে (তা আদায় না করলে) , মহান আল্লাহ তাদের নিকট থেকে তার হিসাব নিবেন। [২৮৭১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنٍ " .
আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা। [২৮৭২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।
২৮৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৩
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ إِنَّهُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَدْرِ غَدْرَتِهِ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতকের জন্য তার প্রতারণার মাত্রা অনুযায়ী একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে। [২৮৭৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আলী বিন যায়দ বিন জুদআন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৭১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১০ টি খুবই দুর্বল, ৪৮ টি দুর্বল, ৯৩ টি হাসান, ২২০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩১৮৭, ৩১৮৮, ৬১৭৭, ৬১৭৮, ৬৯৬৬, ৭১১১, মুসলিম ১৭৩৬-১৭৪১, তিরমিযি ১৫৮১, ২১৯১, আবু দাউদ ২৭৫৬, দারিমী ২৫৪২, আহমাদ ৩৮৯০, ৩৯৪৯, ৪১৮৯, ৪৬৩৪, ৪৮২৪, ৫০৬৯, ৫১৭০, ৫৩৫৫, ৫৭৭০, ৫৮৭৯।
২৮৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ أُمَيْمَةَ بِنْتَ رُقَيْقَةَ، تَقُولُ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نِسْوَةٍ نُبَايِعُهُ فَقَالَ لَنَا " فِيمَا اسْتَطَعْتُنَّ وَأَطَقْتُنَّ إِنِّي لاَ أُصَافِحُ النِّسَاءَ " .
উমায়মাহ বিনতু রুকায়কাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বায়আত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমি কতক মহিলা সমভিব্যাহারে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাদের বললেন, যতদূর তোমাদের সামর্থ্যে ও শক্তিতে কুলায়। আমি মহিলাদের সাথে মুসাফাহাহ (করমর্দন) করি না। [২৮৭৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَتِ الْمُؤْمِنَاتُ إِذَا هَاجَرْنَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُمْتَحَنَّ بِقَوْلِ اللَّهِ {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ } إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَنْ أَقَرَّ بِهَا مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ فَقَدْ أَقَرَّ بِالْمِحْنَةِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَقْرَرْنَ بِذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِنَّ قَالَ لَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْطَلِقْنَ فَقَدْ بَايَعْتُكُنَّ " . لاَ وَاللَّهِ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ غَيْرَ أَنَّهُ يُبَايِعُهُنَّ بِالْكَلاَمِ . قَالَتْ عَائِشَةُ وَاللَّهِ مَا أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى النِّسَاءِ إِلاَّ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ وَلاَ مَسَّتْ كَفُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَفَّ امْرَأَةٍ قَطُّ وَكَانَ يَقُولُ لَهُنَّ إِذَا أَخَذَ عَلَيْهِنَّ " قَدْ بَايَعْتُكُنَّ " . كَلاَمًا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ঈমানদার মহিলাগণ হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি আল্লাহ তাআলার লিম্নোক্ত বাণীর নির্দেশ অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করতেনঃ “হে নবী! ঈমানদার মহিলাগণ যখন তোমার নিকট এসে বায়আত করে...”(সূরা মুমতাহিনাহঃ ১২)। আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, যে কোন ঈমানদার মহিলা উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী স্বীকার করতো সে যেন কঠিন পরীক্ষাকে স্বীকার করে নিতো। মহিলাগন বাচনিক এসব কথা স্বীকার করে নিলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বলতেনঃ তোমরা চলে যাও, আমি তোমাদের বায়আত গ্রহণ করেছি। (রাবী বলেন,) না, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না, তিনি শুধু কথার মাধ্যমে তাদের বায়আত করতেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের নিকট থেকে কেবলমাত্র সেইসব কথার স্বীকারোক্তি করাতেন যার নির্দেশ আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাত কখনও কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না। তিনি তাদের শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বলতেনঃ আমি বাচনিক তোমাদের বায়আত করলাম। [২৮৭৫]
তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَدْخَلَ فَرَسًا بَيْنَ فَرَسَيْنِ وَهُوَ لاَ يَأْمَنُ أَنْ يَسْبِقَ فَلَيْسَ بِقِمَارٍ وَمَنْ أَدْخَلَ فَرَسًا بَيْنَ فَرَسَيْنِ وَهُوَ يَأْمَنُ أَنْ يَسْبِقَ فَهُوَ قِمَارٌ " .
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দু’টি ঘোড়ার সাথে (দৌড় প্রতিযোগিতায়) শরীক করলো, কিন্তু তার ঘোড়া জিতবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দু’টি ঘোড়ার সাথে (দৌড় প্রতিযোগিতায়) শরীক করলো এবং তার ঘোড়া জিতবে বলে সে নিশ্চিত হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। [২৮৭৬]
২৮৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ ضَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخَيْلَ فَكَانَ يُرْسِلُ الَّتِي ضُمِّرَتْ مِنَ الْحَفْيَاءِ إِلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ وَالَّتِي لَمْ تُضَمَّرْ مِنْ ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ .
ইবনু ঊমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়াকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিলেন। বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়ার দ্বারা তিনি আল-হাফয়া’ নামক স্থান থেকে সানিয়্যাতুল বিদা' পর্যন্ত ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করলেন। আর যেসব ঘোড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলো না সেগুলো দ্বারা সানিয়্যাতুল বিদা’ থেকে যুরায়ক মসজিদ পর্যন্ত (ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করেন)। [২৮৭৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْحَكَمِ، - مَوْلَى بَنِي لَيْثٍ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ سَبَقَ إِلاَّ فِي خُفٍّ أَوْ حَافِرٍ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দৌড় প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হলে (মাল অথবা অর্থ গ্রহণ করা বৈধ নয়) , উট ও ঘোড়া ব্যতীত। [২৮৭৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৭৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَأَبُو عُمَرَ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন মাজীদ নিয়ে শত্রু এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করেছেন, এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। [২৮৭৯]
তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৮০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَنْهَى أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে শত্রুর এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করতেন এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। [২৮৮০]
তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।
২৮৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : জিহাদ
হাদীস নং : ২৮৮১
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمَانِهِ فِيمَا قَسَمَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ قَسَمْتَ لإِخْوَانِنَا بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ وَقَرَابَتُنَا وَاحِدَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا أَرَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ شَيْئًا وَاحِدًا " .
জুবায়র বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ও উসমান বিন আফফান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলেন খায়বারে প্রাপ্ত যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনের বিষয়ে তাঁর সাথে আলাপ করার জন্য। তারা বললেন, আপনি আমাদের ভ্রাতৃগোষ্ঠী বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের মধ্যে বন্টন করেছেন, অথচ আমাদের আত্মীয় সম্পর্ক তো একই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে একই মনে করি। [২৮৮১]
তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।