১০৪১
আল লু'লু ওয়াল মারজান
অধ্যায় : ফারায়েজ
হাদীস নং : ১০৪১
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا، فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মীরাস তার হক্দারদেরকে পৌঁছিয়ে দাও। এরপর যা অবশিষ্ট থাকে, তা নিকটতম পুরুষের জন্য। (বুখারী পর্ব ৮৫: /৫, হা: ৬৭৩২; মুসলিম ২৩/১, হাঃ ১৬১৫)
১০৪২
আল লু'লু ওয়াল মারজান
অধ্যায় : ফারায়েজ
হাদীস নং : ১০৪২
حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: مَرِضْتُ مَرَضًا فَأَتَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي وَأَبُو بَكْرٍ، وَهُمَا مَاشِيَانِ، فَوَجَدَانِي أُغْمِيَ عَلَيَّ، فَتَوَضَّأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَبَّ وَضُوءَهُ عَلَيَّ، فَأَفَقْتُ، فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ أَصْنَعُ فِي مَالِي كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالي فَلَمْ يُجِبْنِي بِشَيْءٍ حَتَّى نَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাঃ) পায়ে হেঁটে আমার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আমার নিকট আসলেন। তাঁরা আমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অযূ করলেন। তারপর তিনি তাঁর অবশিষ্ট পানি আমার গায়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন। ফলে আমি সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে দেখলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললামঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার সম্পদের ব্যাপারে আমি কী করব? আমার সম্পদের ব্যাপারে কী পদ্ধতিতে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব? তিনি তখন আমাকে কোন উত্তর দিলেন না। অবশেষে মীরাসের আয়াত অবতীর্ণ হল। (বুখারী পর্ব ৭৫: /৫, হা: ৫৬৫১; মুসলিম ২৩/২, হাঃ ১৬১৬)
১০৪৩
আল লু'লু ওয়াল মারজান
অধ্যায় : ফারায়েজ
হাদীস নং : ১০৪৩
حديث الْبَرَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: آخِرُ سُورَةٍ نَزَلَتْ بَرَاءَةٌ، وَآخِرُ آيَةٍ نَزَلَتْ يَسْتَفْتُونَكَ
আবু ইসহাক (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বারাআ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, সর্বশেষ নাযিলকৃত সূরাহ হচ্ছে “বারাআত” এবং সর্বশেষে নাযিলকৃত আয়াত হচ্ছে ....(আরবি).....। (বুখারী পর্ব ৬৫: /২৭, হাঃ ৪৬০৫; মুসলিম ২৩/৩, হাঃ ১৬১৮)
১০৪৪
আল লু'লু ওয়াল মারজান
অধ্যায় : ফারায়েজ
হাদীস নং : ১০৪৪
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمُتَوَفَّى، عَلَيْهِ الدَّيْنُ، فَيَسْأَلُ: هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ فَضْلاً فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ لِدَيْنِهِ وَفَاءً صَلَّى وَإِلاَّ، قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ: صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ فَلَمَّا فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ، قَالَ: أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، فَمَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَتَركَ دَيْنًا فَعَلَىَّ قَضَاؤُهُ، وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَلِوَرَثَتِهِ
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যখন কোন ঋণী ব্যক্তির জানাযা উপস্থিত করা হত তখন তিনি জিজ্ঞেস করতেন, সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত মাল রেখে গেছে কি? যদি তাঁকে বলা হত যে, সে তার ঋণ পরিশোধের মতো মাল রেখে গেছে তখন তার জানাযার সালাত আদায় করতেন। নতুবা বলতেন, তোমাদের সাথীর জানাযা আদায় করে নাও। পরবর্তীতে যখন আল্লাহ্ তাঁর বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন, তখন তিনি বললেন, আমি মু’মিনদের জন্য তাদের নিজের চেয়েও অধিক নিকটবর্তী। তাই কোন মু’মিন ঋণ রেখে মারা গেলে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য। (বুখারী পর্ব ৩৯: /৫, হাঃ ২২৯৮; মুসলিম ২৩/৪, হাঃ ১৬১৯)