২৬৯৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৬৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا وَلاَ شَاةً وَلاَ بَعِيرًا وَلاَ أَوْصَى بِشَىْءٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীনার-দিরহাম (নগদ অর্থ) বা উট-ছাগল কিছুই রেখে যাননি এবং তিনি কোন কিছুর ওসিয়াতও করেননি। [২৬৯৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৬৯৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৬৯৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَىْءٍ قَالَ لاَ . قُلْتُ فَكَيْفَ أَمَرَ الْمُسْلِمِينَ بِالْوَصِيَّةِ قَالَ أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ .
قَالَ مَالِكٌ وَقَالَ طَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفٍ قَالَ الْهُزَيْلُ بْنُ شُرَحْبِيلَ أَبُو بَكْرٍ كَانَ يَتَأَمَّرُ عَلَى وَصِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَّ أَبُو بَكْرٍ أَنَّهُ وَجَدَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَهْدًا فَخَزَمَ أَنْفَهُ بِخِزَامٍ .
তালহাহ বিন মুসাররিফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি ওসিয়াত করেছিলেন? তিনি বলেন, না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে তিনি মুসলমানদের কিভাবে ওসিয়াতের নির্দেশ দিলেন? তিনি বলেন, তিনি আল্লাহর কিতাব অনুসারে ওসিয়াত করেছেন। হুযাইল বিন শরাহবীল বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওসিয়াতকৃত ব্যক্তির (ওসী) উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা আবূ বাকর (রাঃ)-এর ছিল না। আবূ বাকর (রাঃ)-র অবস্থা এই ছিল যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশ পেলে অনুগত উটের ন্যায় নিজের নাকে লাগাম পরিয়ে দিতেন। [২৬৯৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৬৯৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৬৯৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَتْ عَامَّةُ وَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ وَهُوَ يُغَرْغِرُ بِنَفْسِهِ " الصَّلاَةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অন্তিম মুহূর্তে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার ওসিয়াত এই ছিল যে, “নামায পড়বে এবং তোমাদের দাস-দাসীর সাথে সদ্ব্যবহার করবে”। [২৬৯৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৬৯৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৬৯৮
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَانَ آخِرُ كَلاَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الصَّلاَةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ " .
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শেষ কথা ছিলঃ “নামায পড়বে এবং তোমাদের দাস-দাসীর সাথে সদাচার করবে”। [২৬৯৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৬৯৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৬৯৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ أَنْ يَبِيتَ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ شَىْءٌ يُوصِي فِيهِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলমানের নিকট ওসিয়াত করার মত জিনিস থাকলে তার ওসিয়াতনামা তার নিকট লিপিবদ্ধ আকারে না রেখে দু’টি রাতও অতিবাহিত করা তার জন্য বৈধ নয়। [২৬৯৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭০০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا دُرُسْتُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَحْرُومُ مَنْ حُرِمَ وَصِيَّتَهُ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: বঞ্চিত সেই ব্যক্তি যে ওসিয়াত করা থেকে বঞ্চিত থাকে। [২৭০০]
তাহকীক আলবানী: দঈফ।
২৭০১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَاتَ عَلَى وَصِيَّةٍ مَاتَ عَلَى سَبِيلٍ وَسُنَّةٍ وَمَاتَ عَلَى تُقًى وَشَهَادَةٍ وَمَاتَ مَغْفُورًا لَهُ " .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওসিয়াত করে মারা গেলো সে সঠিক পথে ও সুন্নাতের উপরই মারা গেলো, তাকওয়া ও শহীদী দরজা পেয়ে মারা গেলো এবং গুনাহ মাফ পেয়ে মারা গেলো। [২৭০১]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৭০২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عَوْفٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ شَىْءٌ يُوصِي بِهِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন মুসলমানের নিকট ওসিয়াতযোগ্য জিনিস থাকা সত্ত্বেও তার ওয়াসিয়াতনামা তার কাছে লিখিত আকারে না রেখে দু’টি রাতও অতিবাহিত করার অধিকার তার নাই। [২৭০২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭০৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৩
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ قَطَعَ اللَّهُ مِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ওয়ারিসকে মীরাস দেয়া থেকে পশ্চাদপসরণ করে, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে জান্নাতের অংশীদার হওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন। [২৭০৩]
তাহকীক আলবানী: দঈফ।
২৭০৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْخَيْرِ سَبْعِينَ سَنَةً فَإِذَا أَوْصَى حَافَ فِي وَصِيَّتِهِ فَيُخْتَمُ لَهُ بِشَرِّ عَمَلِهِ فَيَدْخُلُ النَّارَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الشَّرِّ سَبْعِينَ سَنَةً فَيَعْدِلُ فِي وَصِيَّتِهِ فَيُخْتَمُ لَهُ بِخَيْرِ عَمَلِهِ فَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ {تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ} إِلَى قَوْلِهِ {عَذَابٌ مُهِينٌ}
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি একাধারে সত্তর বছর যাবত উত্তম কাজ করলো, অতঃপর ওসিয়াতের মাধ্যমে যুলুম করলো, ফলে খারাপ কাজের দ্বারা তার জীবনের সমাপ্তি হলো, সে জাহান্নামে যাবে। আবার কোন লোক একাধারে সত্তর বছর ধরে খারাপ কাজ করলো, অতঃপর ওসিয়াতের মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত কাজ করলো, ফলে ভালো কাজের দ্বারা তার জীবনের সমাপ্তি হলো, সে জান্নাতে যাবে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে (কুরআনের এ আয়াত) পড়তে পারো (অনুবাদ) : “এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এটা এক মহাসাফল্য। আর কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লংঘন করলে তিনি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে, তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি”। (সূরা নিসা: ১৩-১৪)। [২৭০৪]
তাহকীক আলবানী: দঈফ।
২৭০৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৫
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ أَبِي حَلْبَسٍ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ أَبِي خُلَيْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ فَأَوْصَى وَكَانَتْ وَصِيَّتُهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا تَرَكَ مِنْ زَكَاتِهِ فِي حَيَاتِهِ " .
কুররাহ বিন ইয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ অন্তিমকালে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ওসিয়াত করলে, সে তার জীবনে যে যাকাত দেয়নি এটা তার কাফফারাস্বরূপ। [২৭০৫]
তাহকীক আলবানী: দঈফ।
২৭০৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، وَابْنِ، شُبْرُمَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَبِّئْنِي بِأَحَقِّ النَّاسِ مِنِّي بِحُسْنِ الصُّحْبَةِ فَقَالَ " نَعَمْ وَأَبِيكَ لَتُنَبَّأَنَّ أُمُّكَ " . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ " ثُمَّ أُمُّكَ " . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ " ثُمَّ أُمُّكَ " . قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ " ثُمَّ أَبُوكَ " . قَالَ نَبِّئْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ عَنْ مَالِي كَيْفَ أَتَصَدَّقُ فِيهِ قَالَ " نَعَمْ وَاللَّهِ لَتُنَبَّأَنَّ أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَأْمُلُ الْعَيْشَ وَتَخَافُ الْفَقْرَ وَلاَ تُمْهِلْ حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ نَفْسُكَ هَاهُنَا قُلْتَ مَالِي لِفُلاَنٍ وَمَالِي لِفُلاَنٍ وَهُوَ لَهُمْ وَإِنْ كَرِهْتَ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে অবহিত করুন যে, লোকের মধ্যে কে আমার উত্তম সাহচর্যের অধিক দাবিদার। তিনি বলেনঃ হাঁ, তোমার পিতার শপথ! তোমাকে অবশ্যই অবহিত করা হবে, তোমার মা। সে বললো, তারপর কে? তিনি বলেনঃ তারপর তোমার মা। সে বললো, তারপর কে? তিনি বলেনঃ তারপর তোমার মা। সে বললো, তারপর কে? তিনি বলেনঃ তারপর তোমার পিতা। লোকটি বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে অবহিত করুন যে, আমার মাল থেকে আমি কিভাবে দান-খয়রাত করবো? তিনি বলেন: হাঁ, আল্লাহর শপথ! তোমাকে অবশ্যই বলা হবে। তুমি সুস্থ অবস্থায়, সম্পদের প্রতি তোমার আকর্ষণ থাকতে, উত্তমরূপে জীবন যাপনের আশা রেখে এবং দারিদ্রের আশঙ্কা জাগ্রত রেখে দান-খয়রাত করো, কিন্তু বিলম্ব করো না। শেষে যখন তোমার জান এখানে (কন্ঠনালীতে) এসে পৌঁছবে তখন তুমি বলবে আমার এই মাল অমুকের জন্য, আমার এই মাল অমুকের জন্য। অথচ তখন তা তাদের (ওয়ারিসদের) জন্য হয়েই গেছে, যদিও তুমি তা অপছন্দ করো। [২৭০৬]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
২৭০৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ جَحَّاشٍ الْقُرَشِيِّ، قَالَ بَزَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي كَفِّهِ ثُمَّ وَضَعَ أَصْبُعَهُ السَّبَّابَةَ وَقَالَ " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّى تُعْجِزُنِي ابْنَ آدَمَ وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ مِثْلِ هَذِهِ فَإِذَا بَلَغَتْ نَفْسُكَ هَذِهِ - وَأَشَارَ إِلَى حَلْقِهِ - قُلْتَ أَتَصَدَّقُ وَأَنَّى أَوَانُ الصَّدَقَةِ " .
বুস্র বিন জাহ্হাশ আল-কুরাশী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাতের তালুতে থুতু ফেলে তার অপর তাঁর হাতের শাহাদাত আঙ্গুল রেখে বলেন, মহামহিম আল্লাহ বলেন, আদম-সন্তান আমাকে কিভাবে অক্ষম করবে, অথচ আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি এর অনুরূপ জিনিস থেকে। অতঃপর তোমার জান যখন এ পর্যন্ত পৌছবে, তিনি তাঁর কণ্ঠনালীর দিকে ইশারা করলেন, তখন তুমি বলবে, আমি দান করবো। অথচ তখন দান-খয়রাত করার সুযোগ কোথায়? [২৭০৭]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৭০৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، وَسَهْلٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضْتُ عَامَ الْفَتْحِ حَتَّى أَشْفَيْتُ عَلَى الْمَوْتِ فَعَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَىْ رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَىْ مَالِي قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ " .
সা‘দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মক্কা বিজয়ের বছর আমি অসুস্থ হয়ে পরলাম, এমনকি আমি মুমূর্ষু অবস্থায় উপনীত হলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে এলে আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার প্রচুর মাল আছে। একটি মাত্র কন্যা ব্যতীত আমার কোন ওয়ারিস নেই। আমি কি আমার দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ দান-খয়রাত করবো? তিনি বলেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বলেনঃ এক-তৃতীয়াংশ করতে পারো, তবে এক-তৃতীয়াংশও অধিক। তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাবে, সেটা তাদেরকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর মত নিঃস্ব অবস্থায় রেখে যাওয়ার তুলনায় অধিক উত্তম। [২৭০৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭০৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭০৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَصَدَّقَ عَلَيْكُمْ عِنْدَ وَفَاتِكُمْ بِثُلُثِ أَمْوَالِكُمْ زِيَادَةً لَكُمْ فِي أَعْمَالِكُمْ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের মৃত্যুর সময়ও তোমাদের মাল থেকে আল্লাহ তাআলা এক-তৃতীয়াংশ ওসিয়াত করার অধিকার প্রদান করে তোমাদের নেক আমলের পরিমাণ আরো বাড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। [২৭০৯]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৭১০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১০
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا مُبَارَكُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ابْنَ آدَمَ اثْنَتَانِ لَمْ تَكُنْ لَكَ وَاحِدَةٌ مِنْهُمَا جَعَلْتُ لَكَ نَصِيبًا مِنْ مَالِكَ حِينَ أَخَذْتُ بِكَظَمِكَ لأُطَهِّرَكَ بِهِ وَأُزَكِّيَكَ وَصَلاَةُ عِبَادِي عَلَيْكَ بَعْدَ انْقِضَاءِ أَجَلِكَ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! দু’টি জিনিস তোমার পাওনা ছিলো না। তার একটি এই যে, তোমার মৃত্যুর সময় তোমার মাল থেকে একটি অংশ (দান-খয়রাতের জন্য) নির্দিষ্ট করে দিয়েছি, যাতে তুমি (গুনাহ থেকে) পাকসাফ হতে পারো। আর অপরটি হলো তোমার মৃত্যুর পর তোমার জন্য আমার বান্দাদের দোয়া। [২৭১০]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ।
২৭১১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ وَدِدْتُ أَنَّ النَّاسَ، غَضُّوا مِنَ الثُّلُثِ إِلَى الرُّبُعِ لأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الثُّلُثُ كَبِيرٌ - أَوْ كَثِيرٌ - " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আশা করি যে, লোকেরা (তাদের ওসিয়াতের পরিমাণ) এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-চতুর্থাংশে কমিয়ে আনুক। কেননা, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক-তৃতীয়াংশও বেশী বা পর্যাপ্ত হয়ে যায়। [২৭১১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَهُمْ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَإِنَّ رَاحِلَتَهُ لَتَقْصَعُ بِجِرَّتِهَا وَإِنَّ لُغَامَهَا لَيَسِيلُ بَيْنَ كَتِفَىَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ لِكُلِّ وَارِثٍ نَصِيبَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ فَلاَ يَجُوزُ لِوَارِثٍ وَصِيَّةٌ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ " . أَوْ قَالَ " عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ " .
আমর বিন খারিজাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্ত্তযানে আরোহিত অবস্থায় তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। জন্ত্তটি তখন জাবর কাটছিল এবং মুখের লালা আমার উভয় কাঁধের মাঝখান দিয়ে পড়ছিল। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা (মৃতের) পরিত্যক্ত মালে প্রত্যেক ওয়ারিসের অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাই কোন ওয়ারিসের অনুকূলে ওসিয়াত করা জায়েয নয়। সন্তান যার অধীন সন্তানের মালিকানা তার, যেনাকারীর জন্য রয়েছে পাথর। যে ব্যক্তি তার পিতাকে বাদ দিয়ে অন্যের সন্তান বলে পরিচয় দেয় অথবা নিজের মনিবকে ত্যাগ ক‘রে অপরকে মনিব বলে পরিচয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার নফল বা ফরয কোন ইবাদাতই কবুল করা হবেনা। [২৭১২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيُّ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حِجَّةِ الْوَدَاعِ " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ " .
আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিদায় হজ্জের দিন তাঁর খুতবায় বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক প্রাপকের প্রাপ্য অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। অতএব কোন ওয়ারিসের অনুকূলে ওসিয়াত করা যাবে না। [২৭১৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي لَتَحْتَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسِيلُ عَلَىَّ لُعَابُهَا فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ أَلاَ لاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উষ্ট্রীর নিচে ছিলাম এবং এর মুখের লালা আমার গায়ে পড়ছিল। এমতাবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক প্রাপকের প্রাপ্য অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সাবধান! ওয়ারিসের অনুকূলে ওসিয়াত করা যাবেনা। [২৭১৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالدَّيْنِ قَبْلَ الْوَصِيَّةِ وَأَنْتُمْ تَقْرَءُونَهَا {مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ } وَإِنَّ أَعْيَانَ بَنِي الأُمِّ لَيَتَوَارَثُونَ دُونَ بَنِي الْعَلاَّتِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওসিয়াতের পূর্বে ঋণ পরিশোধের ফয়সালা দিয়েছেন। তোমরা এ আয়াত পাঠ করে থাকো (অনুবাদ) : “যা ওসিয়াত করা হয় তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধ করার পর” (সুরা নিসাঃ ১২)। সহোদর ভাই ওয়ারিস হবে, বৈমাত্রেয় ভাই ওয়ারিস হবেনা। [২৭১৫]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৭১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৬
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ أَبِي مَاتَ وَتَرَكَ مَالاً وَلَمْ يُوصِ فَهَلْ يُكَفِّرُ عَنْهُ أَنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهُ قَالَ " نَعَمْ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলো, আমার পিতা ধন-সম্পদ রেখে মারা গেছেন কিন্ত ওসিয়াত করে যাননি। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-খয়রাত করি তবে কি তা তার কাফ্ফারা হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। [২৭১৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا وَلَمْ تُوصِ وَإِنِّي أَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ لَتَصَدَّقَتْ فَلَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا وَلِيَ أَجْرٌ فَقَالَ " نَعَمْ " .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে, তিনি ওসিয়াত করে যেতে পারেননি। তার সম্পর্কে আমার ধারনা এই যে, তিনি কথা বলতে পারলে অবশ্যই দান-খয়রাত করতেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-খয়রাত করি, তবে তিনি ও আমি কি সওয়াবের অধিকারী হবো? তিনি বলেনঃ হাঁ। [২৭১৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : ওসিয়ত
হাদীস নং : ২৭১৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ أَجِدُ شَيْئًا وَلَيْسَ لِي مَالٌ وَلِي يَتِيمٌ لَهُ مَالٌ قَالَ " كُلْ مِنْ مَالِ يَتِيمِكَ غَيْرَ مُسْرِفٍ وَلاَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً " . قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ " وَلاَ تَقِي مَالَكَ بِمَالِهِ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আমি কিছুই যোগাড় করতে পারছি না এবং আমার ধন-সম্পদও নেই। তবে আমার অধীন এক সম্পদশালী ইয়াতীম আছে। তিনি বলেনঃ তুমি তোমার ইয়াতীমের মাল থেকে ভোগ করো অপচয় না করে এবং নিজের জন্য সঞ্চয় না করে। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেনঃ তার মালকে তোমার মাল খরচ না করার উপায় বানিও না। [২৭১৮]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।