২৬১৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ " .
আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মানুষের (অপরাধের) মধ্যে সর্বপ্রথম নরহত্যার (অপরাধের) বিচার করা হবে। [২৬১৫]
২৬১৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬১৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ " .
আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মানুষ অন্যায়ভাবে নিহত হলেই তার পাপের একটি অংশ আদম (আঃ) এর প্রথম সন্তানের (কাবীলের) আমলনামায় যোগ হয়। কারন সে-ই সর্বপ্রথম নরহত্যা প্রচলন করেছিল। [২৬১৬]
২৬১৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬১৭
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الأَزْهَرِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ " .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম নরহত্যার (অপরাধের) বিচার করা হবে। [২৬১৭]
২৬১৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِذٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَقِيَ اللَّهَ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا لَمْ يَتَنَدَّ بِدَمٍ حَرَامٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ এর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, সে আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করেনি এবং অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করেনি, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [২৬১৮]
২৬১৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬১৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ الْجُوزَجَانِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ قَتْلِ مُؤْمِنٍ بِغَيْرِ حَقٍّ " .
আল-বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, একজন ঈমানদার ব্যক্তির অন্যায়ভাবে নিহত হওয়ার চেয়ে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহ এর নিকট অধিক সহজ ও সাধারণ ব্যাপার। [২৬১৯]
২৬২০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَعَانَ عَلَى قَتْلِ مُؤْمِنٍ بِشَطْرِ كَلِمَةٍ لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ آيِسٌ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৩৪৮৪, যইফাহ ৫০৩, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ২০২। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন যিয়াদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি মুনকার। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯০, ৩২/১৩৪ নং পৃষ্ঠা)
২৬২১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَمَّنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ثُمَّ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى . قَالَ وَيْحَهُ وَأَنَّى لَهُ الْهُدَى سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَجِيءُ الْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُتَعَلِّقٌ بِرَأْسِ صَاحِبِهِ يَقُولُ رَبِّ سَلْ هَذَا لِمَ قَتَلَنِي " . وَاللَّهِ لَقَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّكُمْ ثُمَّ مَا نَسَخَهَا بَعْدَ مَا أَنْزَلَهَا .
সালিম বিন আবুল জা‘দ থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে কোন ঈমানদার মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো, অতঃপর তওবা করলো, ঈমান আনলো (ইসলাম গ্রহন করলো), সৎকাজ করলো, অতঃপর হেদায়েত মত চললো। তিনি বলেন, আফসোস তার জন্য! কোথায় তার জন্য হেদায়েত? আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন হত্যাকারী তার মাথার সাথে নিহত ব্যক্তির মাথা লটকানো অবস্থায় উপস্থিত হবে। নিহত ব্যক্তি বলবে, হে প্রভু! তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেন আমাকে হত্যা করেছে? আল্লাহর শপথ! অবশ্যি আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নবীর উপর এ কথা নাযিল করেছেন এবং অতঃপর এমন কিছু নাযিল করেননি যা উক্ত কথাকে রহিত করতে পারে। [২৬২১]
২৬২২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ فِي رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي إِنَّ عَبْدًا قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ قَالَ بَعْدَ تِسْعَةٍ وَتِسْعِينَ نَفْسًا قَالَ فَانْتَضَى سَيْفَهُ فَقَتَلَهُ فَأَكْمَلَ بِهِ الْمِائَةَ ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ مِائَةَ نَفْسٍ فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ فَقَالَ وَيْحَكَ وَمَنْ يَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ اخْرُجْ مِنْ الْقَرْيَةِ الْخَبِيثَةِ الَّتِي أَنْتَ فِيهَا إِلَى الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ قَرْيَةِ كَذَا وَكَذَا فَاعْبُدْ رَبَّكَ فِيهَا فَخَرَجَ يُرِيدُ الْقَرْيَةَ الصَّالِحَةَ فَعَرَضَ لَهُ أَجَلُهُ فِي الطَّرِيقِ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ قَالَ إِبْلِيسُ أَنَا أَوْلَى بِهِ إِنَّهُ لَمْ يَعْصِنِي سَاعَةً قَطُّ قَالَ فَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ إِنَّهُ خَرَجَ تَائِبًا
قَالَ هَمَّامٌ فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ فَبَعَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَلَكًا فَاخْتَصَمُوا إِلَيْهِ ثُمَّ رَجَعُوا فَقَالَ انْظُرُوا أَيَّ الْقَرْيَتَيْنِ كَانَتْ أَقْرَبَ فَأَلْحِقُوهُ بِأَهْلِهَا قَالَ قَتَادَةُ فَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ احْتَفَزَ بِنَفْسِهِ فَقَرُبَ مِنْ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ وَبَاعَدَ مِنْهُ الْقَرْيَةَ الْخَبِيثَةَ فَأَلْحَقُوهُ بِأَهْلِ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ إِسْمَعِيلَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ فَذَكَرَ نَحْوَهُ
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (আবূ সাঈদ খুদরী) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখে শুনেছি এবং যা আমার দু’ কান শুনেছে এবং আমার অন্তর যা সংরক্ষণ করেছে তা কি তোমাদের অবহিত করবো না? এক বান্দা নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। এরপর তার তওবা করার খেয়াল হলে সে জানতে চাইলো যে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আলেম কে? তাকে একটি লোক সম্পর্কে অবহিত করা হলো। সে তার কাছে এসে বললো, আমি নিরানব্বই ব্যক্তি কে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে? লোকটি বললো, নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করার পর (এখন আবার তওবা)! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তখন সে তার তরবারি কোষমুক্ত করে তাকে হত্যা করলো এবং তার দ্বারা এক শতজন পূর্ণ করলো। পুনরায় তার তওবার খেয়াল হলে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আলেম ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে এক লোক সম্পর্কে বলা হলে সে তার নিকট গিয়ে বললো, আমি একশত ব্যক্তি কে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সেই লোকটি বললো, তোমার জন্য আফসোস! তোমার এবং তওবার মধ্যে কে প্রতিবন্ধক হতে পারে? তুমি যে নিকৃষ্ট জনপদে আছো সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে উত্তম জনপদে, অমুক অমুক জনপদে যাও। সেখানে গিয়ে তোমার রবের ইবাদত করো। অতঃপর সে সেই উত্তম জনপদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো। পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে উপস্থিত হলো। তখন তার ব্যাপারে রহমাতের ফেরেশতা ও আযাবের ফেরেশতা বিবাদে লিপ্ত হলো। ইবলীস বললো, আমিই তার উপযুক্ত হকদার। সে মুহূর্তের জন্যও আমার অবাধ্য হয়নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রহমাতের ফেরেশতা বললেন, সে অনুতপ্ত হয়ে যাত্রা করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তখন মহামহিম আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাঠান। উভয় ফেরেশতা তার কাছে মামলা রুজু করলেন। মীমাংসাকারী ফেরেশতা বললেন, তোমরা দেখো, উভয় জনপদের যেটি তার নিকটবর্তী তাকে সেই জনপদের অন্তর্ভুক্ত করো। কাতাদা (রাঃ) বলেন, হাসান (রাঃ) আমাদের নিকট একথাও বর্ণনা করেছেন যে, তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুরি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেল এবং নিকৃষ্ট জনপদের থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেশতাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। [২৬২২]
৩/২৬২২(১). <আবুল আব্বাস বিন আব্দুল্লাহ বিন ইসমাঈল আল-বাগদাদী><আফ্ফান><হাম্মাম><কাতাদাহ><আবুস সিদ্দীক আন-নাজী><আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)><আবুল আব্বাস বিন আবদুল্লাহ বিন ইসমাঈল আল-বাগদাদী><আফ্ফান><হাম্মাম বিন ইয়াহইয়া><হুমায়দ আত-তাবীল><বাকর বিন আবদুল্লাহ><আবূ রাফি (রাঃ)> [২৬২২]
তাহকীক আলবানীঃ “তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুড়ি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেলো এবং নিকৃষ্ট জনপদ থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেস্তাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।” এ বাক্য ব্যতীত সহীহ। কারণ, বাক্যটি হাসান।
২৬২৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ، أَظُنُّهُ عَنِ ابْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ، وَاسْمُهُ، سُفْيَانُ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أُصِيبَ بِدَمٍ أَوْ خَبْلٍ - وَالْخَبْلُ الْجُرْحُ - فَهُوَ بِالْخِيَارِ بَيْنَ إِحْدَى ثَلاَثٍ فَإِنْ أَرَادَ الرَّابِعَةَ فَخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَنْ يَقْتُلَ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ فَمَنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعَادَ فَإِنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا " .
আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কেউ নিহত হয় অথবা যাকে আহত করা হয় তার তিনটি বিকল্প বিষয়ের যেকোন একটি গ্রহন করার এখতিয়ার আছে। সে চতুর্থটি গ্রহন করতে চাইলে তোমরা তার উভয় হাত ধরে রাখো (তাকে বাধা দাও)। সে হত্যাকারীকে হয় হত্যা করবে অথবা ক্ষমা করবে অথবা দিয়াত (আর্থিক ক্ষতিপূরন) গ্রহন করবে। যে ব্যক্তি এই (তিনটি বিকল্পের) যেকোন একটি গ্রহন করার পর আরও কিছু (অতিরিক্ত) দাবি করবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে সে স্থায়ী হবে। [২৬২৩]
২৬২৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقْتُلَ وَإِمَّا أَنْ يُفْدَى " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কেউ নিহত হয় তার দুটি বিকল্প ব্যবস্থার যে কোন একটি গ্রহনের এখতিয়ার রয়েছে। (হত্যাকারীকে কিসাসস্বরূপ) হত্যা করা হবে অথবা ফিদয়া (দিয়াত) আদায় করা হবে। [২৬২৪]
২৬২৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي وَعَمِّي، وَكَانَا، شَهِدَا حُنَيْنًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالاَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ ثُمَّ جَلَسَ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَقَامَ إِلَيْهِ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ - وَهُوَ سَيِّدُ خِنْدِفَ يَرُدُّ - عَنْ دَمِ مُحَلِّمِ بْنِ جَثَّامَةَ وَقَامَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ يَطْلُبُ بِدَمِ عَامِرِ بْنِ الأَضْبَطِ وَكَانَ أَشْجَعِيًّا فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَقْبَلُونَ الدِّيَةَ " . فَأَبَوْا فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ يُقَالُ لَهُ مُكَيْتِلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا شَبَّهْتُ هَذَا الْقَتِيلَ فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ إِلاَّ كَغَنَمٍ وَرَدَتْ فَرُمِيَتْ فَنَفَرَ آخِرُهَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَكُمْ خَمْسُونَ فِي سَفَرِنَا وَخَمْسُونَ إِذَا رَجَعْنَا " . فَقَبِلُوا الدِّيَةَ .
যায়দ বিন দুমায়রাহ থেকে বর্ণিতঃ
আমার পিতা ও আমার চাচা আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন এবং তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হুনায়নের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের নামায পড়ার পর একটি গাছের নিচে বসলেন। তখন আকরা‘ বিন হারিস তাঁর সামনে দাঁড়ালেন। তিনি ছিলেন খিনদিফ গোত্রের নেতা। তিনি (নিহত) মুহাল্লিম বিন জাসসামার কিসাসের দাবি উত্থাপন করলেন। অপরদিকে উয়াইনা বিন হিসনও দাঁড়িয়ে আমের বিন আদবাত আল-আশজাঈর কিসাসের দাবি উত্থাপন করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা দিয়াত গ্রহণ করো। তারা তা অস্বীকার করলো। তখন লাইছ গোত্রের মুকাইতিল নামক এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর শপথ, ইসলামের বিজয় যুগে এ হত্যার দৃষ্টান্ত হলো সেই মেষ পালের মতো যা পানি পান করতে আসলে তার প্রতি তীর নিক্ষিপ্ত হলো এবং ভয়ে শেষের মেষটি পর্যন্ত পলায়ন করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাদের সফরে থাকা অবস্থায় (এখানে) তোমরা পঞ্চাশটি উট পাবে এবং (মদীনায়) প্রত্যাবর্তনের পর পঞ্চাশটি উট পাবে। অতএব তারা দিয়াত গ্রহণ করলো। [২৬২৫]
২৬২৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৬
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ عَمْدًا دُفِعَ إِلَى أَوْلِيَاءِ الْقَتِيلِ فَإِنْ شَاءُوا قَتَلُوا وَإِنْ شَاءُوا أَخَذُوا الدِّيَةَ وَذَلِكَ ثَلاَثُونَ حِقَّةً وَثَلاَثُونَ جَذَعَةً وَأَرْبَعُونَ خَلِفَةً وَذَلِكَ عَقْلُ الْعَمْدِ مَا صُولِحُوا عَلَيْهِ فَهُوَ لَهُمْ وَذَلِكَ تَشْدِيدُ الْعَقْلِ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি (কাউকে) ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলে তাকে নিহত ব্যক্তির অভিভাবকদের নিকট সোপর্দ করা হবে। তারা ইচ্ছা করলে তাকে হত্যা করবে অথবা ইচ্ছা করলে দিয়াত গ্রহণ করবে। আর দিয়াত হলো তিরিশটি হিক্কা (চার বছরের উট), তিরিশটি জাযাআ (পাঁচ বছরের উট), এবং চল্লিশটি খালিফা (গর্ভধাত্রী উষ্ট্রী)। এটাই হলো ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার দিয়াত। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা (সোলেহ)-ও হতে পারে। আর এটা হলো কঠোর দিয়াত। [২৬২৬]
২৬২৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَتِيلُ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ قَتِيلُ السَّوْطِ وَالْعَصَا مِائَةٌ مِنَ الإِبِلِ أَرْبَعُونَ مِنْهَا خَلِفَةً فِي بُطُونِهَا أَوْلاَدُهَا " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ভুলবশত হত্যা (কাতলে খাতা) হলো শিবহে আমদ-এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন চাবুক বা লাঠির আঘাতে মৃত্যু। এতে এক শত উট (দিয়াতস্বরূপ) দিতে হবে। তার মধ্যে চল্লিশটি হতে হবে গর্ভবতী। [২৬২৭]
[উপরোক্ত হাদীসে মোট ৩টি সানাদের ২টি বর্ণিত রয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]
২/২৬২৭(১). আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [২৬২৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৬২৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، سَمِعَهُ مِنَ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَهُوَ عَلَى دَرَجِ الْكَعْبَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فَقَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ أَلاَ إِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ قَتِيلَ السَّوْطِ وَالْعَصَا فِيهِ مِائَةٌ مِنَ الإِبِلِ مِنْهَا أَرْبَعُونَ خَلِفَةً فِي بُطُونِهَا أَوْلاَدُهَا أَلاَ إِنَّ كَلَّ مَأْثُرَةٍ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَدَمٍ تَحْتَ قَدَمَىَّ هَاتَيْنِ إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ سِدَانَةِ الْبَيْتِ وَسِقَايَةِ الْحَاجِّ أَلاَ إِنِّي قَدْ أَمْضَيْتُهُمَا لأَهْلِهِمَا كَمَا كَانَا " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘরের সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুনগান করলেন, অতঃপর বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজ প্রতিশ্রুতি সত্যে পরিণত করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাভূত করেছেন। জেনে রাখো, চাবুক বা লাঠির আঘাতে নিহত হলে তা কতলে খাতা (ভুলবশত হত্যা) এর দিয়ত একশত উষ্ট্রী, যার চল্লিশটি হতে হবে গর্ভবতী। জেনে রাখো, জাহিলী যুগের সকল রীতিনীতি এবং রক্তপাত (হত্যার প্রতিশোধ) আমার এই দু’ পায়ের নিচে। তবে বায়তুল্লাহর সেবা এবং হাজীদের পানি পান করানোর যে প্রথা প্রচলিত ছিল তা বহাল থাকবে। জেনে রাখো, এ দু’টি বিষয়কে আমি পূর্ববৎ তার সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের দায়িত্বে বহাল রাখলাম। [২৬২৮]
২৬২৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ جَعَلَ الدِّيَةَ اثْنَىْ عَشَرَ أَلْفًا .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “বারো হাজার দিরহাম” দিয়াত নির্ধারণ করেছেন। [২৬২৯]
২৬৩০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْمَرْوَزِيُّ، أَنْبَأَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قُتِلَ خَطَأً فَدِيَتُهُ مِنَ الإِبِلِ ثَلاَثُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَثَلاَثُونَ ابْنَةَ لَبُونٍ وَثَلاَثُونَ حِقَّةً وَعَشَرَةُ بَنِي لَبُونٍ " . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَوِّمُهَا عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ وَيُقَوِّمُهَا عَلَى أَزْمَانِ الإِبِلِ إِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي ثَمَنِهَا وَإِذَا هَانَتْ نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَا عَلَى نَحْوِ الزَّمَانِ مَا كَانَ فَبَلَغَ قِيمَتُهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ الأَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلُهَا مِنَ الْوَرِقِ ثَمَانِيَةُ آلاَفِ دِرْهَمٍ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ مَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الْبَقَرِ عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَىْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الشَّاءِ عَلَى أَهْلِ الشَّاءِ أَلْفَىْ شَاةٍ .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যাক্তি ভুলবশত নিহত হলো তার দিয়াত ৩০টি বিনতু মাখায (এক বছরের উষ্ট্রী), ৩০ টি বিনতু লাবূন (দু বছরের উষ্ট্রী), ৩০ টি হিক্কা (চার বছরের উষ্ট্রী) এবং দশটি ইবনুলাবূন (দু বছরের উট)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গ্রামবাসীদের বেলায় এগুলোর মূল্য নির্ধারণ করেন চারশত দীনার অথবা তার সমতুল্য রৌপ্যমুদ্রা। তিনি দিয়াতের নগদ মূল্য নির্ধারণ করতেন উটের বাজার দর অনুসারে। উটের বাজার দর বৃদ্ধি পেলে দিয়াতের পরিমাণও বেড়ে যেতো এবং উটের বাজার দর হ্রাস পেলে দিয়াতের পরিমাণও হ্রাস পেতো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে এর মূল্য চারশত দীনার থেকে আটশত দীনার পর্যন্ত অথবা এর সমমূল্যের (রৌপ্য) মুদ্রায় আট হাজার দিরহাম পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সিদ্ধান্তও দিয়েছিলেন যে, গরুর মালিক গরুর দ্বারা তাদের দিয়াত পরিশোধ করতে চাইলে দুইশত গরু এবং বকরীর মালিক বকরী দ্বারা দিয়াত পরিশোধ করতে চাইলে দু’ হাজার বকরী দিতে হবে। [২৬৩০]
২৬৩১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩১
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا الصَّبَّاحُ بْنُ مُحَارِبٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ خِشْفِ بْنِ مَالِكٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فِي دِيَةِ الْخَطَإِ عِشْرُونَ حِقَّةً وَعِشْرُونَ جَذَعَةً وَعِشْرُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَعِشْرُونَ بِنْتَ لَبُونٍ وَعِشْرُونَ بَنِي مَخَاضٍ ذُكُورٍ " .
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কতলে খাতার (ভুলবশত হত্যার) দিয়াত বিশটি হিক্কা, বিশটি জাযাআ, বিশটি বিনতু মাখায, বিশটি বিনতু লাবুন এবং বিশটি বিন মাখায। [২৬৩১]
২৬৩২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩২
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَ الدِّيَةَ اثْنَىْ عَشَرَ أَلْفًا قَالَ ذَلِكَ قَوْلُهُ {وَمَا نَقَمُوا إِلاَّ أَنْ أَغْنَاهُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ مِنْ فَضْلِهِ} قَالَ بِأَخْذِهِمُ الدِّيَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়াত নির্ধারন করেছেন বার হাজার (দিরহাম)। আল্লাহর বাণীঃ “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিজ কৃপায় তাদের অভাবমুক্ত করেছিলেন বলেই তারা বিরোধিতা করেছিল” (সূরা তওবাঃ ৭৪), এ আয়াতের তাৎপর্য দিয়াত গ্রহনের দ্বারা (তাদের অভাবমুক্ত করেছিলেন)। [২৬৩২]
২৬৩৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نَضْلَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالدِّيَةِ عَلَى الْعَاقِلَةِ .
মুগীরাহ বিন শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আকিলার উপর দিয়াত ধার্য করেছেন। [২৬৩৩]
২৬৩৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْهَوْزَنِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ الشَّامِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا وَارِثُ مَنْ لاَ وَارِثَ لَهُ أَعْقِلُ عَنْهُ وَأَرِثُهُ وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لاَ وَارِثَ لَهُ يَعْقِلُ عَنْهُ وَيَرِثُهُ " .
মিকদাম আশ-শামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার ওয়ারিস নেই আমি তার ওয়ারিস। আমি তার দিয়াতও পরিশোধ করবো এবং তার পরিত্যক্ত সম্পদের ওয়ারিসও হবো। যার কোন ওয়ারিস নেই (তার) মামা তার ওয়ারিস। সে তার পক্ষ থেকে দিয়াতও পরিশোধ করবে এবং তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওয়ারিসও হবে। [২৬৩৪]
২৬৩৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَتَلَ فِي عِمِّيَّةٍ أَوْ عَصَبِيَّةٍ بِحَجَرٍ أَوْ سَوْطٍ أَوْ عَصًا فَعَلَيْهِ عَقْلُ الْخَطَإِ وَمَنْ قَتَلَ عَمْدًا فَهُوَ قَوَدٌ وَمَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যাক্তি অন্ধ বিদ্বেষ অথবা গোত্রীয় বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে পাথর, চাবুক অথবা লাঠির আঘাতে হত্যাকাণ্ড ঘটায় তার উপর কতলে খাতার দিয়াত ধার্য হবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে তার উপর কিসাস বাধ্যকর হবে। আর যে ব্যক্তি হত্যাকারী ও নিহত ব্যাক্তির ওয়ারসগণের মধ্যে প্রতিবন্ধক হবে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের এবং মানবজাতির অভিসম্পাত। তার নফল অথবা ফরয কোন ইবাদতই কবুল হবে না। [২৬৩৫]
২৬৩৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَعَمَّارُ بْنُ خَالِدٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ دَهْثَمِ بْنِ قُرَّانَ، حَدَّثَنِي نِمْرَانُ بْنُ جَارِيَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، ضَرَبَ رَجُلاً عَلَى سَاعِدِهِ بِالسَّيْفِ فَقَطَعَهَا مِنْ غَيْرِ مَفْصِلٍ فَاسْتَعْدَى عَلَيْهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ لَهُ بِالدِّيَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ الْقِصَاصَ . فَقَالَ " خُذِ الدِّيَةَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا " . وَلَمْ يَقْضِ لَهُ بِالْقِصَاصِ .
জারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যাক্তি অপর ব্যাক্তির বাহুতে তরবারি দ্বারা আঘাত করে তা গ্রন্থির বাইরে থেকে কেটে ফেলে। আহত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট মামলা রুজু করলো। তিনি তাকে দিয়াত প্রদানের নির্দেশ দিলেন। সে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কিসাস দাবী করছি। তিনি বলেনঃ তুমি দিয়াত গ্রহন করো, আল্লাহ এতে তোমায় বরকত দান করুন। তিনি তার পক্ষে কিসাসের রায় দেননি। [২৬৩৬]
২৬৩৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ ابْنِ صُهْبَانَ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ قَوَدَ فِي الْمَأْمُومَةِ وَلاَ الْجَائِفَةِ وَلاَ الْمُنَقِّلَةِ " .
আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মস্তিস্কের মূলে (আঘাত) না পৌঁছালে, পেটের অভ্যন্তরে (আঘাত) না পৌঁছালে এবং হাড় ভেঙ্গে স্থানচ্যুত না হলে তাতে কিসাস নেই। [২৬৩৭]
২৬৩৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا جَهْمِ بْنَ حُذَيْفَةَ مُصَدِّقًا فَلاَجَّهُ رَجُلٌ فِي صَدَقَتِهِ فَضَرَبَهُ أَبُو جَهْمٍ فَشَجَّهُ فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا الْقَوَدَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَكُمْ كَذَا وَكَذَا " . فَلَمْ يَرْضَوْا فَقَالَ " لَكُمْ كَذَا وَكَذَا " . فَرَضُوا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي خَاطِبٌ عَلَى النَّاسِ وَمُخْبِرُهُمْ بِرِضَاكُمْ " . قَالُوا نَعَمْ . فَخَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ هَؤُلاَءِ اللَّيْثِيِّينِ أَتَوْنِي يُرِيدُونَ الْقَوَدَ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِمْ كَذَا وَكَذَا أَرَضِيتُمْ " . قَالُوا لاَ . فَهَمَّ بِهِمُ الْمُهَاجِرُونَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَكُفُّوا فَكَفُّوا ثُمَّ دَعَاهُمْ فَزَادَهُمْ فَقَالَ " أَرَضِيتُمْ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " إِنِّي خَاطِبٌ عَلَى النَّاسِ وَمُخْبِرُهُمْ بِرِضَاكُمْ " . قَالُوا نَعَمْ . فَخَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " أَرَضِيتُمْ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى يَقُولُ تَفَرَّدَ بِهَذَا مَعْمَرٌ لاَ أَعْلَمُ رَوَاهُ غَيْرُهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ জাহম বিন হুযায়ফা (রাঃ) কে যাকাত আদায়কারী নিয়োগ করে পাঠান। এক ব্যক্তি তার যাকাতের ব্যাপারে তার সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। আবূ জাহম (রাঃ) তাকে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। সেই গোত্রের লোকজন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কিসাস দাবী করছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা এতো এতো পরিমান মাল পাবে। কিন্তু তারা তাতে রাজী হলো না। তিনি বলেনঃ তোমরা এতো এতো পরিমান মাল পাবে। এবার তারা রাযী হয়ে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তোমাদের রাজী হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিবো? তারা বললো, হাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দেন এবং বলেনঃ এই লাইস গোত্রের লোকজন আমার নিকট কিসাসের দাবী নিয়ে এসেছে। আমি তাদেরকে এতো এতো পরিমান মাল প্রদানের প্রস্তাব করে জিজ্ঞেস করলামঃ তোমরা কি সম্মত হলে? তারা বললো, না। এতে মুহাজিরগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে শাস্তি দিতে উদ্যত হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বিরত হতে নির্দেশ দিলে তারা বিরত হন। তিনি মালের পরিমান আরো বাড়িয়ে তাদেরকে পুনরায় প্রস্তাব দিয়ে বলেনঃ তোমরা কি সম্মত হলে? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, আমি কি লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তাদেরকে তোমাদের সম্মত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিবো? তারা বললো, হাঁ। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণ দিলেন, অতঃপর জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি সম্মত হয়েছ? তারা বললো, হাঁ। ইমাম ইবনু মাজা (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, এ হাদীসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে মা‘মার নিঃসঙ্গ। তিনি ছাড়া অপর কেউ এটি রিওয়ায়াত করেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। [২৬৩৮]
২৬৩৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجَنِينِ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ فَقَالَ الَّذِي قُضِيَ عَلَيْهِ أَنَعْقِلُ مَنْ لاَ شَرِبَ وَلاَ أَكَلْ وَلاَ صَاحَ وَلاَ اسْتَهَلّ وَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذَا لَيَقُولُ بِقَوْلِ شَاعِرٍ فِيهِ غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গর্ভস্থ ভ্রুণের দিয়াত বাবত একটি ক্রীতদাস অথবা একটি ক্রীতদাসী নির্ধারণ করেন। তিনি যার উপর দিয়াত ধার্য করেন সে বললো, আমরা কি এমন মানুষের দিয়াত দিব যে না পান করেছে, না চীৎকার করেছে আর না শব্দ করে কেঁদেছে? এর রক্ত (দিয়াত) তো বাতিল, অর্থহীন! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, লোকটি তো কবিসুলভ কথা বলছে। ভ্রুণের জন্য একটি ক্রীতদাস অথবা একটি ক্রীতদাসী দিয়াতস্বরূপ দিতে হবে। [২৬৩৯]
উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)
২৬৪০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ اسْتَشَارَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ النَّاسَ فِي إِمْلاَصِ الْمَرْأَةِ يَعْنِي سِقْطَهَا فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى فِيهِ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ . فَقَالَ عُمَرُ ائْتِنِي بِمَنْ يَشْهَدُ مَعَكَ . فَشَهِدَ مَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ .
মুগীরাহ বিন শু‘বাহ ও মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(মিসওয়ার) বলেন, আঘাতের কারণে কোন নারীর গর্ভপাত হলে তার ব্যাপারে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) লোকজনের পরামর্শ তলব করলেন। মুগীরা বিন শো‘বা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি এ ক্ষেত্রে একটি ক্রীতদাস অথবা একটি ক্রীতদাসী দিয়াতস্বরূপ ধার্য করেছেন। উমার (রাঃ) বলেন, তোমার কথার একজন সমর্থক উপস্থিত কর। তখন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা (রাঃ) তার কথা সমর্থন করলেন। [২৬৪০]
২৬৪১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ طَاوُسًا، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ نَشَدَ النَّاسَ قَضَاءَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ يَعْنِي فِي الْجَنِينِ فَقَامَ حَمَلُ بْنُ مَالِكِ بْنِ النَّابِغَةِ فَقَالَ كُنْتُ بَيْنَ امْرَأَتَيْنِ لِي فَضَرَبَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى بِمِسْطَحٍ فَقَتَلَتْهَا وَقَتَلَتْ جَنِينَهَا فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجَنِينِ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ وَأَنْ تُقْتَلَ بِهَا .
হামল বিন মালিক বিন নাবিগাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) লোকজনের নিকট গর্ভস্থ ভ্রুণের (দিয়াতের) ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ফয়সালা জানতে চাইলেন। তখন হামল বিন মালিক বিন নাবিগাহ (রাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি আমার দু’ স্ত্রীর মাঝখানে ছিলাম। তাদের একজন তাঁবুর কিলক দ্বারা অপরজনকে আঘাত করে তার গর্ভস্থ ভ্রুণসহ তাকে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হত্যা করার এবং গর্ভস্থ ভ্রুণের দিয়াতস্বরূপ একটি ক্রীতদাস প্রদানের নির্দেশ দেন। [২৬৪১]
২৬৪২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ الدِّيَةُ لِلْعَاقِلَةِ وَلاَ تَرِثُ الْمَرْأَةُ مِنْ دِيَةِ زَوْجِهَا شَيْئًا حَتَّى كَتَبَ إِلَيْهِ الضَّحَّاكُ بْنُ سُفْيَانَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَرَّثَ امْرَأَةَ أَشْيَمَ الضِّبَابِيِّ مِنْ دِيَةِ زَوْجِهَا .
আদ-দাহহাক বিন সুফইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব) বলেন, উমার (রাঃ) বলতেন, দিয়াত আকিলার প্রাপ্য এবং স্ত্রী উত্তরাধিকার সূত্রে তার স্বামীর দিয়াত থেকে কিছুই পাবে না। (তার এ রায়ের কথা জানতে পেরে) আদ-দাহহাক বিন সুফইয়ান (রাঃ) তাকে লিখে পাঠান যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশয়াম আদ-দিবাবীর স্ত্রীকে তার স্বামীর দিয়াত থেকে উত্তরাধিকার স্বত্ব দান করেছেন। [২৬৪২]
২৬৪৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ خَالِدٍ النُّمَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى لِحَمَلِ بْنِ مَالِكٍ الْهُذَلِيِّ اللِّحْيَانِيِّ بِمِيرَاثِهِ مِنَ امْرَأَتِهِ الَّتِي قَتَلَتْهَا امْرَأَتُهُ الأُخْرَى .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হামল বিন মালিক আল হুযালী আল-লিহয়ানীকে তার স্ত্রীর দিয়াত থেকে ওয়ারিসী স্বত্ব দান করেন, যাকে তার অপর স্ত্রী হত্যা করেছিল। [২৬৪৩]
২৬৪৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ عَقْلَ أَهْلِ الْكِتَابَيْنِ نِصْفُ عَقْلِ الْمُسْلِمِينَ وَهُمُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(রাঃ), রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফয়সালা দেন যে, দু’ আহলে কিতাব সম্প্রদায় অর্থাৎ ইহূদী ও নাসারাদের দিয়াত হবে মুসলমানদের দিয়াতের অর্ধেক। [২৬৪৪]
২৬৪৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقَاتِلُ لاَ يَرِثُ " .
আবূ হুরায়রাহহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হত্যাকারী (নিহতের) ওয়ারিস হবে না। [২৬৪৫]
২৬৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، - رَجُلٌ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ - قَتَلَ ابْنَهُ فَأَخَذَ مِنْهُ عُمَرُ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ ثَلاَثِينَ حِقَّةً وَثَلاَثِينَ جَذَعَةً وَأَرْبَعِينَ خَلِفَةً . فَقَالَ أَيْنَ أَخُو الْمَقْتُولِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَيْسَ لِقَاتِلٍ مِيرَاثٌ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুদলিজ গোত্রীয় আবূ কাতাদা নামক এক ব্যক্তি নিজ পুত্রকে হত্যা করে। উমার (রাঃ) তার থেকে একশত উট আদায় করেন, যার মধ্যে ছিল তিরিশটি হিক্কা, ত্রিশটি জাযাআ এবং চল্লিশটি গর্ভবতী উষ্ট্রী। অতঃপর তিনি বললেন, নিহতের ভাই কোথায়? আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ হত্যাকারীর জন্য (নিহতের) উত্তরাধিকার স্বত্ব নাই। [২৬৪৬]
উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
২৬৪৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَعْقِلَ الْمَرْأَةَ عَصَبَتُهَا مَنْ كَانُوا وَلاَ يَرِثُوا مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا وَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا فَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهَا " .
আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, কোন নারীর উপর দিয়াত বাধ্যকর হলে তার বিদ্যমান (বংশীয়) আত্নীয়গণ পরিশোধ করবে। কিন্তু তারা তার ওয়ারিস হবে না। তবে তার ওয়ারিসদের প্রদানের পর কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা তারা পেতে পারে। কোন নারী নিহত হলে তার দিয়াত পাবে তার ওয়ারিসগণ। তারাই হত্যাকারীকে (কিসাসস্বরূপ) হত্যা করার অধিকারী। [২৬৪৭]
২৬৪৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدِّيَةَ عَلَى عَاقِلَةِ الْقَاتِلَةِ فَقَالَتْ عَاقِلَةُ الْمَقْتُولَةِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِيرَاثُهَا لَنَا . قَالَ " لاَ مِيرَاثُهَا لِزَوْجِهَا وَوَلَدِهَا " .
জাবির (রাঃ) বলেন থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হত্যাকারী নারীর উপর ধার্যকৃত দিয়াত প্রদানের দায় তার বংশীয় আত্নীয়গণের উপর আরোপ করেন। তখন নিহত নারীর বংশীয় আত্নীয়রা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার মীরাছ কি আমরা পাবো? তিনি বলেনঃ না, তার মীরাছ তার স্বামী ও সন্তানের প্রাপ্য। [২৬৪৮]
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুজালিদ বিন সাঈদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৫৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৭১ টি খুবই দুর্বল, ১৬৬ টি দুর্বল, ৯৫ টি হাসান, ১২১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৭৫৮, ৫৭৬০, ৬৭৪০, ৬৯০৪, ৬৯০৬, ৬৯০৮, ৬৯০৯, ৬৯১০, ৭৩১৭, মুসলিম, ১৬৮২, ১৬৮৩, ১৬৮৪, তিরমিযি ১৪১১, ২১১১, আবু দাউদ ৪৫৬৮, ৪৫৭০, ৪৫৭২, ৪৫৭৫, ৪৫৭৬, ৪৫৭৯, দারিমী ২৩৮০, ২৩৮১, আহমাদ ৩৪২৯, ৬৯৮৭, ১৬২৮৮।
২৬৪৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৪৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى أَبُو مُوسَى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَسَرَتِ الرُّبَيِّعُ عَمَّةُ أَنَسٍ ثَنِيَّةَ جَارِيَةٍ فَطَلَبُوا الْعَفْوَ فَأَبَوْا فَعَرَضَ عَلَيْهِمُ الأَرْشَ فَأَبَوْا فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِالْقِصَاصِ . فَقَالَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُكْسَرُ ثَنِيَّةُ الرُّبَيِّعِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ تُكْسَرُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا أَنَسُ كِتَابُ اللَّهِ الْقِصَاصُ " . قَالَ فَرَضِيَ الْقَوْمُ فَعَفَوْا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ مَنْ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার ফুফু রুবায়্যি একটি বালিকার সামনের পাটির দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছিল। অপরাধীর গোত্র ক্ষমা প্রার্থনা করলে আহতের গোত্র তা অস্বীকার করে। তারা দিয়াত প্রদানের প্রস্তাব দিলে তাও তারা প্রত্যাখ্যান করে। অতঃপর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলে, তিনি কিসাস গ্রহণের নির্দেশ দেন। তখন আনাস বিন নাযর (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! রুবায়্যির সামনের পাটির দাঁত ভেঙ্গে ফেলা হবে। সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, তার দাঁত ভাঙ্গা যাবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে আনাস! আল্লাহর কিতাবের বিধান হলো কিসাস। রাবী বলেন, তখন আহত মেয়েটির গোত্র সম্মত হয়ে (কিসাস) ক্ষমা করে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে আল্লাহর নামে শপথ করলে আল্লাহ তা অবশ্যই পূর্ণ করার ব্যবস্থা করেন। [২৬৪৯]
২৬৫০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫০
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَسْنَانُ سَوَاءٌ الثَّنِيَّةُ وَالضِّرْسُ سَوَاءٌ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সব দাঁতের মূল্য এবং মর্যাদা সমান। সামনের দাঁত ও মাড়ির দাঁত (দিয়াতের ক্ষেত্রে) এক সমান। [২৬৫০]
২৬৫১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫১
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ النَّحْوِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَضَى فِي السِّنِّ خَمْسًا مِنَ الإِبِلِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিটি দাঁতের দিয়াত পাঁচটি উট নির্ধারণ করেছেন। [২৬৫১]
২৬৫২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالُوا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " هَذِهِ وَهَذِهِ سَوَاءٌ " . يَعْنِي الْخِنْصَرَ وَالإِبْهَامَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এটা এবং এটা অর্থাৎ কনিষ্ঠা, ও বৃদ্ধাঙ্গুলির (দিয়াত) সমান। [২৬৫২]
২৬৫৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৩
حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَصَابِعُ سَوَاءٌ كُلُّهُنَّ فِيهِنَّ عَشْرٌ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ " .
আবদুলাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সবগুলো আঙ্গুল (দিয়াত) সমান। প্রতিটি আঙ্গুলের দিয়াত দশটি করে উট। [২৬৫৩]
২৬৫৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৪
حَدَّثَنَا رَجَاءُ بْنُ الْمُرَجَّى السَّمَرْقَنْدِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَصَابِعُ سَوَاءٌ " .
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সব আঙ্গুল (দিয়াত) সমান। [২৬৫৪]
২৬৫৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৫
حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي الْمَوَاضِحِ خَمْسٌ خَمْسٌ مِنَ الإِبِلِ " .
আবদুলাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হাড় উন্মুক্তকারী প্রতিটি যখমের দিয়াত পাঁচটি করে উট। [২৬৫৫]
২৬৫৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَمَّيْهِ، يَعْلَى وَسَلَمَةَ ابْنَىْ أُمَيَّةَ قَالاَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَمَعَنَا صَاحِبٌ لَنَا فَاقْتَتَلَ هُوَ وَرَجُلٌ آخَرُ وَنَحْنُ بِالطَّرِيقِ . قَالَ فَعَضَّ الرَّجُلُ يَدَ صَاحِبِهِ فَجَذَبَ صَاحِبُهُ يَدَهُ مِنْ فِيهِ فَطَرَحَ ثَنِيَّتَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلْتَمِسُ عَقْلَ ثَنِيَّتِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى أَخِيهِ فَيَعَضُّهُ كَعِضَاضِ الْفَحْلِ ثُمَّ يَأْتِي يَلْتَمِسُ الْعَقْلَ لاَ عَقْلَ لَهَا " . قَالَ فَأَبْطَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
উমায়্যার পুত্রদ্বয় ইয়ালা ও সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাবুক যুদ্ধে রওয়ানা করলাম। আমাদের সাথে এক সাথীও ছিল। পথিমধ্যে সে এবং অপর এক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হয়। রাবী বলেন, আমাদের লোকটি তার প্রতিপক্ষের হাত কামড়ে ধরলো। সে তার মুখ থেকে নিজের হাত মুক্ত করার জন্য সজোরে টান দিলো। এতে তার সামনের পাটির দাঁত উপড়ে পড়ে গেল। সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তার দাঁতের দিয়াত দাবি করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ তার ভাইকে ষাঁড়ের মত কামড়ে ধরে, অতঃপর এসে দিয়াত দাবি করে। এর কোন দিয়াত নেই। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দাঁতের দিয়াতের দাবি নাকচ করে দিলেন। [২৬৫৬]
২৬৫৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَجُلاً، عَضَّ رَجُلاً عَلَى ذِرَاعِهِ فَنَزَعَ يَدَهُ فَوَقَعَتْ ثَنِيَّتُهُ فَرُفِعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَبْطَلَهَا . وَقَالَ " يَقْضَمُ أَحَدُكُمْ كَمَا يَقْضَمُ الْفَحْلُ " .
ইমরান বিন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির হাতের বাহু কমড়ে ধরলে, লোকটি তার হাত টান দিলো। এতে তার সামনের পাটির দাঁত উপড়ে পড়ে গেল। সে বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পেশ করলে তিনি তার দাবি নাকচ করে দেন এবং বলেনঃ তোমাদের এক জন অপরজনকে ষাঁড়ের মত কামড়ায়! [২৬৫৭]
২৬৫৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৮
حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ عَمْرٍو الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ هَلْ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ مِنَ الْعِلْمِ لَيْسَ عِنْدَ النَّاسِ قَالَ لاَ وَاللَّهِ مَا عِنْدَنَا إِلاَّ مَا عِنْدَ النَّاسِ إِلاَّ أَنْ يَرْزُقَ اللَّهُ رَجُلاً فَهْمًا فِي الْقُرْآنِ أَوْ مَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ فِيهَا الدِّيَاتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْ لاَ يُقْتَلَ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ .
আবূ জুহায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) কে বললাম, আপনাদের নিকট এমন কোন জ্ঞান আছে কি যা অন্যদের অজ্ঞাত? তিনি বলেন, না, আল্লাহর শপথ! লোকেদের নিকট যে জ্ঞান আছে তা ব্যতীত বিশেষ কোন জ্ঞান আমাদের নিকট নাই। তবে আল্লাহ যদি কাউকে কুরআন বুঝার জ্ঞান দান করেন এবং এই সহীফার মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে দিয়াত ইত্যাদি প্রসঙ্গে যা আছে (তাহলে স্বতন্ত্র কথা)। এই সহীফার মধ্যে আরো আছেঃ কোন কাফেরকে হত্যার অপরাধে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না। [২৬৫৮]
২৬৫৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৫৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُقْتَلُ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ " .
আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন কাফেরকে হত্যার অপরাধে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না। [২৬৫৯]
২৬৬০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلاَ ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ " .
ইবনুল আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন কাফেরকে হত্যার অপরাধে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না এবং চুক্তিভুক্ত কোন যিম্মিকেও তার চুক্তি বহাল থাকা অবস্থায় হত্যা করা যাবে না। [২৬৬০]
২৬৬১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬১
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُقْتَلُ بِالْوَلَدِ الْوَالِدُ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সন্তানকে হত্যার অপরাধে পিতাকে হত্যা করা যাবে না। [২৬৬১]
২৬৬২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يُقْتَلُ الْوَالِدُ بِالْوَلَدِ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ সন্তানকে হত্যার অপরাধে পিতাকে হত্যা করা যাবে না। [২৬৬২]
২৬৬৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ قَتَلْنَاهُ وَمَنْ جَدَعَهُ جَدَعْنَاهُ " .
সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন ব্যাক্তি তার ক্রীতদাসকে হত্যা করলে আমরা তাকে হত্যা করবো এবং কেউ তার দেহের কোন অঙ্গ কর্তন করলে আমরা তার দেহের অঙ্গ কর্তন করবো। [২৬৬৩]
২৬৬৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَتَلَ رَجُلٌ عَبْدَهُ عَمْدًا مُتَعَمِّدًا فَجَلَدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِائَةً وَنَفَاهُ سَنَةً وَمَحَا سَهْمَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ " .
আবদুলাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) এবং ‘আমর বিন শুআইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তার ক্রীতদাসকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে একশত বেত্রাঘাত করেন, এক বছরের নির্বাসন দেন এবং মুসলমানদের (জায়গীর, ভাতা ইত্যাদী) প্রাপ্য অংশের মধ্য থেকে তার অংশ বিলোপ করেন। [২৬৬৪]
২৬৬৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ يَهُودِيًّا، رَضَخَ رَأْسَ امْرَأَةٍ بَيْنَ حَجَرَيْنِ فَقَتَلَهَا فَرَضَخَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ بَيْنَ حَجَرَيْنِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইহূদী দু’টি পাথরের মাঝখানে এক মহিলার মাথা রেখে তা পিষ্ট করে তাকে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’টি পাথরের মাঝখানে অপরাধীর মাথা রেখে তা পিষ্ট করে তাকে হত্যা করান। [২৬৬৫]
২৬৬৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ يَهُودِيًّا، قَتَلَ جَارِيَةً عَلَى أَوْضَاحٍ لَهَا فَقَالَ لَهَا " أَقَتَلَكِ فُلاَنٌ " . فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ ثُمَّ سَأَلَهَا الثَّانِيَةَ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ ثُمَّ سَأَلَهَا الثَّالِثَةَ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ نَعَمْ فَقَتَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ حَجَرَيْنِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইহূদী একটি বালিকাকে তার অলঙ্কারপত্রের লোভে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুমূর্ষু বালিকাকে (একজনের নামোল্লেখ করে) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাকে কি অমুকে আঘাত করেছে? সে তার মাথার ইশারায় বললো, না। তিনি আবার (অন্য একজনের নামোল্লেখ করে) তাকে জিজ্ঞেস করলে সে তার মাথার ইশারায় বললো না। তিনি তাকে (ইহূদীর নামোল্লেখ করে) আবার জিজ্ঞেস করলে সে তার মাথার ইশারায় বললো, হাঁ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত ইহূদীর মাথা দু’টি পাথরের মাঝখানে রেখে পিষ্ট করে হত্যা করান। [২৬৬৬]
২৬৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ الْعُرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي عَازِبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ قَوَدَ إِلاَّ بِالسَّيْفِ " .
নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তরবারির আঘাতেই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। [২৬৬৭]
২৬৬৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ، حَدَّثَنَا الْحُرُّ بْنُ مَالِكٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ قَوَدَ إِلاَّ بِالسَّيْفِ " .
আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তরবারির আঘাতেই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। [২৬৬৮]
২৬৬৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৬৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ " أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ لاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ " .
আমর ইবনুল আহওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিদায় হজ্জের দিন বলতে শুনেছিঃ সাবধান! অপরাধী তার অপরাধের দ্বারা নিজেকেই দায়বদ্ধ করে। পিতার অপরাধে পুত্রকে এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে দায়বদ্ধ করা যাবে না। [২৬৬৯]
২৬৭০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ شَدَّادٍ، عَنْ طَارِقٍ الْمُحَارِبِيِّ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ يَقُولُ " أَلاَ لاَ تَجْنِي أُمٌّ عَلَى وَلَدٍ أَلاَ لاَ تَجْنِي أُمٌّ عَلَى وَلَدٍ " .
তারিক আল-মুহারিবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর হস্তদ্বয়কে এত উপরে তুলে বলতে শুনেছি যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা আমার দৃষ্টগোচর হয়েছেঃ সাবধান! সন্তানের অপরাধে মাকে অভিযুক্ত করা যাবে না। সাবধান! সন্তানের অপরাধে মাকে অভিযুক্ত করা যাবে না। [২৬৭০]
২৬৭১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ أَبِي الْحُرِّ، عَنِ الْخَشْخَاشِ الْعَنْبَرِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي ابْنِي فَقَالَ " لاَ تَجْنِي عَلَيْهِ وَلاَ يَجْنِي عَلَيْكَ " .
আল-খাশখাশ আল-আম্বারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার এক পুত্রসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এলাম। তিনি বলেনঃ তোমার অপরাধের প্রতিশোধ তার কাছ থেকে নেয়া যাবে না এবং তার অপরাধের প্রতিশোধ তোমার কাছ থেকে নেয়া যাবে না। [২৬৭১]
২৬৭২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى " .
উসামাহ বিন শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজনের অপরাধের জন্য অপরজনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না। [২৬৭২]
২৬৭৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْعَجْمَاءُ جَرْحُهَا جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ وَالْبِئْرُ جُبَارٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পশুর আঘাতে দণ্ড নেই, খনিতে দণ্ড নেই এবং কূপে পরাতে দণ্ড নেই। [২৬৭৩]
২৬৭৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْعَجْمَاءُ جَرْحُهَا جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ " .
আমর বিন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ পশুর আঘাতে দণ্ড নেই এবং খনিতে দণ্ড নেই। [২৬৭৪]
২৬৭৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ خَالِدٍ النُّمَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الْمَعْدِنَ جُبَارٌ وَالْبِئْرَ جُبَارٌ وَالْعَجْمَاءُ جَرْحُهَا جُبَارٌ . وَالْعَجْمَاءُ الْبَهِيمَةُ مِنَ الأَنْعَامِ وَغَيْرِهَا . وَالْجُبَارُ هُوَ الْهَدَرُ الَّذِي لاَ يُغَرَّمُ .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফয়সালা করেছেন যে, খনিতে দণ্ড নেই, কূপে পতিত হওয়ায় দণ্ড নেই, পশুর আঘাতে দণ্ড নেই। পশু বলতে গৃহপালিত পশু ইত্যাদি বুঝায়। ‘দণ্ড নেই’ অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে না। [২৬৭৫]
আহমাদ ২২২৭২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ফুদায়ল বিন সুলায়মান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৫৯, ২৩/২৭১ নং পৃষ্ঠা) ২. ইসহাক বিন ইয়াহইয়া ইবনুল ওয়ালীদ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা অজ্ঞাত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি তার পিতা থেকে হাদিস শ্রবন করেননি। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার একাধিক হাদিস অরক্ষিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯১, ২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ফুদায়ল বিন সুলায়মান ও ইসহাক বিন ইয়াহইয়া ইবনুল ওয়ালীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৪৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৩৫ টি খুবই দুর্বল, ৯০ টি দুর্বল, ১০৫ টি হাসান, ১১১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৪৯৯, ২৩৫৫, ৬৯১২, ৬৯১৩, মুসলিম ১৭১১, ১৭১২, তিরমিযি ৬৪২, ১৩৭৭, আবু দাউদ ৪৫৯২, ৪৫৯৩, ৪৫৯৪, দারিমী ১৬৬৮, ২৩৭৭, ২৩৭৮, ২৩৭৯, আহমাদ ৭০৮০, ৭২১৩, ৭৭৬৯, ২৭৪৭২।
২৬৭৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " النَّارُ جُبَارٌ وَالْبِئْرُ جُبَارٌ " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আগুনে পতিত হওয়ায় দণ্ড নেই এবং কূপে পতিত হওয়ায়ও দণ্ড নেই। [২৬৭৬]
২৬৭৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৭
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو لَيْلَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَأُلْقِيَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ بِخَيْبَرَ فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ . قَالُوا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ . ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُمْ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ يَتَكَلَّمُ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمُحَيِّصَةَ " كَبِّرْ كَبِّرْ " . يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ " . فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ " تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ " . قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِائَةَ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ فَقَالَ سَهْلٌ فَلَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ .
সাহল বিন আবূ হাসমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে তার কওমের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত লোক (ইসমু মুবহাব বা নাম অজ্ঞাত), জানিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনুসাহল এবং মুহাইয়্যাসা দুর্ভিক্ষের শিকার হয়ে খায়বার এলাকায় গেলেন। অতঃপর মুহাইয়্যাসার নিকট লোক মারফত খবর পৌছলো যে, আব্দুল্লাহ ইবনুসাহলকে হত্যা করে তার লাশ খায়বারের একটি গর্তে অথবা একটি কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছে। মুহাইয়্যাসা (রাঃ) ইহুদীদের নিকট গিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরাই তাকে হত্যা করেছো। তারা বললো, আল্লাহর শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি। অতঃপর তিনি তাঁর গোত্রে ফিরে এসে তাদের নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি ও তাঁর বড় ভাই হুহাইয়্যাসা এবং আবদুর রহমান ইবনু সাহল (রাঃ) মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলেন। খায়বারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুহাইয়্যাসা (রাঃ) কথা বলতে উদ্যত হলে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ জ্যেষ্ঠকে, জ্যেষ্ঠকে অগ্রাধিকার দাও। তিনি বয়সে বড় বুঝাতে চাচ্ছিলেন। হুহাইয়্যাসা কথা বললেন, তারপর মুহাইয়্যাসা কথা বললেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইহুদীরা হয় তোমাদের সঙ্গীর দিয়াত প্রদান করবে অথবা যুদ্ধের ঘোষণা দিবে। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষয়টি সম্পর্কে পত্র লিখলে ইহুদীরা প্রতি উত্তরে লিখে পাঠায়, আল্লাহর শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুহাইয়্যাসা, মুহাইয়্যাসা ও আবদুর রহমান (রাঃ) কে বললেনঃ তোমরা কি শপথ করে তোমাদের সঙ্গীর খুনের বদলা দাবি করতে পারো? তারা বললো, (আমরা শপথ করবো) না। তিনি বললেনঃ তারা তো মুসলমান নয় (মিথ্যা শপথ করবে)। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের অর্থাৎ (রাষ্ট্রের) পক্ষ থেকে তার দিয়াত পরিশোধ করলেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকট একশত উষ্ট্রী পাঠান এবং সেগুলি তাদের বসতিতে পৌঁছে গেলো। সাহল (রাঃ) বলেন, সেগুলির মধ্যকার একটি লাল উষ্ট্রী আমাকে লাথী মেরেছিল। [২৬৭৭]
২৬৭৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ حُوَيِّصَةَ، وَمُحَيِّصَةَ، ابْنَىْ مَسْعُودٍ وَعَبْدَ اللَّهِ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ ابْنَىْ سَهْلٍ خَرَجُوا يَمْتَارُونَ بِخَيْبَرَ فَعُدِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقُتِلَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تُقْسِمُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نُقْسِمُ وَلَمْ نَشْهَدْ قَالَ " فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا تَقْتُلُنَا . قَالَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ .
আবদুলাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাসউদের দু’ পুত্র হুহাইয়্যাসা ও মুহাইয়্যাসা এবং সাহলের দু’ পুত্র আব্দুল্লাহ ও আবদুর রহমান কাজের সন্ধানে খায়বারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন। আবদুল্লাহ শত্রুর শিকার হয়ে নিহত হলে বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানানো হলো। তিনি বললেনঃ তোমরা কি শপথ করে দিয়াতের অধিকারী হবে? তারা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা তো ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, আমরা কিভাবে শপথ করবো? তিনি বলেনঃ তাহলে ইহূদীরা (শপথ করে) তোমাদের থেকে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তারা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে তারা তো আমাদের ধ্বংস করে ফেলবে! রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত পরিশোধ করেন। [২৬৭৮]
২৬৭৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ خَصَى غُلاَمًا لَهُ فَأَعْتَقَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمُثْلَةِ .
সালামাহ বিন ফারওয়াহ্ বিন যিনবা‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার দাদা (যিনবা‘ বিন রাওহ) (রাঃ), তিনি তার এক গোলামকে নির্বীর্য করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এই অঙ্গহানির কারণে দাসত্বমুক্ত করে দিলেন। [২৬৭৯]
২৬৮০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮০
حَدَّثَنَا رَجَاءُ بْنُ الْمُرَجَّى السَّمَرْقَنْدِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَارِخًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ " . قَالَ سَيِّدِي رَآنِي أُقَبِّلُ جَارِيَةً لَهُ فَجَبَّ مَذَاكِيرِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَىَّ بِالرَّجُلِ " . فَطُلِبَ فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اذْهَبْ فَأَنْتَ حُرٌّ " . قَالَ عَلَى مَنْ نُصْرَتِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ يَقُولُ أَرَأَيْتَ إِنِ اسْتَرَقَّنِي مَوْلاَىَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ أَوْ مُسْلِمٍ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি চীৎকার করতে করতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলো। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার কী হয়েছে? সে বললো, আমার মনিব আমাকে তার এক দাসীকে চুমা দিতে দেখে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ লোকটিকে আমার নিকট নিয়ে এসো। কিন্তু তাকে অনুসন্ধান করে পাওয়া গেল না। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাও, তুমি স্বাধীন। সে বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ! কে আমাকে সাহায্য করবে? রাবী বলেন, সে বলছিল, আপনি কী মনে করেন, আমার মনিব যদি আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আবার গোলাম বানায়? রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাকে সাহায্য করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের কর্তব্য। [২৬৮০]
২৬৮১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮১
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ شِبَاكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَعَفِّ النَّاسِ قِتْلَةً أَهْلَ الإِيمَانِ " .
আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হত্যা করার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ঈমানদারগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষমাশীল। [২৬৮১]
২৬৮২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ شِبَاكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هُنَىِّ بْنِ نُوَيْرَةَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَعَفَّ النَّاسِ قِتْلَةً أَهْلُ الإِيمَانِ " .
আবদুল্লাহ (বিন মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে সর্বাধিক ক্ষমাশীল হত্যাকারী হলো ঈমানদারগণ। [২৬৮২]
২৬৮৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُسْلِمُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَهُمْ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ يَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ وَيُرَدُّ عَلَى أَقْصَاهُمْ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুসলমানের জীবনের মূল্য এক সমান। তারা বিজাতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে একটি হাতস্বরূপ (একতাবদ্ধ)। তাদের একজন সাধারণ লোকও অপরকে তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারে। তাদের দূরবর্তী ব্যক্তিও গনীমতে শরীক হবে (সেনানায়ক যদি তাকে অন্যত্র কোন প্রয়োজনে পাঠিয়ে থাকে)। [২৬৮৩]
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু হানাশ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৬২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২৫ টি খুবই দুর্বল, ৬৭ টি দুর্বল, ৬৭ টি হাসান, ১০৩ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৮৭০, তিরমিযি ১৪১৩, আবু দাউদ ২৭৫১, ৪৫৩০, আহমাদ ৯৯৪, ৯৯৬, ১৬৯৭, ৬৬২৪, ৬৬৫১, ৬৭৫৭, ৬৭৫৮, ৬৭৮৮, ৮৫৬২, ৮৯২২, ১৭৩১১, ২১৬৫০।
২৬৮৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৪
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ أَبُو ضَمْرَةَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ أَبِي الْجَنُوبِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُسْلِمُونَ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ وَتَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ " .
মা‘কিল বিন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলমানগণ অন্যদের (বিজাতীয় শত্রুর) বিরুদ্ধে একটি হাতস্বরূপ। তাদের জীবনের মূল্য এক সমান। [২৬৮৪]
২৬৮৫
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَدُ الْمُسْلِمِينَ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَيُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ وَيَرُدُّ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَقْصَاهُمْ " .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মুসলমান তাদের বিজাতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে এক হাতস্বরূপ ঐক্যবদ্ধ। তাদের সকলের জান ও মাল সমান মর্যাদাসম্পন্ন। মুসলিম সমাজের একজন সাধারণ লোকও (তাদের পক্ষ থেকে) অন্যকে আশ্রয় দিতে পারে। মুসলমানদের দূরবর্তী ব্যক্তিও তাদের গনীমতে শরীক হবে। [২৬৮৫]
২৬৮৬
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ مُعَاهِدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا " .
আবদুল্লাহ বিন ‘আমর (রা) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম যিম্মীকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ অবশ্যই চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে। [২৬৮৬]
২৬৮৭
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَعْدِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَجْلَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَهُ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ سَبْعِينَ عَامًا
আবূ হূরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিরাপত্তা লাভকারী কোন যিম্মীকে হত্যা করবে সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। অথচ সত্তর বছরের দূরত্ব থেকেও অবশ্যই তার সুগন্ধ পাওয়া যাবে। [২৬৮৭]
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মা'দী বিন সুলায়মান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৮৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩১৬৬, ৬৯১৪, তিরমিযি ১৪০৩, আবু দাউদ ২৭৬০, আহমাদ ৬৭০৬, ১৬১৫৪, ১৯৮৬৩, ১৯৮৬৯, ১৯৮৮৩, ১৯৮৮৯, ২৭৫৩২, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১৮৫২১, মু'জামুল আওসাত ৪৩১, ৬৬৩, ২৯২৩, ৮০১১।
২৬৮৮
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ الْقِتْبَانِيِّ، قَالَ لَوْلاَ كَلِمَةٌ سَمِعْتُهَا مِنْ، عَمْرِو بْنِ الْحَمِقِ الْخُزَاعِيِّ لَمَشَيْتُ فِيمَا بَيْنَ رَأْسِ الْمُخْتَارِ وَجَسَدِهِ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَمِنَ رَجُلاً عَلَى دَمِهِ فَقَتَلَهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ لِوَاءَ غَدْرٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আমর ইবনুল হাকিম আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(রিফাআহ বিন শাদ্দাদ) বলেন, আমর ইবনুল হাকিম আল-খুযাঈ (রাঃ)-র নিকট আমি যে বাক্যটি শুনেছি তা না থাকলে আমি মুখতারের মাথা ও দেহের মাঝখান দিয়ে হাঁটাচলা করতাম (তাকে হত্যা করতাম)। আমি তাকে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোকের জানের নিরাপত্তা দেয়ার পর তাকে হত্যা করল সে কিয়ামতের দিন বিশ্বাসঘাতকতার ঝাণ্ডা বয়ে বেড়াবে। [২৬৮৮]
২৬৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৮৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو لَيْلَى، عَنْ أَبِي عُكَّاشَةَ، عَنْ رِفَاعَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى الْمُخْتَارِ فِي قَصْرِهِ فَقَالَ قَامَ جِبْرَائِيلُ مِنْ عِنْدِي السَّاعَةَ . فَمَا مَنَعَنِي مِنْ ضَرْبِ عُنُقِهِ إِلاَّ حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ مِنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا أَمِنَكَ الرَّجُلُ عَلَى دَمِهِ فَلاَ تَقْتُلْهُ " . فَذَاكَ الَّذِي مَنَعَنِي مِنْهُ .
সুলায়মান বিন সুরদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(রিফাআহ) বলেন, আমি মুখতারের প্রাসাদে প্রবেশ করে তার নিকট উপস্থিত হলাম। সে বললো, এই মুহূর্তে জিবরাঈল (আঃ) আমার নিকট থেকে উঠে চলে গেলেন। তখন তাঁর গর্দানে সজোরে আঘাত হানা থেকে একটি হাদীসই আমাকে বিরত রেখেছে। আমি সুলায়মান ইবনুসুরাদ (রাঃ) কে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমার থেকে কেউ তার জীবনের নিরাপত্তা লাভ করলে তুমি তাকে হত্যা করো না”। এ হাদীসই তাকে হত্যা করা থেকে আমাকে বিরত রেখেছে। [২৬৮৯]
২৬৯০
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৯০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَتَلَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَفَعَهُ إِلَى وَلِيِّ الْمَقْتُولِ فَقَالَ الْقَاتِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْوَلِيِّ " أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا ثُمَّ قَتَلْتَهُ دَخَلْتَ النَّارَ " . قَالَ فَخَلَّى سَبِيلَهُ . قَالَ وَكَانَ مَكْتُوفًا بِنِسْعَةٍ فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ فَسُمِّيَ ذَا النِّسْعَةِ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে এক ব্যক্তি হত্যার অপরাধ করলো। বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পেশ করা হলে তিনি তাকে (হন্তাকে) নিহতের অভিভাবকের নিকট সোপর্দ করলেন। হত্যাকারী বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর শপথ! তাকে হত্যা করার ইচ্ছা আমার ছিলো না। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিহতের অভিভাবককে বললেনঃ সে সত্যবাদী হয়ে থাকলে এবং তারপরও তুমি তাকে হত্যা করলে তুমি জাহান্নামে যাবে। রাবী বলেন, তারা তাকে তার পথে ছেড়ে দিলো। সে একটি রশি দ্বারা পিঠমোড়া দিয়ে বাঁধা ছিল। সে তার রশি মাটির সাথে টানতে টানতে বেরিয়ে চলে গেলো। সেই থেকে তার নাম হলো ‘রশিধারী’। [২৬৯০]
২৬৯১
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৯১
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ وَالْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي السَّرِىِّ الْعَسْقَلَانِيُّ قَالُوا حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ ابْنِ شَوْذَبٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَتَى رَجُلٌ بِقَاتِلِ وَلِيِّهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اعْفُ فَأَبَى فَقَالَ خُذْ أَرْشَكَ فَأَبَى قَالَ اذْهَبْ فَاقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ قَالَ فَلُحِقَ بِهِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ اقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ فَخَلَّى سَبِيلَهُ قَالَ فَرُئِيَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ ذَاهِبًا إِلَى أَهْلِهِ قَالَ كَأَنَّهُ قَدْ كَانَ أَوْثَقَهُ
قَالَ أَبُو عُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ شَوْذَبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْقَاسِمِ فَلَيْسَ لِأَحَدٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولُ اقْتُلْهُ فَإِنَّكَ مِثْلُهُ قَالَ ابْن مَاجَةَ هَذَا حَدِيثُ الرَّمْلِيِّينَ لَيْسَ إِلَّا عِنْدَهُمْ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তার অভিভাবকের হত্যাকারীকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। সে অস্বীকার করলো। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি দিয়াত গ্রহণ করো। সে তাও অস্বীকার করলো। তিনি বলেনঃ তাহলে যাও, তাকে হত্যা করো। কেননা তুমি তার মতই হবে। রাবী বলেন, তার নিকট গিয়ে তাকে বলা হলো, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশ্যি বলেছেনঃ তাকে হত্যা করো, তুমি তার মতই হবে। অতঃপর সে তাকে তার পথে ছেড়ে দিলো। রাবী বলেন, তাকে তার রশি টানতে টানতে তার পরিবারের দিকে চলে যেতে দেখা গেলো। সম্ভবত নিহতের দাবিদারগণ তাকে রশি দিয়ে বেঁধেছিল। রাবী আবূ উমাইর (রাঃ) তার হাদীসে বলেন, ইবনু মাওযাব (রাঃ) আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এর পর আর কারো পক্ষে এরূপ বলা জায়েয নয় যে, “তাকে হত্যা করো, তুমিও তার মতই হবে”। ইবনু মাজাহ (রাঃ) বলেন, এটা হলো রামলাবাসীদের বর্ণিত হাদীস, যা তাদের ছাড়া আর কারো কাছে নেই। [২৬৯১]
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু হুসায়ন বিব আবুস সারী আল-আসকালানী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি খুবই দুর্বল, ৮ টি দুর্বল, ২০ টি হাসান, ৪০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ১৬৮১, তিরমিযি ১৪০৭, আবু দাউদ ৪৪৯৮, ৪৪৯৯, দারিমী ২৩৫৯, শারহুস সুন্নাহ ২৫২৭।
২৬৯২
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৯২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَىْءٌ فِيهِ الْقِصَاصُ إِلاَّ أَمَرَ فِيهِ بِالْعَفْوِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কিসাস সংক্রান্ত কোন মোকদ্দমা উত্থাপিত হলেই তিনি তা ক্ষমা করে দেয়ার আহবান জানাতেন (বাদীর প্রতি)। [২৬৯২]
২৬৯৩
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৯৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، قَالَ قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ رَجُلٍ يُصَابُ بِشَىْءٍ مِنْ جَسَدِهِ فَيَتَصَدَّقُ بِهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهِ دَرَجَةً أَوْ حَطَّ عَنْهُ بِهِ خَطِيئَةً " . سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي .
আবূ দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যার দেহের কোন স্থান আঘাতপ্রাপ্ত হলো, অতঃপর সে তা সদাকা করে দিলো (অপরাধীকে ক্ষমা করে দিলো) আল্লাহ এর বিনিময়ে তার এক ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার একটি গুনাহ মাফ করবেন। এ কথা আমার দু’কান শুনেছে এবং আমার অন্তর তা হেফাজত করেছে। [২৬৯৩]
২৬৯৪
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায় : রক্তপণ
হাদীস নং : ২৬৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنِ ابْنِ أَنْعُمٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَشَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ إِذَا قَتَلَتْ عَمْدًا لاَ تُقْتَلُ حَتَّى تَضَعَ مَا فِي بَطْنِهَا إِنْ كَانَتْ حَامِلاً وَحَتَّى تُكَفِّلَ وَلَدَهَا وَإِنْ زَنَتْ لَمْ تُرْجَمْ حَتَّى تَضَعَ مَا فِي بَطْنِهَا وَحَتَّى تُكَفِّلَ وَلَدَهَا " .
মুআয বিন জাবাল, আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ, উবাদা ইবনুস সামিত ও শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন নারী ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অপরাধ করলে বা যেনা করলে এবং গর্ভবতী হয়ে থকলে, সন্তান প্রসব না করা পর্যন্ত এবং তার বাচ্চার লালন-পালন (দুধপানের মেয়াদ) শেষ না করা পর্যন্ত তাকে হত্যা বা রজম করা যাবে না। [২৬৯৪]