৪১
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪১
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের বললেন, জনসাধারণ তোমাদের অনুসারী হবে। আর দিক-দিগন্ত হতে তারা তোমাদের নিকট দ্বীনের জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে আসবে। সুতরাং যখন তারা আসবে, তখন তোমরা তাদের সদুপদেশ দিবে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৪২
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, জ্ঞানের কথা মুমিনের হারানো সম্পদ। সুতরাং যে যেখানে পাবে সে-ই তার অধিকারী।
তাহক্বীক্ব : যঈফ। ইবরাহীম ইবনু ফাযল নামের রাবী যঈফ। উল্লেখ্য যে, মিশকাতে হাকীম রয়েছে। কিন্তু মূল হাদীসে মুমিন রয়েছে।
৪৩
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৩
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, একজন ফক্বীহ শয়তানের উপর এক হাযার আবেদ অপেক্ষাও মারাত্মক।
তাহক্বীক্ব : হাদীসটি জাল। এর সনদে রূহ ইবনু জুনাহ নামে একজন রাবী আছে। সে মিথ্যুক বলে অভিযুক্ত।
৪৪
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৪
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ইলম তালাশ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয এবং অপাত্রে ইলম স্থাপনকারী যেন শূকরের গলায় জহরত, মুক্তা বা স্বর্ণ স্থাপনকারীর ন্যায়।
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনার শেষাংশ যঈফ। প্রথমাংশ সহীহ। তবে উক্ত অংশের সাথে ‘মুসলিমাতুন’ যোগ করার কোন ভিত্তি নেই।
৪৫
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৫
সাখবারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণ করবে, তার জন্য তা পূর্ববর্তী পাপ সমূহের কাফফারা হয়ে যাবে।
তাহক্বীক্ব : হাদীসটি জাল।
৪৬
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৬
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুমিন কখনও ইলম শ্রবণে তৃপ্তি লাভ করে না, যতক্ষণ না সে তার প্রতিদানে জান্নাত পায়।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৪৭
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৭
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমার পক্ষ হতে হাদীছ বর্ণনার ব্যাপারে সতর্ক হবে, যে পর্যন্ত না তা তোমরা আমার বলে জানবে। কারণ যে ব্যাক্তি আমার প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা আরোপ করবে, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে করে নেয়।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৪৮
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৮
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি কুরআন সম্পর্কে নিজের মনমত কোন কথা বলবে, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে করে নেয়।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৪৯
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৪৯
জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি কুরআনের ব্যাপারে নিজের মত অনুযায়ী কোন কথা বলবে, আর তাতে যদি সে সত্যও বলে, তবুও সে ভুল করবে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫০
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫০
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কুরআন সাত হরফে নাজিল হয়েছে। তার প্রত্যেক আয়াতের একটি বাইরের ও একটি ভিতর দিক রয়েছে; প্রত্যেক দিকেরই একটি হদ রয়েছে, আর প্রত্যেক হদেরই একটি অবগতি স্থান রয়েছে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫১
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫১
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ইলম তিন ধরনের। মুহকাম আয়াত, প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত, ফরয আদেল। এর বাইরে যা রয়েছে তা অতিরিক্ত। আমর ইবনে শু’আইব তার পিতার সূত্রে তার দাদা থেকেও বর্ণনা করেছেন। সেখানে মুখতাল শব্দের পরিবর্তে মুরা শব্দ রয়েছে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫২
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫২
মু'আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিভ্রান্তিমূলক কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫৩
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৩
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ফারায়েয ও কুরআন শিক্ষা কর এবং লোকদের ইহা শিক্ষা দাও। কারণ আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হবে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫৪
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৪
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, এমন সময় সমাগত যে, প্রায় মানুষই ইলমের সন্ধানে দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোথাও মদিনার আলেমের অপেক্ষা অধিক বিজ্ঞ আলেম পাবে না।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫৫
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৫
হাসান বছরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাসান বছরী (রহঃ) হতে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যার মৃত্যু এসে গেছে এমন অবস্থায়, যখন সে ইসলাম কে জীবিত করার উদ্দেশ্যে ইলম অন্বেষণে ব্যস্ত আছে, জান্নাতে তার আর নবীদের মধ্যে মাত্র এক ধাপের পার্থক্য থাকবে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫৬
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৬
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দ্বীনের আলেম কি উত্তম লোক! যদি তাঁর প্রতি লোক মুখাপেক্ষী হয়, তিনি তাদের উপকার সাধন করেন ; আর যখন তাঁর প্রতি মানুষের কোন প্রয়োজন থাকে না, তখন তিনি নিজেকে নিরপেক্ষ করে রাখেন।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল।
৫৭
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৭
ওয়াছেলা ইবনু আসক্বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি ইলম তালাশ করেছে এবং তা লাভ করতে পেরেছে, তার জন্য দুই গুণ ছওয়াব রয়েছে। আর যদি তা লাভ করতে না পারে, তাহলে তার জন্য একগুণ ছওয়াব রয়েছে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৫৮
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৮
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাতের কিছু সময় ইলমের আলোচনা করা পূর্ণ রাত্রি জাগরণ অপেক্ষা উত্তম।
তাহক্বীক্ব : যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ইবনু জুরাইজ নামে একজন যঈফ রাবী আছে। সে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর যুগ পায়নি।
৫৯
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৫৯
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদিন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর মসজিদে দু’টি মজলিসের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন তিনি বললেন, উভয় মজলিসই ভাল কাজে রত; তবে এক মজলিস অন্য মজলিস অপেক্ষা উত্তম। এই যে দলটি এরা অবশ্য আল্লাহকে ডাকছে এবং আল্লাহর প্রতি আগ্রহ প্ৰকাশ করছে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের আশা পূর্ণও করতে পারেন। আর ইচ্ছা করলে নাও করতে পারেন। কিন্তু এই দলটি, যারা ইলম শিক্ষা করছে এবং যারা জানে না তাদের শিক্ষা দিচ্ছে; এরাই উত্তম। আর আমিও শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই দলের সাথে বসে গেলেন।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৬০
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬০
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ইলমের কোন সীমায় পৌছলে একজন ব্যক্তি ফক্বীহ হতে পারে? উত্তরে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য দ্বীনের ব্যাপারে ৪০টি হাদীছ মুখস্থ করেছে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে ফকীহরূপে উঠাবেন। এছাড়া কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষী হব।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল। এর সনদে ইসহাক্ব ইবনু নাজীহ ও খালেদ ইবনু ইয়াযীদ আল-উমরী নামে দুইজন মিথ্যুক রাবী আছে।
৬১
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬১
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি বলতে পার দানের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল কে? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- ই বেশী জানেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহই হচ্ছেন সর্বাপেক্ষা বড়। অতঃপর বনী আদমের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল। আর আমার পর বড় দাতা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যে ইলম শিক্ষা করবে এবং উহা প্রচার করতে থাকবে। কিয়ামতের দিন সে একাই একজন আমীর অথবা একটি উম্মত হয়ে উঠবে।
তাহক্কীক্ব : যঈফ।
৬২
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬২
আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, দুই পিপাসু ব্যক্তি কখনো তৃপ্তি লাভ করে না- আলেম ও দুনিয়াদার। কিন্তু এই দুইজন আবার সমান নয়; আলেম- তার প্রতি আল্লাহর সম্ভষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকে, আর দুনিয়াদার আল্লাহর অবাধ্যতার পথে অগ্রসর হতে থাকে। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) পাঠ করলেন, ‘কখনোই নয়, নিশ্চয়ই মানুষ নিজেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ দেখে অবাধ্যতা করতে থাকে’ (আলাক ৫-৬)। বৰ্ণনাকারী আওন (রাঃ) বলেন, আর অপর ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি এই আয়াত পড়লেন, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে নিশ্চয় আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করেন।’ (ফাতির ২৮)
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৬৩
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৩
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন আমার উম্মতের কিছু লোক দ্বীনের জ্ঞান লাভে সচেষ্ট হবে ও কুরআন শিক্ষা করবে এবং বলবে যে, আমরা আমীরদের নিকট যাব এবং তাদের দুনিয়ার কিছু অংশ গ্ৰহণ করে পরে তাদের নিকট হতে সরে পড়ব। কিন্তু তা কখনো হবে না। যথা (কন্টকময়) কানাদ গাছ, উহা হতে যেমন কাঁটা ব্যতীত কোন ফল লাভ করা যায় না, তেমনি এদের নিকট হতে কোন ফল লাভ করা যায় না; মুহাম্মাদ ইবনু ছাব্বাহ বলেন, অর্থাৎ পাপ ব্যতীত।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৬৪
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৪
আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ভুলে যাওয়া হচ্ছে ইলমের পক্ষে আপদস্বরূপ। ইলমকে নষ্ট করা হচ্ছে অনুপযুক্ত লোককে বলা।
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল।
৬৫
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৫
সুফিয়ান ছাওরী থেকে বর্ণিতঃ
ওমর (রাঃ) একদা কা’বকে বললেন, প্রকৃত আলেম কারা? তিনি বললেন, যারা ইলম অনুযায়ী আমল করে। তিনি পুনরায় বলেন, কোন জিনিষ আলেমদের অন্তর হতে ইলম বের করে দেয়? তিনি বললেন, লোভ।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি মু’যাল বা যঈফ।
৬৬
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৬
আহ্ওয়াছ ইবনু হাকীম থেকে বর্ণিতঃ
আহ্ওয়াছ ইবনু হাকীম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি বললেন, মন্দ সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস কর না; বরং আমাকে ভাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর । এটা তিনি তিনবার বললেন। অতঃপর বললেন, জেনে রাখ, সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক হল আলেমরা, যারা খারাপ এবং সর্বাপেক্ষা ভাল হচ্ছে আলেমদের মধ্যে যারা ভাল।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি মু’যাল, যঈফ।
৬৭
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৭
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক মন্দ সে ব্যক্তিই হবে, যে তার ইলম দ্বারা উপকৃত হতে পারেনি।
তাহক্বীক্ব : নিতান্তই যঈফ।
৬৮
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৮
হাসান বছরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইলম দুই প্রকার। এক প্রকার যা আত্মায় থাকে, আর এটা হল উপকারী ইলম। আর এক প্রকার যা মুখে থাকে, তা হল মানুষের বিরুদ্ধে আল্লাহ্র পক্ষে দলীল।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৬৯
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৬৯
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা ‘জুব্বুল হাযান’ হতে আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাও। ছাহাবীগন জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ‘জুব্বুল হাযন’ কী? তিনি বললেন, জাহান্নামের মধ্যে একটি গর্ত, যা হতে স্বয়ং জাহান্নামও দৈনিক ১০০ বার পরিত্রান চেয়ে থাকে। ছাহাবীগণ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেখানে কারা যাবে? রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সেসকল কুরআন অধ্যয়নকারী, যারা নিজেদের কাজ অন্যদের দেখিয়ে থাকে। তিরমিযী; ইবনু মাজাহও এরূপ বর্ণনা করেছেন; কিন্তু তিনি কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, কুরআন অধ্যয়নকারীদের মধ্যে তারাই আল্লাহ্র নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত, যারা আমীর-ওমারার সাথে সাক্ষাৎ করবে।
তাহক্বীক্ব : নিতান্তই যঈফ।
৭০
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৭০
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অচিরেই মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন নাম ব্যতীত ইসলামের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, অক্ষর ব্যতীত কুরআনের কিছুই বাকী থাকবে না। তাদের মসজিদ সমূহে আবাদ হবে কিন্তু তা হেদায়াতশূন্য। তাদের আলেমগন হবেন আকাশের নিচে সর্বনিকৃষ্ট লোক। তাদের নিকট থেকে ফেৎনা প্রকাশ পাবে। অতঃপর বিপর্যয় তাদের দিকেই ফিরে যাবে।
তাহক্বীক্ব : অত্যন্ত যঈফ।
৭১
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৭১
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন ,তোমরা ইলম শিক্ষা কর এবং লোকদের তা শিক্ষা দাও। তোমরা ফারায়েয শিক্ষা কর এবং লোকদের উহা শিক্ষা দাও। তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং লোকদের উহা শিক্ষা দাও। কারন আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হবে এবং ইলমকে সত্বর উঠিয়ে নেওয়া হবে। আর ফেৎনা ও গোলযোগ সৃষ্টি হবে। এমনকি ফরজ নিয়ে দুই ব্যক্তি মতভেদ করবে, অথচ এমন কাউকেও পাবে না, যে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।
৭২
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
অধ্যায় : ইলম
হাদীস নং : ৭২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ইলম দ্বারা কারো উপকার সাধিত হয় না, সেটা এমন এক ধন-ভান্ডারের ন্যায়, যা হতে আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করা হয় না।
তাহক্বীক্ব : যঈফ।